![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার একটি ঢাউস উচ্চাভিলাসী বাজেট পেশ করার জন্য। অবাক হলেন ! ভাবছেন ভুল করে মুহিত সাহেব লিখতে গিয়ে কি সাইফুর রহমানের নাম লিখে ফেলেছি ! অথবা ভাবছেন মাথার স্ক্রু কি কিছুটা ঢিলে হয়ে গেছে নাকি ! অন্যথায় বাজেট দিয়েছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত, আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি কিনা সাইফুর রহমানকে ! না ভুল করে সাইফুর রহমানের নাম লিখিনি। আর মস্তিস্কের স্ক্রুও ঠিকঠাকই আছে ! তাহলে কেন সাইফুর রহমান ! যিনি কিনা ২০০৯ সালে সেপ্টেম্বরের ৯ তারিখে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ! তার আগে বলে রাখি , প্রস্তাবিত সংখ্যা প্রেমের ঢাউস সাইজের বাজেট নিয়ে এখানে কোন মন্তব্য করব না। তবে শুধু একটা তথ্য দিতে চাই ...এই যে বিশাল সাইজের সংখ্যা প্রেমের বাজেট তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অন্যতম উৎস হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট(Value Added Tax-VAT)। অর্থ্যাৎ রাজস্ব প্রাপ্তির মধ্যে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) থেকে সংগ্রহের লক্ষ্য সর্বোচ্চ ৯১ হাজার ২৫৪ কোটি টাকা।যা প্রস্তাবিত বাজেটের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বা ২৫%। ভাবা যায় ,বাংলাদেশের মতো একটি দেশের অভ্যন্তরীন উৎস থেকে তাও আবার একেবারে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে তাদের সার্বিক উন্নতির জন্যই বাজেট দেয়ার চিন্তা কিছুটা বাড়াবাড়ি নয় কি! হ্যা অবশ্যই বাড়াবাড়ি ! আর এই অতি বাড়াবাড়ি চিন্তাটাই কিন্তু আজ থেকে ২৭ বছর আগে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান করতে পেরেছিলেন!১৯৯১ সালে এই অঞ্চলে সর্বপ্রথম তিনি বাংলাদেশ ভ্যাট প্রচলন করেন।আজকের যারা উচ্চাভিলাসী বাজেট দিয়ে চকচকে পাঞ্জাবি পড়ে বিগলিত ভাষায় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হন ,তারাই কিন্তু সেদিন ভ্যাট প্রচলনের জন্য সংসদের ভিতরে ও বাইরে সাইফুর রহমানের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করেছেন!অথচ আজ তাঁর প্রচলিত ভ্যাট পদ্ধতিই বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের প্রধানতম উৎস!
এখন কি আপনার মনে হচ্ছে , ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার একটি ঢাউস উচ্চাভিলাসী বাজেট পেশের জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে অভিনন্দন জানানো অবান্তর বা হাস্যকর হয়েছে। মনে হলে আর একটি তথ্য দিচ্ছি ,’’ ১৯৯০ সালে যখন বাংলাদেশের বাজেট প্রস্তাব করা হয় তখন অভ্যন্তরীন উৎস থেকে অর্থ সরবরাহ করা হয় মাত্র ৯% ।অর্থ্যাৎ শতকরা ৯১ভাগ অর্থ আমাদের বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশের জন্য বাজেট পেশ করতে হত। তখন প্যারিস কনসোর্টিয়াম নামে একটি বাংলাদেশ বিষয়ক সভা হত। যা প্রতি বছর বাজেট পেসের আগে আগে অনুষ্ঠিত হত।যেখানে বিশ্বব্যাংক,আইএমএফ ও অন্যান্য দাতা সংস্থার সামনে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে মাথানত করে অর্থ সাহায্যের জন্য মিনতি জানাতে হত। পরবর্তীতে সি সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হত। আর এখন হয় কিনা , তা কেউ জানে না।আমি অন্তত জানি না বা শুনি না।এই যে ৭% থেকে ১০০% দেশীয় অর্থে বাজেট পেশের সফলতা আর প্যারিস কনসোর্টিয়ামের নাম ভুলে যাওয়ার জন্য বড় অবদান কিন্তু এদেশের খেটে খাওয়া, মজুর থেকে শুরু করে দেশের একনম্বর নাগরিক রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত সকলের। সেটা সম্ভব হয়েছে,ঐ ভ্যাটের কারণেই।আর ভ্যাটের মত যুগান্তকারী আর্থিক পরিকল্পনা গ্রহণের সাহসী সিদ্ধান্ত সাইফুর রহমান নিতে পেরেছিলেন বলেই আজ আমরা অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখতে পারছি এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নও করতে পারছি। অতএব ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট পেশের জন্য সাইফুর রহমান অভিনন্দন পেতেই পারেন।
২| ০৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: যারা উচ্চাভিলাসী বাজেট দিয়ে চকচকে পাঞ্জাবি পড়ে বিগলিত ভাষায় সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হন ,তারাই কিন্তু সেদিন ভ্যাট প্রচলনের জন্য সংসদের ভিতরে ও বাইরে সাইফুর রহমানের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করেছেন!অথচ আজ তাঁর প্রচলিত ভ্যাট পদ্ধতিই বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের প্রধানতম উৎস
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জুন, ২০১৭ রাত ২:০০
গ্যাব্রিয়ল বলেছেন: কিন্তু যখন শুনি এই খেটে খাওয়া মানুষের ভ্যাটের টাকা লোপাট হয় তখন খারাপ লাগে। যখন দেখলাম সরকারি ব্যাংক এর কোটি কোটি টাকা লুটের খবর না নিয়ে সাধারন মানুষের ১ লক্ষ টাকায় উপর অতিরিক্ত ভ্যাট বসানো হয়েছে তখনও খারাপ লাগছে। কিন্তু কিছুই করার নাই।