![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে পাগল নিয়ে একটি কথা প্রায়ই বলতেন , তা হচ্ছে গ্রাম এলাকায় প্রতিটি অঞ্চলেই একজন ঐতিহ্যগত পাগল থাকে। গ্রামের মানুষজন আবার অনেক আদরযত্ন করে । কথাটা প্রায় সিংহভাগ সত্যি। আমাদের এলাকায়ও এধরনের কিছু গুরুত্বপুর্ণ পাগল আছে বা ছিল। যাদের সমাজের সর্বস্তরে বিশেষ সমাদর আছে।এইমুহূর্তে আমার যাদের একজনের নাম মনে পড়ছে, যার নাম ফরহাদ।ছোটবেলা থেকেই দেখতাম সে দেশের জাতীয় নেতাদের বক্তব্য দিয়ে বেড়াত। যদিও তার কথার ৯৫ ভাগই কেউ বুঝত না। তারপরেও সবাই খুব আগ্রহ সহকারে ফরহাদের বক্তব্য শু্নত। এবং বক্তব্য শেষ হলে সবাই এক টাকা , দুই টাকা করে দান করত। সেই টাকা দিয়েই মূলত ফরহাদের সংসার চলত।
আজ অনেক দিন পর ফরহাদের কথা মনে পড়ে গেল এবং সাথে আর একটি বিষয় মনে হল , আজ যদি আমার প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ বেঁচে থাকতেন তবে তিনি তাঁর উপন্যাসে ঐতিহ্যগত পাগলের নতুন একটি ঠিকানা খুঁজে পেতেন । আর সেটা কোনো পাঁড়াগায়ের অশিক্ষিত পাগল নয়। এরা উচ্চশিক্ষিত এবং সম্ভ্রান্ত। এদের অবস্থান দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের খুব কাছাকাছি।যাদের কাজই হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিকভাবে অকার্যকর স্পর্শকাতর ইস্যুর অবতারণা করে অযথা নিস্ফল রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে ফেলে মূল সমস্যা সমাধানে দলের মনোনিবেশে বাধাগ্রস্ত করা। যদিও এসব জাতীয় পাগল শ্রেণীর নেতৃত্বের বক্তব্য শুনে দলের কিছু নেতাকর্মী পূলকিত হন।সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে , দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোতে কোনো সময়ই এ ধরনের পাগলের অভাব হয়নি। এক পাগল যায়তো , আর পাগল আসে। যেমনটা এই মুহূর্তে বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের হাবভাব বক্তব্য শুনে প্রতীয়মান হচ্ছে ( আওয়ামী লীগে অবশ্য কামরুল অত্যন্ত সফল্ভাবে সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বেশ অনেকদিন ধরে)।
যাক বাবা, বাঁচা গেলো। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোতে বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্বের অভাব বা জায়গা না হলেও ,অন্ততপক্ষে পাগলের অভাব কখনোই হবে না !!
©somewhere in net ltd.