নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

'সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, দ্রুত আলোচনায় বসুন, অন্যথায় দেশের সামনে ভয়ংকর বিপদ''

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০২

'

নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যে অপরিসীম ধৈর্য বিএনপি বা বিরোধী জোট গত এক বছর যাবৎ দেখিয়ে যাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। দুর্মুখেরা এটাকে যতই বিএনপি’র সাংগঠনিক ব্যর্থতা বলুক না কেনো এতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের যে সংস্কৃতি খালেদা জিয়া শুরু করেছেন তা অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র জো নেই।

যদিও বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ একে বিএনপি’র দুর্বলতা হিসেবে দেখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।কিন্তু তাদের এবং যথারীতি তাদের মুরুব্বিদের হিসাব-নিকাশ পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে গেছে গত ৫ জানুয়ারিকে সামনে রেখে ২০ দলীয় জোটকে সমাবেশ করতে না দেয়ার মধ্যে দিয়ে।

বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী পর্যন্ত, যেভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কতৃক অবিরাম নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হচ্ছে তার সাথে কেবল গেস্টাপো বা নাৎসি বাহিনীর তুলনা চলে।ভাবতে অবাক লাগে, আওয়ামী লিগের মতো দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের মধ্যে থেকে উঠে আসা একটি দল কিভাবে ভুলে গেল অত্যাচার বা নির্যাতন কখনোই আন্দোলন সংগ্রামকে চিরতরে স্তব্দ করে দিতে পারে না, সর্বোচ্চ কিছুদিনের জন্যে দাবিয়ে রাখা যায়। তাতে বরং আন্দোলনে সাধারণ জনগণের নৈতিক সমর্থন বৃদ্ধি পায়। এবারকার আন্দোলনে কিন্তু সেই বিষয়টিই পরিস্কারভাবে ফুটে উঠেছে,কারণ বিশ্ব ইজতেমা চলাকালীন সময়েও অবরোধ চলছে, অথচ জনগণ এর বিরুদ্ধে সম্পুর্ণরুপে নিরুত্তাপ থেকেছে।যাতে প্রমাণ হয় জনগণ নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে সাময়িক কষ্ট সহ্য করে হলেও দেশের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে দ্রুততম সময়ে মুক্তি চায়।

আর একটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ, তা হচ্ছে সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট মাত্রাতিরিক্ত কোনো ধবংষাত্মক কর্মসুচী গ্রহণ করেনি। কেননা- আমরা দেখেছি সরকারের শক্ত জবাবের উত্তরে বিএনপি জোট সেই ধরনের শক্ত কোনো ধবংষাত্মক জবাব তারা এখনও দেননি।

যেখানে বিএনপি’র চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দী করা হয়েছে ,মহাসচিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে , তারপরেও তার নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবরোধের মতো কর্মসুচী পালন করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, উগ্রমূর্তি ধারণ করার মতো সক্ষমতা কি বিশাল জনস্মর্থিত দলটির বা জোটের নেই? নেই, এ কথা একটা পাগলও বিশ্বাস করবে না কিন্তু তারা সে পথ এখনও বলতে গেলে মাড়ায়নি। যদিও ধৈর্য ধারণের এই অতিশায্যের কারণে তাদের উপর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণও অনেকটা অধৈর্য হয়ে উঠেছে।

এখন বিরোধী দল অস্তিত্ব রক্ষার্থে ও যদি ইটের জবাব পাটকেল মেরে দেয়, তবে কেউই তাদের দোষ দিতে পারবে ? এবং দেশের বেশিরভাগ জনগণের ধারণা এটার সময় কিন্তু অতি সন্নিকটে।তবে অশান্তি কারো কাম্য নয়। তাই দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বড় ধরনের কোন ক্ষতির আগেই ১৬ কোটি জনগণের কথা চিন্তা করে রাজনৈতিক সংলাপে বসে সংকটের দ্রুত মীমাংসা করা উচিত ।এবং বাস্তবিক কারণে ক্ষমতাসীনদেরকেই অবিলম্বে আলোচনার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে ।

তবে সময় খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে ,অন্যথায় দেশের সামনে ভয়ংকর বিপদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.