নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য সকল দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের অচিরেই শুভবুদ্ধির উদয় হবে

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৩৪

আমরা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ইতিহাস , পাকিস্তান আমলে সামরিক শাসকদের ইতিহাস ও স্বাধীন বাংলাদেশে একচ্ছত্র ক্ষমতাধর সরকারগুলির ইতিহাস শুনেছি ও দেখেছি; কিন্তু কোন শাসকগোষ্ঠীই বর্তমানে ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত অগণতান্ত্রিক সরকারের মত এত 'চরম বেপরোয়া মনোভাবাপন্ন সরকার' আজ পর্যন্ত দেখা দেখিনি! সাম্প্রতিক বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বর্তমান সরকারের সাথে শুধুমাত্র পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমারের সামরিক সরকারগুলিরই তুলনা চলে। যেখানে আমরা দেখতে পাই,কিভাবে বিশ্বজন মতকে অগ্রাহ্য করে সামরিক স্বৈরাচার দিনের পর দিন গণতন্ত্রকামী নেত্রী 'অং সাং সুচী'কে গৃহবন্দী করে রাখে। কিন্তু সেটা তো সামরিক স্বৈরাচারের ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রথাগত অপচেষ্টামাত্র । কিন্তু আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনা তো নিজেকে গণতন্ত্রের মানষকন্যা ভাবেন তবে তারা কেন বিরোধি দলের প্রতি এতটা বেপরোয়া আচরণ করছেন?সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বা অগণতান্ত্রিক সামরিক স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রয়াসে 'সরকার বিরোধীদেরকে' সব সময় দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করতো তাও কিন্তু বর্তমান অবস্থার মত নি:শ্চয়ই নয়।
পাকিস্তান আমলের কথাই ধরা যাক, সামরিক স্বৈরাচার ইয়াহিয়া খান সব কিছু জেনে বুঝেই কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে ৭ মার্চ ১৯৭১ সালে রমনার রেসকোর্স ময়দানে লাখ লাখ জণগনের উদেশ্যে তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। আর তখনকার পরিস্থিতি যে কি রকমের উত্তাল ছিল তা যারা ঐ সময়ের অবস্থা দেখেছেন অর্থ্যাৎ আমাদের অগ্রজরা আরো ভালো বলতে পারবেন।
আর বর্তমান সময়ে সামরিক স্বৈরাচার না হয়েও জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে কিভাবে মাত্র ৫% জনগনের ভোট নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে সারা দেশ এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে ? যেখানে বিরোধীদলের উপর অনৈতিকভাবে নিরন্তর জোর জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে, আর নীরব দর্শক হয়ে তাকিয়ে তাকিয়ে দেশবাসিকে দেখতে হচ্ছে !
এখন প্রশ্ন হচ্ছে , হাসিনা সরকারের যদি এতই জনপ্রিয়তা থাকে তা হলে তাদের এত ভয় কেন? কেন তারা আজ 'নিজের ছায়া দেখেও খালেদা জিয়ার ছায়া' ভেবে ভয়ে আতঁকে ওঠেন ?বিএনপি তাদের সমাবেশ করতে চায় করুক না ?এটা তো তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ! বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করার ক্ষমতা তো সংবিধানের কোথাও লেখা নাই!! আশা করি সরকার তাদের এইসব অন্যায় অবিচার বুঝবেন ও দেশে জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন। অন্যথায় এর পরিণাম 'স্বৈরাচার মার্কোজ বা পিনোশে'র মত হতে বাধ্য।
(বিঃদ্রঃআমাদের বিশ্বাস বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য সকল দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের অচিরেই শুভবুদ্ধির উদয় হবে।)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৫৩

খেলাঘর বলেছেন:
যেই গণতান্ত্রিক ভোট পিন্টু, খোকা, আব্বাছ, শামীম ওসমান, মায়া, হাজী সেলিম, আলাল, ফালালদের নির্বাচিত করে, সেই ভোট হওয়ার দরকার কেন?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৭

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: অবশ্যই দরকার আছে কারণ সবচেয়ে খারাপ গণতন্ত্রও একটি ভালো অগণতান্ত্রিক সরকারের চেয়ে ভালো।কারণ পিন্টু, খোকা, আব্বাছ, শামীম ওসমান, মায়া, হাজী সেলিম, আলাল, এদের বিরুদ্ধে অন্তত পক্ষে কথা বলা যায় মামলা দেয়া যায়, এমন কি জেলেও পাঠানো যায় কিন্তু অগণতান্ত্রিক সরকারের আওতায় যেসব গডফাদার বা দুর্ণীতিবাজ বা সন্ত্রাসীদের নামও ভয়ে কেউ উচ্চারন করে না।যে ম ন এক স ম য় এরসাদ আমলে কালা ফারুক এবং আজম খান এই দুজন যারা খুনের অভিযোগে সাজা হয়েছিল কিন্তু এরশাদ তাদের ক্ষমা করে দিয়ে সাংসদ বানিয়েছিলো।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৪৩

খেলাঘর বলেছেন:


বেকুবদের জন্য সবকিছুই গণতন্ত্র।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৯

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: শুনুন রাজনীতি তো বলিউড আর হলিউড কিংবা ঢালিউডের সিনেমা নয় যে যে কাউকে ধরে এনে হাইব্রিড নেতা বানিয়ে দিলাম।মজার বিষয় হচ্ছে আওয়ামীলীগ-বিএনপি-এরশাদ চাচা যাই বলেন।এখন সবাই পরীক্ষিত নিজ দলের ছাত্রনেতাদের বাদ দিয়ে বাম গোডাউন থেকে নাপিত এনে দল চালাচ্চে। কি আর বলব ভাই..এই সব দলছুটু ক্ষেতারা রাজনীতিটাকে পেশা হিসাবে নিয়েছে। তাই এই অবস্থা.।বৈ আর কি!!!!!!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৫২

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: নিজ দলের ছাত্রনেতাদের তো ছাত্ররাজনীতি করার সময় পড়াশুনা বাদ দিয়ে তাদের দিয়ে শুধুমাত্র মাস্তানি আর দখলবাজি করায় ।তাই মুল দলে দায়িত্বশীল পদ গুলোতে বাস্তবিক অর্থে একটু ক্লিন ইমেজ ও বেশি জানাশোনা বাম ঘরানার ভাড়াটিয়া নেতাদের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এ সমস্যার সমাধান চাইলে রাজনৈতিক দল গুলোকে তাদের ছাত্রসংগঠন গুলোকে লেজুরবৃত্তি বাদ দিয়ে স্বাধীনভাবে ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে হবে।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩২

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: দূর মিয়া আপনি বোঝেননি..দেখুন রাকসুর ভিপি রিজভী ও ডাকসুর ভিপি আমানুল্লাহকে বাদ দিয়ে মহাসচিব বানানো হলো বাম ঘরানার ফখরুলকে। তাই আন্দোলনের এই বেহাল দশা আর লীগেও এই সিলসিলা---তোফায়েল-কাদের সিদ্দীকীকে বনবাসে পাঠিয়ে মতিয়া-নাহিদ-হানিফ-লেনিনের উপর তুলে দিয়েছে নৌকার বৈঠা----------

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আমি খুব ভালো ভাবে বুঝেছি। নিশ্চিতভাবে যোগ্যতার মাপকাঠিতে রিজভী ও আমানের চেয়ে তারা অনেক এগিয়ে আছে।আর আপনি আমানের কথা বলছেন তাকে কোনোদিন নেত্রী কি আছে , কোন সে নেত্রী খালেদা জিয়া -এর চেয়ে বেশি কোন বক্তব্য কোনো দিন দিতে শুনেছেন । ডাকসুর ভিপি ছিলেন অথচ বিএনপি'র প ক্ষে মিডিয়াতে তার স র ব উপস্থিতি নেই। তেমনি তোফায়েল সাহেবের কথা বলছেন তার রাজনৈতিক যোগ্যতা হচ্ছে -বঙ্গবন্ধু আমাকে এই বলেছেন বঙ্গবন্ধু সেই বলেছেন ,সে বিবেচনায় মতিয়া-নাহিদ--লেনিনের যোগ্যতা বাস্তবিকই হিসেবে রাখার মতো।

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:১০

আমার বাংলাদেশ স্বাধীন বলেছেন: কি আর বলব ভাই!! যে ব্যক্তি জেগে থেকেও ঘুমিয়ে থাকার ভান করে!!! বাহ! বাহ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.