নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ফাঁদে মুসলমান

ম জ বাসার

ম জ বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইভটিজিং/অশ্লীল সমাজে শরিয়ত শতভাগ দায়ী

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৯

দুই নারী দুই প্রধান দলের নেতী এবং এদের হাতেই সরকারী ক্ষমতা অদল-বদল হয়; অর্থাত বাংলাদেশ বহু বছর যাবত নারীর অধীন হওয়া সত্বেও নারী অত্যাচার কমেনি বরং বেড়েছে। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগের বিষয়।

উহার কারণ গবেষণা করে যা পাওয়া যায়:

১. ইছলামের নামে/বেনামে সকল বড়/ছোট দল-উপদল শরিয়তের অধীন; আর এই শরিয়ত নিচের কুরআনের বিধান সরাসরি অস্বীকার করত: কুরআনের বিপরীতে বোখারীগংদের রচিত বিধান গ্রহণ করত: আদিকাল থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে/বংশ পরম্পরায় জারজ সন্তান জন্ম দিয়ে চলছে। অর্থাত ঘরে ঘরে অশ্লীল ইভটিজিং বৈধ বলে গ্রহণ করেছে! সুতরাং বাইরে হবে না কেন!

ক. সাধারণত: একত্রে একাধিক বৌ ভোগ অবৈধ/হারাম (তথ্যসুত্র: ৪: ৩)।

বিপরীতে শরিয়ত একত্রে ৪ বৌ পর্যন্ত বৈধ/হালাল ভোগ করেছে।

খ. মোহরানা পরিশোধ না করে স্ত্রী সম্ভোগ অবৈধ/হারাম (তথ্যসুত্র: ৪: ৪)

বিপরীতে শরিয়ত বাকী মোহরানায় বিয়ে বৈধ/হালাল করেছে এবং প্রায় শতভাগ বিয়ে হয় বাকী মোহরানায়।

গ. ঘনিষ্ট ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে/যৌন সম্পর্ক হারাম (তথ্যসুত্র: ৪: ২৩; ৩৩: ৫০)

বিপরীতে শরিয়ত ঘনিষ্ঠ ভাই-বোনদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক হালাল ঘোষনা করেছে হেতু সমাজে এমন কোন পরিবার নেই যাদের ২/১ পুরুষের মধ্যে ঘনিষ্ট ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে হয়নি।

ঐ সকল কুরআনিক বিধি বিধানের বিপরীতে শরিয়ত বোখারীগংদের রচিত কুরআন বিরুদ্ধ অবৈধ হারাম বিধানগুলি রাছুলের দোহাই দিয়েই বৈধ করেছে। অর্থাত রাছুলকে সরাসরি কুরআন বিরুদ্ধ/অস্বীকারী বলে মৃতদের নামে মিথ্যা সাক্ষি হাজির করেছে।



আজ সমাজের নেতা-নেতী, সমর্থক, দল উপদল সকলেই কুরআনের আলোকে শরিয়তের অধীনে অবৈধ জারজ সন্তান বলে প্রমানিত। সুতরাং অশ্লীল অবৈধ মা-বাবার অশ্লীল অবৈধ জারজ সন্তানদের অশ্লীল অবৈধ কথাবার্তা, কাজকর্ম, অবিচার ব্যভীচার, ইভটিজিং প্রভৃতির জন্য শতভাগ দায়ি শরিয়ত; উহা ঠেকাবার ক্ষমতা কারো নেই, ইচ্ছাও নেই।

আর অশ্লীলদের দ্বারা শক্তি প্রয়োগ করে, অন্য অশ্লীলদের হাত-মুখ, অংগ-প্রত্যংগ বেধে শ্লীলতা বাস্তবায়ণ অসম্ভব; যতক্ষণ না স্বতফুর্তভাবে কুরআনিক বিধান গ্রহণ করে।



কুরআনিক বিধান গ্রহণ করলে স্বভাবতই জন্মগতভাবে পুত পবিত্র, ভদ্র, নম্র, চরিত্রবান সন্তান প্রাপ্ত হয়ে প্রকৃতিগতভাবেই সমাজ অশ্লীল ব্যভিচার মুক্ত হবে, আইন বা শক্তি প্রয়োগের দরকার হবে না; ধর্মের কল বাতাসেই নড়বে। বিনীত।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৫০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
১. ধর্মালোচনায় উপযুক্ত ব্লগে ১ জন মাত্র ব্লগার নেই; তাই আপনার অভাব অনুভব করছি; ভালো আছেন তো?
বিনীত।

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

আম্মানসুরা বলেছেন: আপনাকে অনুসরণে নিলাম

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
আমাকে নয়; আমার কুরআনিক পরামর্শমত কুরআনের অনুসরণ করুণ।
বিনীত।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: এই লেখায় আপনি যা বলতে চেয়েছেন তার মুল কথা হল - জন্মপাপ। আপনার মতে মা-বাবার বিয়ে অবৈধ, তাই সন্তানের জন্ম অবৈধ তাই তার পক্ষে ভাল কাজ করা সম্ভব নয়! এমনকি তার বংশের কার পক্ষেও নয়!!! শরিয়তের সামান্য ত্রুটির কারণে যদি মুসলমানদের এই অবস্থা হয়, তাহলে অমুসলিম যারা কোরআনের কিছুই জানে না, শরিয়তের কিছুই মানে না তাদের কী অবস্থা?

কি জঘন্য সাম্প্রদায়িক মানষিকতা!! শুধুমাত্র নিজে ছাড়া দুনিয়ার সব অবৈধ সন্তান, সব জারজ সন্তান? এই রকম নীচু স্তরের জঘন্য চিন্তা-ভাবনা আপনার মাথায় কিভাবে আসে - সেটাইতো ভেবে পাচ্ছি না?

আচ্ছা যে সন্তান জন্ম নিয়েছে সে তো কোন দোষ করেনি। যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে মা-বাবার বিয়ে অবৈধ - তাহলেও তার দ্বায় সন্তানের ঘাড়ে দেবেন কোন যুক্তিতে??

আচ্ছা আপনি আপনার বংশ তালিকার কতদুর পর্যন্ত জানেন? দাদা-নানা, দাদার-মা, বাপ, নানার-মা, বাপ - তাদের প্রত্যেকের মা-বাপ . . . কতদুর জানেন? তার আগে বা আপনার অজানা কেউ কি এই পাপ করেনি? তার কারনে কি আপনিও অবৈধ জারজ রক্তের বাহক নন?

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. শরিয়তের আপাদামস্তক যেমন ক্রটিযুক্ত;অনুরূপ অমুছলিমদের আপাদামস্তক ত্রুটিযুক্ত নয়। কথিত অমুছলিমদের মধ্যে অনেক মুছলিম আছেন বলে কুরআন স্বীকার করে। কিন্তু স্ব দাবীকৃত শিয়া,ছুন্নী,হানাফি,কাদিআনীদের মধ্যে সম্ভবত ১ জনো মুছলিম আছে বলে কুরআন স্বীকার করে না।
২. ম জ বাসারের নিজস্ব মতামত নেই ব্রাদার! ঐ সবগুলি কুরআনের যুক্তি ও সাক্ষি প্রমানিত। সুতরাং স্বয়ং আল্লাহকেই জঘন্য বলুন?বা বলেই ফেলেছেন। ধন্যবাদ। মুছলিমের বিপরীতে ছুন্নী হানাফিরই অস্তিত্ব রক্ষায় বদ্ধপরিকর এবং তা প্রকাশ্যেই।
৩. নিজকে সে ভালো বা বৈধ মানুষ বলে কখনো দাবি করেনি।
তার বাবার পূর্ব পুরুষ অবশ্যই বর্ণিত কোন না কোন হারামী কাজ করেছে এবং তার সাক্ষি প্রমান পেয়েই তার বাবা জমিদার বংশ ত্যাগ করে ভিন্ন জিলায় মানবেতর জীবন ধারণ করত: কুরআন সম্মত বৈধ সন্তান জন্ম দিয়ে গেছে;সুতরাং ম জ বাসার জন্মগতভাবে বৈধ হলেও কর্মগতভাবে বৈধ কি না তা নিজেরই সন্দেহ আছে।
আশা করি হতাসার মধ্যে আশার আলো দেখলেন।
তবে কি না জনাব! যে সকল যুক্তি প্রমান দেয়া হয়েছে;সেগুলি কুরআনের;ম জ বাসার বা তার বাবার রচিত বাণী নয়।
৪. গরুর পেটে গরু হয়,ছাগলের পেটে ছাগল হয়। আম গাছে আম,কলা গাছে কলা হয়; তদ্রুপ হারামীর পেটে হারামী হয়,কালোর পেটে কালো হয়;গরীবের পেটে গরীব হয়,ধনীর পেটে ধনী হয় (প্রধানত:)। আরো নিকটে দেখুন: রাজার পেটে রাজা,রাজনীতির পেটে রাজনীতিক হয়। প্রকৃতির এই নিয়মে কোনই ব্যতিক্রম হয় না। জন্ম দাতার কাছে সন্তান হালাল-হারাম,বৈধ-অবৈধ যাবতীয় সায় সম্পদ,দোষ-গুণের উত্তরাধিকারী হয়(তবে ব্যতিক্রমও ঘটে)। -ডাকাতের সন্তান চোর-ডাকাত না হলেও তার পরিচয় চোর-ডাকাতের পোলা। উত্তররাধিকার বা জন্মগত সুত্রে সন্তান মা-বাবার যাবতীয় দোষ-গুণের উত্তরাধিকারী হয়;এর কোন ব্যতিক্রম নেই।,আল্লাহ ও প্রকৃতির অলংঘনিয় বিধান।
৫. জনাব! জারজ সন্তান কোন দোষ করেছে?তবে কেন শরিয়ত তাকে হারামী বলে সমাজচ্যুত করে??মদন মীরাসী নাতি কি দোষ করেছে যে তাকে সম্পতি হারা করে??
বিনীত।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ৪. নম্বর যদি ধ্রুব সত্য হয় তাহলে জারজের বংশে সর্বদা কেবল জারজই হবে, আর ৩. অনুযায়ী যখন স্বীকার করলেন আপনার পুর্বপুরুষেরা অবৈধ ছিলেন - তাহলে আপনি কিভাবে বৈধ হন? ছাগলের পেটে জন্ম নিয়ে সারা জীবন সাধনা করেও কেউ কি গরু হতে পারবে??

আর আপনি যখন জন্মপাপে বিশ্বাসী তখন নিজের বংশগত জন্মপাপ মাথায় নিয়ে অন্যকে উপদেশ দেন কোন মুখে? জন্ম পাপের কারণে যদি মানুষের বিচার করা বৈধই মনে করেন তাহলে আর শরিয়তের দোষইবা ধরেন কেন?

বালায় একটা প্রবাদ আছে 'জন্ম হোক যথা তথা, কর্মহোক ভাল'। কাজেই মানুষের জন্ম নিয়ে এই ধরনের নোংরা চিন্তা বাদ দিয়ে মানুষকে কর্মের ভিত্তিতে বিচার করতে চেস্টা করুন। আর নিজের জন্মের বৈধতা নিয়ে অত গর্ব করবেন না - গর্ব অহংকার মানুষের পতন ডেকে আনে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.