নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এম. এ. কালাম

সুন্দর ও মননশীল জীবনের প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

এম. এ. কালাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সময় তুমি বড় নিষ্ঠুর!

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:৫১



একেই কি বলে হরিহর আত্মা? গলায় গলায় মিল? আর বন্ধুরা বলত দুই দেহ এক আত্মা। সত্যি কি তাই? রমেশ আর রাজুর কথা বলছি। যারা ছিল এক অন্যের জন্য নিবেদিত প্রাণ। কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারত না। ভালবাসা ছিল যে তাদের মধ্যে। স্কুলে যাওয়া, স্যারের কাছে পড়তে যাওয়া, কোন্ কাজটাই বা তারা আলাদা করেছে বলত? একজন অসুস্থ বা অন্য কোন সমস্যা হলে আরেক জনেরও আর স্কুলে বা স্যারের কাছে পড়তে যাওয়াই হত না। তবে আর বলছি কি! কিন্তু একথা কি জানো তারা একই বাড়িতে থাকত না? নদীর এপার আর ওপার যে তাদের বাড়ি ছিল।

হাফ-প্যান্ট পড়ার সময়ের বন্ধু ওরা। তুমি তো জানো না। সকালে আগে যে ঘুম থেকে উঠত সে অপর জনকে ফোন করে জাগাত। পড়াশুনা, আড্ডা, ঘুরাঘুরি করা সব মিলিয়ে ভাল আনন্দেই ছিল ছেলে দুটা। তাদের মধ্যে একজন ছিল আবার একটু ইচড়ে পাকা, মানে একটু বুদ্ধিমান, আর অপরজনত তাকে ছাড়া চলতেই পারত না। জানো না তো তুমি ওরা এমন হরিহর আত্মা ছিল যে তাদেরকে দেখে সবাই হিংসা করত আবার কেউ কেউ ঠাট্টা মশকরাও করত। তারা এমন ভাবে মিলে মিশে ছিল যে তাদের পণ ছিল যদি তারা একই ঘরের দু-জন বোন পায় তবে তারা তাদের সাথে প্রেম করবে বা ভায়রা ভাই হবে থাকবে সারা জীবন। কিন্তু, সেটা আর তাদের কপালে জুটেনি।

দিনগুলো কেমন যেন হাওয়ার ঝড়ের মত খুবই দ্রুত বেগে চলতে চায়। তাদের SSC শেষ করে তারা আলাদা কলেজে ভর্তি হয় এবং তাদের মধ্যে একজন থাকে বাড়িতে আরেক জন থাকে ঢাকায়। তাতে কি হয়েছে? তাদের মধ্যে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ছিল। কলেজ থেকে পাস করার পর ভাবছে দুজনে আবার একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে, কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হল না। তারা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হল। আর কিছুদিন যেতে যেতে তাদের নতুন বন্ধু নতুন আড্ডা আর নতুন পরিবেশ গ্রাস করে ফেলল। দিনে দিনে তাদের সেই আগের যোগাযোগটাও কমে গেল।

তাদের মথ্যে একজন অনার্স শেষ করে কর্ম জীবনে ঢুকে গেল, সাথে সাথে মাস্টার্স, কি প্যারারে বাবা! তখন থেকে তাদের মধ্যকার সম্পর্ক আর নেই বললেই চলে। একজন চেষ্টা করেও আরেকজনের সাথে দেখা করতে পারে না। সে থেকে তাদের বন্ধুত্বে আর কোন নতুন মজা বা আড্ডা, আনন্দ বা সেইরুপ ঘুরাঘুরি আর দেখ দিল না।

তুমি কি জান? যে ছেলেটা এখনো কর্ম জীবনে ঢুকেনি তাদের এ বিচ্ছেদে সে খুবই ব্যথিত কিন্তু সে জানেই না তার বন্ধুটির মনের কি অবস্থা। হয়ত বা তারই মত বা আরো কষ্টকর।

তুমি কি ভাবতে ? হায়রে! কোথায় সে হরিহর আত্মা কোথায় গেল সে দু-দেহ এক আত্মা! সময় তুমি সত্যিই বড় নিষ্ঠুর, এমন দু-টা বন্ধুকেও আলাদা করে দিতে পারলে! তুমি আর কি কি করতে পার এটা আমার জানতে বড় সাধ জাগে।

দশ বছর পরের কথা না হয় আবার দশ বছর পরেই শোনবে, কি বল?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:১৫

রিপি বলেছেন: হুম সময়ের স্রোতে কতকিছুই না বদলে যায়।

০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১২:৩০

এম. এ. কালাম বলেছেন: যা বলছেন রিপি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.