![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সরকারী চাকুরীজীবীদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়েছে গত ১৫ ডিসেম্বর। তাতে জাতীয় অধ্যাপকদের বেতন সরকারের সিনিয়র সচিবদের সমান ধরা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোস্তরের শিক্ষকরা এতে চরমভাবে ক্ষুব্দ হয়েছেন।তাদের ক্ষুব্ধ হওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ এতে বিদ্যমান। জাতীয় অধ্যাপক কোনো চাকুরী নয়।আর জাতীয় অধ্যপক হতে হলে যে একজন শিক্ষক হতে হবে, এমন কোনো নিয়মও নেই। দেশের জন্য, সমাজের জন্য বিশেষ অবদানের জন্য যে কাউকে সম্মান প্রদানের প্রয়াসে জাতীয় অধ্যাপক ঘোষনা দেয়া যায়। তাই সাধারণ কর্মরত শিক্ষক এবং জাতীয় অধ্যাপক এর মধ্যে বিস্তর ফাঁরাক বিদ্যমান। তাছাড়া জাতীয় অধ্যাপকদের বেতন-ভাতার চেয়ে জাতির কাছে তাদের অবদানের স্বীকৃতিটাই অধিক সম্মানের।এর পরেও যৌক্তিক কারণে যদি ধরে নেয়াও হয়, তাদেরকে আর্থিক সুবিধা দিতে যেকোনো ফরমেট সরকারকে অনুসরণ করতে হয়।সেক্ষেত্রেও জাতীয় অধ্যাপকদের সাথে সরকারের সিনিয়র সচিবদের বেতন স্কেল কোনো ক্রমেই সমান হতে পারে।এটা জাতীয় অধ্যাপকদের প্রতি গরু মেরে জুতা দান এর মতো আচরণ করা হবে।সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ বিষয়ে অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় অধ্যাপক ছিলেন প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক থেকে শুরু করে বর্তমানে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, প্রফেসর আনিসুজ্জামান। সরকারের সিনিয়র সচিবের সাথে তাদের অবস্থান কোনোভাবেই সমপর্যায়ের নয় , এই সাধারণ সত্যটি সরকারকে বুঝতে হবে।
©somewhere in net ltd.