![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
শিশুরা খেলা করছে রাস্তার ধারে,ধার ঘেঁষে বহমান আত্রাই নদীর স্রোতধারায় চলছে ছোট ছোট নৌকা! মাঝিরা কেমন গাঁ ঢিল দিয়ে নৌকা টানছে! একদল শ্রেণিবদ্ধলোক ছিপ দিয়ে মাছ ধরছে!
ফাগুনের বাতাসে ধূলো উড়ে পড়ছে চোখে মুখে!
রাস্তা ঘেঁষে বেড়ে উঠেছে ভাটির গাছ গুলো! আমি আসলে ভাটির গাছের অন্য কোনো নাম জানিনা,এটা আমার অজ্ঞতা হতে পারে তবে ছোট বেলা থেকেই ভাটির গাছের সাথে আমি বেশ পরিচিত।
ভাটির গাছ গুলো রাস্তা ঘেঁষে বেড়ে উঠলেও গুরুত্ব থাকেনা কারো কাছে কিন্তু ফাগুনে এই গাছ গুলো থেকে ফুটতে শুরু করে সুন্দর একঝাপ ফুলের বাগান।
গন্ধযুক্ত বৈশিষ্ট্যময় ভাটির গাছ গুলোকে আরো একটি কাজে লাগানো হত!
ছোট বেলায় দেখতাম, মায়ের দুধ খাওয়া বাচ্চা গুলো যখন একটু বড় হয় তখন মা আর দুধ দিতে চায়না। তখন ভাটির পাতার রস মায়ের দুধে মিশিয়ে দিতো,সন্তান যখন দুধে চুমু দিতো তখন তেতো লাগত! এভাবে সন্তানদের মায়ের দুধ খাওয়া থেকে বিরত রাখতো!
গুরুত্বহীন অনেক কিছুই মাঝে মধ্যে গুরুত্ববহন করে! মানসিক ভারসাম্যহীন একটা মহিলা মা হলো! সমাজের কাছে কি সেই মহিলার কোনো গুরুত্ব ছিল? সবাই তো তাকে পাগলী বলে ডাকতো! পাগলীকে না লাগতো কোনো কাজে,না লাগতো এই সমাজে,কিন্তু যৌবনের চাহিদা মেটাতে এক শ্রেণির কাছে পাগলীরও গুরুত্ব ছিল অনেক! অন্ততপক্ষে যৌবনের তীব্র সময়টাতে পাগলীকেও মনে হতো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখ!!
ভাটির ফুল গুলো ফুটছে,গুরুত্বহীন ফুল গুলো নিয়ে শিশুরা খেলা করছে,হয়ত এই গাছের পাতা দিয়েই শিশু গুলোর দুধ ছাড়াতো মা! পথের ধারে পড়ে থাকা ফুল দেখে আমিও তাকিয়ে আছি,অপরুপ দৃষ্টিনন্দন চোখে কত আবেগ তৈরি হচ্ছে।
প্রেম জাগছে মনে, ফুলের প্রতি প্রেম,পথের ধারেও ফুটতে পারে অনিন্দ্য বাহারী এক দৃশ্যের সমাহার!
ফুটপাত দিয়ে চলার সময় কত শিশুকেই চোখে পড়ে,কত বস্তিতেই নূয়ে থাকে ভাটির গাছ গুলোর মত মানুষও!
রং বেরং এর দৃষ্টিনন্দন গোলাপ,জবা,বেলী,গন্ধরাজের মত ফুলের টপে বারান্দায় জায়গা হয়না ভাটির গাছ অথবা ফুল গুলোর!! জায়গা হয়না এই সমাজে যেমন পাগলীটার অথচ যৌবনের হিংস্রতা মেটাতে ব্যবহার করে প্রেগন্যান্ট করা হয়, তেমনি জায়গা হয়না পথের ঐ শিশুটির,বস্তির ঐ মানুষ গুলোর.........
ভাটির ফুল গুলোও রোদে,দুঃখে,কষ্টে,যন্ত্রনায়,রাস্তার ধূলোয়,যান্ত্রিকতার যাতাকলে পিষ্ঠ হয়ে নূয়ে পড়বে!!
২| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
মায়ের ভালবাসা বলেছেন: বাস্তবতা সমৃদ্ধ কথা লিখেছেন । এভাবেই আদিকাল থেকে চলে আসছে । শাসক শাসন করেই যাবে আর শোষিতরা ওদের স্বীকার হয়েই যাবে । ওরা ভুলে যায় শোষিত মানুষগুলো না থাকলে ওরা শাসক হতে পারত না ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা পড়ে কিছু বুঝলাম না।
সারমর্ম টা বলবেন প্লীজ।