![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনার যদি সামুতে জেনারেল অথবা সেইভ নিক থাকে - তাহলে অবশ্যই আপনি থাকতে পারবেন পৃথিবীর সবচাইতে বড় বাংলা ভাষাভাষীদের কেন্দ্র বিন্দুতে ।
২০০৬ সালে ৬ মার্চ সোমবার। তখনও রাতের নিরবতা কাটেনি। সুনশান নিরবতার মাঝে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্ণেল গুলজারের (বিডিআর বিদ্রোহে পিলখানায় নিহত) নেতৃত্বে র্যাব, আর্মড পুলিশ ও নিয়মিত পুলিশের চৌকস দল ছুটছে ময়মনসিংহ থেকে ৩০ কি.মি. এর পথ। প্রত্যন্ত চেচুয়া রামপুর চাঁন মিয়ার বাড়ী, ভোর হবার আগেই যৌথ বাহিনী ঘিরে ফেলে চাঁন মিয়ার বাড়ীর চারপাশ। শুরু হয় অভিযান। র্যাব সদস্যরা বাড়ির ৪/৫টি বাড়ি তল্লাশি চালায়। চাঁন মিয়ার ঘরে ধাক্কা দেওয়ার পরেও কেউ দরজা না খোলায় র্যাবের সার্জেন্ট রফিক উকি দিতেই ভেতর থেকে তাকে লক্ষ্য করে এসএমজি’র গুলি চালানো হয়। গুলিটি তার মাথার এক পাশে লাগে। সে দৌড়ে বেড়িয়ে আসে। হঠাৎ গুলির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে এলাকাবাসীর। পরে র্যাব সদস্যরা অধিক সর্তকতার সাথে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে। তারা ভিতরে অবস্থানরতদের আত্মসর্মপনের আহ্বান জানায়। এ সময় ঘরের ভিতর বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরিত হয়। টিনের চালা উড়ে যায়, পুরো ঘরে আগুন ছেঁয়ে যায়। ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় মোষ্ট ওয়ান্টেড নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সেকেন্ড ইন কমান্ড দুর্ধষ জঙ্গি নেতা , জ্রাগ্রত মুসলিম জনতার প্রতিষ্ঠাতা সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই। অপর জন তার সহযোগী সুইসাইড স্কোয়াড সদস্য মাসুদ। অন্তত দুই ঘন্টা শ^াসরুদ্ধকর অভিযানের মধ্যে দিয়ে তছনছ হয়ে যায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক। সর্বহারা নিধনের নামে রাজশাহী বাঘমারা থেকে যে সংগঠনটি সন্ত্রাসের জনপদ গড়ে তোলো একের পর এক রক্তাক্ত অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিল তার যবনিকা ঘটে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে। মূলত ১৯৯৯ সালের বাগের হাট অঞ্চলে আহলে হাদিস নামে জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলার মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও ২০০৪ সালে বেপরোয়া হয়ে উঠে বাংলা ভাই অধ্যায়ের। ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট এক যোগে ৬৩ জেলায় বোমা ফাটিয়ে নিজেদের অস্তিতের জানান দেয়। সেই সংগঠনের মূল হোতা শায়খ আব্দুর রহমান, ২ মার্চ ২০০৬ সিলেটের সূর্য দিঘল বাড়ি ও আজকের এই দিনে সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইয়ের গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে তছনছ হয়ে যায় জঙ্গি নেটওয়ার্ক। বাংলা ভাইয়ের গ্রেফতার খবর মুহূর্তেই হয়ে উঠে টক অব দ্যা কান্ট্রি। মুক্তাগাছার উল্লোসিত জনগণ হুমড়ি খেয়ে পড়ে মুক্তাগাছার রামপুরার প্রত্যন্ত অঞ্চলে। তাকে এক নজর প্রত্যক্ষ করতে ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ। আজও সেই দিনের কথা মনে হলে আতকে উঠে বুকের ভেতর। হ্যান্ড কাফ পড়া রক্তাক্ত বাংলা ভাই, অদূরে তার রক্তাক্ত সহযোগী মাসুদ ভ্যানে বসে শিশু সাদবিন সিদ্দিক কে নিয়ে স্ত্রী ফাহিমা। মনে পড়ে র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লে. কর্ণেল গুলজার উদ্দিনের চৌকস অভিযান।
©somewhere in net ltd.