![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১৩ সালে নোবেল কমিটির কাছে মালালা'র প্রস্তাব করা হয়েছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত গতবার তাকে দেয়া হয়নি।আমার ধারণা ছিলো মালালা নোবেল পুরস্কার পাবেন, তবে এবছরই বা এত তাড়াতাড়ি পাবেন তা ধারণা করিনি।যাই হোক, মালালা'র পদক প্রাপ্তি অনেককেই খুশী করতে পারেননি ।যারা তাকে পদক প্রদানের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেননি তাদের বেশিরভাগ এর জন্য বয়স এবং শুধুমাত্র একবার গুলিবিদ্ধ হওয়াকে ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করছেন।তাদের মতামতকে আমি পরিপুর্ণ শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই ,মালালা'কে নোবেল পদক প্রদান সারা বিশ্বের পিছিয়ে থাকা মুসলিম মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণে ব্যপকভাবে উৎসাহিত করবে।যা বিশ্বের তাবৎ মুসলিম দেশগুলির নারী শিক্ষা উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে।আর একটি বিষয় পরিস্কারভাবে আমাদের জানা দরকার, নোবেল শান্তি পদক সাধারণ ভাবে প্রতীকী অর্থে প্রদান করা হয়।সেক্ষেত্রে এই মুহুর্তে মালালা'র চেয়ে আর কোনো বড় 'ব্রান্ড এম্বেসডার' পৃথিবীতে আছে কি?আর আমরা যারা শান্তিপুর্ণ এলাকায় বসবাস করে মালালা'র গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে সাধারণ হিসেবে মনে করছি তারা জানিনা কি ভয়ংকর এক মধ্যযুগীয় সমাজব্যবস্থা্র মধ্যে মাত্র ১৩ বছরের একটি মেয়ে শুধু শিক্ষার অধিকারের কথা বলতে গিয়ে এই হামলার শিকার হয়েছেন । আজকে যদি মালালা মুসলিম না হতো তাহলে কি আমরা এত সমালোচনা করতাম ?আমার বক্তব্য হচ্ছে , পশ্চিমা বিশ্বের মালালা'কে নোবেল পদক প্রদানের পিছনে কোনো উদ্দেশ্যও থাকে তাতেও কোনো ক্ষতি নেই ।কারণ মালালা'র শান্তিপদক বিজয় মুসলিম বিশ্বের কোটি কোটি নারীদের সামনে একজন সাহসী 'আইডল' তৈরি হলো যা তাদেরকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে।আমাদের মনে রাখতে হবে ধর্মের শক্ত খোলসে মুসলিম মেয়েদের আটকে রেখে বরং আমরাই একবিংশ শতাব্দীর চ্যলেঞ্জ গ্রহণ থেকে নিজেদেরকে দূরে সরিয়ে রাখছি যা সার্বিকভাবে মুসলিম বিশ্বকে পিছিয়ে দিচ্ছে।তাই আমি আশা রাখি, মালালা'র নোবেল শান্তি পদক' প্রাপ্তি আমাদের ধর্মীয় সংকীর্ণতার বেড়াজাল ভাংতে সাহায্য করবে।
©somewhere in net ltd.