![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়ার পর ষষ্ঠ দিনেও এমএল পিনাক-৬ লঞ্চটির সন্ধান মেলেনি।কিন্তু নির্লজ্জ নৌমন্ত্রী এখনো তার কথার বাচালতা চালিয়েই যাচ্ছেন। গতকাল উদ্ধার কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন ‘আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি, কবিরাজি যেখানে যে চিকিত্সা দরকার সেখানে তাই দিচ্ছি। তার পরও ডুবে যাওয়া লঞ্চটির কোনো খোঁজ মিলছে না।
কতটা চেতনাশুন্য বিকারগ্রস্ত হলে এধরনের একটি দমবদ্ধকর হৃদয়বিদারক পরিবেশে একজন দায়িত্বশীল লোক নিম্নরুচিকর এ মন্তব্য করতে পারেন তা শাজাহান খাঁনকে না দেখলে আমরা বুঝতেই পারতাম না।যদিও তিনি বিভিন্ন সময় জাতিকে এ ধরনের হাস্যরসাত্মক বক্তব্য অবিরাম উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবারকার নৌদুঃর্ঘটনার পরে অনেকেই ভেবেছিলেন এবারে হয়ত তার কিছুটা বোধোদয় হবে কারণ বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে এই লঞ্চে তার তিন ভাগ্নীও ছিলেন।
কিন্তু আমাদের সকলের ধারণা ভুল প্রমানিত করে তিনি স্বরুপে ফিরে গিয়েছেন।তাই লঞ্চ উদ্ধার নিয়ে তিনি প্রলাপ বকা শুরু করেছেন।তিনি আসলে দেশের মানুষকেও তার মতো অর্ধশিক্ষিত ভেবেছেন ? তা না হলে তিনি কি ভাবে লঞ্চ উদ্ধারে মালয়শিয়ায় বিমান খুজেঁ পাওয়ার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মিথ্যাচার করছেন? উনি হয়ত নিজে জানেনও না মালয়শিয়ার নিখোঁজ বিমান উদ্ধারে কতগুলো রাষ্ট্র অংশ নিয়েছিলো ? উনি আসলে যথারীতি দেশের সকল মানুষকে ওনার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন শ্রমিক মনে করছেন যারা শুধু গরু ছাগলের ছবি দেখে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স পেয়েছে ।অন্যথায় উনি নিজেই গরু ছাগলের ছবি দেখার মতো হেলিকপ্টার দেখেই মনে করছেন এটাই উদ্ধার কার্যক্রমের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। তবে ওনার কাছ থেকে এরচেয়ে বেশিকিছু আশা করাও আমাদের জন্য হবে চরমভাবে বোকামি ।যার মধ্যে বিন্দুমাত্র মানবিক মুল্যবোধই নেই সে নিশ্চিতভাবে প্রতিনিয়ত বিকারগ্রস্ত প্রলাপ বকে যাবেন আর দুর্ভাগা জাতি হিসেবে আমাদের তা সহ্য করতেই হবে।
অথচ এইতো সেদিন দক্ষিন কোরিয়ায় একটি ফেরি দুঃর্ঘটনায় শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায় স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন।যে স্কুলের বাচ্চারা ফেরি ডুবিতে মারা গেছে, তার দায়িত্বে থাকা সহকারী হেডমাস্টার আত্মহত্যা করেছেন। এক বার্তায় পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন “ আমি নিহত ও নিখোজঁ স্বজনদের আহাজারিতে রাতে ঘুমাতে পারছি না।‘’বিবেকের দ্বারা তাড়িত হয়ে তাঁরা এসব করেছিলেন।ওই সহকারী হেডমাস্টার বা প্রধানমন্ত্রীতো দুঃর্ঘটনাকবলিত ফেরি চালাচ্ছিলেন না। তবুও তাঁরা বিবেকের নিদারুন তাড়নায় প্রতিনিয়ত দংশিত হচ্ছিলেন, যা তাদেরকে দায় স্বীকার করে সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রাণিত করেছিলো।কারণ তাঁদের বিবেক আছে তাই তাঁরা বিবেকের দংশন অনুভব করেন।
কিন্তু আমাদের বিবেক নেই বিশেষ করে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের বিবেক বলতে কিছু নেই। তাই তিনি বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির ন্যায় আবিরাম বিবেকবর্জিত প্রলাপ বকেই যাচ্ছেন।আমরা জানিনা আর কতোকাল দুর্ভাগা জাতি হিসেবে আমাদের এ ধরনের পাগলের প্রলাপ সহ্য করতে হবে।
©somewhere in net ltd.