![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বঞ্চণার অভিযোগে রুখে দাড়িয়েছিল।তার মধ্যে প্রধান ছিল বাঙালি ও অবাঙালির মধ্যে চাকুরী বৈষম্য। আজ স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরে বাংলাদেশে নতুন এক বৈষম্য ধীরে ধীরে সৃষ্টি হতে চলেছে। যা হয়ত বাংলাদেশের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অবদানকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে। অথচ একদিন তারাই তাদের জীবনের সেরা সময়টাকে দেশমাতৃকার জন্যে উৎসর্গ করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা নিশ্চয়ই ভাবেননি তাঁদের সেই অবদান একদিন ''মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট নামক ১২ ইঞ্চি বাই ৯ইঞ্চি পুরু কাগজের মধ্যে আটবে যাবে ।যা একদিন দেশের লক্ষ লক্ষ বেকার তরুনের নিঃশ্বাসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধার আত্মা কষ্ট পাচ্ছে এই ভেবে, তাদের অবদান এখন দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরিতে ভূমিকা রাখছে। তাঁরা কোনোদিন দেশের জন্যে যুদ্ধ করে নিজেরা কোনো আলাদা সুবিধা নিতে চাননি। তাঁরা চেয়েছিলেন পরবর্তী প্রজন্মকে একটি দেশ উপহার দিতে , যেখানে কোনো বৈষম্য , কোনো বঞ্চণা থাকবে না। সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। কিন্তু আজ বছর বছর যেভাবে বিভিন্ন উপায়ে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে দেখা যাবে একদিন মানুষ মুক্তিযোদ্ধাদের দেখলে ৭২ সালের মেট্রিক পাশ সার্টিফিকেটধারীদের মতো বাঁকা নজরে তাকাতে শুরু করবে।
সরকারের প্রতি অনুরোধ আপনারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিতর্কিত করবেন না। তাঁরা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান । পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাঁদের শ্রদ্ধা ও সম্মান যাতে অটুট থাকে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
©somewhere in net ltd.