নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের যখন বয়স বেশী হয়ে যায় তখন সে শিশুদের মত আচরণ করে। এটার এখনকার বাস্তব প্রতিবিম্ব আমাদের দেশের এক সময়ের স্বৈরশাসক এরশাদ।
রাজনীতি করতে গেলে মানুষের নূন্যতম যে জ্ঞানটুকু থাকা দরকার তা হয়ত একসময় এই শাসকের ছিল কিন্ত আজ তা আর অবশিষ্ট নেই।
ভুল বললাম, তার রাজনৈতিক জ্ঞান যথেষ্ট ছিল এবং তার প্রমান হল তিনি তার শাসনামলে ৮ দলীয় জোট, ৭ দলীয় জোট ও ৫ দলীয় জোটকে যথেষ্ট নাকানি-চুবানি খাইয়েছেন। তিনি তখন বিভিন্ন ফন্দি খাটিয়ে তার স্বৈরশাসনকে গনতন্ত্রের প্রলেপ দিয়ে জায়েজ করতে চেয়েছিলেন। বর্তমানের রাজনৈতিক অস্থিরতায় তার এই কাহিনী কিছুটা ফিঁকে হয়ে গেলেও মানুষ তা ভুলে যায়নি।
আওয়ামি লীগ ও বিএনপি সংবিধান সংশোধনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারিকুরি দেখিয়েছেন কিন্তু এই কারিকুরি দেখানোর মূল পর্ব শুরু হয়েছিল এই এরশাদের সময়েই। আওয়ামি লীগ এবং বিএনপি (শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দায়িত্ব নেওয়ার পর ) যখন রাজনৈতিক সফলতার ক্ষেত্রে বাচ্চা তখন জাতীয় পার্টি কিন্তু ব্যাপকভাবে তার রাজনৈতিক দক্ষতা দেখিয়েছে। এবং এটাও সবার জানা এই বাচ্চাদুটোই সেদিন এক হয়ে এই সফল (!) রাষ্ট্রনায়ককে ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন। আজ কিন্তু হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সেই ত্যাগ করা দিবস!!
সময়ের বিবর্তনে কিনা হয়। সেদিন যারা তাকে ক্ষমতা ত্যাগে বাধ্য করেছিলেন আজ তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথে এরশাদ সাহেব-ই মেইন ফ্যাক্টর। একটু ঘুরিয়ে বললে এটাও বলা যায় যে, এরশাদ যার মদদপুষ্ট হবে সে ক্ষমতায় যাবে। আলটিমেট রেজাল্ট যাই হোক বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটটি এরকম।
এরশাদ সাহেব একবার বললেন এই নির্বাচনে গেলে মানুষ থুতু দেবে আবার পরক্ষনেই বললেন নির্বাচনে না গেলে মানুষ থুতু দেবে। এসব কথা শুনে যারা থুতু ফেলবে তারাই কনফিউজড হয়ে যাচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর তিনি বললেন তিনি তার জীবনের শেষ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন-তিনি দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা বিবেচনায় নির্বাচনে যাবেন না। প্রিয়দেশ ডট নেট থেকে জানলাম এই প্রতিশ্রুতিতেও তার এখন নাকি টালমাটাল অবস্থা ! মনে রাখতে হবে এই সেই এরশাদ যার কাছ থেকে আওয়ামি লীগ এবং বিএনপি ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার পরিকল্পনা করতে শিখেছে।
©somewhere in net ltd.