নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসদে আসন পরিবর্তন ‘’সাহারা খাতুনের প্রতি অবিচার’’!!!!

১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭



সম্প্রতি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে সাবেক মন্ত্রী সাহারা খাতুনের জাতীয় সংসদের আসন সামনের সারি থেকে পরিবর্তন করে পিছনে পাঠানো হয়েছে।

গৃহপালিত বিরোধী দল সমৃদ্ধ জাতীয় সংসদের ট্রেজারি বেঞ্চের সামনের সারিতে বসে নিয়মিত ঘুমাতেন সাহারা খাতুন। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সকলের নিকট সংসদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে।ফলে অতি সম্প্রতি সংসদনেতা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সংসদে সামনের সারির আসন থেকে সরিয়ে সাহারা খাতুনের আসন পিছনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী হিসেবে জ্যেষ্ঠ্তার ভিত্তিতেই তাঁকে সংসদের প্রথম সারির আসন দেওয়া হয়েছিল।

জানাগেছে প্রথম সারিতে তাঁর আগের আসনটি দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী এবং গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাহারা খাতুনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দী আ ক ম মোজাম্মেল হককে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কতজনের আসন পরিবর্তন করবেন ? বর্তমাণ অকার্যকর সংসদের বেশিরভাগ সংসদ সদস্যেরই তো সংসদে ঘুমানো ছাড়া কোনো কাজ নেই। যাদের বয়স কম তারা না হয় সংসদে বসে হাসি তামাশা বা রসাত্মক প্রেমের আলাপ করতে পারেন কিন্তু ৭০ উর্দ্ধো বর্ষীয়ান সংসদ সদস্যরা কি করবেন ?তাদের সাথে তো কেউ হাস্যরসাত্মক কথাও বলেন না বা বলতেও সংকোচবোধ করেন ?

বিশেষ করে আমাদের বর্ষীয়ান মাননীয় সংসদ সদস্যদের হয়েছে সবচেয়ে বেশি সমস্যা তারাতো আর বিশ্ব চরিত্রহীন সমিতির সভাপতি হোমো এরশাদের মতো হাটুর বয়সী সহকর্মিদের সাথে রসের আলাপও করতে পারেন না বা মোবাইলে হট মেসেজ চালাচালি করতেও জানেন না । সেক্ষেত্রে আবার সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বর্ষীয়ান আমাদের নারি সদস্যরা, অগত্যা তাদের সামনে একটাই পথ খোলা আছে আর তা হচ্ছে -‘’নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘূমানো’’। তাই তাঁরা সে পথই বেছে নিয়েছেন। এতে দোষের কি আছে ?

তাছাড়া সাহারা খাতুন যে একা ঘুমান তাতো আর না , মাননীয় কৃষি মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী , অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী , সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর(মিরপুরে ফায়ার ব্রিগেদের অনুষ্ঠানে গিয়ে ঘুমানোর ছবি বাংলাদেশ প্রতিদিনে ছাপা হয়েছিলো),সাবেক কালো বিড়ালখ্যাত মন্ত্রী বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত,সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী,এমনকি সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিভিন্ন জাতীয় প্রোগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে পড়েন।

তাই কেন শুধু ঘুমানোর অভিযোগে সাহারা খাতুনের সংসদের আসন পরিবর্তন করা হবে ? তিনি তো আর যেনোতেনো কেউ না ,আওয়ামী লীগের বর্তমান সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সদস্য । সুতরাং সংসদে তাঁর আসন পরিবর্তন ঘোরতর অন্যায়।নাগরিক হিসেবে আমরা মনে করি এটা ৪৮ ঘন্টাখ্যাত মাননীয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ‘'বঙ্গবন্ধু ৩জির স্বপ্ন দেখে যার কাছে স্বপ্নে প্রকাশ করেছিলেন'’সেই সাবেক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুনের প্রতি দারুন অবিচার!! আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই!!!অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত রহিত করা হোক!!!!

তাছাড়া এ ধরনের অকার্যকর সংসদে ঘুমানো ছাড়া কিইবা করার আছে ?আর ঘুমানোর অভিযোগে কতো জন সাংসদের আসন পরিবর্তন করা হবে ? এভাবে যদি ঘুমানোর অভিযোগে সংসদে আসন পরিবর্তনের রেওয়াজ চালু হয় তাহলে হয়ত একসময় দেখা যাবে সংসদের সামনের সারিতে বসে আছেন মমতাজ, নিক্সন চৌধুরী, পলক,সদ্য নির্বাচিত সাংসদ জেবুন্নেছা,নাছিম,পংকজ রায়,নাহিয়ান রাজ্জাক অথবা প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেটের বড় ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক।

(কল্পিত)

আর তারা সামনের সারিতে বসে একে অপরের সাথে তারুন্যের উচ্ছলতায় রসালো আলাপ করছেন ও খুনসুটি করছেন ।পিছন থেকে তখন সিনিয়র সংসদ সদস্যরা মনের দুঃখে কন্ঠশিল্পী মমতাজকে বিচ্ছেদের গান গাওয়ার অনুরোধ জানাবেন। কন্ঠশিল্পী মমতাজ তখন তার অত্যাধিক জনপ্রিয় গান ধরবেন “ বুক টা ফাইট্টা যায়.........ফাইট্টা যায়”তা শুনে তখন শুধু সিনিয়র সংসদ সদস্যরা পিছনে বসে তাদের বুক চাপড়াবেন!!!!!!!!শুধু প্রেমিক এরশাদ ছাড়া !!কারণ তিনি নিশ্চিতভাবে ইতিমধ্যেই তার অভ্যাসবশতঃ দুই চারজন সুন্দরী তরুনী সাংসদের হৃদয় হরণ করে ফেলবেন।



আশা করি সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নয়। অচিরেই দেশবাসী সেই দৃশ্য অবলোকন করতে পারবেন।



(বিঃদ্রঃবিশ্ব প্রেমিক এরশাদ সংসদে সুন্দরী তরুনী সাংসদদের মন জয় করার জন্য দুয়েকটি কবিতা রচনা করতে পারেন এবং যথারীতি তা মাননীয় স্পীকারের অনুমতি সাপেক্ষে সংসদের সকল সদস্যদের উদ্দেশে শোনাতে পারেন যাতে বিশেষভাবে তরুনী সুন্দরী সাংসদরা তাঁর প্রেমের বাণী শুনতে পারেন)



ছবিঃ দৈনিক কালের কন্ঠ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা....... ফাটাফাটি.... প্রস্তাবটি বিবেচনার অনুরোধ রইলো।

১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আমার প্রস্তাবের সাথে একমত পোষন করার জন্য !!

২| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১২

নীল ভোমরা বলেছেন: মজাক পাইলাম!

১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৮

কীর্তনখোলা তীরে বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ।এই অবিচারের প্রতিকার করা হোক, করতে হবে, সংসদে ঘুমানোর অধিকার দিতে হবে। খাট, বালিশের ব্যবস্থা করা হোক।

২১ শে জুন, ২০১৪ রাত ১:০৩

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.