নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিবনটা আসলেই অনেক সুন্দর!এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।যাহা ভাবি তাহা কেন জানি হয়েও হয় না। স্বপ্ন পূরনে ব্যর্থ হয়ে ঘুরে ফিরি। কবে হবে এর শেষ মরন এলেই বুঝি।

parvaj

ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।

parvaj › বিস্তারিত পোস্টঃ

*লোকটি কেমন ছিল বলা বা মৃত ব্যক্তির প্রশংসা করা প্রসঙ্গে==>

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০


মৃত দেহ সামনে রেখে উপস্থিত মুসল্লীগণকে প্রশ্ন করা হয়, লোকটি কেমন ছিল? সকলেই বলেন ভাল ছিল ... ইত্যাদি।
-------------------
প্রিয় নবী করীম () এ ব্যাপারে হাদিস শরীফে মৃত ব্যক্তির কল্যাণে সুন্দর নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন,
عَنْ عَطَاءٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রاذْكُرُوا مَحَاسِنَ مَوْتَاكُمْ، وَكُفُّوا عَنْ مَسَاوِيهِمْগ্ধ
-‘‘হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর () হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে খোদা () ইরশাদ করেন, তোমরা মৃত ব্যক্তির ভাল কাজের আলোচনা কর এবং মন্দ কার্যাদি বা বিষয়াদি আলোচনা করা থেকে বিরত থাক।’’
*রেফারেন্স:===>>
ক.আবূ দাউদ, আস্-সুনান, ৪/২৭৫পৃ. হাদিস,৪৯০০, তিরমিযী, আস্-সুনান, ২/৩৩০পৃ. হাদিস,১০১৯,বায়হাকী, সুনানিল কোবরা,৪/৭৫পৃ. হাকিম নিশাপুরী, মুস্তাদরাক, ১/৫৪২পৃ. হাদিস,১৪২১, সুয়ূতি, জামেউস সগীর, ১/৭১পৃ. হাদিস,৯০৫, আবি বকর খাল্লাল,আস্-সুন্নাহ, ৩/৫১৩পৃ. হাদিস,৮২৯, সহিহ ইবনে হিব্বান, ৭/২৯০পৃ. হাদিস,৩০২০, তাবরানী, মু‘জামুস সগীর, ১/২৮০পৃ. হাদিস,৪৬১,ও মু‘জামুল কাবীর, ১২/৪৩৮পৃ. হাদিস,১৩৫৯৯, ইবনে মুকরী,আল-মু‘জাম, ১/১৪৯পৃ. হাদিস,৪১৮, বায়হাকী, আল-আদাব,১/১১৭পৃ. হাদিস,২৮২, এ সনদটি হযরত আয়েশা হতে,সুনানিল কোবরা, ৪/১২৬পৃ. হাদিস,৭১৮৯, শুয়াবুল ঈমান, ৯/৫৬পৃ. হাদিস, ৬২৫২, বগভী,শরহে সুন্নাহ, ৫/৩৮৭পৃ. হাদিস, ১৫০৯, তিনি বলেন সনদটি সহিহ, হাইসামী, মাওয়ারিদুয্-যামান, ১/৪৮৭পৃ. হাদিস, ১৯৮৬, ইবনে আছির, জামিউল আছির, ১০/৭৬৫পৃ. হাদিস, ৮৪৫০, নাওয়াবী, খুলাসাতুল আহকাম, ২/৯৪৪পৃ. হাদিস, ৩৩৫৩, মিয্যী, তুহফাতুল আশরাফ, ৬/১১পৃ. হাদিস, ৭৩২৮, সুয়ূতি,আদ্দুরুল মুনতাসিরাহ, ১/৬৮পৃ. হাদিস,৭১, শায়খ ইউসুফ নাবহানী, ফতহুল কাবীর,১/১৫৩পৃ. হাদিস,১৫৮৩
، -
-‘‘ইমাম হাকিম () বলেন,هَذَا حَدِيثٌ صَحِيحُ الْإِسْنَادِ، وَلَمْ يُخَرِّجَاهُ উক্ত হাদিসটির সনদ বিশুদ্ধ। যদিও ইমাম বুখারী (রহ.) ও মুসলিম () উহা বর্ণনা করেননি।’’ অপরদিকে ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতি () তার গ্রন্থে বলেন, উক্ত হাদিসটি সহিহ। আলবানী সুনানে তিরমিযীর টিকায় দ্বঈফ বলার কোন ভিত্তি আমাদের কাছে নেই।
তাই উক্ত হাদিস শরীফ দ্বারা প্রমাণ পাওয়া গেল যে, মৃত ব্যক্তির মন্দ কার্যাদি আলোচনা করা বা প্রকাশ করা নিষেধ।
*রেফারেন্স:===>>
ক.হাকিম নিশাপুরী,মুস্তাদরাক,১/৫৪২পৃ.হাদিস,১৪২১
খ.সাখাভী,মাকাসিদুল হাসানা,৬৭পৃ.হাদিস,৮৪
গ. আল্লামা জালালুদ্দীন আমজাদী: আনওয়ারুল হাদিস, ২৩৪ পৃ.

*এখন বাকী রইলো মৃত ব্যক্তির প্রশংসা। এ প্রসঙ্গে রাসূলে খোদা () ইরশাদ ফরমান,
أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: مَرُّوا بِجَنَازَةٍ، فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا خَيْرًا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রوَجَبَتْগ্ধ ثُمَّ مَرُّوا بِأُخْرَى فَأَثْنَوْا عَلَيْهَا شَرًّا، فَقَالَ: ্রوَجَبَتْগ্ধ فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: مَا وَجَبَتْ؟ قَالَ: ্রهَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ خَيْرًا، فَوَجَبَتْ لَهُ الجَنَّةُ، وَهَذَا أَثْنَيْتُمْ عَلَيْهِ شَرًّا، فَوَجَبَتْ لَهُ النَّارُ، أَنْتُمْ شُهَدَاءُ اللَّهِ فِي الأَرْضِগ্ধ
-‘‘হযরত আনাস () হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিছু সাহাবায়ে কেরাম ও রাসূল () একটি জানাযার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিছু সংখ্যক লোক তারা মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির ভাল গুণাবলী আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী () বললেন, (তোমাদের ভাল প্রশংসার দ্বারা) ওয়াজিব হয়ে গেল। অপর আরেকটি জানাযার পাশ দিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে লোকেরা মৃত ব্যক্তিদের মন্দ বিষয়াদি আলোচনা করছিলেন, তখন প্রিয় নবী () বলেন, (তোমাদের মন্দ আলোচনার দ্বারা) ওয়াজিব হয়ে গেল। হযরত উমর () বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ()! কি চূড়ান্ত বা ওয়াজিব হয়ে গেল? প্রিয় নবী () ইরশাদ করলেন, যে মৃত ব্যক্তিটির তোমরা ভাল গুণাবলী আলোচনা করেছ, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। আর যে মৃত ব্যক্তির মন্দ আলোচনা করেছ তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব হয়ে গেল। কেননা তোমরা জমিনে আল্লাহর সাক্ষী স্বরূপ।’’
*রেফারেন্স:===>>
ক. ইমাম বুখারী : আস্ সহীহ : কিতাবুয জানাইয : ১/৪৬০ পৃ. হাদিস নং ১৩৬৭, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত।
খ. ইমাম মুসলিম : আস্ সহীহ : ২/৬৫৫ পৃ. : কিতাবুয্ জানাইয : হাদিস : ৯৪৯, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত।
গ. খতিব তিবরিযী : মিশকাতুল মাসাবীহ : ১/৩১৭ পৃ., হাদিস : ১৬৬২
ঘ. ইমাম তিরমিযী,আস্-সুনান,২/৪৫পৃ.হাদিস,১০৬০

এ প্রসঙ্গে আরো সহিহ হাদিস বর্ণিত হয়েছে, যেমন বর্ণনায় এসেছে
عَنْ أَبِي الأَسْوَدِ، قَالَ: قَدِمْتُ المَدِينَةَ وَقَدْ وَقَعَ بِهَا مَرَضٌ، فَجَلَسْتُ إِلَى عُمَرَ بْنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، فَمَرَّتْ بِهِمْ جَنَازَةٌ، فَأُثْنِيَ عَلَى صَاحِبِهَا خَيْرًا، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَجَبَتْ، ثُمَّ مُرَّ بِأُخْرَى فَأُثْنِيَ عَلَى صَاحِبِهَا خَيْرًا، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَجَبَتْ، ثُمَّ مُرَّ بِالثَّالِثَةِ فَأُثْنِيَ عَلَى صَاحِبِهَا شَرًّا، فَقَالَ: وَجَبَتْ، فَقَالَ أَبُو الأَسْوَدِ: فَقُلْتُ: وَمَا وَجَبَتْ يَا أَمِيرَ المُؤْمِنِينَ؟ قَالَ: قُلْتُ كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রأَيُّمَا مُسْلِمٍ، شَهِدَ لَهُ أَرْبَعَةٌ بِخَيْرٍ، أَدْخَلَهُ اللَّهُ الجَنَّةَগ্ধ فَقُلْنَا: وَثَلاَثَةٌ، قَالَ: ্রوَثَلاَثَةٌগ্ধ فَقُلْنَا: وَاثْنَانِ، قَالَ: ্রوَاثْنَانِগ্ধ ثُمَّ لَمْ نَسْأَلْهُ عَنِ الوَاحِدِ -
-‘‘হযরত আবুল আসওয়াদ () হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি মদিনায় এসে দেখলাম, সেখানে একটি রোগ বিস্তার লাভ করেছে। আমি ওমর ইবনে খাত্তাব () এর নিকট বসলাম। তাঁর নিকট দিয়ে একটি জানাযা চলে গেল ও (সেই) মৃত লোকটির প্রশংসা করা হল। তিনি {ওমর ()} বললেন, ওয়াজিব হয়ে গেল। তারপর অপর একটি জানাযা চলে গেলে (সেই) মৃত লোকটির মানুষ বদনাম করল। এবারও তিনি বললেন, ওয়াজিব হয়ে গেল। আবুল আসওয়াদ বলেন, আমি তখন বললাম, হে আমিরুল মু’মিনিন! কি ওয়াজিব হল? হযরত ওমর () বললেন, হুজুর () যা বলেছিলেন আমিও তাই বললাম। রাসূল () ইরশাদ ফরমান যে, চার জন ঈমানদার ব্যক্তি যদি একজন মুসলমানকে ভাল ঈমানদার বলে সাক্ষ্য দেয়, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আমি (বর্ণনাকারী) জিজ্ঞাসা করলাম, যদি তিনজন হয়? রাসূল () বললেন, তাহলেও। তারপর জিজ্ঞাসা করলাম, যদি দুই জন সাক্ষ্য দেয়? রাসূল () বললেন, তাহলেও। বর্ণনাকারী {উমর ()} বলেন, তারপর একজনের ব্যাপারে আমি আর প্রশ্ন করিনি।’’
*রেফারেন্স:===>>
ক. আল্লামা ইমাম বুখারী : আস সহীহ :১/৩৮০পৃ. কিতাবুয জানাইয : হাদিস : ১০৬১
ঘ.নাসায়ী,আস্-সুনান,৪/৫০পৃ.হাদিস,১৯৩৪

মৃত ব্যক্তির খারাপ দিকগুলো সমালোচনা করার ব্যাপারে রাসূল () ইরশাদ ফরমান -
عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ্রلَا تَسُبُّوا الْأَمْوَاتَ، فَإِنَّهُمْ قَدْ أَفْضَوْا إِلَى مَا قَدَّمُواগ্ধ-
-‘‘হযরত আয়েশা () হতে বর্ণিত, আল্লাহর হাবীব () ইরশাদ করেছেন, তোমরা মৃতদেরকে গালি দিওনা, বদনাম করোনা। কারণ তারা তাদের নিজের কার্যাদির নিকট পৌছে গেছে।’’
এসব আমল সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যা, আল্লাহর রাসূল () মৃত ব্যক্তি সম্পর্কিত ভাল বলতে আদেশ করেছেন এবং মন্দ বলতে নিষেধ করেছেন। নিশ্চয়ই মানুষ মৃত ব্যক্তির মঙ্গল কামনায় দুআ করার জন্যই তাকে ঈমানদার মনে করে তার জানাযায় শরীক হয়ে থাকে। তাই তাকে ভাল বলতে আপত্তি কিসের? সুন্নি ওলামায়ে কেরাম ও পীর মাশায়েখগণ সমাজের মুসলমানদেরকে আল্লাহর রাসূলের নির্দেশনানুসারে চলার জন্য এ ভাল আমলগুলোর শিক্ষা দেন। পক্ষান্তরে যারা এগুলোর বিপরীত ধারণা পোষণ করেন, তারা ঈমানদার কিনা তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। কারণ ইহককালে ও পরকালে আমাদের জন্য আল্লাহর রাসূল ছাড়া কোন উপায় নেই।
*রেফারেন্স:===>>
ক. ইমাম বুখারী : আস সহীহ : ১/৩৫০ কিতাবুয জানাইয : হাদিস : ১৩৯৩
খ. ইমাম নাসাঈ : আস সুনান : ৪/৫৩ পৃ. হাদিস নং : ১৯৩৬
গ. ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল : আল্ মুসনাদ : ৬/১৮০ পৃ.

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মীর জাফর, গোলাম আজম, কাদের মোল্লা, সাকা চৌ, মুজাহিদদের সুনাম করতে হবে? ভালো, ভালো

২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১১

মাসুদ মাহামুদ বলেছেন: ভালো, ভালো

৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: শেয়ার করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

৪| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩০

অর্থহীন পথচলা বলেছেন: # চাঁদগাজী ভাই ফালতু কমেন্ট না করলেই নয় তাই না ??

৫| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। শুধু মৃতদেরই না , জীবিতদেরও নিন্দা গীবত পরিত্যাগ করলে সমাজটা আরও অনেক সুন্দর হবে।

৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৯

প্রবাসী দেশী বলেছেন: সুন্দর মন সুন্দর পৃথিবীর জন্ম দেয।
অসুন্দর মস্তিস্ক কু মন্তব্য প্রসব করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.