নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা” জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনিস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম উঠিয়ে জনগণকে আফিম খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখার নামান্তর মাত্র ।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ২:১৯



দেশে প্রতি তিন হাজার ২৯৭ জন মানুষের জন্যে চিকিৎসক আছেন একজন।আর প্রতি এক হাজার ৬৯৯জন মানুষের বিপরীতে হাসপাতালে শয্যা আছে একটি। বর্তমানে বাংলাদেশের ৪৭শতাংস স্নাতকই বেকার। দক্ষিন এশিয়ায় এর চেয়ে উচ্চশিক্ষিত বেকার আছে কেবল আফগানিস্তানে৬৫ শতাংস।এর বাইরে ভারতে এর হার ৩৩শতাংস,নেপালে ২০শতাংস পাকিস্তানে ২৮শতাংস,এবংশ্রীলংকায় ৭দশমিক ৮শতাংস।আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠনের (আইএলও) তথ্য মতে,রর্তমানে বাংলাদেশের বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি।বেকারত্বের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৫সালে মোট বেকারের সংখ্যা ছয় কোটিতে দাড়াবে।সংস্থাটি বলেছে বেকারত্ব বাড়ছে এমন বিশটি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম।পরিসংখ্যানটি তুলে ধরছি এ কারনে মানবসম্পদ উন্নয়নের এই যখন বাস্তবচিত্র ঠিক সেই সময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ১০০কোটি টাকা ব্যয়ে “ লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা”জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনিস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম উঠানোর অনুষ্ঠান আয়োজ়ন করা হচ্ছে।এ যেন অর্থ অপচয়ের বিরাট আয়োজন। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় একটি সংবাদ আমাদের অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়েছে বলিউডের নায়ক শাহরুখ খান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জড়িপে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।সিনে জগতের ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বিভিন্ন সময় এ ধরনের রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় মিডিয়া জগত মেতে উঠে তা আমরা দেখেছি।এটা মিডিয়া জগতের ব্যবসা বৃদ্ধির একটা পলিসি।এতে দোষের কিছু নেই। একটা কর্পোরেট কোম্পানী তার ব্যাবসায়িক পলিসির অংশ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে চটকদার রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় মেতে উঠে কিন্তু কোন রাষ্ট্রকে কি আমরা কখনো দেখেছি এ ধরনের সস্তা বিজ্ঞাপনধর্মী কর্মকান্ড করে বেড়াতে। কিন্তু আমাদের তাই দেখতে হচ্ছে, ১০০কোটি টাকা খরচ করে “ লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা”জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনিস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম উঠানোর হাস্যকর তৎপরতায়। রাষ্ট্রযন্ত্রের পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরনের অর্থের অপচায় কোথাও হয়েছে কিনা সেটাই বরং গিনিস ওয়ার্ল্ড বুকে একটা রেকর্ড হয়ে থাকবে।তবে এখানে একটা শিক্ষনীয় বিষয় আছে আর তা হলো একটা সরকার যখন নিজের উপর আস্থাহীনতায় ভোগে তখন জনগণের দৃষ্টিকে অন্য দিকে ঘোরানোর অপচেষ্টায় সবসময় ব্যস্ত থাকে। সেই পাকিস্তান আমলের আইয়ুব খান থেকে শুরু করে হালের এরশাদ পর্যন্ত সবাই একই প্রচেষ্টা করেছে। ৫জানুয়ারীর ভোটার বিহীন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সরকার গঠনের পর এ সরকার চরম আস্থাহীনতায় ভূগছে। তার সবচেয়ে বড় প্রমান হলো রাষ্ট্রকে ব্যবহার করে এ ধরনের হাস্যকর রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলায় মেতে ওঠা। সহজ় কথায় বললে এটা জনগণকে "আফিম খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে"রাখার হাস্যকর অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।স্বাধীনতার মুলনীতি ছিল জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, বর্তমান সরকার ৫ জানুয়ারীর প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যেমে সেই অধিকার কেড়ে নিয়ে “ লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা” জাতীয় সংগীত গেয়ে গিনিস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম উঠানোর হাস্যকর তৎপরতা রাজনীতির নামে চরম দেউলিয়াত্ব ও প্রহসনের নির্মম বহিঃপ্রকাশ ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০১৪ সকাল ৭:১১

পংবাড়ী বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.