নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে বলার তেমন কিছুই নেই। সাধারণ একটা ছেলে। অতি সাধারণ একটা মানুষ হয়েই থাকতে চাই..

মো: আব্দুল মোমেন

ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।

মো: আব্দুল মোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যান্ড টু মাউথ....

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪২

হ্যান্ড টু মাউথ....
এম এ মোমেন খান

ইংরেজিতে আমরা উপরের ডাইলগটা মোটামুটি অনেকেই অনেক জায়গায় বলে থাকি,এর বাংলা "দিন আনে দিনে খায়"।সেটা হয়তো সবারই জানা।
আমাদের মত গরীব পরিবারের অনেকেই আছেন যারা দিন আনে দিন খাই।
এই খাওয়ার মধ্যে ব্যাপক একটা মজা আছে। দিন আনে দিনে খাওয়া মানুষ গুলোর জন্য আল্লাহ তা'আলা বেশ কিছু নিয়ামত দান করেছেন।
প্রশ্ন করতে পারেন, কেমন করে?
আসেন একটু বিশ্লেষ করে দেই...

দিন আনে দিনে খাওয়া মানুষ গুলো কখনই একটা খাবার প্রতিনিয়ত খায়না,কারণ একেকদিনের আয় একেক রকম, কোনো দিন মাছ আবার কোনো দিন সবজি,মাসে এক দুবার মাংস,কোনো দিন ভর্তা নতুবা কাঁচা মরিচ!!
একেকদিনের খাওয়ার আইটেম একেক রকম, এতে করে গরীব মানুষরা যেমন পুষ্টি পায় তেমন সুস্থও থাকে।
আবার প্রশ্ন করতে পারেন,, গরীব মানুষেরাই ত বেশির ভাগ অপুষ্টিতে ভোগে?
সমাধান এই দিকে...
দিন আনে দিন খাওয়া মানুষরা অপুষ্টিতে ভুগলেও এদের বাচ্চা সিজার করে হয়না!
এদের সারা বছরেও একশত টাকার ওষুধ কিনে খাইতে হয়না!
এদের বাচ্চারা ডিম দুধ না পেলেও অলৌিকক ভাবে পেট মোটা হয়ে যায়!!
যেই পেট বড় হওয়ার সাথে সাথে ছোট আকার ধারণ করে!!
এরা ডাক্তারের নামই জানেনা, কারণ এদের অসুখ বলতে কিছু থাকেনা।
দিন আনে দিন খায় এরকম ঘরের সন্তানরাই ভালো ভালো জায়গায় যেতে পারে।
প্রশ্ন করতে পারেন,, একটা দেখাই দেন?
ভাই যার লেখাটা আপনি পড়তেছেন সেই ছেলেটাও ওই ঘরেরই সন্তান।
এই লেখাটা কিন্তু আপনার মাথা থেকে বের হয় নাই!
দিন আনে দিন খায় পরিবারের ছেলে মেয়েদের প্রাইভেট পড়তে হয়না।
প্রশ্ন করতেই পারেন, কিভাবে?
এদিকে আসেন.....
বাবা সারাদিন মাঠে কাজ করার পর রাতে মানুষের কাছে টাকা নিয়ে খরচ করে বাড়ি আসে,,মা ততোখনে পড়ার তাগিদ দেয়।
রান্না করার সময় রান্না ঘরে চুলোর পাড়ে বসিয়ে পড়ায়।
নিজে না পাড়লেও সন্তানের পড়ার ধরণ দেখেই বুঝতে পারে সেকি করতেছে।
এতে অবশ্য এসব পরিবারের ছেলে মেয়েরা উভয়ে অনেক ভালো রান্না করতে পারে।
মায়ের রান্না করা দেখতে দেখতে সব কিছুই শিখে ফেলে।
দিন আনে দিন খায় মানুষরা অন্যের কাছে হাত পাতে কম,,এদের লজ্জা বেশি, কথার ওজন বেশি।
এদের খুব একটা পাওয়ানাদার থাকেনা।
অবশেষে,দিন আনে দিন খায় মানুষের মত পৃথিবীতে আর কেউ সুখীই হয়না।
এই পরিবার গুলোর মধ্যে স্বামী-স্ত্রী সন্তানদের মাঝে অনাবিল সুখ লেগে থাকে।
কি বলেন আপনারা????

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.