নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহুম্মা সাল্লে আলা মোহাম্মাদ দিন ওয়া আলে মোহাম্মাদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম

MD ZAHID HOSSAIN

বেশুমার লানত

MD ZAHID HOSSAIN › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ১৪

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:২৪

ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম
পর্ব (((((১৪))))) শেষ

ইয়াজিদের রাজদরবারে একজন সিরীয়া লোকের কাহিনী

এ সময় একজন সিরিয়াবাসী হযরত ফাতেমা বিনতে হোসাইনের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমীরুল মুমেনীন, আমাকে এ দাসীটি দিন।” ফাতেমা ফুফী হযরত যয়নাবকে বললেন, “ফুফী, এতিম হওয়ার পর আমাকে দাসী হিসেবে নিতে চাইছে।” হযরত যয়নাব (আ.) তখন বললেন, না এ ফাসেক কখনোই এ ধরনের কাজ করতে পারবে না।” তখন ঐ সিরীয় লোকটি ইয়াজিদকে জিজ্ঞেস করল, “এ মেয়েটি কে?” ইয়াজিদ বলল, এ মেয়েটি হোসাইনের কন্যা ফাতেমা এবং ঐ মহিলাটি হযরত আলীর কন্যা যয়নাব। তখন সিরীয় লোকটি বলল, “হে ইয়াজিদ তোর উপর খোদার লানত। তুই মহানবীর বংশধরদেরকে হত্যা করেছিস এবং তার (সা.) আহলে বাইতকে বন্দী করেছিস। খোদার কসম, আমি মনে করেছিলাম যে, এরা রোমের যুদ্ধবন্দী। ইয়াজিদ একথা শুনে ঐ সিরীয় লোকটিকে বলল, “খোদার শপথ, তোকেও ওদের অন্তর্ভুক্ত করব।” এরপর ইয়াজিদের নির্দেশে ঐ সিরীয় লোকটিকে হত্যা করা হয়।

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ ইয়াজিদ এক বক্তাকে ডেকে পাঠিয়ে তাকে মিম্বার দাড়িয়ে ইমাম হোসাইন (আ.) ও হযরত আলী (আ.) কে গালি দিয়ে বক্তৃতা করতে বলে । ঐ বক্তাটি মিম্বরে উঠে হযরত আলী (আ.) ও ইমাম হোসাইন (আ.) এর বিরুদ্ধে কটুক্তি এবং মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদের উচ্ছসিত প্রশংসা করে । ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) প্রতিবাদ করে বললেন,

“হে বক্তা, তোমার জন্য আক্ষেপ, তুমি স্রষ্টার অসন্তুষ্টির বদলে এক নগণ্য সৃষ্ট জীবের সন্তুষ্টি খরিদ করছ। অতঃপর তুমি এ কাজের মাধ্যমে নিজের বাসস্থান জাহান্নামের আগুনেই নির্ধারণ করে নিয়েছ।

ইবনে সিনান খাফফাজী কত সুন্দর ভাষায় শেরে খোদা হযরত আলী (আ.) এর প্রশংসা করেছেনঃ

তোমারা মিম্বারে আরোহণ করে আমীরুল মুমেনীন হযরত আলীকে (আ.) গালি দিচ্ছো? অথচ মিম্বরসমূহ তারই তরবারীর বদৌলতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। (হযরত আলী অমিত বীরত্ব সহকারে মহানবীর পাশে দাড়িয়ে কাফির-মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়েছেন এবং তাদেরকে পরাস্ত করেছেন। তার ত্যাগ-তিতিক্ষার কারণে ইসলামের বিজয় অর্জিত হয়েছে। মসজিদসমূহ আবাদ হয়েছে। আর এখন তোমরা তারই বিরুদ্ধে কথা বলছো, তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছো)।

ওই দিনই ইয়াজিদ ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-এর কাছে তার তিনটি আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করল। এরপর ইয়াজিদের নির্দেশে আহলে বাইতকে এমন এক গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয় যেখানে তারা শীত ও তাপে কষ্ট পেতে থাকেন। সেখানে তাদের অবস্থান করার ফলে তাদের বদনমণ্ডল ফেটে গিয়েছির। তারা যত দিনই দামেশকে ছিলেন ততদিন ইমাম হোসাইন (আ.) এর জন্য শোক ও আহাযারী করেছিলেন।

হযরত সাকীনার (আ.) স্বপ্ন

হযরত সাকীনা (আ.) থেকে বর্ণিতঃ দামেশকে চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমি আকটি স্বপ্ন দেখি। অতঃপর তিনি দীর্ঘ স্বপ্নটি বর্ণনা করলেন এবং শেষে বললেন, “স্বপ্নে দেখলাম একজন মহিলা হাওদায় মাথায় হাত রেখে বসে আছেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, “মহিলাটি কে/” তখন আমাকে বলা হল, “ইনি হযরত মুহাম্মদের (সা.) কন্যা ফাতেমা এবং তোমার পিতামহী।” আমি একথা শুনে বললাম, “খোদার শপথ, আমি তার কাছে যাব এবং আমাদের প্রতি যে অন্যায় ও অত্যাচার করা হয়েছে তা তাকে আমি জানাব।” অতঃপর আমি দ্রুত তার কাছে গেলাম এবং তার সামনে দাড়ালাম এবং তাকে কেদে বললাম,

পরিবারকে ধ্বংস করা হয়েছে আমাদের মান-সম্ভমের উপর আঘাত হানা হয়েছে, আমাদের পিতা হোসাইনকে (আ.) হত্যা করা হয়েছে।” আমার একথা শুনে তিনি (সা.) বললেন, “সাকীনা আর বলিসনে দাদু। তোর কথা শুনে আমার হৃদপিণ্ডের ধমনী ছিড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। এ জামাটি তোমার পিতা হোসাইনের। আমি এ জামাটি নিয়ে কাল কিয়ামত দিবসে খোদার দরবারে ফরিয়াদ করব।” ইবনে লাহীয়াহ, আবুল আসওয়াদ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্ণনা করেছেন, “রাসূল জালুত(এক ইয়াহুদীর নাম) আমাকে দেখে বলল, “খোদার শপথ আমি হযরত দাউদের (আ.) ৭০তম অধঃস্তন পুরুষ। ইহুদীরা আমাকে দেখলেই অত্যন্ত সম্মান করে। আর তোমরা মুসলমারা তোমাদের নবী (সা.) ও তার দৌহিত্রের মধ্যে কেলমাত্র এক পুরুষের ব্যবধান থাকা সত্ত্বেও তার (সা.) বংশধরদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করেছ।”

রোম সম্রাটের দূতের কাহিনী

ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) থেকে বর্ণিতঃ ইমাম হোসাইনের (আ.) পবত্রি মস্তক পাপিষ্ঠ ইয়াজিদের সামনে আনা হলে সব সময় সে মদপানের আসর বসাত এবং ইমাম হোসাইনের (আ.) পবিত্র মস্তক ইয়াজিদের সামনে রাখা হত। কোন একদিন রোম সম্রাটের দূত ইয়াজিদের উক্ত আসরে আসল এবং বলল, “আরব জাহানের সম্রাট, এ মাথাটি কার? ইয়াজিদ বলল, এ ব্যাপারে তুমি কেন মাথা ঘামাচ্ছ? দূত বলল, আমি যখন রোম সম্রাটের কাছে উপস্থিত হব তখন আপনার সাম্রাজ্যে আমি যা দেখেছি সে সম্পর্কে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করবেন। আর আমি এ মস্তক এবং যার এ মস্তক তার সম্পর্কেও সম্রাটকে জানানোর ইচ্ছা করছি যাতে করে তিনিও (সম্রাট) আপনার সাথে আপনার এ বিজয় ও আনন্দে শরীক হতে পারেন।” ইয়াজিদ তখন দূতকে বলল, এ মাথা হোসাইন ইবনে আলী ইবনে আবু তালিবের। দূত জিজ্ঞেস করল, “ইনার মা কে?” তখন ইয়াজিদ বলল, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর কন্যা হযরত ফাতেমা (আ.)। তখন রোমান সম্রাটের দূত বলল, “আপনার ও আপনার ধর্মের জন্য আক্ষেপ, আমার ধর্ম আপনার ধর্মাপেক্ষা উত্তম। কারণ আমার পিতা হযরত দাউদের (আ.) বংশধর। আমার বাবা ও তার (আ.) মাঝে অনেক পুরুষের ব্যবধান হওয়া সত্ত্বেও খ্রীষ্টানরা আমাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে এবং তারা আমার পায়ের মাটি তাবাররুক হিসেবে নিয়ে যায়। কিন্তু আপনারা আপনাদের নবীর দৌহিত্রকে হত্যা করেছেন। অতচ তার ও নবীর (সা.) মাঝে কেবলমাত্র এক পুরুষের ব্যবধান । কেমন আপনাদের ধর্ম?” এরপর সে ইয়াজিদকে বলল, “আপনি হাফেরবা খুরের গির্জার কথা শুনেছেন?” ইয়াজিদ বলল, “আচ্ছা বল তো দেখি।” ঐ খ্রীষ্টান দূতটি বলল, “ওমান ও চীনের মাঝে এমন এক সাগর রয়েছে যা অতিক্রম করতে এক বছর লাগে। আর ঐ সমুদ্রের কেন্দ্রস্থলে একটি মাত্র শহর ছাড়া আর কোন জনবসতি সেখানে নেই। ঐ শহরের আয়তন ৮০ বর্গ ফারসাং। ঐ শহরটির মত অতবড় শহর পৃথিবীতে আর নেই। ওখান থেকে ইয়াকুত পাথর এবং কর্পূর অন্যান্য দেশে রপ্তানী করা হয় এবং উদ ও আম্বর হচ্ছে সেখানকার প্রধান উদ্ভিদ । এ শহর খ্রীষ্টানদের নিয়ন্ত্রণে এবং খ্রীষ্টান সম্রাট ছাড়া সেখানে আর কারো শাসন কর্তৃত্ব চলে না। সেখানে অনেক গীর্জা আছে। ঐ গীর্জার মেহরাবে একটি স্বর্ণ নির্মিত হুক্কা রয়েছে এবং তাতে একটি খুর রয়েছে। এ ব্যাপারে জনশ্রুতি রয়েছে যে, উক্ত খুরটি যে গাধার পিঠে হযরত ঈসা (আ.) চড়তেন সে গাধাটির। ঐ হুক্কার চারপাশে রেশমী কাপড় দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। প্রতি বছর দূর দূরান্ত থেকে অগণিত ভক্ত খ্রীষ্টান ঐ গীর্জা যিয়ারত করতে আসে। তারা ঐ হুক্কার চারপাশে প্রদক্ষিণ করে এবং ওটিতে চুমো দেয়। সেখানে তারা মহান আল্লাহর কাছে মনোবাসনা পূর্ণ হওয়ার জন্য প্রার্থনা করে। খ্রীষ্টান-নাসারারা এ ধরনের আচরণ করে আর ঐ খুর সম্পর্কে তারা দৃঢ় বিশ্বাস করে যে, এটা ঐ গাধার খুর যার উপর হযরত ঈসা (আ.) সওয়ার হতেন। আর তোমরা মুসলমানেরা নিজেদের নবীর দৌহিত্রকে হত্যা কর।

মহান আল্লাহ তোমাদেরকে কখনো যেন মঙ্গল না দেন। ইয়াজিদ তখন ক্রুদ্ধ হয়ে বলল, “এ খ্রীষ্টানটিকে হত্যা কর; এ কিনা আমাকেই আমার সাম্রাজ্যের মধ্যে অপদস্ত করেছে। এর স্পর্ধা তো কম নয়।” ঐ খ্রীষ্টানটি যখন বুঝতে পারল যে, তাকে হত্যা করা হবে তখন সে ইয়াজিদকে বলল, “আমাকে আপনি কি হত্যা করবেন?” ইয়াজিদ বলল, “অবশ্যই”। তখন ঐ খ্রীষ্টানটি ইয়াজিদকে বলল, তাহলে আপনি জেনে রাখুন যে, গতরাতে আমি আপনাদের নবীকে (সা.) স্বপ্নে দেখেছি। তিনি আমাকে বলছিলেন, “হে খ্রীষ্ট যুবক, তুমি বেহেশতী হবে।” এ ধরনের সুসংবাদে আমর বিস্ময়ের সীমা ছিল না এবং আমি অত্যন্ত অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এখন সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, “আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং হযরত মুহাম্মদ (সা.) তার রাসূল।” এরপর ঐ খ্রীষ্টান লোকটি হোসইন (আ.) এর পবিত্র মাথা তুলে বুকে লাগাল, চুম্বন করল এবং নিহত হওয়া পর্যন্ত কাদতে লাগল।

মিনহালের ঘটনা

ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) একদিন বাইরে বের হলেন এবং দামেশকের বাজারের ভিতরে হাটছিলেন। মিনহাল বিন আমর তার সামনে এগিয়ে এসে বলল,

“হে মহানবীর (সা.) সন্তান, সিরিয়ায় আপনাদের দিনকাল কেমন কাটছে? তিনি (আ.) বললেন,

“ফেরআউন বংশীয়দের মাঝে বনী ইসরাইল যেমনিভাবে দিন কাটাত আমরাও তেমনিভাবে (উমাইয়া বংশীয়দের মাঝে) দিন কাটাচ্ছি (অর্থাৎ ফেরআউন বংশীয়রা বনী ইসরাইলেন পুরুষদেরকে হত্যা করত এবং নারীদেকে জীবিত রাখত)। হে মিনহাল, আরবরা অনারবদের উপর গর্ব করে বলে, “হযরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের স্ব-গোত্রীয়। আর আমরা তারই আহলে বাইত। কিন্তু আমাদের থেকে আমাদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। আমাদেরকে হত্যা ও ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন (নিশ্চয় আমরা আল্লাহর কাছ থেকে এসেছি আর তারই কাছে ফিরে যাব) কবি কত সুন্দর বলেছেন।

মহানবীর (সা.) সম্মানার্থে যারা তার মিম্বরের কাঠগুলোকে সম্মান করে অথচ তারাই তার (সা.) বংশধরদেরকে পিষ্ট করে মারছে। কোন আইনে মহানবী (সা.) এর বংশধরেরা তোমাদেরকে অনুসরণ করবে? অথচ মহানবীর সঙ্গী-সাথী ও অনুসরণকারী হওয়ার কারণেই তো তোমাদের গৌরব।

একদিন, ইয়াজিদ আলী ইবনুল হোসাইন (আ.) ও আমর ইবনুল হোসাইনকে ডেকে পাঠাল। আমরের বয়স তখন এগারো বছর ছিল। ইয়াজিদ আমরকে বলল, “তুমি কি আমার ছেলে খালেদের সাথে মল্লযুদ্ধ করবে?” তখন আমর ইয়াজিদকে বললেন, “না, তবে আমাকে ও তোমার ছেলে খালেদকে তলোয়ার দাও। আমরা যুদ্ধ করব।” একথা শুনে ইয়াজিদ বলল, “পিতার রক্তধারা সন্তানদের মাঝে বহমান। তাই পিতার মত সন্তানরাও হয়(সাপের বাচ্চা সাপই হয়)।”

অতঃপর ইয়াজিদ ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) কে বলল, “তোমার তিনটি মনস্কামনা পূরণ করার যে প্রতিজ্ঞা আমি করেছিলাম তা আমি পূরণ করব। এখন তুমি সেগুলো একে একে বল। তখন ইমাম (আ.) বললেন,

প্রথমতঃ আমার পিতা হোসাইনের কর্তিত মাথা আমাকে ফিরিয়ে দাও। আমি তার সুন্দর বদনমণ্ডল দেখতে চাই।

দ্বিতীয়তঃ আমাদের যে সম্পদ লুন্ঠন করা হয়েছে তা আমাদের কাছে ফেরত দেয়া হোক।

তৃতীয়তঃ যদি আমাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাক তাহলে একজন বিশ্বস্ত লোকের সাথে নবীবংশের বন্দী মহিলাদেরকে মদীনায় পাঠিয়ে দিও।

ইয়াজিদ এ কথা শুনে বলল. “পিতার মুখ কখনো দেখতে পাবে না। আমি তোমাকে হত্যা করব না। একমাত্র তুমি ব্যতীত আর কেউ মহিলাদেরকে মদীনায় নিয়ে যাবে না। তবে যে সম্পদ লুন্ঠন করা হয়েছে তার বদলে অনেক গুণ বেশী দামের ধন-সম্পদ আমি তোমাদেরকে দেব।” ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.) তখন বললেন, “তোমার ধনসম্পদের এক কানা কড়িও আমাদের দরকার নেই। তোমার ধনসম্পদ থেকে আমাদেরকে কিছু দিতে হবে না। আমরা কেবল আমাদের লুন্ঠিত সম্পদগুলোই চাচ্ছিলাম। কারণ হযরত ফাতেমা (আ.) এর জামা, স্কার্ফ, গলার হার ও কামিজ ঐ সব লুন্ঠিত সম্পদের মধ্যে আছে।” তখন ইয়াজিদ ঐ সব লুন্ঠিত নিয়ে আসার আদেশ দিল । সে ঐ সম্পদগুলো ইমাম যয়নুল আবেদীন (আ.)-কে ফেরৎ দিল এবং তাকে আরো দুশো দিরহাম দিল। ইমাম যয়নুল আবেদীন ঐ দু’শো দিরহাম ফকির মিসকিনদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। অতঃপর ইয়াজিদ বন্দী ইমাম পরিবারকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করার আদেশ দিল। তবে ইমাম হোসাইনের পবিত্র মাথা মোবারক সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, ইমাম হোসাইনের (আ.) পবিত্র মাথা কারবালায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল এবং পবিত্র দেহের সাথে মাথাও দাফন করা হয়েছিল। এতদসংক্রান্ত অনেক বর্ণনা রয়েছে। তবে এ পুস্তিকার স্বল্প পরিসরে এগুলো সব বর্ণনা করা সম্ভব নয়

লানাতুল্লাহি আলা কাউমে জালেমিন
লানাতুল্লাহি আলাল কাজেবিন
মুনকারে আহলে বাইত আঃ পার বেশুমার লানত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.