![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''আজ আমি আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছি তাঁরই অবদানে। না হলে আসতে পারতাম না।''- শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় নোয়াখালী জেলা সমিতি, ঢাকা কর্তৃক দেয়া গণসংবর্ধনায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে এ মন্তব্যে করেন।প্রশ্ন হচ্ছে , এতদিন তাহলে মানুষ ভুল জেনে এসেছেন।আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী মিডিয়া যে অবিরাম প্রচারণা চালানো হয়েছে এমনকি কাদের সাহেব নিজেও বিভিন্ন সময় বলেছেন গণতান্ত্রিকভাবে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন! কিন্তু গণতন্ত্র তো নিশ্চয়ই একমাত্র শেষ হাসিনার ইচ্ছা প্রতিফলনের মাধ্যম হতে পারে না। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে মতে এটা তবে নিশ্চিত হয়েছে তাঁর সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে যত না রাজনৈতিক যোগ্যতা মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়েছে তার চেয়ে অধিক শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত মতের প্রতিফলন ঘটেছে।যা দলীয় রাজনীতিতে শেখ হাসিনার অগণতান্ত্রিক একনায়কসুলভ মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।সমস্যা হচ্ছে একজন অগণতান্ত্রিক একনায়কসুলভ রাজনীতিকের হাতে যখন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব অর্পিত হয় তখন তাঁর আঁচ এসে রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও লাগে।বাংলাদেশ এখন সেইরকম একনায়কসুলভ ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে।
শেষ করব ঢাকার উত্তরের মেয়র আনিসুল হকের উক্ত গণসম্বর্ধনার বক্তব্য দিয়ে ,যেখানে তিনি বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয় এবং একই সঙ্গে একটি বড় দলের সাধারণ সম্পাদকের মতো দায়িত্ব পালন কেবল ওবায়দুল কাদেরের পক্ষেই সম্ভব।' কতবড় চা্টূকার চিন্তা করা যায়! এই লোকটাকে শিক্ষিত , মার্জিত ও স্মার্ট মননের মানুষ ভাবে দেশের মানুষ। আর তিনি কিনা এই ধরনের ক্লীশে বক্তব্য প্রদান করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুজ্জামান ছাড়া (সাধারন সম্পাদক হওয়ার পর পদ ছেড়ে দেন) দল সরকারে থাকাকালীন সময়ে সবাইতো একাধারে মন্ত্রী ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তাহলে মেয়র আনিস এই বোগাস তথ্য কোথায় পেলেন। ওনার বিসিএস প্রিলিঃ কোচিং এ ভর্তি হওয়া উচিৎ তাতে সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি পেতে পারে।
ভড়ংঃ উক্ত অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন,‘মানুষ ফুল দেখলে খুশি হয়। আর ইদানীং আমি ফুল দেখলে খুব ভয় পাই। আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি, ভালোবাসার ফুল কোনটি আর স্বার্থের ফুল কোনটি।’ ভড়ং আর কাকে বলে আপনি সারা বাংলাদেশে গণসম্বর্ধণা নিয়ে বেড়াচ্ছেন আবার নীতি বাক্য কপচাচ্ছেন !এইসব ভড়ং বন্ধ করুন ।
যারা এইসব নিম্নমানের ভড়ং করে মানুষ তাদেরকে ক্লাউন ভাবে!!
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০৫
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন।ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাড়ামী, ক্লিশতা যেখানে যোগ্যতা সেখানে আপনি বন্ধ করতে বলছেন!!!
লজ্জ্বা হয় তাদের আচরণ দেখলে! আর ভয় হয়- আরো কতগুলো জেনারেশন এই চেতনা নিয়েই বড় হচ্ছে! তাদের দাসত্ব করেই বড় হচ্ছে! তারাই আবার হবে আগামী দিনের নেতা!!!
বদলটা হবে কিভাবে????
একটা আমুল পরিবর্তন ছাড়া কোন পথ নেই।