নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মাদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম

MD ZAHID HOSSAIN

বেশুমার লানত

MD ZAHID HOSSAIN › বিস্তারিত পোস্টঃ

নবীর উত্তরসূরী

০৮ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ১২:১২

রাসূল (সাঃ) বলেছেন আমার উত্তরসূরী ও স্থলাভিষিক্তের সংখ্যা বারো জন হবে,

সকলে কুরাইশ বংশ থেকে হবেন

একটু চিন্তা করুন, দ্বীনের পথে পরিচালনার জন্যই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন, নবী-রাসূলগণকে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন। এবং মহানবী (সাঃ)-এর পর উম্মতে মোহাম্মদীকে “সিরাতে মুস্তাকিমের” পথে পরিচালিত বা দিকনির্দেশনার জন্যই ইমামত প্রতিষ্ঠিত করেছেন, যাতে তাঁরা দ্বীনকে পরিবর্তন ও বেদআত হতে রক্ষা করেন এবং যাতে করে প্রত্যেক ইমাম তাঁর আমলে ঐশী বিধানকে ব্যক্তিগত কামনা বাসনা ও স্বার্থের আক্রমণ হতে রক্ষা করতে পারেন এবং যে তার সময়কার ইমাম সম্পর্কে অনবহিত থাকবে, তাকে ক্ষমা করা হবে না। ইমামত বিষয়টা এত অধিক দলিল পত্র দ্বারা প্রমাণিত যে, কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তির ইমামতকে অস্বীকার করার কোন পথ নেই।

“আপনি তো কেবল সতর্ককারী মাত্র। আর প্রত্যেক কওমের জন্য আছে পথ প্রদর্শক”। (সূরা-রাদ, আয়াত-৭) “আমি এ কিতাবের অধিকারী (ওয়ারিশ) করেছি তাদেরকে যাদেরকে আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে পছন্দ করেছি”। (সূরা ফাতির, আয়াত-৩২)

“স্মরণ কর, সেদিনের (কিয়ামতের) কথা যখন আমি সকল মানুষকে তাদের ইমামসহ (নেতাসহ) আহবান করব; তারপর যাদেরকে ডান হাতে তাদের আমলনামা দেয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের উপর বিন্দু পরিমাণও জুলুম করা হবে না।” (সূরা-বনী ইসরাঈল, আয়াত-৭১)
“সেদিন (কিয়ামতে) যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবে: নাও তোমরাও আমার আমলনামা পড়ে দেখ; আমিতো জানতাম যে, আমাকে আমার হিসাবের সম্মুখীন হতে হবে। সুতরাং সে সন্তোষজনক জীবনযাপন করবে, সুমহান জান্নাতে।” (সূরা-হাক্কা, আয়াত-১৮-২২)
অথাৎ: “যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর মনোনীত ইমামের আনুগত্য করবে তাদের আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে।”

“….কিন্তু যাকে তার আমলনামা তার বাম হাতে দেয়া হবে, সে বলবে: হায়, কি ভাল হত, যদি আমার আমলনামা আমাকে দেয়াই না হত! আর আমি যদি না জানতাম, আমার হিসাব-নিকাশ কি? হায়! মৃত্যুই যদি আমাকে শেষ করে দিত! আমার ধন-সম্পদ আমার কোন কাজেই আসল না। আমার প্রতিপত্তিও আমার থেকে বরবাদ হয়ে গেল। ফেরেশতাদেরকে বলা হবে: একে ধর, এর গলায় বেড়ী পরিয়ে দাও, তারপর তাকে দোযখে প্রবেশ করাও…।” (সূরা-হাক্কা, আয়াত-২৫-৩১)

“আমি প্রত্যেক বস্তু গণনা করে রেখেছি এবং ষ্পষ্টভাবে তা বর্ণনা করেছি ইমামে মোবিনে”। (সূরা-ইয়াসিন, আয়াত-১২)

একটি প্রসিদ্ধ হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি নিজের যুগের ইমামের মারফত ছাড়াই মৃত্যুবরন করল, সে জাহেলিয়াতের মৃত্যুবরণ করলো।”

সূত্রঃ-সহীহ্ মুসলিম, খঃ-৩, হাঃ-১৮৫১, (লেবানন); মুসনাদে হাম্বাল, খঃ-৪,পৃঃ-৯৬; কানজুল উম্মাল, খঃ-১, পৃঃ-১০৩; ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-১৮৯, (উর্দ্দু); মাজমা আজ জাওয়াইদ. খঃ-৫, পৃঃ-২১৮; তাফসীরে ইবনে কাসির, খঃ-১, পৃঃ-৫১৭, (মিশর); আস সুনান আল কুবরা, খঃ-৮, পৃঃ-১৫৬; আল মুসনাদ, খঃ-৪, পৃঃ-৯৬, (মিশর); সহীহ্ মুসলিম, খঃ-৬, পৃঃ-২২, (মিশর); জাওয়াহির আল মুদিয়া, খঃ-২, পৃঃ-৪৫৭; শারাহ আল মাকাসিদ, খঃ-২, পৃঃ-২৭৫; হিলিয়াতুল আউলিয়া, খঃ-৩, পৃঃ-২২৪; সহীহ্ মুসলিম, পৃঃ-৭৫২, হাঃ-৪৬৪১, (সকল খন্ড একত্রে, তাজ কোং); সহীহ্ মুসলীম, খঃ-৬, পৃঃ-৩৯৭, হাঃ-৪৬৪২, (ই:, সেণ্টার); কওকাবে দুরির ফি ফাযায়েলে আলী, পৃঃ-৮১৫; (সৈয়দ মোঃ সালে কাশাফী, সুন্নি হানাফী, আরেফ বিল্লাহ)।

যেহেতু দ্বীন ইসলাম কিয়ামত অবধি স্থায়ী থাকবে এবং রাসূল (সাঃ)-এর পর আর কোন নবীর আগমন হবে না। এই জন্য রাসূল (সাঃ) নিজ দায়িত্ব হতে অব্যাহতি পেতে আল্লাহ্র নির্দেশে, “বারোজন” স্থলাভিসিক্ত (খলিফা বা ইমামদেরকে) মনোনিত করে, তাঁদের নাম উল্লেখ করে যান। মহানবী (সাঃ) এরশাদ করেন, “আমার পর দ্বীন ইসলামকে রক্ষা করতে কুরাইশ হতে বারোজন খলিফা বা ইমাম হবে।”

যেমনঃ-(সহীহ্ বুখারীতে) “জাবির বিন সামরাহ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন আমি রাসূল (সাঃ)-এর কাছ থেকে শুনেছি যে, তিঁনি বলেছেন “বারোজন” আমির (নেতা) (আমার পরে) আগমন করবে। অতঃপর একটি শব্দ উচ্চারণ করলেন আমি শুনতে পাইনি। আমার পিতা বলেন তিঁনি মহানবী সাঃ) বলেছেন তাঁরা সকলে “কুরাইশ বংশ” থেকে হবেন।

সূত্রঃ-সহীহ্ আল বুখারী, খঃ-১০, হাঃ-৬৭২৯, (ই,ফাঃ); সহিহুল বুখারী, খঃ-৬, হাঃ-৭২২২, (আহ্লে হাদীস লাইব্রেরী থেকে প্রকাশিত,); সহীহ্ আল বুখারী, খঃ-৬, হাঃ-৬৭১৬, (আধুনিক); সহীহ্ মুসলীম, খঃ-৫, হাঃ-৪৫৫৪-৪৫৫৯, (ই,ফাঃ); সহীহ্ আবু দাউদ, খঃ-৫, হাঃ-৪২৩০-৪২৩১, (ইফাঃ); সহীহ্ মুসলীম, খঃ-৬, হাঃ-৪৫৫৭-৪৫৬৩, (ই,সেণ্টার); সহীহ্-আল বুখারী, খঃ-৫, হাঃ-৬৭৯৬, (বইরুত); মুসনাদে আহম্মাদ, খঃ-১, পৃঃ-৩৯৮; খঃ-৫, পৃঃ-৮৬, ১০৫, (আরবি); মুস্তাদরাক হাকেম, খঃ-৩, পৃঃ-৬১৭, (ভারত); তারিখে বাগদাদ, খঃ-১৪, পৃঃ-৩৫৩, হাঃ-৭৬৭৩, (আরবী); মুনতাখাব কানজুল উম্মাল, খঃ-৫, পৃঃ-৩১২, (হায়দারাবাদ); তারিখ আল খোলফা, পৃঃ-১০, (আরবি); আস সাওয়ায়েক আল মুহরেকা, ১৮৯, (আরবি); ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-৬৯৭; কানজুল উম্মাল, খঃ-১২, পৃঃ-১৬৫, হাঃ-৩৪৫০১; মুয়াদ্দাতুল কুরবা, পৃঃ-৯৭; আরজাহুল মাতালেব, পৃঃ-৫৮৮।

আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মাদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম

নিবেদক মোঃ জাহিদ হোসেন

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.