নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ফাঁদে মুসলমান

ম জ বাসার

ম জ বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আস্তিক-নাস্তিক উভয়ই ধর্মান্ধ/মৌলবাদী

০৮ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭

‘বাদ’ অর্থই ধর্ম;আস্তিক্যবাদ ধর্মের দাবিদার,নাস্তিক্যবাদ অধর্মের দাবিদার।

তবে উভয় ‘বাদ’এর সংখ্যা গরিষ্ঠ তথা ৯৯.০০৯% শতাংশই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় দ্বৈতবাদী বা মুনাফিক/মুশরিক;যা স্বতণ্ত্রভাবে বাস্তব সাক্ষি-প্রমানিত।




১. আস্তিক-নাস্তিক উভয়ই কুরআন বা সৃষ্টির মৌল অনুসারেই দাবি করে থাকেন। যেমন: কুরআন স্রষ্টা সম্পর্কে নিজেই বলে,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।

ক. লা ইলাহা অর্থ: ইলাহ/স্রষ্টা নেই;



খ. ইল্লাল্লাহ অর্থ: স্রষ্টা আছে;



সংক্ষেপে,স্রষ্টা নেই-স্রষ্টা আছে;অর্থাত এই আছে এই নেই বা নিগেটিভ-পজেটিভ।' এটাই ধর্মাধর্মের মূল সুত্র।



২. নাস্তিকগণ প্রথম অংশ নেই'তে বিশ্বাসী,২য় অংশে অবিশ্বাসী;পক্ষান্তরে আস্তিকগণ শেষ অংশ আছে'তে বিশ্বাসী,১ম অংশে অবিশ্বাসী;উভয়ই অর্ধ ধর্ম-অধর্মের অধীন।



৩. এই মূল সুত্র বা কলেমাটি পুরাপুরী কেহই বিশ্বাস করে না হেতু উভয়ই বিপরীতমূখী ধর্মান্ধ বা মৌলবাদী বিভ্রান্তবাদী;অর্থাত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সুতরাং কারো অহং বা গর্ব করার কিছুই নেই এবং যেহেতু উভয়ই স্ব স্ব দাবি প্রমান করতে পুরোপুরী ব্যর্থ।



৪. আবার দেখুন: দিন-রাত,জন্ম-মৃত্যু,আবির্ভাব-তিরোভাব প্রভৃতি সৃষ্টির সকল সুত্রেই উভয় দল ‘মাইনাস-প্লাস,যোগ-বিয়োগ বা নিগেটিভ-পজেটিভ’ সুত্রে সম বিশ্বাসী; অর্থাত উভয়ই সমান মুনাফিক।



৫. এক্ষণে পুরো কলেমা-সুত্রে বিশ্বাসী একটি দলের আবির্ভাব হওয়া খুবই জরুরী!

বিনীত।



মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনার উপস্থিতি দেখছি।
কেমন আছেন?
আপনার ধর্ম প্রচার কেমন চলছে?
দেশে ফিরে আসার কোন পরিকল্পনা আছে কি? না কি বাকি জীবন বিদেশেই কাটিয়ে দেবেন?

২| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
১. গায়-গতরে ভালো;মানসিক উত্তম;আপনি কেমন আছেন?সব সময়ই আপনার কথা মনে পড়ে। আপনার দর্শনে কুরআনের অনুবাদ চলছে;কুরআনের সামনের কিছুসহ পিছন থেকে মোট প্রায় অর্ধেক অনুবাদ হয়ে গেছে।
২. মানুষ ব্যতীত আর বাকী সকল পশুই পৃথিবীর নাগরিক;নিজকে পশু মনে করি;যেখানেই থাকি সেটাই নিজ ঘর-বাড়ী,দেশ;দেশেই আছি,দেশেই থাকি।
৩. চলছে মোটামুটি। 'মানব ধর্ম সংস্কার'নামের প্রকাশিত বইটি বাংলাদেশের সকল কলেজ-ইউনিভারসিটিতে পাঠানো হচ্ছে।
শুভ কামনায়
বিনীত।

৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: " আপনার দর্শনে কুরআনের অনুবাদ চলছে "

কথাটা বোধগম্য হল না। আমার দর্শন অনুসারে কুরআনের অনুবাদ করা হচ্ছে অথচ আমিই জানি না!!

আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভাল আছি। আমার কথা আপনার মনে পড়ে জেনে নিজেকে খুব গুরুত্বপুর্ণ মনে হচ্ছে - কিন্তু বাস্তবে আমি কি মনে রাখারমত তেমন কেউ?

২. মানুষ - আশরাফুল মাখলুকাত - সৃস্টির সেরা। আর উন্নতির চেস্টাই সভ্যতা - অথচ আপনি নিজেকে পশু মনে করছেন? এই নিম্নগামীতার কারণ বোধগম্য হল না।

এক হিসেবে পুরো পৃথিবীই আমাদের দেশ - এতে সন্দেহ নাই। কিন্তু তার পরও আল্লাহ আপনাকে যে অঞ্চলে পাঠালেন, যে ভাষার মানুষের মাঝে জন্ম দিলেন তাদের প্রতি আলাদা বিবেচনাতো থাকা উচিত।

৩. 'মানব ধর্ম সংস্কার' বইটার কোন উন্নতি/সংস্কার কি করেছেন - নাকি আমি যেমন পড়েছিলাম কয়েক বছর আগে সেটাই বিতরণ করছেন? যদি সেটাই বিতরণ করে থাকেন - তাহলে আমার বিবেচনায় সেটা তেমন কোন কাজের কিছু হবে না। যদি আপনি স্বাধারণ মানুষের জন্য কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে এমন ভাষায়/পদ্ধতিতে লিখতে হবে যাতে স্বাধারণ মানুষ বুঝতে পারে। আপনি ঐ বই-এ যেভাবে বিষয়গুলি উপস্থাপন করেছেন তা স্বাধারণ মানুষকে আরো বিভ্রান্ত করবে বলেই আমার ধারনা(অবশ্ব আমার ধারনা ভুলও হতে পারে)।

যাই হোক - তবুও কিছু কাজ যে হচ্ছে সেটাই বা কম কি? কিছু না হওয়ার চেয়ে ভুল হওয়া মনে হয় খারাপ না। ভুল থেকেও অনেক মানুষ সঠিক পথের সন্ধান পায়।

৪| ১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৭

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কোন এক কালে কুরআন অনুবাদ করার দর্শন আপনিই দিয়ে ঘন ঘন চাপ দিতে ছিলেন;আর আমি ঘন ঘন প্রত্যাখ্যান করছিলাম;এবারে গ্রহণ করলাম।
২. আপনি একজন নিরলস/নিবেদিত পরিচ্ছন্ন সমালোচক বলেই আপনাকে ভালোলাগে।
৩. বিশ্বের সকল মনুষ্য দল উপদলীয় ধর্মীয় দল উপদল,শাখা,প্রশাখা,উপশাখার ঐ একই দাবি যে,তারাই সত্য,সঠিক ও শ্রেষ্ট আবার পরস্পর ঝগড়া-ফাছাদ,খুনা-খুনিতে দুনিয়া অশান্ত করে রেখেছে।
৪. অনুরূপ দুনিয়ার সকল জীবই স্ব স্ব স্থানে ঐ একই দাবি নিয়ে ঝগড়া-ফাছাদহীনভাবেই শান্তি সুখে জীবন কাটাচ্ছে। শান্তিবাদ ধারণ,রক্ষণই উন্নতীর স্বাক্ষর;সুতরাং শান্তিবাদের দিকে গমনের চেষ্টা নিম্নগামী নয় বরং উর্দ্ধগামীরই লক্ষণ মনে হয়।
৫. গরু,ছাগল,কুকুর,বিড়াল প্রভৃতি জীবগুলি যেমন পশু! মানুষও তেমন।
৬. ভাবুন! কুরআনের উপর ম জ বাসারের বইর মত আপনার কোন আপত্তি নেই! কিন্তু আজ ১৪শ বছর যাবত ঝগড়া-ফাছাদ, দলাদলি ব্যতীত তেমন কোন কাজে আসেনি। সুতরাং ম জ বাসারের বই হাজার বার সংশোধন করলেও কোন কাজে আসবে না;দেখুন না! এই 'আস্তিক-নাস্তিক পোষ্টটির মূল্যায়ণ।
৭. আপনার শেষের ধারণা সত্য হোক।
বিনীত।

৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: হ্যা, আমি আপনাকে বলেছিলাম বিচ্ছিন্ন ভাবে দুই চারটা আয়াতের অর্থ না করে বরং পুরো কোরআনের অনুবাদ করার জন্য। যদি আপনি পুরো কোরআনের অনুবাদ করতে যান আর আপনার দর্শন/চিন্তা ধারা যদি কোরআনের অনুরূপ না হয় তাহলে সেই অনুবাদে প্রচুর পরস্পরবিরোধীতা থাকবে - এটাই আমার ধারনা ( আমার ধারনা ভুলও হতে পারে )। আপনি তখন পুরো কোরআন অনুবাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেও পরবর্তিতে যে গ্রহন করেছেন সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে -

আপনিতো বর্তমানে প্রচলিত কোরআনের নির্ভুলতা নিয়েই সন্দিহান ছিলেন। আপনার বই এ লিখেছেন এই কোরআনের কিছু আয়াত হারিয়ে গেছে, কিছু আয়াত বদলে গেছে এমনকি কিছু আয়াত পরবর্তিতে সংযোজিত হয়েছে বলেও আপনার সন্দেহ আছে। আপনি কি এই সন্দেহ নিয়েই কোরআন অনুবাদ করছেন - নাকি এখন বিশ্বাস করছেন যে কোরআন যে অবস্থায় আছে এটাই পরিপুর্ণ ও অবিকৃত?

যদি আপনি আপনার অব্স্থান না বদলিয়ে থাকেন তাহলে অনুবাদের সময় ঐ আয়াতগুলির কী করছেন? মানে -আপনার বিবেচনায় ১. যে আয়াতগুলি বদলে গেছে - সেগুলি আসল অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া ২. যে আয়াতগুলি পরে সংযোজিত হয়েছে সেগুলি বাদ দেয়া ৩. যে আয়াতগুলি হারিয়ে গেছে সেগুলি পুন:উদ্ধার করা - এ'সব কিভাবে করছেন? আপনার প্রেরনাপ্রাপ্ত পিতা ও নানাতো জীবিত নাই, আর আপনিও নিজেকে প্রেরণাপ্রাপ্ত বলে পরিচয় দিচ্ছেন না - তাহলে কোরআনের ব্যাপারে এইধরণের গুরুতর বিষয়গুলির সমাধান কে করছে? কিভাবে করছে?

যাই হোক, আপনার সাথে যেহেতু আমার মতের মিলের চেয়ে অমিলই বেশী - তাই যে কোন আলোচনাই বিতর্কে রূপ নেয়। আমি আসলে বিতর্ক করতে চাই না - শুধু যা বুঝি না বা মানতে পারি না তাই নিয়ে প্রশ্ন করি। তবে আপনার এই পুরো কোরআন অনুবাদের চেস্টার প্রতি আমার সমর্থন আছে। যদি সম্ভব হয় ইতিমধ্যে অনুবাদকৃত কিছু অংশ শেয়ার করতে পারেন। ধরুন শেষের দিকের ছোট ছোট সুরাগুলি (যেমন সুরা ইখলাস ) এর অনুবাদ কেমন করেছেন দেখতে ইচ্ছা করছে।

৬| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কুরআন গ্রন্থের সংযোজন, বিয়োজন, উলট-পালট সম্বন্ধে আদিকাল থেকে শিয়া/ছুন্নীদের মধ্যেই ঘোর বিরোধ/বিতর্ক রয়েছে; ইছলামিক ফাউন্ডেসনের সংক্ষিপ্ত বিশ্বকোষ ১ম, ২য় খ. এবং বিভিন্ন তফছির ও পিকথলের অনুবাদ থেকে জেনে নিন; অথবা ‘কোরান বনাম শরিয়তে’ রেফারেন্সসহ বিস্তারিত বর্ণনা আছে;অত:পর সে সম্বন্ধে আপনার নিশ্চিত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন।
২. সময়-সুযোগ না থাকলে আপাতত: ২টি উদাহরণ বর্তমান দিচ্ছি:
ক. উত্তরাধিকারী সম্পত্তি বন্টনে ৪: ১১, ১২ নং আয়াত যে ভুল/সংযোজিত! তা বিশ্বের শিয়া/ছুন্নী সকল জাতেই স্বীকার করত: উহা সংশোধন কল্পে কুরআনের বিরুদ্ধে ফারাএদ নীতি রচনা করেছে।
খ. ব্যভিচারিনীকে পাথর মেরে হত্যা ও স্ত্রীর এক সংগে কয়েক ঢোক দুধ পান করার আয়াত বিবি আয়শার বালিসের নীচে ছিল; যা রাছুলের মৃত্যুর সময় সকলে ব্যস্ত থাকায় ১টি ছাগল আয়শার ঘরে ঢুকে খেয়ে ফেলেছে বলে হাদিছ সাক্ষি আছে।
৩. যে আয়াতে ভুল বা সন্দেহ প্রমানিত সে আয়াতটির পুন: অনুবাদ না করে নীচে সতর্ক নোট দিয়ে হুবহু রেখে দেয়া হয়েছে।
৪. যা হারিয়ে গেছে তা মরে গেছে; যে মরে গেছে সে হারিয়ে গেছে, রাছুল, প্রে: প্রা: আকছার উদ্দিন, মজিবুল হক মরে হারিয়ে গেছেন; এ বিষয় কারো দায় দায়িত্ব নেই; যখন যতটুকু প্রয়োজন তা প্রকাশ করা মহা শক্তিরই দায়-দায়িত্ব।
৫. কুরআন গ্রন্থের সমান্যটুকুই কুরআন; যার সঠিক অনুবাদ ও উদ্ধার কাজ প্রে: প্রা: মজিবুল হক ‘প্রেরণাবাণী’তে করে গেছেন। বাকী অধিকাংশই ইতিহাস; যা স্মরণ ব্যতীত অনুসরণ নিষ্প্রয়োজন, ছাহাবা, ইমাম-আলেম, গাউস-কুতুব কেই করে না, গল্পের মতই শোনে মাত্র।
৬. বিতর্ক এড়াবার ক্ষমতা মানুষের নেই;শেয়ার করার সুযোগ এই ব্লগ দয়া করে খর্ব করেছেন। শুভ কামনায়
বিনীত।

৭| ১২ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ৩. তার মানে কোরআনের কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক সেই রায় আপনি নিজেই দিচ্ছেন!! আপনার কাছে যেটা ভুল মনে হচ্ছে সেটাই অনুবাদ থেকে বাদ দিচ্ছেন বা অনুবাদের নিচে নোটিশ লিখছেন? তাহলে কোরআনের ভুল-শুদ্ধ বিচারের কর্তৃপক্ষ আপনি নিজেই(যিনি নবী/রাসুলতো নয়ই প্রেরণা প্রাপ্তও না)?

অথচ আপনিই বলছেন "যখন যতটুকু প্রয়োজন তা প্রকাশ করা মহা শক্তিরই দায়-দায়িত্ব।" তাহলে কোরআনের কোনটা ভুল কোনটা সঠিক তা প্রকাশের দায়-দায়িত্ব মহা শক্তির হাতে ছেড়ে দিচ্ছেন না কেন? প্রয়োজন হলে মহা শক্তি নতুন নবী/রাসুল পাঠিয়ে বা অন্যকোন উপায়ে এটা করুক। আপনি কোন ক্ষমতাবলে এই দ্বায়িত্ব নিজেই নিতে চাইছেন??

৫. "যার সঠিক অনুবাদ ও উদ্ধার কাজ প্রে: প্রা: মজিবুল হক ‘প্রেরণাবাণী’তে করে গেছেন। " - যদি তাই হয় তাহলেতো ঐ প্রেরণা বানী প্রচার করাই যথেস্ট হওয়ার কথা - আপনার এত বড় বড় বই লিখে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান বা পুরো কোরআনের অনুবাদ করার কোন প্রয়োজনইতো থাকে না। অহেতুক অপ্রয়োজনীয় বাহুল্য কাজ করে সময় অর্থ শ্রমের অপচয় কেন করছেন??

আপনার সাথে আমার মতের মিল নাই - তাই যেকোন আলোচনাই বিতর্কে রুপ নেয়। যদিও আমি চেস্টা করি বিতর্ক এড়িয়ে যাওয়ার - কিন্তু যে প্রশ্নগুলি এসে যায় তা না করে পারি না। এ'গুলি ঠিক আপনাকে বিব্রত বা নিরুৎসাহিত করার জন্য নয় - শ্রেফ নিজের কৌতুহলেই প্রশ্নগুলি করা। এই যেমন আপনার নতুন অনুবাদ শেয়ার করতে কী সমস্যা বুঝতে পারছি না - কোরআনের শেষের দিকের ছোট সুরাগুলির অনুবাদ নিয়ে একটা পোস্ট দিলেইতো হয়। আমরা দেখতে পারি আপনার অনুবাদে কোরআনের বক্তব্যগুলি কিভাবে আসছে।

৮| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
৩. হ্যা জনাব! যুক্তি ও সাক্ষি-প্রমানে ইহাই সাব্যস্ত;ম জ বাসার তুলে ধরেছে মাত্র। কারো ক্ষমতা থাকলে আপনাদের কল্পিত আল্লাহর পক্ষে হাজির হতে পারে আর এজন্য দুনিয়ার সকল জ্বিন-ইনছানকে ডাকতে পারে।
যখন যতটুকু প্রয়োজন জ্যোতিদেহ আল্লাহই অনবরত প্রকাশ করছেন;হয় আপনার/অথবা আমার মাধ্যমে;সত্য কি মিথ্যা তা যুক্তি,সাক্ষি-প্রমান সাব্যস্ত করে। জীব মানেই জ্যোতিদেহ বা আল্লাহ প্রাপ্ত বটে! পার্থক্য শুধু কম-বেশী চেতন-অবচেতন। সাক্ষি,যুক্তি-প্রমানের ক্ষমতা বলে স্বভাবতই দায়িত্ব বর্তায়। আপনি যেমন ক্ষমতা/অক্ষমতা বলে সমালোচনার দায়-দায়িত্ব পালন করছেন। কোন একটা সীমায় না পৌছা পর্যন্ত প্রেরণাপ্রাপ্ত বা নবি-রাছুল বলে সাব্যস্ত হয় না;ম জ বাসার সে সীমায় পৌছেনি;তবে যা প্রকাশ করেছে তাতে সন্দেহ থাকলে তা প্রমান করার আহ্বান করি।
৫. প্রে: প্রা: মজিবুল হক তার দায়-দায়িত্ব পালন করেছেন;আপনি আপনারটা করছেন;ম জ বাসারেরটা সে করছে;এখন প্রশ্ন হলো সংগত কি অসংগত,সত্য কি মিথ্যা এবং এর মাপকাঠি হলো ফোরকান বা আক্বলজ্ঞান,যা প্রত্যেকটি মানুষ ধারণ করে আছে। যার চেতন থাকে তার সাথে সংঘাত হয় না।

মতের মিল নেই বলেই সমালোচনার গুরুত্ব দেই;তর্ক বিতর্কে চলে যায়;তাতে কোনই ওজর আপত্তি নেই;তবে তা অবশ্যই যুক্তি-প্রামানিক হতেই হবে।

নতুন অনুবাদ শেয়ার করার জন্য বসেই আছি;কিন্তু এডমিন রহস্যজনক কারণে সে পথে বাধা দিচ্ছেন;তিনি চান না যে সকলে তা পড়ুক।

সাক্ষি ও যুক্তি-প্রামানিক সমালোচনা বা তর্ক বিতর্ক আগ্রহের সংগে মূল্যায়ণ করি।
শুভ কামনায়
বিনীত।

৯| ১৩ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "কোন একটা সীমায় না পৌছা পর্যন্ত প্রেরণাপ্রাপ্ত বা নবি-রাছুল বলে সাব্যস্ত হয় না;ম জ বাসার সে সীমায় পৌছেনি;"

হ্যা এটা একটা গুরুত্বপুর্ণ কথা বলেছেন। যদি আপনি বুঝেই থাকেন যে উপযুক্ত সীমায় পৌছাতে পারেন নি ( যে আমি আপনার লেখাটা প্রথম বার পড়েই বলেছিলাম - হয়ত মনে আছে ) তাহলে এই নিম্ন স্তরের জ্ঞান-যুক্তি-বোধ দিয়ে কোরআনের ভুল খুঁজতে যাওয়া মারাত্মক বিপজ্জনক নয় কি? আমি আপনাকে সেই বিপদের ব্যাপারেই সতর্ক করতে চাইছি মাত্র।

দেখুন সৃস্টির যৌক্তিকতাবোধ দিয়ে স্রস্টার কর্ম বোঝা বা ব্যখ্যা করা যে অসম্ভব তার দৃস্টান্ত কিন্তু সৃস্টির শুরুতেই তৈরী হয়ে গেছে। ইবলিশ তার জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে খেলাফতের ব্যাপারে যে যুক্তি উপস্থাপন করেছিল তা কি একেবারে মুল্যহীন ছিল? তার দ্বাবিতো ঠিকই ছিল যে সে আগুনের তৈরী আর আদম মাটির। তাছাড়া সে দীর্ঘ দিন আল্লাহর ইবাদত করে তাঁর নৈকট্য লাভ করেছে আর আদম মাত্র সেদিন তৈরী হল। সৃস্টির যুক্তিতে সর্বোত্তম তো ইবলিশের হওয়ার কথা এবং খেলাফতও তারই পাওয়ার কথা। কিন্তু এই যুক্তি উপস্থাপন করতে গিয়ে সে বেচারা অভিশপ্ত শয়তানে পরিনত হল, কেন? কারণ স্রস্টার ইচ্ছার কাছে সৃস্টির সকল জ্ঞান-বুদ্ধি-যৌক্তিকতা নিতান্তই তুচ্ছ এবং সৃস্টির পক্ষ থেকে স্রস্টার কাজের ব্যাপারে আপত্তি উপস্থাপন চরম বেয়াদবী ও ধৃস্টতা।

একটা প্রাকটিক্যাল উদাহরণ দেই। ধরুন কোরআনে কোথাও বলা আছে ১+১ = ১। সামান্য বুদ্ধিজ্ঞান সম্পন্ন যে কেউ বলবে এটা ভুল। এক যোগ এক সমান দুই হওয়ার কথা। তখন যারা নিজেদের জ্ঞান যুদ্ধি উপলব্ধি খাটিয়ে বিষয়টি বোঝার চেস্টা করবে তারা বলবে - সম্ভবত এটা কোন ভাবে বদলে গেছে, অথবা এটা পরে সংযোজিত হয়েছে, অথবা এটা আল্লাহ নয় বরং অন্য কোন মানুষের কথা, কেউ কেউ আরো অগ্রসর হয়ে বলবে এতবড় ভুল যে গ্রন্থে আছে তা আবার আল্লাহর কিতাব হয় কিভাবে - ইত্যাদি, ইত্যাদি। তারা নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধির ভিত্তিতে বিবেচনা করতে গিয়ে হাজারো সম্ভাবনার বিভ্রান্তিতে ঘুরে মরবে - কিন্তু কখনই বিশ্বাসী/সমর্পিত হতে পারবে না।

কিন্তু একজন মুমিন যে কোরআনকে আল্লাহর কিতাব বলে বিশ্বাস করবে সে কখনই নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি-যুক্তিবোধকে প্রাধান্য দেবে না। সে নিশ্চিত ভাবেই বলবে কোরআনে যখন বলা হয়েছে ১+১ = ১ তখন অবশ্বই এটা সত্য - যদিও আমি আমার বুদ্ধি-জ্ঞানে এটা বুঝতে পারছি না। এর পরে সে জানার চেস্টা করবে এটা কিভাবে সম্ভব। এই চেস্টার কোন এক পর্যায়ে যদি তার সৌভাগ্য হয় বুলিয়ান এ্যালজাব্রা সম্পর্কে জানার তাহলে সে বুঝতে পারবে বুলিয়ান এ্যাজাব্রার সুত্র অনুসারে ১+১ সমান ১ই হয়। ফলে তার ইমান বা বিশ্বাসের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পাবে। আর যদি তার এটা জানার বোঝার সৌভাগ্য নাও হয় তবুও বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রথমেই সমর্পিত হওয়ায় তার প্রতিদানও সে পাবে। কিন্তু যে প্রথমেই নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি-বিবেচনার ভিত্তিতে অবিশ্বাস করেছে, কোরআনকে ভুল ভেবেছে সে কখনই সমর্পিত হতে পারবে না। সে যেহেতু বিষয়টা ভুল বলে মেনে নিয়েছে তাই এটা কিভাবে সম্ভব সেই অনুসদ্ধানও করবে না - বুলিয়ান এ্যালজাব্রা পর্যন্ত যাওয়ারতো প্রশ্নই আসে না।

তাহলে সঠিক পদ্ধতি কোনটি? নি:সঙ্কচিত্তে সমর্পিত হয়ে তার পর বোঝার চেস্টা করা - না কি নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি-যুক্তিবোধের মাধ্যমে প্রথমেই অবিশ্বাস বা সন্দেহ করা? তাও আবার নির্দিস্ট উচ্চতায় পৌছার আগেই?

ইবলিশ যদি প্রথমেই অবিশ্বাস না করে আল্লাহর নির্দেশ মেনে নিত - আর তার পর বোঝার চেস্টা করত মাটির তৈরী আদম কিভাবে আগুনের তৈরী জ্বিনের চেয়ে শ্রষ্ঠ হয় - তাহলে কোন দিন বুঝতে পারুক আর নাই পারুক অন্তত বিতারিত অভিশপ্ত শয়তান হতে হত না।

সুতরাং আগে নি:শঙ্ক চিত্তে সমর্পিত হই, সাধনায় উপলব্ধির সেই উচ্চতর সীমায় উপনিত হই তার পর আল্লাহর বানী কোরআন সংস্কারের অনুমতি/নির্দেশ যদি পাওয়া যায় তবেই সেই কাজে নিয়োজত হওয়া যাবে। আর যদি মহা-শক্তির অনুমতি/নির্দেশ/ইচ্ছা নাই থাকে তাহলে এতবড় কাজে নিজের ইচ্ছায় নিজর জ্ঞান-বুদ্ধি-যুক্তিবোধ নিয়ে নেমে পড়া ইবলিশেরমতই মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। আশা করি আপনি আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন।

১০| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৮

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. নিম্ন স্তরের যুক্তি-জ্ঞান কিনা! বিপদজনক কি কল্যানকর তা পরীক্ষা করেই তো বলা যায়; নিজে সতর্ক না হয়ে মাত্র অনুমানে মন্তব্য করা কি অত্যাধিক বিপদজনক নয়?

খ. প্রচলিত কুরআন গ্রন্থে বর্ণ, সংখ্যা প্রভৃতিতে ছাপা ভুল আছে; যেমন: আয়াত সংখ্যা ৬৯’র স্থলে ৬৭ লেখা আছে; বর্ণ ‘নুন’ এর স্থলে ‘বে’ লেখা আছে; ২টি কুরআন গ্রন্থের অনুবাদ পরীক্ষা করলেই তা সহজেই সনাক্ত করতে পারেন; আপনি কি সেটা না করেই ভুলটা অথবা উভয়টা সত্য,সঠিক বলে বিশ্বাস করেন?

গ. এক সংকলনে লেখা: বিছমি আল্লাহ রহমান রহিম পক্ষান্তরে আর সংকলেন লেখা আছে: বিছমিল্লাহির রহমানির রাহিম; এ দুটোর উপরে যার সমান বিশ্বাসের অর্থ তার ১টির উপরেও বিশ্বাস নেই, সত্য কি? এখন সে যদি জীবনভর ‘বিশ্বাস করি বিশ্বাস করি’ বলে চীত্কার করে! সে কি ভয়ংকর প্রতারক নয়??

ঘ. অনুরূপ যে লোক কুরআন সংকলনের শতভাগ বিশ্বাস করে কিন্তু ১ ভাগও বুঝে না এবং মানে না, মানার প্রশ্নই আসে না। পক্ষান্তরে ম জ বাসার ৮০ ভাগ বিশ্বাস করে, ৭০ ভাগ বুঝে ৬০ ভাগ মানে; এবারে নিজেই রায় দিন যে, কে ভয়াবহ বিপদজনক! কে ইব্লিছ আর কে ই বা মানুষ/ফেরেস্তা!

২. জনাব!
ক. ইব্লিছের বয়ানের অনুবাদ সত্য কি মিথ্যা তা বিনা বিচারে গ্রহণ বর্জন কি বোকামী নয়? কুরআন বলে: অন্ধ অনুমান সত্যের বিপরীতে কোনই কাজে আসে না (সুত্র: ২: ৭৮; ৩: ৭৮;৬: ১১৬;১০: ৩৬)।
নিচের আয়াতটির উপর আপনার ঈমান আছে কি না নিজেই পরীক্ষা করুন?
যে বিষয় তোমার জ্ঞান নেই,বুঝতে পার না;তা কখনও বিশ্বাস/অনুসরণ করিও না;কর্ণ, চক্ষু ও আক্বলের জবাবদিহি করতেই হবে (সুত্র: ১৭: ৩৬)।

খ. ইব্লিছের অনুবাদ শতভাগ ভুল,প্রতারণা;সংক্ষেপ সাক্ষি-প্রমান নিন:
বালেছ অর্থ: অপাদার্থ,উগ্র,গোরা,ধর্মান্ধ;উহার বহুবচন ইব্লিছ অর্থ: উগ্র-ধর্মান্ধগণ;সুতরাং এবারে সংশ্লিষ্ট আয়াতটি সম্বন্ধে নতুন করে ভাবুন?না ভাবলে গোড়া-ধর্মান্ধ হয়েই থাকুন;ম জ বাসারের কিছুই যায় আসে না।

৩. মূল বিষয় অবজ্ঞা করে ২ নম্বরী হাদিছ বা ৩ নম্বরী ফতোয়া/উপমার গলগ্রহ হওয়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও অট্ট-হাস্যকর;এ্যলজেব্রার ১+১=১ এর সুত্রটা দিয়ে সম্পত্তি বন্টনের আয়াতটির সত্যাসত্য প্রমান করলেই তো পারতেন! তা এড়িয়ে গেলেন কেন জনাব?

পুনরায় সমগ্র শরিয়তের মাথা খেয়ে অনুরোধ করি! আসুন সমাধান দিন:
ক. যদি কোন ব্যক্তি ১ স্ত্রী,৩ কন্যা ও পিতা-মাতা রেখে মারা যায় তবে (৪: ১১):
স্ত্রী-১/৮=৩/২৪
পিতা-১/৬= ৪/২৪
মাতা-১/৬=৪/২৪
কন্যগণ-২/৩
মোট=২৭/২৪। অর্থাত মূল সম্পত্তির ২৪ ভাগের ২৭ ভাগ বন্টন করতে হবে।
এক্ষণে ঘাটতি ৩/২৪ অংশের যোগান দেবে কি
ম জ বাসার/তার বাবা?
কাংগাল মুরশিদ??
ফেরেস্তা/ইব্লিছ???
না ৭ম আসমানে নির্বাসিত কল্পিত শিরকী আল্লাহ????

এর জবাব দেয়া বিশ্ব শরিয়তের পক্ষে আপনার জন্য অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। ব্যর্থ হলে আপনারা/আপনাদের কুরআন সংকলন মিথ্যা,ভুল প্রতারক হিসাবে সাব্যস্ত হলেন! (মাফ করবেন! তর্ক-বিতর্কের যুক্তিতে বলতে বাধ্য)

খ. এতবড় কাজে কোন্ ক্ষমতা বলে ম জ বাসার হাত দিয়েছে! এবার তা অনুমান ব্যতীত সাক্ষ্য প্রমানেই সাব্যস্ত করতে পারেন।

৪. বিশ্বের এ হেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি এডমিনগণ কেন গোপন রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করছেন! কিসের স্বার্থে! বোধগম্য নয়! করেই যাক! তাদের উপর ম জ বাসারের কোনই হাত নেই, প্রয়োজন মনে করলে আরো স্বাদ মিটিয়ে স্তব্ধ করুক!
বিনীত।

১১| ১৬ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "নিম্ন স্তরের যুক্তি-জ্ঞান কিনা!"

এটা এই অর্থে বলা যে আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন আপনার সাধনায় পুর্ণতা আসেনি। অপুর্ণ সাধনার ভিত্তিতে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ বিপজ্জনক হওয়ারই কথা। বাংলায় একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ আছে "অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী" । সে জন্যই আপনার সাথে আলোচনার শুরু থেকেই আমি বলছি আপনি যে পথে সাধনা করছেন তার পুর্ণতায় আগে পৌছান - তার পর সিদ্ধান্ত নিন কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। এমন কি হতে পারে না যে সেই পুর্ণতায় পৌছে দেখবেন এতদিনের সব চিন্তা/দর্শণ সবই ভুল?

এই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বহু সত্য সাধক অতিক্রন্ত হয়ে গেছেন, বর্তমানে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন যাদের পরিচয় বা সাধনার কথা তাদের নিকটজনেরাও জানে না। কেন তারা এই রকম প্রচার বিমুখ নিভৃতচারী? কারণ তারা তাদের সাধনার পুর্ণতায় পৌছানোর আগে অপুর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রচারের বিপদটা বুঝতে পারেন। আমি প্রথম থেকেই আপনাকে এই বিষয়টাই বুঝাতে চাইছি। আপনি সাধনার পুর্ণতায় না পৌছে প্রচার প্রচারণায় লিপ্ত হওয়ায় এক দিকে যেমন মানুষকে বুঝাতে পারছেন না অন্য দিকে এই কাজে সময় নস্ট করায় সাধনায় উন্নতিও করতে পারছেন না। আবার বাংলা প্রবাদ: না ঘরকা না ঘাটকা।

যাই হোক, এক সময়তো কোরআনের দুই চারটা বিচ্ছিন আয়াত/শব্দ নিয়ে ব্যাস্ত ছিলেন, কাঙ্গালের পরামর্শে তাও পুরো কোরআন অনুবাদের চেস্টা শুরু করেছেন - কে জানে, হয়ত অদুর ভবিষ্যতে এই কাঙ্গালের দ্বিতীয় কথাও ফলবে, আপনি প্রচার প্রচারনা বাদ দিয়ে নিজের সাধনার পুর্ণতা অর্জনে অধিকতর মনোযোগী হবেন!

২. ইব্লিশের সঙ্গা আপনি যেভাবেই দেন, তার অভিশপ্ত হওয়ার মুল কারণতো এটাই ছিল যে সে নিজের জ্ঞান-বুদ্ধির ভিত্তিতে আল্লাহর আদেশের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের চেস্টা করেছিল। আমি এই বিষয়টাতেই জোর দিচ্ছি - সৃস্টির জ্ঞান-বুদ্ধি-যুক্তির ভিত্তিতে স্রস্টার কাজ-কথা-নির্দেশ বিচার করা সম্ভব নয়।

স্রস্টার বক্তব্যের ব্যাপারে সৃস্টির চিন্তা-গবেষণা 'সত্য মিথ্যা' বা 'সঠিক ভুল' নিয়ে নয় বরং হবে 'কিভাবে' নিয়ে। যেমন: আল্লাহ বলেছেন তিনি বৃস্টি বর্ষণ করেন। মুমিন সর্বাবস্থায় বিশ্বাস করবে আল্লাহই বৃস্টি বর্ষণ করেন - কিন্তু 'কিভাবে' করেন এটা নিয়ে গবেষণা করে সে পাবে পানি চক্রের মাধ্যমে বৃস্টি ঘটে। যদি সে গবেষণা করে 'আল্লাহ সত্যিই বৃস্টি বর্ষণ করেন কি না'(সন্দেহ) - আর তখন যদি সে পানিচক্রের সন্ধান পায় : তাহলে তার সিদ্ধান্ত হবে 'আল্লাহ নয় বরং পনি চক্রের মাধ্যমেই বৃস্টি হয়'। অথবা সে বলবে কোরআনের কথা ভুল, বৃস্টির জন্য পানি চক্রই যথেস্ট - আল্লাহ খোদার দরকার নাই। ( এই সাইটের ভিন্ন নাস্তিক/ধর্মবিদ্বেষীর ব্লগে এইরকম সিদ্ধান্ত দেখবেন।) আর মুমিনের সিদ্ধান্ত হবে 'আল্লাহ পানি চক্রের মাধ্যমে বৃস্টি বর্ষণ করেন'। সিদ্ধান্তের এই পার্থক্যের মুলে আছে গবেষণা শুরুর প্রেক্ষাপট। যে সন্দেহ বা অবিশ্বাস নিয়ে শুরু করেছে তার সিদ্ধান্ত হয়েছে এক রকম আর যে বিশ্বাস নিয়ে শুরু করেছে তার হয়েছে ভিন্ন।

কোরআন সংক্রান্ত সকল গবেষণা অবশ্বই বিশ্বাসের ভিত্তিতে শুরু হতে হবে - নাহলে বিভ্রান্তি ছাড়া কিছুই পাওয়া যাবে না। ইব্লিশ এটাই ভুল করেছিল - সে চিন্তা শুরু করেছিল 'আল্লাহর সিদ্ধান্ত আদমের খেলাফত পাওয়া ঠিক কি না'। অথচ ফেরেশতারা প্রথমে আদেশ মেনে নিয়ে পরে জানার চেস্টা করেছিল 'কিভাবে' মাটির তৈরী আদম শ্রেষ্ঠ হয়। আল্লাহ ফেরেশতাদের বিতারিত অভিশপ্ত করেননি বরং জ্ঞানের উদারণ দেখিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মাটির আদম কিভাবে নুরের ফেরেশতার চেয়েও উত্তম। এখান থেকে এটাই সবচেয়ে বড় শিক্ষনীয় যে আল্লাহর আদেশ প্রথমে সত্য বলে মানতে হবে - তারপর 'কিভাবে' নিয়ে চিন্তা গবেষণা করলে আল্লাহই এটা পথ করে দেবেন - কোরআন গবেষকরা এই পদ্ধতিতে বহু সমস্যার সমাধান ইতিমধ্যেই করেছেন, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উত্তরাধীকার সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান। সমাধানটা আপনিও জানেন - কিন্তু মানেন না!

৩. "পক্ষান্তরে ম জ বাসার ৮০ ভাগ বিশ্বাস করে, ৭০ ভাগ বুঝে ৬০ ভাগ মানে; "

হ্যা এটা একটা গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্ট। এর মাধ্যমে বুঝা গেল ম জ বাসারের নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি-যুক্তি-দর্শণ কোরআনের ৭০ ভাগের অনুরূপ - কাজেই সে ৭০ ভাগ বুঝতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ম জ বাশার বাকি ৩০ ভাগের ব্যাপারে কী করবে? দুই পদ্ধতিতে সে কাজ করতে পারে -

১. সে নিজের চিন্তা-যুক্তি-দর্শণকে এমনভাবে বদলে নেবে যাতে তা ১০০ভাগ কোরআনের অনুরুপ হয়। যদি পুরোপুরি ১০০ ভাগ নাও হয় তবুও যতটা সম্ভব পুর্ণতায় পৌছায়।

অথবা

২. সে নিজের যুক্তি-দর্শণ অপরিবর্তিত রেখে কোরআনের ৩০ ভাগ বিভিন্ন ব্যাখ্যার মাধ্যমে বদলে দেবে, প্রয়োজনে কিছু অংশ ভুল/পরিবর্তিত বলে প্রত্যখ্যান করবে এমনকি কিছু অংশ হারিয়ে গেছে বলে পুণ:সংযোগের চেস্টা করবে যাতে - কোরআন ম জ বাশারের চিন্তা-দর্শণের অনুরূপ হয়ে যায়।

এখন বলুন এর মধ্যে কোনটা কোরআন বিশ্বাসীর জন্য সঠিক পথ? নিশ্চয়ই ১ নং, যেখানে কোরআনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাক্তির যুক্তি-দর্শন পরিবর্তন করা হয়। অথচ আপনি চলছেন ২ নং পথে - ম জ বাশারের যুক্তি-দর্শণ দিয়ে কোরআনের অর্থ-ব্যাখ্যা বদলে দিতে চাইছেন। তাহলে আপনি আসলে কী প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন? কোরআন না ম জ বাশারের দর্শন?

আর কোরআনেরমত ব্যাপক অর্থবহ গ্রন্থের অনুবাদের ব্যাপারে আরো একটা বিষয় বিবেচনা করা জরুরী। যখন একই শব্দের অনেকগুলি সঠিক অর্থ থাকে তখন তার মধ্য থেকে কোনটি গ্রহণ করা হবে? ধরুন এটা বড় আয়াতে ৩টা এমন ব্যাপক অর্থবহ শব্দ আছে যাদের প্রত্যেকের ৫টা করে সঠিক অর্থ আছে। তাহলে গানিতিক সুত্র অনুসারে ঐ আয়াতের ৩^৫ = ১২৫টা ভিন্ন ভিন্ন অনুবাদ হতে পারে। এর মধ্য অধিকাংশ অনুবাদ প্রায় একই অর্থের হলেও কিছু অনুবাদ একেবারে ভিন্ন অর্থের হওয়া মোটেই বিচিত্র নয়। তাহলে এর মধ্য থেকে আপনি কোনটি গ্রহণ করবেন? এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে 'পুরো কোরআনকে অক্ষত রেখে এমন একটা অর্থ গ্রহণ করতে হবে যাতে তা কোরআনের অন্যকোন আয়াতের অর্থের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়'। পুরো কোরআনের কোন আয়াতের সাথে কোন আয়াত সংঘর্ষিক হবে না - এই নীতি যত সুক্ষ্ম ভাবে পালন করা যাবে কোআনের অনুবাদ ততই সঠিক/অর্থবহ হবে। কিন্তু সাংঘর্ষিক অর্থের কারনে যদি কোরআনের কিছু আয়াত বাতিল করা হয় বা বদলে দেয়া হয় বা ভিন্নভাবে ব্যখ্যা করা হয় - তাহলে সেই অনুবাদ বা ব্যাখ্যা কোআনের মুল চেতনা থেকে ক্রমেই দুরে চলে যেতে থাকবে। আপনি ঠিক এটাই করতে চাইছেন - এবং আমার আপত্তিটাও ঠিক এখানেই।

অনেক দিন পর আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভেবেছিলাম এবার আর কোন তর্কে কিছুতেই যাব না, অথচ দেখুন কথা প্রসঙ্গে কতকিছুই এসে যাচ্ছে!!

চলুন বরং অন্য প্রসঙ্গে আলোচনা করি: আপনি এক কমেন্টে বলেছেন: "কারো ক্ষমতা থাকলে আপনাদের কল্পিত আল্লাহর পক্ষে হাজির হতে পারে আর এজন্য দুনিয়ার সকল জ্বিন-ইনছানকে ডাকতে পারে।"

অর্থাৎ আমাদের আল্লাহ কল্পিত আর আপনার আল্লাহ বাস্তব - তাই তো? তাহলে একটু বিস্তারিত বলুন - বাস্তব বলতে আপনি কী বুঝাতে চান? আমি বলি - বাস্তুব হচ্ছে বস্তুভিত্তি বা বস্তুজগত সংক্রান্ত। যা কিছু এই বস্তু জগতের উপায় উপকরণ দ্বারা চিন্হিত ও পরিমাপ করা যায় তাই বাস্তব। যেমন: স্থান, বস্তু, শক্তি, সময় ইত্যাদি। যদি তাই হয় তাহলে আপনার আল্লাহ কি এই অর্থে বাস্তব? নাকি আপনার কাছে বাস্তবের ভিন্নকোন অর্থ আছে?

১২| ১৭ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
শরিয়ত আল্লাহর পরিচয় না পেয়েও কাল্পনিক অস্থিত্বধারী একটি জীব সাব্যস্ত করে ৭ম আসমানের উর্দ্ধে বরই বাগানে (ছিদ্রাতুল মুন্তাহা) নির্বাসন দিয়ে নিজেরা দুনিয়ায় লুট-পাট করছে;সাধারণের বিশ্বাস ও ভয়ের জন্য বছরে ২ বার ১ম আসমান পর্যন্ত আল্লাকে আসার মিথ্যা হাস্যকর ধারণা দিয়েছে। এমন আল্লাহর পরিচয় কুরআনে নেই;তাই শরিয়তের আল্লাহ কুরআন বিরুদ্ধ শিরকী,ভ্রান্ত ও ফেইক আল্লাহ।
আল্লাহর পরিচয় কুরআনের পাতায় পাতায় বর্ণিত;সংক্ষেপে: আমিত্ব,শক্তি,ইচ্ছা ও জ্ঞানের সর্বনামই আল্লাহ/উপাস্য বা স্ব স্ব জ্যোতি/নূরদেহ। কিন্তু আল্লাহকে বস্তু বা অস্থিত্বধারী মনে করে সঠিক বর্ণনা ও অনুবাদ পাল্টে দিয়ে সাধারণকে বিভ্রান্ত করেছে।

১. বস্তু/সৃষ্টির তুলনায় পৃথিবীটা অনু-পরমাণুও নয়;সে তুলনায় মানুষের কোন অস্থিত্বই নেই;তবুও আছে যা,তা শতভাগ আপেক্ষিক;এই আছে-এই নেই বা লা ইলাহা-ইল্লাল্লাহ; এই মানুষের পক্ষে অস্থিত্ব,শক্তি,ইচ্ছা ও জ্ঞানের পূর্ণতা অর্জন কখনও কোন নবি-রাছুলদ্বারাও সম্ভব হয়নি,কোন কালেও হবে না;সুতরাং এই অবস্থায় কোন নির্দিষ্ট ১টি বিষয় সম্বন্ধে স্থান,কাল ও পাত্রভেদে পূর্ণতা ব্যতীত অনির্দিষ্ট বিষয়ের পূর্ণতা বলতে কোন শব্দ নেই। অতএব ম জ বাসার কোন ১টি বিষয় পূর্ণতা পেয়েই তা প্রকাশ করেছে ও করে। যার পূর্ণতা পায়নি তা কখনো প্রকাশ করে না,করেনি;সুতরাং কোন ব্যক্তি সম্বন্ধে পূর্ণ-অপূর্ণতার প্রমান তার প্রকাশিত বিষয়টিমাত্র। এর বাহিরে তার সম্বন্ধে মন্তব্য করা সীমা লংঘন ও বাড়াবাড়ি;প্রকাশ্য সাক্ষি,যুক্তি প্রমানে যাদের অবিশ্বাস তারাই কুফুরী হেতু অশান্তির বাহক। বিষয়টি পুন: পুন: ভাবুন:
উপাস্যই পূর্ণ;উপাসক কষ্মিণকালেও পূর্ণতা পায় না,পেলেই অসীম উপাস্য (জ্ঞান-শক্তি প্রভৃতি) সসীম হয়,ধরা পড়ে শরিকী সাব্যস্ত হয়। যা নবি-রাছুলগণও পারেননি! বিজ্ঞানীগণও পারবেন না। তারা বস্তুর পূর্ণতা বা সীমানাই এখন পর্যন্ত আবিস্কার করতে সক্ষম হননি।

বিষয়টির সংগে একমত না হলে ‘পূর্ণ’র সংজ্ঞা দিন,সম্ভব হল ১টি মানচিত্রও।

২. অধিকাংশ সাধকগণ স্ব স্ব মুক্তির সাধনায় নিয়োজিত থাকেন,অন্যের জন্য ইচ্ছা বা আগ্রহশীল নন বা হন্না। এজন্যই তারা প্রচার বিমূখ;আর সকল সাধকদের দায়-দায়িত্ব এক হয় না;কারণ স্থান,কাল ও পাত্রভেদ বরাবরই ভেদ ও বিবর্তনশীল।
অতএব আপানার অমূল্য পরামর্শ ফেরত্ বা সংশোধন করা উচিত কিনা ভেবে দেখুন গুরু

৩. কোন কালে কোন অবস্থায় সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ নতুন তথ্য ও তত্ত্ব মানেনি; কষ্মিনকালেও মানবে না;এটা আল্লাহ/প্রকৃতির অমোঘ বিধান;সাক্ষি: ১২: ১০৬;১৭: ৮৯; অত:পর সকল নবি-রাছুলের ইতিহাস)।
‘কুরআন আল্লাহর অহি মানি,কুরআন মানুষের পূর্ণাংগ জীবন ব্যবস্থা মানি,ইছলাম রক্ষায়, রাছুলের কটুক্তি করায় জীবন দান মানি’ প্রভৃতি নেতাদের প্রতারণায় সাধারণগণ ভোগে মাত্র;০. ০০০০০১% অংশও মানে না। প্রমানটা আপনাকে দিয়েই করতে পারেন।

৪. কোন সময়ই কুরআনের বিচ্ছিন্ন আয়াত নিয়ে ব্যস্ত নই। কুরআনের অধিকাংশই ইতিহাস-গল্প;ও নিয়ে ব্যস্ত থাকা নিষ্প্রয়োজন;লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আলিফ-লাম-মিমসহ মাত্র কয়েকটি আয়াতই কুরআনের যথা সর্বস্ব। এ কয়টি আয়াত ব্যতীত বাকি সব মুছে গেলেও কুরআনে কিছুই আসে যায় না;তবুও হাত দিয়েছি আপনাদের মত মহা জ্ঞানীদের স্ব-জ্ঞান সম্বন্ধে স্থির ধারণা দেয়ার জন্য।

৫. নিশ্চিন্তে সমালোচনা,তর্ক এবং বিতর্ক করুণ?তবে সাক্ষি,যুক্তি-প্রমানসহই করা উচিত;যাতে সুঠাম প্রগতিশীল শিক্ষামূলক হয়।(চলবে-২)
বিনীত।

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আমিত্ব,শক্তি,ইচ্ছা ও জ্ঞানের সর্বনামই আল্লাহ/উপাস্য বা স্ব স্ব জ্যোতি/নূরদেহ। কিন্তু আল্লাহকে বস্তু বা অস্থিত্বধারী মনে করে সঠিক বর্ণনা ও অনুবাদ পাল্টে দিয়ে সাধারণকে বিভ্রান্ত করেছে।"

কথাটা উল্টো হয়ে গেল। আপনিই বল্লেন শরিয়তের আল্লাহ কাল্পনিক - আর আপনার আল্লাহ বাস্তব। আবার এখানে এসে শরিয়তকে অভিযুক্ত করলেন আল্লাহকে অস্তিত্বধারী তথা বাস্তব বানানোর জন্য!!

আপনি আল্লাহর বর্ণনা করলেন 'আমিত্ব শক্তি ইচ্ছা ও জ্ঞানের সর্বনাম' - এর মধ্যে 'শক্তি' একটি বাস্তব সীমিত বিষয় যা পরিক্ষা নিরিক্ষার দ্বারা চিন্হিত ও পরিমাপ করা যায়। এটি নিশ্চিত ভাবেই একটি সৃস্টি যা পরিবর্তনশীল। তাহলে এর সর্বনাম কিভাবে অসৃস্ট অপরিবর্তনীয় স্রস্টা হবেন? আর সর্বনামতো মুল বিষয়কেই নির্দেশ করে, তাই না?

আবার আমিত্ব ইচ্ছা ও জ্ঞান - অবস্তুগত বিষয় হলেও অনির্ভরশীল এবং অপরিবর্তনশীল নিশ্চয়ই নয়। তাহলে নির্ভরশীল ও পরিবর্তনশীল বিষয় কিভাবে অসৃস্ট, অপরিবর্তনীয়, অনন্ত, চিরস্থায়ী, অনির্ভরশীল সৃস্টা হবেন?

"বিষয়টির সংগে একমত না হলে ‘পূর্ণ’র সংজ্ঞা দিন,সম্ভব হল ১টি মানচিত্রও।"

পুর্ণতার প্রসঙ্গটি আপনিই এনেছিলেন এক কমেন্টে যেখানে বলেছিলেন :

"কোন একটা সীমায় না পৌছা পর্যন্ত প্রেরণাপ্রাপ্ত বা নবি-রাছুল বলে সাব্যস্ত হয় না;ম জ বাসার সে সীমায় পৌছেনি"

- আমি কেবল সেই সীমায় পৌছার আগেই প্রচারের বিষয়টিতে আপত্তি করেছি। আমরা যখন অংক কষি তখন বিভিন্ন পর্যায়ে বহু রাশিমালা থাকে, কিন্তু আসল উত্তরটা পাওয়া যায় একেবারে শেষ লাইনে। তাই সঠিক উপলব্ধির জন্য শেষ লাইন বা পুর্ণতা বা সেই নির্দিস্ট সীমায় পৌছান পর্যন্ত অপেক্ষা করা খুবই জরুরী। অংকের মাঝখান থেকে ফলাফল খুঁজতে গেলে ভুল উত্তর পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, তাই না??

অন্য বিষয়গুলিতে গিয়ে আর বিতর্ক দীর্ঘায়িত করতে চাই না। যা বলা প্রয়োজন মনে হয়েছিল তা বলার চেস্টা করেছি। হয়ত ঠিকমত বুঝাতে পারি নাই। মানা না মানার স্বাধীনতাতো আপনার আছেই।

তবে দুনিয়াটা যখন নেগেটিভ - পজিটিভের ব্যাপার তখন প্রতিটি অবস্থার একটা বিপরিত অবস্থাও থাকা উচিত। আপনি এবং আপনারমত যারা ( অন্তত আর একজন সম্পর্কে জানি ) 'দুনিয়ার সাবাই ভুল, সবাই বিভ্রান্ত, সবাই জাহান্নামী ব্যার্থ শুধু আমি যা বুঝি তাই সঠিক, আমিই (বা কোটিতে একজন) একমাত্র সফল সার্থক' এই দর্শনে বিশ্বাসী - তাদের বিপরিতে 'সবাই (অন্তত অধিকাংশ মানুষ ) ভাল, জান্নাতি, সফল, শুধুমাত্র মুস্টিমেয় কুলাঙ্গার ক্রিমিনাল জাহান্নামী' - এই ধরনের দর্শনও নিশ্চয়ই থাকবে। আমি সেটাই খুজছি - দেখা যাক তার সন্ধান মেলে কি না!!

১৪| ১৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৯

ম জ বাসার বলেছেন: (পূর্বাপর)
ছালাম,
২. ইব্লিছ,শয়তান,মালাএকাতও মানুষ আর মানুষও মানুষ। দেহধারী মানুষ আর মরা বা দেহহীন কল্পিত মানুষের সাথে তুলনা বা প্রতিযোগীতা হয় না। গরু বনাম মুরগী, হাতি বনাম মাছ-মাছির প্রতিযোগীতা বোকামী। আল্লাহ শরিয়তের মত আহম্মক,বিভ্রান্ত নয়।
ইব্লিছ বনাম আদমের ঘটনা সমাজের ঘরে-বাইরে অহরহ অনবরত ঘটেই চলছে বলেই সংঘাত,অরাজগতা,অশান্তিও অবিরল চলছে। আদম-ইব্লিছ সম্বন্ধীয় কুরআনের অনুবাদ ভুল ও অদূরদর্শীতার ফল। এতে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ কাল্পনিক অন্ধ বিশ্বাসে বিভ্রান্ত হয়েছে।
খ. আদম উত্তম নয় বিশেষ আদম উত্তম। বিশেষ আদমের নিকট সাধারণ আদমদের বাধ্য থাকার আদেশ আছে। সাধারণ আদমদের মধ্যে যারা উগ্র,রাগী,মেজাজী,অহংকারী উশৃংখ্যল অর্থাত ইব্লিছগণ এ আদেশ আজ পর্যন্ত কখনোই মানেনি মানে না।
খ. বিশ্বাস শব্দটার সংজ্ঞা জানা দরকার।
নীচের আয়াতটি বহু বহুবার তুলে ধরা হয়েছে: কিন্তু প্রত্যেকবারই অবজ্ঞা করছেন:
গ. যে কুরআনের উপর বিশ্বাস করছেন সে কুরআন বলছে;না জানা না বুঝা পর্যন্ত গ্রহণ করা নিশিদ্ধ।(১৭;৩৬) এ নির্দেশ অবিশ্বাস করেই আপনার সকল বক্তব্য বিশ্বাসের মোড়কে পেশ করেছেন! হেন বিশ্বাস ভয়ংকর বিভত্স বর্বরোচিত;অবিশ্বাসের চেয়েও নিকৃষ্ট।
ঘ. শরিয়ত সম্পত্তি বন্টনের আয়াত বাস্তব বিবেকের তাড়নায় অবিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করত: নিজেরা নতুন আইন রচনা করেছে যা,তাও গোজামিল,হাস্যকর,ভুল। এইই আপনাদের কথিত ‘বিশ্বাস?’ কুরআন বিশ্বাস করেই কুআনের বিপরীতে একে একে ৫ খানি উপ ধর্ম গ্রন্থ রচনা করে মুছলিম জাতিকে ক্ষত বিক্ষত করেছে।
ঙ. যারা করেছে তাদের উপর আপনার বিশ্বাসের হেতু কি?তাদের পূর্ণ-অপূর্ণতার হিসাব নিয়েছেন?শরিয়তী ইমাম-আলেম নামে জোকার বিশ্বাসীদের ভেদ-বিচার,অনুভুতি-উপলব্দি বুদ্ধি প্রায় শতভাগ লোপ পেয়ে গেছে বলেই দুনিয়ায় ১ জন মাত্র নির্মল,নিখুত ‘মুছলিম’ দাবিদার নেই। ইব্লিছে দুনিয়া ভরে গেছে।
এ এক অদ্ভুত জগতে বাস। (চলবে-৩) শুভ কামনায়
বিনীত।
ছালাম,
২. ইব্লিছ, শয়তান, মালাএকাতও মানুষ আর মানুষও মানুষ। দেহধারী মানুষ আর মরা বা দেহহীন কল্পিত মানুষের সাথে তুলনা বা প্রতিযোগীতা হয় না। গরু বনাম মুরগী, হাতি বনাম মাছ-মাছির প্রতিযোগীতা বোকামী। আল্লাহ শরিয়তের মত আহম্মক, বিভ্রান্ত নয়।
ইব্লিছ বনাম আদমের ঘটনা সমাজের ঘরে-বাইরে অহরহ অনবরত ঘটেই চলছে বলেই সংঘাত, অরাজগতা, অশান্তিও অবিরল চলছে। আদম-ইব্লিছ সম্বন্ধীয় কুরআনের অনুবাদ ভুল ও অদূরদর্শীতার ফল। এতে সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষ কাল্পনিক অন্ধ বিশ্বাসে বিভ্রান্ত হয়েছে।
খ. আদম উত্তম নয় বিশেষ আদম উত্তম। বিশেষ আদমের নিকট সাধারণ আদমদের বাধ্য থাকার আদেশ আছে। সাধারণ আদমদের মধ্যে যারা উগ্র, রাগী, মেজাজী, অহংকারী উশৃংখ্যল অর্থাত ইব্লিছগণ এ আদেশ আজ পর্যন্ত কখনোই মানেনি মানে না।
খ. বিশ্বাস শব্দটার সংজ্ঞা জানা দরকার।
গ. যে কুরআনের উপর বিশ্বাস করছেন সে কুরআন বলছে; না জানা না বুঝা পর্যন্ত গ্রহণ করা নিশিদ্ধ।(১৭; ৩৬) এ নির্দেশ অবিশ্বাস করেই আপনার সকল বক্তব্য বিশ্বাসের মোড়কে পেশ করেছেন! হেন বিশ্বাস ভয়ংকর বিভত্স বর্বরোচিত; অবিশ্বাসের চেয়েও নিকৃষ্ট।
ঘ. শরিয়ত সম্পত্তি বন্টনের আয়াত বাস্তব বিবেকের তাড়নায় অবিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করত: নিজেরা নতুন আইন রচনা করেছে যা, তাও গোজামিল, হাস্যকর, ভুল। এইই আপনাদের কথিত ‘বিশ্বাস?’ কুরআন বিশ্বাস করেই কুআনের বিপরীতে একে একে ৫ খানি উপ ধর্ম গ্রন্থ রচনা করে মুছলিম জাতিকে ক্ষত বিক্ষত করেছে।
ঙ. যারা করেছে তাদের উপর আপনার বিশ্বাসের হেতু কি? তাদের পূর্ণ-অপূর্ণতার হিসাব নিয়েছেন? শরিয়তী ইমাম-আলেম নামে জোকার বিশ্বাসীদের ভেদ-বিচার, অনুভুতি-উপলব্দি বুদ্ধি প্রায় শতভাগ লোপ পেয়ে গেছে বলেই দুনিয়ায় ১ জন মাত্র নির্মল, নিখুত ‘মুছলিম’ দাবিদার নেই। ইব্লিছে দুনিয়া ভরে গেছে।
এ এক অদ্ভুত জগতে বাস। (চলবে-৩) শুভ কামনায়
বিনীত।

১৫| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ২. তার মানে মানুষ ছাড়া বা বস্তুগত উপায় উপকরণ দ্বারা পরীক্ষা-নিরিক্ষার মাধ্যমে যার অস্তিত্ব প্রমান করা যায়, পরিমাপ করা যায়(অর্থাৎ যাকিছু বাস্তব) তার বাইরে আর কিছুই নাই - তাই তো? এ'জন্যই কোরআনে যত যাই বলাহোক ফেরেশতা, জ্বিন, শয়তান - এ'সবই বাস্তব মানুষ হতে হবে - হতেই হবে?। কিন্তু কেন? বাস্তবতার বাইরে অবাস্তব কাল্পনিক জগত থাকলে এবং সেই জগতের কিছু আলাদা বৈশিস্ট ও বাসিন্দা থাকলে ক্ষতি কি? অবাস্তব(বা অ-বস্তুগত) কাল্পনিক মানেই কি 'নাই' বা 'অনুপস্থিত'?

২.গ: (১৭:৩৬) "যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে। "

হ্যা নিশ্চয়ই যে বিষয়ে জ্ঞান নাই তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয় বরং তা আল্লাহর হাতেই ছেড়ে দেয়া উত্তম। হয়ত ভবিষ্যতে বিষয়গুলি বোধগম্য হবে। আর না হলেও ক্ষতি নাই - কোরআন বা দুনিয়ার সবকিছু এক ক্ষদ্র সময়ে অতি সীমিত পরিবেশে অবস্থান করা একজন মানুষকে বুঝতেই হবে, কোন না কোন ভাবে ব্যাখ্যা করতেই হবে এমন জিদ করা কিছুতেই উচিত নয়।
যেমন: কোরআনে আল্লাহ বলেছেন ইসা(আ.) এর জন্ম হয়েছে নারী পুরুষের স্বাভাবিক মিলন ছাড়া। আজ থেকে কিছুদিন আগেও এটা মানুষের কাছে অসম্ভব ব্যাপার ছিল। তাই তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা হাজির করার চেস্টা করেছে - অনেকে সয়ং আল্লাহকেই ইসা(আ.) এর জন্মদাতা পিতা বানিয়ে দিয়েছে। অথচ সঠিক পদ্ধতিতে এটাই বিশ্বাস করা উচিত ছিল যে -'বিষয়টা আমার বোধগম্য হচ্ছে না বটে, তবে কোরআনে আল্লাহ যখন বলেছেন তখন কোন পুরুষের স্পর্শ ছাড়া সন্তান জন্মানো নিশ্চয়ই সম্ভব। আমাদের বরং সেই পদ্ধতিটা খুজে বের করার চেস্টা করা উচিত'। যারা এই সঠিক বিশ্বাসে ছিলেন তারা টেস্টটিউব বেবী এবং ক্লোনিং আবিষ্কারের পর এখন আরো দৃঢ়তার সাথেই বলতে পারছেন যে 'আল্লাহর কথাই সত্য, পুরুষের স্পর্শ ছাড়া নারীর গর্ভে সন্তান আসা খুবই সম্ভব'। আর যারা না বুঝেও অতিরিক্ত চিন্তা করেছে বাড়াবাড়ি করেছে সবকিছুকে নিজের বুঝের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করার চেস্টা করেছে - তারাই আজ ভুল-বিভ্রান্ত হিসেবে প্রমানিত হয়েছে।

আমি অত্যন্ত দু:খের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আপনার মধ্যেও সেই একই জিদ দেখা যাচ্ছে। সবকিছু নিজের বুঝের/জ্ঞানের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করতে হবে, করতেই হবে - কেন? কিছু বিষয় থাকুক না অন্য মানুষ বা ভবিষ্যতের মানুষদের জন্য।

ঘ. চিন্তা গবেষণার মাধ্যমে কোরআনের বক্তব্য অপরিবর্তিত রেখে দুনিয়াবী সমস্যার সমাধান করা কখনই কোরআন বিরোধী নয় - বরং এটাই বিজ্ঞান। যেমন: কোরানে বহুবার বলা হয়েছে 'আল্লাহ বৃস্টি বর্ষণ করেন'। অথচ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন 'পানিচক্রের কারণে বৃস্টি হয়'। এখন কি আপনি বলবেন এই সকল বিজ্ঞানী এবং যারা বিজ্ঞানের এই বক্তব্য বিশ্বাস করে তারা সবাই কোরআন বিরোধী? তাহলে কি সকল বিজ্ঞানের গবেষণা বাতিল করে দিতে হবে যাতে কোরআন বিরোধী কিছুই না হতে পারে? না কি এখন কোরআন সংশোধন করে লিখতে হবে ' আল্লাহ নন বরং পানি চক্রের মাধ্যমেই বৃস্টি হয়'? নাকি এখন 'পানিচক্রকে'ই আল্লাহ হিসেবে ব্যাখ্যা করতে হবে? - এর কোনটাই করার প্রয়োজন নাই, শুধু প্রশ্নটা ঘুরিয়ে দিন। কে বৃস্টিপাত ঘটান? - উত্তর: আল্লাহ, কিভাবে ঘটান? উত্তর: পানিচক্রের মাধ্যমে। তাহলে কোরআনও অক্ষত থাকে বিজ্ঞানও কাজ করার সুযোগ পায়। অন্যথায় বিজ্ঞান/চিন্তা-গবেষণাকে কোরআনের বিপরিতে দাড় করালে কোন সমাধানই পাওয়া সম্ভব না।

"যারা করেছে তাদের উপর আপনার বিশ্বাসের হেতু কি? তাদের পূর্ণ-অপূর্ণতার হিসাব নিয়েছেন?"

ঠিক বাংগালী রাজনীতিবিদেরমত কথা। রাজনীতিতে যখনই কোন দল বা নেতার বিরুদ্ধে কিছু বলা হয় তখনই তার সমর্থকরা প্রতিপক্ষ দল বা নেতার দোষ ত্রুটি বর্ণনার মাধ্যমে নিজেদের আপেক্ষিক ভালমানুষি প্রমানের নিকৃস্ট চেস্টা করে।

শরিয়তের আলেম বা গবেষকগন আপনারমত কোরআন বদলে দেয়ার বা সংস্কারের চিন্তাও করেন না। ওনারা সবসময়ই বলেন কোরআনের অনেক কিছুই ওনাদের বুঝের বাইরে। ওনারা কোরআনের সকল বক্তব্য সত্য মেনে শুধুমাত্র 'কিভাবে' নিয়ে চিন্তা করেন। তাই ওনাদের জ্ঞান/সাধনার পুর্ণতা অতটা জরুরী নয় - যতটা কোরআন সংস্কারকের জন্য অতি আবশ্বকীয়। ওনারা ভুল করলেও কোরআন অক্ষত থাকবে এবং ভবিষ্যতে অন্য কেউ সঠিক অর্থ খুজে পাবে। কিন্তু কোরআন সংস্কারক ভুল করে কোন কিছু মুঝে দিলে বা বদলে দিলে সেটা আর পুন:উদ্ধারের সম্ভানা থাকবে না। এই ভাবে সংস্কার ও অদল বদল করতে দিয়ে আমরা বাইবেলসহ সকল আসমানী গ্রন্থের মুল শিক্ষা/বক্তব্য হারিয়ে ফেলেছি। তাই সর্বশেষ অবলম্বন কোরআনকেও একই পদ্ধতিতে হারাতে চাই না।

" শরিয়তী ইমাম-আলেম নামে জোকার বিশ্বাসীদের ভেদ-বিচার,অনুভুতি-উপলব্দি বুদ্ধি প্রায় শতভাগ লোপ পেয়ে গেছে বলেই দুনিয়ায় ১ জন মাত্র নির্মল,নিখুত ‘মুছলিম’ দাবিদার নেই। ইব্লিছে দুনিয়া ভরে গেছে। "
- তাই? একামাত্র আপনি ছাড়া আর সবাই অজ্ঞ, মুর্খ, বুদ্ধিহীন - আর একমাত্র আপনিই সত্য জানেন, সঠিক পথ চেনেন? আহারে, সাত বিলিয়ন মানুষ কত বড় দুর্ভাগা যে তাদের মধ্যে একজনও মানুষ নাই, সব ইব্লিছ শয়তান! - এই দু:খেইতো আপনার কচুগাছে গলায় দড়ি দেয়া উচিত!! ( তর্কের খাতিরে একটু মজা করে বল্লাম, মনে কস্ট নিয়েন না )।

এটা যে কতবড় অহংকারের চিন্তা, আর অহংকারীর পরিনতি যে কত ভয়ংকর যদি একটু বুঝতেন!!!

১৬| ১৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

ম জ বাসার বলেছেন: (পূর্বাপর)
ছালাম,
৩. ম জ বাসার কোন ছাই স্বয়ং রাছুলও কুরআনের শতভাগ অর্থ বুঝতেন না;এজন্যই তিনি বুঝার জন্য হতাস হয়ে শুধু পড়তেই থাকতেন বলে আল্লাহ সান্তনা দেন যে,ঘন ঘন ঠোট নাড়িও না;যখন যা বুঝা দরকার তখন তা বলে দেয়া হবে (সুত্র: ৭৫: ১৬-১৯)
খ. নিজের বা অন্যের চিন্তা-যুক্তিই হোক! তা যতক্ষন পর্যন্ত কেহ খন্ডাতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত উহাকেই সত্য বলে সংগতবভাবে মানতে বাধ্য;যুক্তি-প্রমান ব্যতীত অস্বীকার করা বোকামী,হ্যাংড়ামী ও অন্ধ বিশ্বাস;জ্ঞান-বিজ্ঞান এই যুক্তির উপরই সত্য।
গ. কুরআনের অর্থ বদলে দিতে চাই কি না চাই তা যে অর্থ জানেনা তার পক্ষে বলাটা নির্বুদ্ধিতা;তবুও বলি ম জ বাসারের অনুবাদের বিপরীতে প্রচলিত অনুবাদের যুক্তি-প্রমান সম্বলিত ১টি উপমা হাজির করুন?সেটা নিয়ে আমরা বিতর্ক করবো।

ঘ. হ্যা! আরবী কেন সকল ভাষার ১টি শব্দের অনেক অর্থ আছে। আর সঠিক বলেছেন যে পুরো কুরআনের বিষয়বস্তু মাথায় রেখে প্রত্যেকটি শব্দ-বাক্যের সংগত অর্থটি গ্রহণ করতে হবে;সুন্দর কথা এবং এটা ম জ বাসারেরই শক্তিশালী উদ্ভাবন এবং এই যুক্তিতেই প্রচলিত অনুবাদকে স্থানভেদে অসংগত,মিথ্যা বা ভুল প্রমান করা হচ্ছে। যেহেতু সে অনুযায়ী প্রচলিত অনুবাদ করা হয়নি। ধন্যবাদ যে এতদিনে ম জ বাসারের একটি গুরুতর উদ্ভাবনকে সমর্থন করেছেন,দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের কিছটা মূল্যায়ন হলো;বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে ছোট-খাট বিষয়গুলি বুঝতে বেগ পেতে হবে না।
ঙ. হ্যা! এই অর্থেই ‘বাস্তব’ তবে অর্ধেকটা বুঝেছেন। ‘বাস্তব’ অর্থ বস্তু বা বস্তুভিত্তিক নয়; বাস্তব অর্থ সাক্ষি,যুক্তি-প্রমানভিত্তিক; যেমন:
* নিউট্রণ,প্রোটন,ইলেক্ট্রন ও এ্যটমের কোন বস্তু আপনার কাছে নেই;কিন্তু কোন এক ব্যক্তির কাছে আছে এবং সে সাক্ষি,যুক্তি-প্রমান দিয়ে জন সমক্ষে সাব্যস্ত করেছে।
* কাল,ইচ্ছা,শক্তি,ভালোবাসা,জ্ঞানের কোন বস্তু নেই;কিন্তু তা সকলেই স্ব স্ব প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় বাস্তবতার সাক্ষি। আরও সূক্ষ্মভাবে দেখুন:
* সুই কোন এককালে ছিল না। হঠাত্ কোন এক ব্যক্তির মাথায় সুইজ্ঞান ঢুকে;যখন সে উহা বস্তু আকার বা তৈরী করে ফেলেছে তখন সে সুই বিজ্ঞানী হয়ে প্রমান করেছে যে, মাথায় ঢুকার আগেও সুইটির অনস্তিত্বে অনস্তিত্ব স্বত্তা ছিল;না থাকলে তার মাথায় ঢুকলো ক্যামনে! ইহাই সুইটির অবস্তু/অনস্তিত্তের বাস্তবতা,বস্তু নয়।
* কুরআন বার বার বলে: শক্তি,ধৈয্য,জ্ঞান,প্রেম,ভালোবাসা,জন্ম-মৃত্যু,বিকাশ,প্রকাশ-অপ্রকাশ,বস্তু-অবস্তু,দৃশ্য-অদৃশ্য,সৃষ্টি-অসৃষ্টি,কাল-ধর্ম ব্যপীয়া বিরাজমান,আসন,অবস্থান বা আরশ। যে দিকে তাকাও সে দিকেই আল্লাহকে দেখতে পাও।
পক্ষান্তরে আপনার শরিয়ত আল্লাহর এ সকল বাস্তবতা অস্বীকার করত: বলে: কাল্পনিক নির্দিষ্ট,সীমিত,অকল্পনীয় বস্তুধারী আল্লাহ দুনিয়ায় থাকেন না। ৭ম আসমানের উর্দ্ধের উর্দ্ধের উর্দ্ধে বরই বাগানের পাশে (ছিদ্রাতুল মোন্তাহা) অবস্থান/আরশ। বছরে ২/১ বার ১ম/২য় আসমানে এসে সারা রাত চিত্‌কার করে ছোয়াব ফেরী করে সূর্য উঠার আগেই স্ব স্থানে ফিরে যান। আবার শরিয়তী মতান্তরে বলে: ৭ম তার ৭ম তার ৭ম আসমানের আসমানে সাগরের উর্দ্ধের উর্দ্ধে ৮টি পাঠার পিঠে আল্লাহর আরশ,আসন বা অবস্থান।
আশাকরি এবিষয় পুন: বিতর্ক হবে না। (শেষ)
বিনীত।
ছালাম,
৩. ম জ বাসার কোন ছাই স্বয়ং রাছুলও কুরআনের শতভাগ অর্থ বুঝতেন না; এজন্যই তিনি বুঝার জন্য হতাস হয়ে শুধু পড়তেই থাকতেন বলে আল্লাহ সান্তনা দেন যে, ঘন ঘন ঠোট নাড়িও না; যখন যা বুঝা দরকার তখন তা বলে দেয়া হবে (সুত্র: ৭৫: ১৬-১৯)
খ. নিজের বা অন্যের চিন্তা-যুক্তিই হোক! তা যতক্ষন পর্যন্ত কেহ খন্ডাতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত উহাকেই সত্য বলে সংগতবভাবে মানতে বাধ্য; যুক্তি-প্রমান ব্যতীত অস্বীকার করা বোকামী, হ্যাংড়ামী ও অন্ধ বিশ্বাস; জ্ঞান-বিজ্ঞান এই যুক্তির উপরই সত্য।
গ. কুরআনের অর্থ বদলে দিতে চাই কি না চাই তা যে অর্থ জানেনা তার পক্ষে বলাটা নির্বুদ্ধিতা; তবুও বলি ম জ বাসারের অনুবাদের বিপরীতে প্রচলিত অনুবাদের যুক্তি-প্রমান সম্বলিত ১টি উপমা হাজির করুন? সেটা নিয়ে আমরা বিতর্ক করবো।

ঘ. হ্যা! আরবী কেন সকল ভাষার ১টি শব্দের অনেক অর্থ আছে। আর সঠিক বলেছেন যে পুরো কুরআনের বিষয়বস্তু মাথায় রেখে প্রত্যেকটি শব্দ-বাক্যের সংগত অর্থটি গ্রহণ করতে হবে; সুন্দর কথা এবং এটা ম জ বাসারেরই শক্তিশালী উদ্ভাবন এবং এই যুক্তিতেই প্রচলিত অনুবাদকে স্থানভেদে অসংগত, মিথ্যা বা ভুল প্রমান করা হচ্ছে। যেহেতু সে অনুযায়ী প্রচলিত অনুবাদ করা হয়নি। ধন্যবাদ যে এতদিনে ম জ বাসারের একটি গুরুতর উদ্ভাবনকে সমর্থন করেছেন, দীর্ঘ তর্ক-বিতর্কের কিছটা মূল্যায়ন হলো; বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে ছোট-খাট বিষয়গুলি বুঝতে বেগ পেতে হবে না।


ঙ. হ্যা! এই অর্থেই ‘বাস্তব’ তবে অর্ধেকটা বুঝেছেন। ‘বাস্তব’ অর্থ বস্তু বা বস্তুভিত্তিক নয়; বাস্তব অর্থ সাক্ষি, যুক্তি-প্রমানভিত্তিক; যেমন:
* নিউট্রণ, প্রোটন, ইলেক্ট্রন ও এ্যটমের কোন বস্তু আপনার কাছে নেই; কিন্তু কোন এক ব্যক্তির কাছে আছে এবং সে সাক্ষি, যুক্তি-প্রমান দিয়ে জন সমক্ষে সাব্যস্ত করেছে।
* কাল, ইচ্ছা, শক্তি, ভালোবাসা, জ্ঞানের কোন বস্তু নেই; কিন্তু তা সকলেই স্ব স্ব প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় বাস্তবতার সাক্ষি। আরও সূক্ষ্মভাবে দেখুন:
* সুই কোন এককালে ছিল না। হঠাত্ কোন এক ব্যক্তির মাথায় সুইজ্ঞান ঢুকে; যখন সে উহা বস্তু আকার বা তৈরী করে ফেলেছে তখন সে সুই বিজ্ঞানী হয়ে প্রমান করেছে যে, মাথায় ঢুকার আগেও সুইটির অনস্তিত্বে অনস্তিত্ব স্বত্তা ছিল; না থাকলে তার মাথায় ঢুকলো ক্যামনে! ইহাই সুইটির অবস্তু/অনস্তিত্তের বাস্তবতা, বস্তু নয়।
* কুরআন বার বার বলে: শক্তি, ধৈয্য, জ্ঞান, প্রেম, ভালোবাসা, জন্ম-মৃত্যু, বিকাশ, প্রকাশ-অপ্রকাশ, বস্তু-অবস্তু, দৃশ্য-অদৃশ্য, সৃষ্টি-অসৃষ্টি, কাল-ধর্ম ব্যপীয়া বিরাজমান, আসন, অবস্থান বা আরশ। যে দিকে তাকাও সে দিকেই আল্লাহকে দেখতে পাও।
পক্ষান্তরে আপনার শরিয়ত আল্লাহর এ সকল বাস্তবতা অস্বীকার করত: বলে: কাল্পনিক নির্দিষ্ট, সীমিত, অকল্পনীয় বস্তুধারী আল্লাহ দুনিয়ায় থাকেন না। ৭ম আসমানের উর্দ্ধের উর্দ্ধের উর্দ্ধে বরই বাগানের পাশে (ছিদ্রাতুল মোন্তাহা) অবস্থান/আরশ। বছরে ২/১ বার ১ম/২য় আসমানে এসে সারা রাত চিত্‌কার করে ছোয়াব ফেরী করে সূর্য উঠার আগেই স্ব স্থানে ফিরে যান। আবার শরিয়তী মতান্তরে বলে: ৭ম তার ৭ম তার ৭ম আসমানের আসমানে সাগরের উর্দ্ধের উর্দ্ধে ৮টি পাঠার পিঠে আল্লাহর আরশ, আসন বা অবস্থান।
আশাকরি এবিষয় পুন: বিতর্ক হবে না। (শেষ)
বিনীত।

১৭| ১৯ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
২. ক্ষতি কিছুই নেই;তবে ১৬ নং উত্তরের সুত্র মতে সুই আবিস্কারের মত ফেরেস্তা,জ্বিন, শয়তানের বাস্তবতা প্রমান করতে হবে;যতদিনে না পারবে ততদিনে অনুবাদ ভুল,মিথ্যা বলে প্রতিপন্ন হবে।
খ. না। কুরআন মতে কাল্পনিক কিছুই নেই;১৬ নংএ ই স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে;স্বয়ং আল্লাহও কাল্পনিক কিছু নয়।
২গ. হ্যা যে বিষয় জ্ঞান নেই সে বিষয় বাড়াবাড়ি-বিতর্ক করা তো দূরের কথা! বিশ্বাস এবং অনুসরণ করাই নিশিদ্ধ। যা সাক্ষি,যুক্তি-প্রমানিক সাব্যস্থ করা গেছে শুধু মাত্র ইহাই প্রকাশ করা হয়েছে। ইহা ‘জিদ’ বল্লে বাড়াবাড়ি করা হয় ;প্রমানিত বিষয়কে জিদ মনে করলে কারো কিছু বলার নেই।
নিচের কুরআন মানলে মানুন না মানলে এ নিয়ে পুন: বিতর্ক অনুচিত:
সত্যের বিপরীতে ধারণা,কল্পনা,অনুমান কোনই কাজে আসে না (সুত্র: ২: ৭৮;৩: ৭৮;৬: ১১৬;১০: ৩৬)
সুতরাং ক্ষুদ্র সময় অতি সীমিত পরিবেশে পূর্ণ কুরআনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ম জ বাসারের কাছে দাবি করা, বারবার চাপ দেয়া স্ব বিরোধীতা নয় কি! রাছুল স্বয়ং আলিফ-লাম-মীমসহ ১৪ সাংকেতিক বাক্যের অর্থ করতে পারেননি বলে শরিয়ত এক বাক্যে স্বীকার করে থাকে। কালের ব্যবধানে রাছুল পারেননি বলে আর কেহ পারবে না এমন ভ্রান্ত ধারণা আশা করি আপনার এক্ষণে ত্যাগ করতে সমস্যা হবে না।
যেমন: কোরআনে আল্লাহ বলেছেন ইসা(আ.) এর জন্ম হয়েছে নারী পুরুষের স্বাভাবিক মিলন ছাড়া।
না! এমন আজগোবী কথা কোরান বলেনি;যদি কোন অনুবাদে পেয়ে থাকেন তবে তা ভুল, গাজাখোরী। মূলত: মূল কুরআনের ভাষা বুঝা ব্যতীত ব্যবসাভিত্তিক পরস্পর সাংঘষীক অনুবাদ নিয়ে বিতর্কের কোন ইতিবাচক ফল নেই।
পুরুষের স্পর্শ ছাড়া নারীর গর্ভে সন্তান আসা খুবই সম্ভব'।
না। ধারণাটা অবাস্তব,অসম্ভব,গাজাখোরী;কুরআনে এমন ইংগীত দেয়নি। কোলন-বোলন যাই বলুন উহা নারী ব্যতীত ২য় ব্যক্তিত্বের সংযোগ;উহাই পুরুষের প্রতিনিধি। জ্ঞান খাটান যে,মরিয়মের কাছে ‘একজন যৌবনধারী পুরুষ আসার’ খবরটি কেন দিল?খবরটা একজন নারী দিলেই তো শরিয়তের ধারণা এবং আপনার কোলনের যুক্তি বাস্তব প্রমান করতে পারতেন। কিন্তু আল্লাহ সেখানে একজন নারীর কাছে পুরুষ পাঠালেন কেন?আর ‘পুরুষে’ কথা উল্লেখই বা করলেন কেন?
ঘ. চিন্তা গবেষণার মাধ্যমে কোরআনের বক্তব্য অপরিবর্তিত রেখে দুনিয়াবী সমস্যার সমাধান করা কখনই কোরান বিরোধী নয়
ঘ. ম জ বাসার প্রধানত: বিশেষত্ব আরবী কুরআন নিয়ে শতভাগ কথা বলে না;সে সাধারণত: পরস্পর পার্থক্য সম্বলিত অনুবাদ নিয়ে কথা বলে। সম্পত্তি বন্টনের দুনিয়াবী সমস্যার সমাধান দিতে শরিয়ত ব্যর্থ হয়েছে। সমাধিত অংকের আবার সমাধান থাকে কি?
হাস্যকর বিষয় ২/৩ বার উত্থাপণ করেছেন। আল্লাহ শুধুমাত্র বৃস্টিই বর্ষণ করে না। আপনার/আমার,ইমাম-আলেম,দৃশ্য-অদৃশ্য,সৃষ্টি-অসৃষ্টির ঘটিত সবকিছুই করেন। ক্যামনে করেন সে বিষয় জ্ঞান-গবেষণা করতে বলেছেন এবং বিজ্ঞান তাইই করছে আর আপনারা তাবিজ ধুয়ে পানি খাচ্ছেন।
রাজনীতি ধর্মের অংশ বা অধিন;আপনার কেন তাতে আপত্তি বোধগম্য নয়। বিজ্ঞান কুরআনের মূল ও প্রধান অংগ। আপনার শরিয়ত তা অস্বীকার করে কেন?
না;সংশোধন করে লিখতে হবে না। আরবী শব্দ ‘আল্লাহ’র অর্থ জানলে আপনার প্রশ্নগুলি স্বভাবতই অকেজো হাস্যকর প্রমানিত হয়।
জনাব,
আসমানী গ্রন্থের অর্থ কি?কুরআন কি আসমান থেকে ধপাস করে পড়েছে?বাইবেল প্রভুতির মত কুরআন গ্রন্থ যে রদ-বদল হয়নি তার কোন সাক্ষি-প্রমান দিতে পারেন না। নকলের গায়ে লেখা আছে ‘নকল থেকে সাবধান’ আর অমনি নকলকে আসল ভাবা শুরু করেছেন। শরিয়তের আলেম-মোল্লারাই তো এই কুরআন গ্রন্থ নিয়ে ১৪শ বছর যাবত তর্ক-বিতর্ক করছেন। তাদের সম্বন্ধে আপনার বক্তব্য কি?আশাকরি বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না।
গুরুজী!
ম জ বাসারের কথা মিথ্যা হলে এক্ষণে দুনিয়ায় ১ জন বা ক্ষুদ্র ১টি দলের পরিচয় দিন যে বা যারা একমাত্র ‘মুছলিম’ বলে দাবি করে থাকে। না পারলে ৭/১০ বিলিয়ন মানুষ দুর্ভাগা,ভ্রষ্ট,বিভ্রান্ত’ কথাটা মেনে নিয়ে কুরআন/রাছুল প্রণীত ‘মুছলিম’ হওয়ার চেষ্টা করুণ?আশাকরি এ প্রশ্নটাও এড়াবেন না। তবে এটা স্বীকার্য যে কিছু সম্ভবত আছে যারা শিয়া/ছুন্নী প্রভৃতি দাবি করে না; কিন্তু তাদের ঠিকানা আপনার/আমার কাছে নেই; আপানিও তাদের হাজির করতে পারবেন না। তারা ৭ বিলিয়ন হিসাবের বাহিরে। যেমন ম জ বাসার তার বাবা তার নানা এবং যারা সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণ করেছে। তবে ম জ বাসার এবঙ তার সমর্থগণ দাবি করে মাত্র;বিচর আল্লাহ।
ম জ বাসার অহংকার করবে কি নিয়ে;তার তো নিজস্ব কিছু নেই দাবি দাওয়াও নেই; তবুও ‘অহংকার অহংকার’ বলে কষ্ট পাচ্ছেন কেন?
আপনাকে ১টি অনুরোধ করি গুরুজী! এত লম্বা বিতর্কে কষ্ট হয় এবং ইতিবাচক ফল হয় না। আপনি আপনার কথা বলেন,ম জ বাসার তার কথা বলে। তাই বরং ১টি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে আসুন;সেটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ২য়টি আনবেন না। শুভ কামনায়
বিনীত।

১৮| ২০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

ম জ বাসার বলেছেন: সুত্র: ১৩ নং মন্তব্য

ছালাম মুরশিদ,

‘আল্লাহ’ বিষয়টি ধর্মাধর্মের চুড়ান্ত অবস্থা; সুতরাং এটা নিয়ে পুন: পুন: বিতর্ক চলতে পারে; আপনাকে ধন্যবাদ
১. আপনিই বল্লেন শরিয়তের আল্লাহ কাল্পনিক-আর আপনার আল্লাহ বাস্তব। আবার এখানে এসে শরিয়তকে অভিযুক্ত করলেন আল্লাহকে অস্তিত্বধারী তথা বাস্তব বানানোর জন্য!! (মুরশিদ)
উত্তর: ম জ বাসার বলেনি। আপনার শরিয়ত বলেছে যে, আল্লাহ ৭ম আসমানের উর্দ্ধের উর্দ্ধের বরই বাগানে থাকেন; পৃথিবীতে থাকেন না কিন্তু বছরে ২ বার ১ম আসমানে এসে রাতভর ছোয়াব ফেরী করে সূর্য উঠার আগেই আবার বরই বাগানে ফিরে যান; সুতরাং এই আল্লাহ নির্দিষ্ট ও সীমিত আকৃতিধারী ‘দেহ/বস্তু’ প্রমান করে; তা না হলে এমনটি সম্ভব নয়। অথচ তার অস্থিত্ব/বস্তুত্ব প্রমান করতে ব্যর্থ অতএব ইহা নিতান্ত কাল্পনিক বস্তু বৈ অন্য কিছু নয়! যার কোন বাস্তবতা নেই।
খ. বস্তু ও বাস্তবতা ঢের পার্থক্য; আমার আল্লাহকে বস্তু বলিনি, বাস্তবতা বলা হয়েছে; স্মরণ নেই, কোথাও বলে থাকলে মাফ করত: সংশোধন করে নিন।
গ. আমিত্ব-শক্তি-ইচ্ছা ও জ্ঞানের অস্তিত্ব/বস্তুত্ব নেই, কিন্তু অনস্তিত্বের বাস্তবতা আছে; যা আস্তিক-নাস্তিক সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করে; শরিয়তের আল্লাহ সম্বন্ধে আস্তিক-নাস্তিকদের মধ্যে ঘোর বিরোধ থাকলেও কুরআনের আল্লাহর সাথে তিল পরিমানও বিরোধ নেই; ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মানতে বাধ্যই বাধ্য। আপনার কাছে নতুন মনে হলেও এ কথা ম জ বাসারের নতুন আবিস্কার নয়, কুরআনই ঘোষনা করে যে, মানুষ-অমানুষ, পশু-পক্ষি, লতা-পাতা, পাহাড়-পর্বত, দৃশ্য-অদৃশ্য সবকিছুই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় উপাস্যের ছালাত-প্রার্থনা বা স্বীকার-সমর্থন করে (সাক্ষি: ১৭: ৪৪; ১৬: ৪৯; ২২: ১৮; ২৪: ৪১; ৬৪: ১)।
কিন্তু বিভ্রান্ত শরিয়ত ১৪শ বছর পর্যন্ত আয়াতটির বাস্তবতা প্রমান করতে অসমর্থ হয়েছে; তবুও অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে একদলকে নাস্তিক বলে গালি দিচ্ছে, অজ্ঞ-আহম্মকদের মত খুনাখুনি করছে।
ঘ. নি:সন্দেহ নিবেদিত চিত্তে স্বীকার সমর্থন করাই রুকু, সেজদা-ছালাত, প্রার্থনা-প্রশংসা। হৃদয়ে অহং, গোড়ামী, হ্যাংড়ামী সমুন্নত রেখে মাটিতে হাজার বার মাথা লুটানো নামাজ কুরআনের নয় বরং কুরআনের বিপরীতে শরিতের স্ব রচিত।
ঙ. আমিত্ব-শক্তি-ইচ্ছা ও জ্ঞানের সর্বনাম আল্লাহ; যা অসৃষ্ট, অপরিবর্তনীয়, অবস্তু, অনস্তিত্ব, অনন্ত, অসীম, চিরস্থায়ী ও অনির্ভরশীল; একক কোষহীন, অমূখাপেখী একাকার; কিন্তু তা বাস্তব; সাক্ষি-প্রমান: আপনি/আমি অর্থাত সৃষ্টি-অসৃষ্ট; একুনে অসৃষ্টি+ সৃষ্টির সর্বনাম=উপাস্য, আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবান বা গড।
১টি বাদে অপরটি মিথ্যা, ভুল বিভ্রান্তকর খন্ডবাদী বা শিরকী । এইই কুরআনসহ সকল ধর্মের একক ধর্মমন্ত্র বা সুত্র: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, একব্রম্মা দ্বিতীয় নাস্তি, নো গড বাট ওয়াননেস বা এই আছে এই নেই। নিগেটিভ-পজেটিভ। এই কলেমায় যারা অবিশ্বাসী মূলত: তারাই প্রকৃত নাস্তিক; কিন্তু প্রচলিত নাস্তিকবাদীগণ ‘নাস্তিক’ নন, ধর্মবাদী; কারণ তারাও নির্দিষ্ট একটি বিধান/নীতি বা বিশ্বাসের অধিন।
চ. হ্যা আমিত্ব-শক্তি-ইচ্ছা ও জ্ঞানের ঘর্ষন, যোজন-বিয়োজন, বিবর্তনে অনবরত সৃষ্টি-লয়, বস্তু-অবস্তুত্ব লাভ করে এবং তখন থেকেই উহাদের আবর্তন, পরিবর্তন, বিবর্তন, পুন: জন্মচক্রে চক্রিত হয়; এর আগে নয়। কিন্তু সর্বনাম ‘আল্লাহ’ সর্বদাই চিরস্থায়ী।

২. "কোন একটা সীমায় না পৌছা পর্যন্ত প্রেরণাপ্রাপ্ত বা নবি-রাছুল বলে সাব্যস্ত হয় না;ম জ বাসার সে সীমায় পৌছেনি" (মুশিদ)
উত্তর: না। ম জ বাসার বলেনি। ‘কোন একটা সীমা’ বলা হয়েছে; ইহাতে ‘পূর্ণতা’র অর্থ নির্মান করে না।
বি:দ্র: নির্দিষ্ট বিষয়টিতে সন্তুষ্ট না হলে শুধুমাত্র এটা নিয়েই বিতর্ক চলতে পারে। শুভ কামনায়
বিনীত।

ছালাম,
‘আল্লাহ’ বিষয়টি ধর্মাধর্মের চুড়ান্ত অবস্থা; সুতরাং এটা নিয়ে পুন: পুন: বিতর্ক চলতে পারে; আপনাকে ধন্যবাদ।
১. আপনিই বল্লেন শরিয়তের আল্লাহ কাল্পনিক - আর আপনার আল্লাহ বাস্তব। আবার এখানে এসে শরিয়তকে অভিযুক্ত করলেন আল্লাহকে অস্তিত্বধারী তথা বাস্তব বানানোর জন্য!!
উত্তর: ম জ বাসার বলেনি। আপনার শরিয়ত বলেছে যে, আল্লাহ ৭ম আসমানের উর্দ্ধের উর্দ্ধের বরই বাগানে থাকেন; পৃথিবীতে থাকেন না কিন্তু বছরে ২ বার ১ম আসমানে এসে রাতভর ছোয়াব ফেরী করে সূর্য উঠার আগেই আবার বরই বাগানে ফিরে যান; সুতরাং এই আল্লাহ নির্দিষ্ট ও সীমিত আকৃতিধারী ‘দেহ/বস্তু’ প্রমান করে; তা না হলে এমনটি সম্ভব নয়। অথচ তার অস্থিত্ব/বস্তুত্ব প্রমান করতে ব্যর্থ অতএব ইহা নিতান্ত কাল্পনিক বস্তু বৈ অন্য কিছু নয়! যার কোন বাস্তবতা নেই।
খ. বস্তু ও বাস্তবতা ঢের পার্থক্য; আমার আল্লাহকে বস্তু বলিনি, বাস্তবতা বলা হয়েছে; স্মরণ নেই, কোথাও বলে থাকলে মাফ করত: সংশোধন করে নিন।
গ. আমিত্ব-শক্তি-ইচ্ছা ও জ্ঞানের অস্তিত্ব/বস্তুত্ব নেই, কিন্তু অনস্তিত্বের বাস্তবতা আছে; যা আস্তিক-নাস্তিক সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করে; শরিয়তের আল্লাহ সম্বন্ধে আস্তিক-নাস্তিকদের মধ্যে ঘোর বিরোধ থাকলেও কুরআনের আল্লাহর সাথে তিল পরিমানও বিরোধ নেই; ইচ্ছায় অনিচ্ছায় মানতে বাধ্যই বাধ্য। আপনার কাছে নতুন মনে হলেও এ কথা ম জ বাসারের নতুন আবিস্কার নয়, কুরআনই ঘোষনা করে যে, মানুষ-অমানুষ, পশু-পক্ষি, লতা-পাতা, পাহাড়-পর্বত, দৃশ্য-অদৃশ্য সবকিছুই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় উপাস্যের ছালাত-প্রার্থনা বা স্বীকার-সমর্থন করে (সাক্ষি: ১৭: ৪৪; ১৬: ৪৯; ২২: ১৮; ২৪: ৪১; ৬৪: ১)।
কিন্তু বিভ্রান্ত শরিয়ত ১৪শ বছর পর্যন্ত আয়াতটির বাস্তবতা প্রমান করতে অসমর্থ হয়েছে; তবুও অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে একদলকে নাস্তিক বলে গালি দিচ্ছে, অজ্ঞ-আহম্মকদের মত খুনাখুনি করছে।
ঘ. নি:সন্দেহ নিবেদিত চিত্তে স্বীকার সমর্থন করাই রুকু, সেজদা-ছালাত, প্রার্থনা-প্রশংসা। হৃদয়ে অহং, গোড়ামী, হ্যাংড়ামী সমুন্নত রেখে মাটিতে হাজার বার মাথা লুটানো নামাজ কুরআনের নয় বরং কুরআনের বিপরীতে শরিতের স্ব রচিত।
ঙ. আমিত্ব-শক্তি-ইচ্ছা ও জ্ঞানের সর্বনাম আল্লাহ; যা অসৃষ্ট, অপরিবর্তনীয়, অবস্তু, অনস্তিত্ব, অনন্ত, অসীম, চিরস্থায়ী ও অনির্ভরশীল; একক কোষহীন, অমূখাপেখী একাকার; কিন্তু তা বাস্তব; সাক্ষি-প্রমান: আপনি/আমি অর্থাত সৃষ্টি-অসৃষ্ট; একুনে অসৃষ্টি+ সৃষ্টির সর্বনাম=উপাস্য, আল্লাহ, ঈশ্বর, ভগবান বা গড।
১টি বাদে অপরটি মিথ্যা, ভুল বিভ্রান্তকর শিরকী । এইই কুরআনসহ সকল ধর্মের একক ধর্মমন্ত্র বা সুত্র: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, একব্রম্মা দ্বিতীয় নাস্তি, নো গড বাট ওয়াননেস বা এই আছে এই নেই। নিগেটিভ-পজেটিভ। এই কলেমায় যারা অবিশ্বাসী মূলত: তারাই প্রকৃত নাস্তিক; কিন্তু প্রচলিত নাস্তিকবাদীগণ ‘নাস্তিক’ নন, ধর্মবাদী; কারণ তারাও নির্দিষ্ট একটি বিধান/নীতি বা বিশ্বাসের অধিন।
চ. হ্যা আমিত্ব-শক্তি-ইচ্ছা ও জ্ঞানের ঘর্ষন, যোজন-বিয়োজন, বিবর্তনে অনবরত সৃষ্টি-লয়, বস্তু-অবস্তুত্ব লাভ করে এবং তখন থেকেই উহাদের আবর্তন, পরিবর্তন, বিবর্তন, পুন: জন্মচক্রে চক্রিত হয়; এর আগে নয়। কিন্তু সর্বনাম ‘আল্লাহ’ সর্বদাই চিরস্থায়ী।


"কোন একটা সীমায় না পৌছা পর্যন্ত প্রেরণাপ্রাপ্ত বা নবি-রাছুল বলে সাব্যস্ত হয় না;ম জ বাসার সে সীমায় পৌছেনি"
উত্তর: না। ম জ বাসার বলেনি। ‘কোন একটা সীমা’ বলা হয়েছে; ইহাতে ‘পূর্ণতা’র অর্থ নির্মান করে না।
বি:দ্র: নির্দিষ্ট বিষয়টিতে সন্তুষ্ট না হলে শুধুমাত্র এটা নিয়েই বিতর্ক চলতে পারে। শুভ কামনায়
বিনীত।

১৯| ২০ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: দু:খিত, আমি এই বারের আলোচনার শুরুতেই ঠিক করেছিলাম যে আপনাকে কোন কিছু বুঝানোর বা মানানোর চেস্টা করব না। শুধুমাত্র আপনার কথার যে দিকগুলি সাধরান মানুষের যুক্তি বোধের দিক থেকে অস্বাভাবিক অযৌক্তিক মনে হয় সেগুলিই তুলে ধরার চেস্টা করব। কিন্তু কথাপ্রসঙ্গে বিভিন্ন বিষয় এসেই যাচ্ছে।

যাই হোক, আপনার এই প্রস্তাবটি আমার ভাল লেগেছে যে আমরা যেকোন একটা নির্দিস্ট বিষয়ে কথা বলতে পারি। তবে আমার আগের সিদ্ধান্ত অনুসারে আপনাকে কিছু মানানোর চেস্টা করব না। আমি আমার কথা বলব - আপনি আপনার কথা বলবেন - একের কথা অন্যের কাছে যতটুকু যুক্তিপুর্ণ বা গ্রহনযোগ্য হবে ততটুকু মেনে নেব ( মেনে নেয়াটা ঘোষণা দেয়ারও প্রয়োজন নাই, মনে থাকলেই হল ), না হলে অন্য প্রসঙ্গে চলে যাব। ঠিক আছে?


তাহলে আপনার প্রস্তাবিত বিষয় দিয়েই শুরু করি:

"কোন একটা সীমায় না পৌছা পর্যন্ত প্রেরণাপ্রাপ্ত বা নবি-রাছুল বলে সাব্যস্ত হয় না;ম জ বাসার সে সীমায় পৌছেনি"
উত্তর: না। ম জ বাসার বলেনি। ‘কোন একটা সীমা’ বলা হয়েছে; ইহাতে ‘পূর্ণতা’র অর্থ নির্মান করে না।

বক্তব্য বা মাবিক উপলব্ধি প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আর আমি খুব ভাল মানের লেখকও নই। তাই উদারণের উপর বেশি নির্ভর করতে হয়। যদি উদারণগুলির মুল বক্তব্য/চেতনা একটু গভীর ভাবে লক্ষ করেন তাহলে হয়ত বুঝতে পারবেন যে আমি আসলে কী বুঝাতে চাইছি।

উদারণ: এক লোকের শরীরে বিভিন্ন রোগলক্ষণ দেখা দিয়েছে। সে যেমন কস্ট পাচ্ছে তেমনি এটাও বুঝতে পারছে যে উপযুক্ত চিকিৎসা ছাড়া এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় নাই। তো বিভিন্ন জনের পরামর্শে সে হোমিওপ‌্যাথী, কবিরাজি, বা পাড়ার ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছে - তাতে রোগের উপষম তেমন একটা হচ্ছে না।

এই সময় এক লোক তাকে বল্ল যে তোমার এই রোগের আসল কারণ আমি জানি। এটা হার্টের রোগ এবং মুক্তির একমাত্র উপায় হচ্ছে ওপেন হার্ট সার্জারি। রুগি অন্যসব চিকিৎসা থেকে মোটামুটি হতাশ হয়ে জমিজমা সহায় সম্বল বিক্রি করে ঐ লোকের চেম্বারে হাজির হল ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য। যখন অপারেশণের আয়োজন প্রায় চুড়ান্ত - তখন কৌতুলবশত রুগী ঐ লোকের কাছে তার যোগ্যতার বিষয়টি জানতে চাইল।

তখন যদি সেই লোক বলে: আমি আসলে একজন গবেষক, মানুষের রোগ বালাই নিয়ে গবেষণা চিন্তা ভাবনা করি। তবে সার্জন হওয়ার জন্য লেখাপড়া ও প‌্রাকটিসের যে ‘কোন একটা সীমা’ অতিক্রম করতে হয় আমি সেই পর্যায়ে এখনও পৌছাতে পারি নাই - তখন রুগীর অবস্থা কেমন হবে??

রুগী কি এই গবেষকের কাছে ওপেন হার্ট সার্জারির জন্য নিজেকে সপে দেবে না এই পাগলের আস্তানা থেকে পালিয়ে বাঁচবে??

আশা করি এই প্রসঙ্গে আমার বক্তব্য বুঝতে পেরেছেন - এটা হচ্ছে স্বাধারণ মানুষের যুক্তি-বোধের কথা, যদি সম্ভব হয় সাধারণ মানুষের যুক্তিবোধের ভিত্তিতেই এর জবাব দেবেন - না হলে অন্য প্রসঙ্গে যাওয়া যেতে পারে।

২০| ২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৪০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ধর্ম বা যে কোন বিষয় কাউকে বুঝাতে হলে সে বিষয় সাক্ষি, যুক্তি-প্রমান/বাস্তবিক বক্তব্য রাখতে হয়। দুনিয়ার সকল ক্ষেত্রের সকল অনুমান-অন্ধ বিশ্বাসীরা প্রধানত: প্রতারিত হয়, আখের হয় ০ (দ্র: ২: ৭৮; ৩: ৭৮; ৬: ১১৬; ১০: ৩৬)।
তারা উভয়ই অন্ধ বিশ্বাসী ছিল; রোগীর শেষের প্রশ্নটি আগেই করলে অন্ধত্ব দূর হতো; প্রতারক কর্তৃক প্রতারিত হতো না। আর হেন প্রবক্তা ও শ্রোতার এনার্জি ও সময় নষ্ট হতো না।
২. বারবার ঘোষনা করা হয় যে, জানা মতে ম জ বাসারের সকল ধর্মীয় লেখাই সাক্ষি ও যুক্তি-প্রামানিক এবং বাস্তবিক; পরীক্ষা করুক! অত:পর গ্রহণ/বর্জন করুক।
বিনীত।

২১| ২৩ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ১. আগে কি করেছে না করেছে সেটা গুরুত্বপুর্ণ নয় - বরং যখনই রুগী জানল যে এই ব্যাক্তির সার্জারী অপারেশণ করার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা নাই যেটা সে নিজেই ঘোষণা করছে তখন তার করণীয় কী হওয়া উচিত সেটাই ছিল প্রশ্ন।

২. তাহলে কি রুগী ঐ ব্যক্তিকে ওপেন হার্ট সার্জারী করার সুযোগ দিয়ে পরীক্ষা করবে যে ঐ লোকের সার্জারীর যোগ্যতা আছে কি না? তার পর নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি অনুযায়ী বিবেচনা করবে সার্জারীর কোন কাজটি গ্রহনযোগ্য আর কোনটি নয়?

উদাহরণ মাত্রই রূপক: এখানে রুগীর স্থানে মুসলিম জাতি, হার্টের স্থানে কোরআন আর ঐ চিকিৎসকের স্থানে নিজেকে বসিয়ে বিচার করুন। মুসলিম জাতি কি ঐ রুগির হার্টের মত কোরআনের উপর আপনাকে কাট-ছাট করার সুযোগ দিয়ে তার পর বিচার করবে যে কোনটি সঠিক হল আর কোনটি হল ভুল?

না কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে যেমন ঐ আনাড়ী প্রয়োজনীয় যোগ্যতাহীন সার্জনকে নিজের হর্টের অপারেশন করার সুযোগ দিয়ে তার পর তার কাজের গ্রহনযোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব নয় তেমনি কোন মুসলমানের পক্ষেও এমন কাউকে ইসলামের হৃদয় কোরআনে হাত দিতে দেয়া সম্ভব নয় যে নিজেই ঘোষনা করে নবী/রাসুল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সীমায় এখনও পৌছাতে পারে নাই। যদি কেউ এমনটা করে তাকে নিতান্তই আহাম্মক/বেকুব ছাড়া আর কিছুই ভাবা যায় না।

হ্যা, হাজার প্রকার মানুষ নিয়ে গঠিত এই সমাজে নিশ্চয়ই এমন মুর্খ আহম্মকের উপস্থিতিও আছে যে ঐ রকম অযোগ্য চিকিৎসকের হাতে নিজের হার্টও তুলে দিতে পারে। আর আছে কিছু ধান্দাবাজ প্রতারক যারা নিজেদের ভিন্ন কোন স্বার্থে এইধরনের লোকদের উৎসাহ দিয়ে বেড়ায় আর মনে মনে কৌতুক অনুভব করে।

এরা আছে বলেই আপনার আশেপাশেও কিছু লোক ঠিকই জুটে গেছে। তারা আসলে আপনার কল্যান করছে না বরং আপনাকে আরো বিপজ্জনক অধ:পতনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আবার বাংলা প্রবাদ: বোকা বন্ধুর চেয়ে বুদ্ধিমান শত্রুও উত্তম।

যাই হোক, এই প্রসঙ্গের মনে হয় এখানেই সমাপ্তি টানা যেতে পারে। এই বিষয়টি আমি উপস্থাপন করেছি - পরের বিষয়টি আশা করি আপনি উপস্থাপন করবেন।

২২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. উত্তরটা ম জ বাসারের ব্যক্তিগত ছিল না বরং কুরআনের অনুসরণেই: যা কিছু কর তা আগেই জেনে বুঝে অত:পর কর; না বুঝা পর্যন্ত করিও না (১৭: ৩৬); এখানে রোগী কুরআনের আয়াতটি অনুসরণ করলে প্রতারক কর্তৃক প্রতারিত হতো না।
গুরূ! সার্জারী করার সুযোগ দেয়ার আগেই তাকে নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল যে, সে ডাক্তার, সার্জন, ক্লিনিক, হাসপাতাল কিনা!
২. সেটা জেনে বুঝেই ম জ বাসারের বক্তব্য পরীক্ষা নিরীক্ষার আহ্বান করা হয়েছে। আবারও বলি: ১৭: ৩৬ আয়াতটি বুঝলে, মানলে, অনুসরণ করলে আর কোন সমস্যার সৃষ্টি হয় না।
৩. যা হোক ইতিবাচক অবস্থায় এসেছেন জেনেই আশ্বস্তি বোধ করছি। অন্তত ১টি বিষয় সমাধান হলো।
৪. পরবর্তি যে কোন বিষয় নির্ধারণ বা উত্থাপণ শতভাগ আপনার দায় দায়িত্ব; ম জ বাসারের দায় প্রকাশিত বই, বা প্রতিবেদনগুলী; এখন দায়িত্ব শুধুমাত্র আত্মরক্ষা করা। শুভ কামনায়
বিনীত।

২৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: " সার্জারী করার সুযোগ দেয়ার আগেই তাকে নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল যে, সে ডাক্তার, সার্জন, ক্লিনিক, হাসপাতাল কিনা! "

ঠিক একই ভাবে আল্লাহর বানী কোরআন সংস্কার বা কোরআনের ভুল-ভ্রান্তি নিরুপনের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত হিসেবে কাউকে মানার আগে নিশ্চিত হওয়া উচিত যে সে আল্লাহর মনোনিত নবী/রাসুল কী না। যে নিজেই নিজের নবী/রাসুলের সীমায় পৌছানোর ব্যাপারে নিশ্চিত নয় তার হাতে কোরআন সংস্কারের কর্তৃত্ব/দ্বিয়িত্ব কীভাবে দেয়া যায়? সুতরাং কোরআনের ভুল ধরার বা সংশোধনের চেস্টা না করাই উত্তম।

আল্লাহ নিশ্চয়ই চুড়ান্ত ন্যয় বিচারক। মানুষের বিচারেই দেখুন - পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকলে সেই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেস্টা করলেই পুর্ণ নম্বর দেয়ার ব্যাবস্থা থাকে। আল্লাহর বিচারে কি থাকবে না? যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে কোরআনে ভুল আছে তবুও ছাত্র/পরীক্ষার্থী হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব উত্তর দেয়ার চেস্টা করে যাওয়া। যদি সত্যিই কোন ভুল থাকে তাহলে সেই বিষয়ে শুধুমাত্র সাধ্যমত চেস্টার জন্যই আমরা পুর্ণ নম্বর পাব। আর যদি কোরআন এতটাই পরিবর্তিত হয়ে যায় যে সংস্কার ছাড়া পরীক্ষা নেয়াই যাচ্ছে না - তাহলে কর্তৃপক্ষ ( আল্লাহ ) উপযুক্ত প্রতিনিধী (নবী/রাসুল) পাঠিয়েই তা করবেন - কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে নবী ঈসা(আ.) এর পর ছয়শ বছরেই মুহাম্মদ(স.) এর আগমন হলেও পরবর্তী চৌদ্দশ বছরেও কেউ সেই দ্বায়িত্ব পায় নাই - অর্থাৎ আল্লাহর বিচারে কোরআন এখনও অতটা পরিবর্তিত হয় নাই যাতে নতুন নবী/রাসুল মনোনিত করে তা সংশোধন করতে হবে।

৩. সুতরাং এই বিষয়টি এভাবেই সমাধান হল:
নবী/রাসুলের সীমায় উপনীত না হওয়া কোন বান্দা/পরীক্ষার্থীর পক্ষে কখনই শোভনীয় নয় প্রশ্নপত্র/কোরআনের ভুল নিয়ে চিন্তিত/বিচলিত হওয়া। আমাদের কাজ শুধুমাত্র নিজ নিজ সামর্থ অনুসারে উত্তর দেয়ার /কোরআন অনুসরনের চেস্টা করা। বাকি আল্লাহ ভরসা।

এটা আপনার ব্লগ - লেখাটাও আপনার। এ'খানে আমাকে বিষয় নির্ধারণের দ্বায়িত্ব দিয়েতো বিপদেই ফেল্লেন। আমি বিষয় নির্ধারণ করে কিছু বল্লে সেটা যে আপনার মনোপুত হবে না তা প্রায় নিশ্চিত। তার চেয়ে আপনিই কিছু একটা নিয়ে নতুন পোস্ট দিন - আমি না হয় সেখানে সাধ্যমত কিছু বলার চেস্টা করব।

২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. সাধারণ মানুষের নবি-রাছুলদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করত: নির্বাচন করাটা হাস্যস্প্রদ; জনগণ/গণজন দেশের সকল ক্ষমতার উত্স হলেও নবি-রাছুল মনোনয়নের উত্স নয়। এমন কাজ করতে হলে নবি-রাছুলদের উর্দ্ধের কিছু হতে হয়। তারা পারে সাধারণ যুক্তি ও সাক্ষি-প্রমানে ঐ ব্যক্তিটির কথা কাজের সত্য-মিথ্যা বা কল্যাণ কি অকল্যাণ কর বিচারে গ্রহণ/বর্জন করতে। সত্য,ল্যাণকর প্রমান পেলে তাকে মানবে অন্যথায় নয়। হোক না তার দাবি নবি-রাছুল,ইমাম-আলেম,গাউস-কুতুব বা নায়েবে রাছুল,রাছুল উত্তরাধিকারী অথবা হিন্দু,খৃস্টান বা নাস্তিক দাবিদার।
২. ধর্মান্ধ,ভ্রান্ত আহম্মক সমাজ ব্যক্তির কথা/দাবির উপর গ্রহণ/বর্জন করে বিভ্রান্ত হয়; তার কাজের উপরে নয়। আর এভাবেই সমাজে নেতা-নেতৃ,আলেম-আল্লামা,গাউস-কুতুব,অরেছাতুল আম্বিয়া প্রভৃতি ছাইন বোর্ডধারী ব্যবসায়ীরা প্রভাব বিস্তার করত: সমজকে বিভ্রান্ত করেছে;টাটকা উদাহরণ সম্প্রতি চিটাগং এর শফি আহম্মদ সাহেব।
৩. লোকটার কি নাম! সাদা না কালো,গুরু কি ভক্ত,ধনী কি গরীব প্রভৃতির উপর গ্রহণ/বর্জণ বোকামী।
৪. ভুল প্রশ্নের উত্তরও হয় ভুল;পরিণাম হয় শুণ্য।
৫. সুতরাং এই বিষয়টি আল্লাহ স্বয়ং এভাবেই সমাধান দিল:
যে বিষয় তোমার জ্ঞান নেই তা কখনও অনুসরণ করিও না;আক্বল,চক্ষু,কর্ণের জবাবদিহি করতেই হবে (১৭: ৩৬)। অন্ধ বিশ্বাসীরা আহম্মক,বর্বর,অস্বীকারকারী;যার আরবী শব্দ কাফির/মুনাফিক।
৬. আল্লাহ বলেন: মুছার পরে ক্রমাগত নবি-রাছুল এসেছেন (২: ৮৭);কিন্তু আপানারা মাত্র ২জনকে স্বীকার করেন;অন্যদেরকে মনপুত না হওয়ায় অস্বীকার,প্রত্যাখ্যান,হত্যা খুন করে তাড়িয়েছেন।
আল্লাহ নিশ্চয়ই চুড়ান্ত ন্যয় বিচাক।
‘আল্লাহ’কে না বুঝে অন্ধের মত উত্তিটি ঐ ভাবে গ্রহণ করার অর্থই অন্যায় বিচারকের জন্য আর এক আল্লাহকে স্বীকার করে নেয়া’;হেন শিরকী বিশ্বাসে দুনিয়া ভরপুর।
৭. ২৮৩টি বিষয় দেয়া হয়েছে; ওত্থেকে যেকোন ১টি বেছে নিলে ভালো হয়;অথবা নিচেই ‘বিশ্ব নবি মতবাদটি ভুল/অপব্যাখ্যা’ সমগ্র শরিয়তকে অভিযুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আমলে আনতে পারেন। এটাও ম জ বাসারকে সত্য/মিথ্যা প্রমানের উল্লেখযোগ্য বিষয়। শুভকামনায়
বিনীত।

২৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

জেনো বলেছেন: খুব ভাল লাগল আবার অনেকদিন পর এমন আলোচনা পেয়ে। বিষয়ভিত্তিক আলোচনার অপেক্ষায় থাকলাম।

২৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. আপনার ভালো লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞ। কিন্তু এমন কুরআনিক আলোচনা এডমিনগণের অপছন্দ।
শুভ কামনায়
বিনীত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.