নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মাদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম

MD ZAHID HOSSAIN

বেশুমার লানত

MD ZAHID HOSSAIN › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ৯

৩০ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

-----------------------------------ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম -------------------------
-----_______-------- (((((পর্ব ৯)))))-----------_______----------------
আব্দুল্লাহ বিন হাসান (আ.)-এর শাহাদত

আব্দুল্লাহ বিন হাসান বিন আলী (আ.) ছিলেন নাবালেগ (অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর)। নারীদের তাবু থেকে বের হয়ে ইমাম হোসাইন (আ.) এর সামনে দাড়ালেন। যয়নব (আ.) দৌড়ে এসে তাকে তাবুতে ফিরিয়ে নিতে চাইলেন। কিন্তু এ কিশোর রাজী না হয়ে বলল-খোদার শপথ! আমার চাচার কাছ থেকে দূরে যাব না। এ সময় আবহুর বিন কাব অন্য বর্ণনামতে, হারমালা বিন কাহেল (লানাতুল্লাহে আলাইহিমা) ইমাম হোসাইন (আ.) এর গায়ে তরবারী চালানোর জন্য উদ্যত হয়। কিশোর আব্দুল্লাহ চিৎকার দিয়ে বলে) হে জারজ আবহুর! তোর ধ্বংস হোক। আমার চাচাকে হত্যা করতে চাও? এ চিৎকার শোনার পরও এ নাপাক ইমামের গায়ে তরবারীর আঘাত হানতে গেলেই কিশোর নিজের হাত দিয়ে তা ফিরাতে চেষ্টা করে। তরবারীর আঘাত তার হাতে লাগলে সে চিৎকার দিয়ে ওঠে। হে চাচা! ইমাম হোসাইন (আ.) তাকে বুকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন- ভাতিজা এ মুছিবতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর, আল্লাহর দরবারে কল্যাণ কামনা কর। কেননা মহান আল্লাহ তোমাকে নেককার বান্দাদের কাতারে শামিল করবেন। হটাৎ হারমালা বিন কাহেল দূর থেকে আব্দুল্লাহকে লক্ষ্য করে তীর ছুড়ে। ফলে ইমাম হোসাইনের (আ.) কোলেই আব্দুল্লাহ শহীদ হন। তারপরই শিমার বিন জিলজওশন তাবুতে হামলা চালায়, নিজের বর্শার আঘাতে তাবু দ্বিখণ্ডিত করে চিৎকার দিয়ে বলে আগুন নিয়ে এসো, তাবুতে যারা আছে তাদেরসহ আগুন লাগিয়ে দাও। হোসাইন (আ.) বললেন, হে শিমার! তুমি আমার আহলে বাইতকে পুড়িয়ে মারার জন্য আগুন চাচ্ছ! আল্লাহ তোমাকেও আগুনে জ্বালাবেন। ‘শাবছ’ এসে শিমারের এ কাজের তিরস্কার করে। শিমার লজ্জিত হযে তাবুতে আগুন দেয়া বন্ধ রাখে। হোসাইন (আ.) বললেন, আমার জন্য এমন একটি পুরানো জামা নিয়ে এসো যাতে কেউ ঐ জামার প্রতি আসক্ত না হয়। আর আমার পোশাকের নিচে আমি এজন্য পরিধান করব যেন আমার শরীর পোশাকবিহীন না থাকে। ইমামের জন্য ইয়েমেন থেকে পাওয়া একটি জামা আনা হল। তিনি জামার একাংশ ছিড়ে মূল জামার নীচে পরিধান করলেন। কিন্তু ইমামের শাহাদাতের পর আবহুর বিন কাব তার শরীর থেকে সব জামা খুলে ইমামের পবিত্র বদনকে উলঙ্গ অবস্থায় ফেলে রাখে। এ কাজের ফলে তার দু’হাত গ্রীষ্মকালের শুকনো কাঠ, শীতকালের বরফের মত ঠাণ্ডা হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। মৃত্যু পর্যন্ত তাকে এ শাস্তি ভোগ করতে হয়।

রাবী বলেছেনঃ ইমাম হোসাইন (আ.) যখমের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েন। দুশমনের অসংখ্য তীর তার বদনে কাটার মতো বিদ্ধ ছিল। সালেহ বিন ওহাব মুযনী তার পাজরে একটি বর্শা নিক্ষেপ করলে ইমাম অশ্ব থেকে যমিনে লুটিয়ে পড়লেন। তার মাথা মাটির সাথে লাগিয়ে বলছিলেন-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.