![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন আমি ও আমার বন্ধু সকালে বের হলাম গুরতে, সকাল থেকে গুরে বেড়ালাম। দুপুর ১২টা বাজে দুজনে মিলে গেলাম বন্ধুর বাড়িতে, দরজায় গিয়ে দাড়াতেই ৩বোন মিলে দুলাভাই কেমন আছেন? আমি বুঝতে পারিনি কাকে বলছে, কিন্তু আমার বন্ধু বুঝতে পারল ব্যাপারটা, সবাইকে তাড়া করল সবাই চলে গেল। তখন আমি বল্লা এই কাকে দুলাভাই বলছে?
বন্ধু: কাকে তোকে
আমি: আমাকে ?
বন্ধু: হ্যাঁ
আমি: কিন্তু কেন আমাকে দুলাভাই বলবে? ব্যাপারটাতো বুঝলামনা।
বন্ধু: ওই যে ছবি তুলে আমার কাছে রেখে গেলি আর সেটাই ঘটনা,
আমি: ছবির সাথে দুলাভাইয়ের সম্পর্ক কি?
বন্ধু : শুন তুই ছবিটা আমার কাছে যখন রেখে চলে গেলি এর একটু পর আইরিন তোর ছবিটা দেখছে তখন উনি সেটা আমার চোট্ট বোনকে বলছে ছেলেটা খুব সুন্দর, এটাকে কেন্দ্র করে ওরা তোকে দুলাভাই বলছে। কিন্তু ঘটনা দু:খজনক বন্ধুর চোট্ট বোনটা আর কাউকে বাদ রাখেনি সাবাইকে বলে দিয়েছে, ওর কথা শুণে আমি খুব লজ্জা পেয়েছি। ছলে এলাম আমার বাড়িতে, কাউকে কিছু না বলে শুয়ে শুয়ে ভাবছি ইস মেয়েটা কত পাগল ওর কথা আমাকে তো বলতে পারতো, তা না করে ঐ বান্দরটাকে বলছে, আর ছাগলটা ওর ঘরের সবাইকে বলে দিল। পরদিন আবার গেলাম বন্ধুর বাড়িতে নাহিদা এসে বলল ভাইয়্যা আপনার একটা সুখবর আছে। মনে মনে ভাবছি খাইছে আজ আবার কোন খবর নিয়ে এলো আল্লাহ মালুম। তারপর ও জিজ্ঞাসা করলাম কি এমন সুখবর তুমি দিবে আমাকে?
নাহিদ: আছে! আপনার একটা চিঠি আসছে। বলতেই ভিতরটা একটা নাড়া দিয়ে উঠলো। কাল একবার অপমান হলাম আজ হয়তো আবার। তারপরও জিজ্ঞাস করলাম কে দিলো চিঠি?
নাহিদ: আইরিন। চিঠিটা দিয়ে চলে গেলো সে, চুপ করে নিয়ে গেলাম নিরবে সেটা পড়লাম,
ব্যাচারি আমাকে লিখছেন মাত্র ২ লাইন। আচ্ছালামু আলাইকুম , লিখার প্ররম্ভে আপনাকে জানাই.................................................। কাল আপনার ছবি দেখলাম, আপনি খুব সুন্দর
আল্লাহ হাফেজ।
পড়ার পর ভাবছি এই মেয়ে আমার ১২টা বাজিয়ে চাড়বে, আমাকে থাকতে দিবেনা সুখে, যদি আমার মা শুনেন তাহলে আমার অবস্থা শেষ। তারপর আমি ওনাকে ১টা চিঠি লিখলাম,
এই যে সুন্দরি তুমি এত পাগল কেন? নিজের কথা নিজে বলতে পারোনা? ওই ছাগলটাকে বলেছেন ও পুরা ঘরের সবাইকে বলে দিল। বলেন এখন আমি কি করি? আমি আপনাকে কখনো পুরোপুরি দেখিনি তাই আপনি যদি আমার সামনে এসে আমাকে কিছু বলতে পারেন তাহলে...............।
ইতি...........।
লিখা শেষ হলো দিয়ে এলাম নাহিদাকে, এটা তোমার আইরিন আপুকে দিয়ে বলবে উনার সব কিছূ এখানে লিখা আছে।
নাহিদা: আচ্ছা
ব্যাচারি দিতে গিয়ে সাবার সামনে চিঠিটা দিয়ে এলো। সবাই জেনে গেল, লজ্জায় আর বন্ধুর বাড়িতে যাইনা। বন্ধুর সাথে স্কুলে গেলে কথা বলি এলাকায় এলে কোন কথা বলিনা। এভাবে ৪ মাস হয়ে গেল। স্কুলে গেলাম বন্ধু বলল চল তোকে নিয়ে রামগড়ে যাবো, আমার কাছে টাকা নাই, আমি যাচ্ছিনারে।
বন্ধু: আচ্ছা তোর সব খরছ আমি দিব।
আমি: না, আমার জামা নাই তাই যাবোনা। এভাবে অনেক তাল বাহানা করলাম কিন্তু কে কার কথা শুনে।
বন্ধু: তোর যা কিছু লাগে সব আমি দেব। তারপর ও তুমি আমার সাথে যাবি। আচ্ছা তোর কি সমস্যা ৩ মাসা যবত আমার সাথে কথা বলছনা, আমার কাছ থেকে দূরে দূরে থাকিস কি সমস্যা আমাকে বল। না কিছু হয়নি আমার, তুই যা এখন। না, আগে বল তুই আমার সাথে যাবি, এই মধ্যে ও আমাকে জড়িয়ে দরল, তারপর মিষ্টি অর্ডার করল। দুই বন্ধু মিষ্টি খেয়ে শেষ হলে । ও আমার জন্যে সুন্দর ১টা গেন্জি কিনল, বলল তুই কাল সকালে ফজরের নামাজের সময় উঠলে আমার কাছে আসবি আমি তুই দুজন মিলে রামগড়ে যাবো। সকাল সকাল উঠলাম দুজনে মিলে রামগড়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। যেতে যেতে দুপুর ২টা বাজল। গিয়ে দেখি আইরিন শেখানে, ওকে দেখেতো আমি অবাক। যাক ঘরে গিযে বসলাম আইরিন এসে আমাকে বাতাস করতে লাগল। মনে মনে হাসলাম, খাওয়ার সময় তখন, আইরিনের বড় বোন এসে বলেলন তোমরা হাত মুখ ধুয়ে এসো আমি তোমাদের জন্যে ব্যাবস্থা করছি। উনি পাকের ঘরে গেলেন, আর আমরা দু বন্দু মিলে হাত পা ধোয়ার জেন্যে কুয়াতে গেলাম। আইরিন সাবান নিয়ে গেল কুয়ার পারে,
আইরিন: এই নিন সাবান দিয়ে হাত পা দুয়ে ঘরে আসুন আমি আপনাদের জন্যে খাওয়ার নিয়ে আসছি। এই বলে আইরিন ডিম বাজি করতে গেল।
দুজনে মিলে খেতে বসলাম, আমার পাতে ১টা ওর চাচাতো ভাইয়ের (বন্ধু)পাতে ১ টা ডিম দিল। কিন্তু আমি খেতে পারছিনা, ডিমে প্রচুর লবণ।
আমি: এই তোর ডিমে কি লবণ বেশী ?(বন্ধুকে)
বন্ধু: না তো, লবণ ঠিক আছে। কি তোকে দিলো নাকি ১ চামিছ।
আমি: না মানে , ..... দুজনের কথা শুণে উনি মুছইক মুছুমি হাসছেন। (আইরিন), না খেয়ে উঠে গেলাম। বিকাল হয়ে এল ১টু রেষ্ট নিলাম। সন্ধার আজান শুণে উঠে নামাজের জন্যে গেলাম মসজিদে। নামাজ পড়ে আসতে আসতে রাত হয়ে গেল। আসার পথে আইরিনে দুলাভাইয়ের দোকানে বসলাম। হঠাঃ আড়াল থেকে দুলাভাই সাবার জন্যে চা দিতে বলছে আপু, আইরিন বলেছে।
দুলাভাই: ঠিক আছে তুমি দাড়াও আমি দিচ্ছি।
আমি: এর মধ্যে আমি দুষ্টামি করে বল্লাম আমি বানিয়ে দেই?
আইরিন : যদি কেউ বানিয়ে দেয় তাহলেতো আরো ভাল হতো,
আমি: ঠিক আছে! কাপ ধূঁয়ে শুরু করলাম, আচ্চা আগে কি ধুদ দিবো নাকি চিনি দেবো? আমার কথা শুণে সবাই হাসল, দুলাভাই বলেলন এখনই এই অবস্থা? কথা শুনে লজ্জা পেয়ে গেলাম, এর মাঝে আইরিন এসে, দুলাভাই কি বলল শুনছেন? না শুনার বান করে দঁড়িয়ে রইলাম। আইরিন নিজে নিজে চা বানিয়ে যাওয়ার সময়
আইরিন: আসুন চা খাবেন। ওর কথা শুনে ও কিছু বলছিনা, রওয়ানা হলাম ঘরের উদ্দেশ্যে। যাওয়ার পথে দেখি আইরিন দাঁড়িয়ে আছে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে। কি ব্যাপার আপনি এখনো দাঁড়িয়ে আছেন যে?
আইরিন : আপনার আপেক্ষা করছিলাম। ইয়ে আজ দুপুরে আমি আপনার ডিমে লাবণ বেশি দিয়েছি, আপনি আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি খুব কষ্ট পেয়েছি আপনি লবণের জন্যে ক্ষেতে বসে ক্ষেতে পারেননি আমার কারণে।
আমি: ও জুতো মেরে গুরু দান (মনে মনে)। রুমে গেলাম এককাপ এনে দিয়ে, চা খান । কিন্তু চা শেষ হাতে না হতেই আমার পেটটা মোচড় দিয়ে উঠল। ঘর থেকে বের হয়ে বদনা খুজতে লাগলাম,
আইরিন: কি খুজনে? বদনা , আচ্ছা আপনি বাথরুমে যান আমি নিয়ে আসবো। কুঁচকুঁচে অন্ধকার কিভাবে যাবো আমার হাতে লাইট নেই। তাই ওর জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলাম, কি ভয় পাচ্ছেন? ধরেন লাইট নিয়ে যান।
আমি: কিন্তু বাথরুম কোথায়? আইরিন সঙ্গে করে নিয়ে গেল। ঢুকে পড়লাম, বদনাটা ওর হাতে ,
আইরিন: আমি চলে যাবো?
আমি: না দাঁড়াও, তোমাকে আজ মাজা দেখাবো। (মনে মনে) তুমি আমাকে চায়ের সাথে কি খাইয়্যে দিয়েছ। আজকে তোমাকে বাইয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবো, ১০ মিনিট পর , কি হলো এতক্ষণ কি করেন? আর একটু আপেক্ষা কর।
পরে চিনতা করতে লাগলাম আমিতো ছেলে , ওতো মেয়ে মানুষ রাতের বেলা আরো পাহাড়ি এরিয়া ও ভয় পাবে। যা হওয়ার হয়ে গেছে। ডাক দিলাম আইরিন বদনাটা দাও, দিয়ে গেল। বের হয়ে এলাম, আচ্ছা আপনি প্রতিদিন এমন লেট করেন? কিছু না বলে সোজা ঘরে এসে শুয়ে পড়লাম। সরা রাত ঘুম হয়নি যদি ফাজিটা আমার ঘুমের ঘরে কিছু করে। রাত পার হলো সকাল হলো। বন্ধু চল আমি এখানে থাকবোনা,
বন্ধু: কেন ? কি কোনো সমস্যা? চল আজ পাহাড়ে ঘুরতে যাবো। সারাদিন পাহাড়ে ঘুরলাম আসরের পর ঘরে ফিরলাম। বড় আপা : কিরে কোথায় চলে গেলি সারাদিন, কোথায় ছিলি? আয় খেয়েনে।
আমি: ভাই আমি খাবোনা? আমার সমস্য হচ্ছে।
বন্ধু : একটু খাবি। একটু খেয়ে আবার বের হলাম রাত ১০টায় ফিরলাম, রাতটা পার করে সাকালে রওয়ানা হলাম, বাড়ির উদ্দেশ্যে। ফিরে এসে আর ভুলতে পারিনা । অনেক দিন পর রাতে কথা বলার জন্যে আসল আইরিন এরই মধ্যে দুজন মানুষ এসে হাজির। ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়েপড়লাম আমি নিচে উনি উপরে. লোকজন চলে গেল উনি আমার উপরের শুয়ে আছেন। এই যে সরকারি খাটে শুয়ে না থেকে উঠেন। লজ্জা পেয়ে বলে আজ আর কথা হবেনা । মনে মনে , যাও এত দিন তোমার কারনে আমি লজ্জা বোধ করতাম আজ তুমি লজ্জা পেয়েছ , তার পর থেকে দুজনে মিলে যাত্রা শুরু করলাম। এভাবে চলতে লাগল ১ বছর। একসময় আমি চলে গেলাম ঢাকায়, এরই মধ্যে শুনতে পেলাম আইরিনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। ও আমাকে খবর পৌছালো আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে তুমি তাড়াতাড়ি এসো, আমি আসার পর আমাকে জড়িয়ে কাঁদতে শুরু করল,
আইরিন: তুমি আমাকে কোথাও নিয়ে যাও। আমি এখানে থাকতে চাইনা।
আমি: শুন বোকার মত কথা বলবেনা, আমি মাত্র চাকরিটা পেলাম, এরই মধ্যে এরকম কাজ করা ঠিক হবেনা। এছাড়া তুমি চিন্তা কর যে মা, বাবা , তোমাকে আমাকে ছোট্ট থেকে এত বড় করেছেন তাদের ছেড়ে এভাবে যাওয় ঠিক হবেনা। মান সম্মান সব দুলিতে মিশে যাবে। তুমি চিন্তা কর। বুঝিয়ে তাকে পাঠিয়ে দিলাম বাড়িতে, তারপর আমি আবার ফিরে এলাম ঢাকায় এক সময় আমার ভিসা চলে এলৈ আমি রওয়ানা হই প্রভাসের উদ্দেশ্যে। শুরু হলো প্রভাসের জীবন। আর আইরিনের শুরু হলো নতুন জীবন। নতুন স্বামীর ঘরে।
আবদুর রহমান
বিদেশ
©somewhere in net ltd.