![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত বছরটি নানা কারণে বিরোধী দল কোনো এক্সট্রিম আন্দোলন করেনি, যা সরকারকে ভীষন স্বস্তিতে রেখেছিলো।যদিও এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় জাতিসংঘ মহাসচিবের 'বিশেষ প্রতিনিধি তারানকো'র সাথে দুই দলের যে কয়েকদফা আলোচনা হয় তাতে একটি সিদ্ধান্তে উপণীত হয়, তাহচ্ছে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য একটি নির্বাচন শেখ হাসিনা সরকার করবে,তারপর অতি তারাতারি সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।শর্ত মোতাবেক বিএনপি আন্দোলন থেকে সরে আসবে। বিএনপি একটি রাজনৈতিক অলিখিত চুক্তি মোতাবেক এ প্রস্তাবটি নেয় এবং গত বছরে কোনো কঠিন রাজনৈতিক কর্মসূচী নেয়নি। স্বভাবজাত অস্থির রাজনৈতক সচেতন বাংলাদেশের মানুষ আন্দোলনের বিষয়ে বিএনপির এই অদ্ভুত নির্লিপ্ততা দেখে অবাক হয়। কেনো জানি সাধারণ জনগণ বিএনপি'র এই অদ্ভুত নীরবতা মন থেকে একেবারেই মেনে নিতে পারেনি।যার উত্তাপ আমরা গত কয়েক দিনে বিএনপি'র কর্মসুচীতে স্বতঃস্ফুর্ত সাধারণ মানুষের সমর্থণের মধ্যে দিয়ে টের পেয়েছি।আর তাছাড়া গত কয়েকদিনে বিএনপি'র প্রতি বিনা উস্কানিতে সরকার যেভাবে অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে তাতে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে, তারা ভিতরে ভিতরে ব্যপকভাবে আতংকিত।
তাই গত বছরের আলোকে যদি আশা করা হয় আগামী দিনগুলোও সরকারের জন্য নিরুত্তাপ যাবে তবে প্রকৃতির প্রতি বিরুপ আচরণ করা হবে । প্রকৃতির নিয়ম হলো-''প্রকৃতি কোনদিন বা কোন কালে কোন ধরণের অন্যায় অত্যাচার দীর্ঘদিন সৈহ্য প্রশ্রয় দেয়নি । মহাকাল কোন অন্যায় বা মিথ্যাকে অনন্তকাল ধরে হজম করেনা । বরং প্রকৃতি যখন প্রতিশোধ নেয় তা হয় অতি নিমর্ম এবং রহস্যে ভরপুর অদ্ভুত সব প্রতিশোধ''। কাজেই সরকার বা বিরোধীদল একে অপরের বিরুদ্ধে যে যাই বলুক না কেন, প্রকৃতি কিন্তু তার আপন গতিতে এগুচ্ছে একটি নির্ধারিত নিয়তির দিকে । আর সেই নিয়তির একমাত্র পরিনতি হবে- সত্যের প্রতিষ্ঠা এবং মিথ্যার বেসাতির ধ্বংষ সাধন ।
পূণশ্চঃ এখনও সময় আছে সরকার অন্যায় অত্যাচারের পথ পরিহার করে জনগণের মতামতকে সম্মান জানিয়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার স্বার্থে বিরোধীদলের সাথে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে উদ্যেগ গ্রহণ করা।অন্যথায়, প্রকৃতি প্রদত্ত করুণ রাজনৈতিক সমাধান আমাদের জাতীয় জীবনকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।
©somewhere in net ltd.