![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার যদি সামুতে জেনারেল অথবা সেইভ নিক থাকে - তাহলে অবশ্যই আপনি থাকতে পারবেন পৃথিবীর সবচাইতে বড় বাংলা ভাষাভাষীদের কেন্দ্র বিন্দুতে ।
মাছ পানি বাংলাদেশ ময়মনসিংহে সফলতা । মাছ ভাতের বাঙ্গালীর বাংলাদেশে মাছ আমদানী এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় ।আমরা যদি আমাদের পানি সম্পদকে যথাযথভাবে মাছ উৎপাদনে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমার বিশ্বাস বাংলাদেশে মাছ আমদানীর দুর্নাম এবং পর নির্ভরতা বিলীন করা সম্ভব । সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে তেল সম্পদ । কিন্তু তেল সম্পদের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে । পানি সম্পদ নি:সন্দেহে স্থায়ী এবং শ্রেষ্ঠ সম্পদ । কৃষি , মৎস্য , ব্যবসা বাণিজ্য , ফলজ বনজ বৃক্ষ ,শালবন, মেনগ্রোভ বন ,চলাচল ব্যবস্থা সবক্ষেত্রে পানি সম্পদের প্রধান্য সুষ্পষ্ট । পৃথিবীর ৭৫ ভাগ অঞ্চল পানি আবৃত । পৃথিবীর কোটি কোটি শ্রমজীবী ও পেশাজীবী মানুষের জীবন জীবিকা পানিকে ঘিরেই আবর্তিত । বাংলাদেশে রয়েছে যথেস্ট পানি সম্পদ । কিন্তু এই সম্পদকে আমরা এখনও সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না । সম্প্রতি একটি খবরে আমার মাথা গুলিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে । খবরে প্রকাশ, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মাছ আমদানি বাড়লেও কমছে রফতানি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একমাত্র চিংড়ি ছাড়া অন্যান্য মাছ রফতানি কার্যক্রমে প্রণোদনা না থাকায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সামগ্রিক রফতানিতে। এছাড়া দেশে উৎপাদন কার্যক্রমে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নেই। বাজারে বর্তমানে যেসব মাছ বিক্রি হচ্ছে, তার বড় অংশই আমদানি করা। সংশ্লিষ্ট শুল্ক বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গত দুই অর্থবছর ২২৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকার মাছ আমদানি হয়েছে। এর সিংহভাগই এসেছে ওমান, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। ২০১৩-১৪ অর্থবছর চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে মাছ আমদানি হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ কেজি। এর আগের অর্থবছর আমদানি হয় ৩ কোটি ৪১ লাখ ৪৯ হাজার কেজি। এ হিসাবে গত অর্থবছর মাছ আমদানি বেড়েছে ৬৮ লাখ ৫৩ হাজার ৬৪৮ কেজি।শুল্ক বিভাগের রফতানি শাখার তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২০১৩-১৪ অর্থবছর ৫৮ লাখ ৫৯ হাজার কেজি হিমায়িত মাছ রফতানি হয়েছে। অথচ এর আগের অর্থবছর রফতানি হয় ২ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার কেজি। সে হিসাবে রফতানি কমে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৮৪ হাজার কেজি।সংশ্লিষ্টরা জানান, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাছ আমদানি বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি আসছে স্যাড ফিশ। এর পরই রয়েছে চকোরি ফিশ ও সার্ডিন। আমদানি করা মাছের মধ্যে রয়েছে ম্যাকারেলটুনা, আইড়, রূপচাঁদা, বোয়াল, চিতল, ক্যাট ফিশ ও কার্পজাতীয় মাছ। বিদেশী মাছের ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে দেশে মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ আগের মতো নেই। এছাড়া বাংলাদেশে মাছ চাষের খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তাই বাড়ছে আমদানি। একটি উদাহরণই যথেষ্ট । যেমন,বাংলাদেশের মানুষের কাছে পাংগাস মাছ ছিল রাজসিক খাবার । প্রাকৃতিক প্রজননের ক্ষেত্রগুলো ধ্বংসের কারণে সুস্বাদু মাছটি সংকটে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। ১৯৯৩ সালে চাদপুর নদী গবেষণা কেন্দ্রের তৎকালীন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান কৃত্রিম প্রজনেনের মাধ্যমে থাই পাংগাসের পোনা উৎপাদনে সক্ষম হন ।সেই যে যাত্রা শুরু হলো , তার ফলশ্রুতিতে থাই পাংগাস এখন গরীবের মাছ । ময়মনসিংহে ১৯৯৪ সালে বানিজ্যিক ভাবে পাংগাস চাষ শুরু হয় ।তৎপরবর্তীতে মজুদ ব্যবস্থাপনায় পানি যোগ ও পরিবর্তন , খাদ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাজার ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে । বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে পাংগাস মাছ চাষ হচ্ছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে এই মাছ রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে । আমাদের দেশে রয়েছে যথেষ্ট পানি সম্পদ । পাংগাসের মত বিলুপ্ত ৫৪ প্রজাতির মাছ প্রজননের মাধ্যমে পানি সম্পদকে কাজে লাগালে মাছের বংশ রক্ষা , আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, আত্ন-কর্মসংস্থান ,দারিদ্র বিমোচন প্রাণীজ আমিষের চাহিদাপূরণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং আমদানী নির্ভরতা কমানো সম্ভব ।প্রয়োজন সরকারী বেসরকারীভাবে মাছ চাষে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচিত জনগণের সাথে সংযোগ স্থাপন করা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো পোস্ট । এরকম পোস্ট আসুক আরও +++++++