নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
[আমারব্লডটকম থেকে কপি করা]
বাঙ্গালী জাতির কাছে আসা নবীর নাম কি ?
লিখেছেনঃ মরু দস্যু (তারিখঃ শনিবার, ২৪/০৮/২০১৩ - ০১:৩৩)
আল্লাহ কোরানে বলেছে সে নাকি সকল জাতির কাছে নবি পাঠিয়েছিল। এভাবে মোট এক লক্ষ চব্বিশ হাজার নবি দুনিয়াতে আসছিল। তাই যদি হয় , বাঙ্গালীদের কাছে আসা নবীর নাম কি ? সে কবে ও কোথায় আসছিল?যেমন কোরানে বলছে
আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের একেক জন রসূল রয়েছে। যখন তাদের কাছে তাদের রসূল ন্যায়দন্ডসহ উপস্থিত হল, তখন আর তাদের উপর জুলুম হয়না। সূরা ইউনুস-১০:৪৭ আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অতঃপর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে।সূরা নাহল - ১৬: ৩৬
এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।সূরা -ফাতির -৩৫:২৪
তার মানে আমাদের বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের জন্যও একজন রসুল ছিল , সে এসেও ছিল এবং সময় মত পটলও তুলেছে। কিন্তু কোরানে সেই রসুলের কোন নাম পাওয়া যায় না , কবে যে বাংলাদেশে এসেছিল তাও জানা যায় না , সে এসে কিই বা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছিল সেটাও আমরা জানি না। অথচ আরব দেশে আসা ডজন ডজন নবীর কথা কোরানের মধ্যে কত সুন্দর ভাবে বর্ণনা করা আছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে , বাবা নবি , তার ছেলে নবী , নাতী নবি- নবির পর নবি এবং তাদের নামও কোরানে আছে। যেমন - ইব্রাহিম নবি , তার ছেলে ইসহাক নবি , তার ছেলে ( ইব্রাহীমের নাতী) ইয়াকুব নবি। অথচ বাংলাদেশের নবির নাম নেই। এতে কি মনে হয় না যে কোরানের আল্লাহ ভয়াবহ রকম পক্ষপাতীত্ব করে ? যেহেতু কোন নবির নাম নেই , কবে সেই নবী চুপি চুপি এসে , একসময় পটল তুলে পরপারে পাড়ি জমাল আমরা কিছুই জানলাম না। এতে কি মনে হয় না যে আমাদের ওপর আল্লাহর কোন নেক নজর নাই ? সুতরাং প্রমানিত হলো - কোরানের আল্লাহ মোটেও ন্যায়পরায়ন নয়।
এ বিষয়ে ছোটখাট এক আলেমকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম যে আমাদের কাছে আসা নবির নাম কি , কবে এসেছিল আর কি শিক্ষাই বা দিয়েছিল । সে বলল - আল্লাহই ভাল জানে ? আমি বললাম - আল্লাহ জানে মানে ? আল্লাহ নবি পাঠাল আমাদেরকে হেদায়েত করার জন্য , অথচ আমরা টের পেলাম না , আর এখন বলছেন আল্লাহ জানে ,ইয়ার্কি নাকি ?
তা এই ব্লগের বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন , আমাদের বাংলাদেশে কোন নবি আসছিল , কবে আসছিল , সে আমাদেরকে কিই বা শিখিয়ে গেল - আপনারা কি সেসব বলতে পারেন ? না পারলে ব্লগে অত:পর ধর্ম প্রচার বন্দ করুন।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: এইগুলি বহু পুরাতন বিতর্ক। বিশ্বনবী মুহাম্মদ(স.) এর আগমনের পুর্বে অঞ্চল ও সময়ভিত্তিক নবী/রাসুল আসতেন। তাদের শিক্ষা সেই সময় ও সেই জনপদের জন্য প্রযোজ্য ছিল। নবী মুহাম্মদ(স.)কি বিশ্বের জন্য সর্বশেষ নবী/রাসুল হিসেবে পাঠানোর পর আগের নবী/রাসুলদের সংবাদ জানার আর কোন প্রয়োজন নাই। তাই বাংলাদেশে বা বিশ্বের অন্যন্য প্রান্তে দেড়-দুই হাজার বছর আগে কে কে নবী/রাসুল ছিলেন তা জানার কোনই প্রয়োজন নাই।
এইসব প্রশ্নের জবাব হাজার বছর ধরে হাজারো আলেম ওলামাগন দিয়ে আসছেন। কিন্তু কথায় বলে 'চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী'। নাস্তিকরা কোনদিনই সেই জবাব মানে নি, মানবেও না। আপনি সেই নাস্তিকদের সন্তুস্ট করার জন্য কোরআনের অনুবাদ বদলে দেয়ার যে বিপজ্জনক কাজ করছেন তা দিয়ে কি নাস্তিকদের সন্তুস্ট করতে পারবেন? পারবেন না?
আচ্ছা এখন যদি প্রশ্ন করি : আপনার অনুবাদ অনুসারে যেহেতু সব জাতির মধ্যেই প্রেরণাপ্রাপ্ত থাকার কথা সেহেতু বাংলাদেশের মধ্যে বর্তমানে প্রেরণা প্রাপ্ত কে আছেন? - আপনি নাম বলতে পারবেন??
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
সকল জাতির মধ্যেই প্রেরণাপ্রাপ্ত থাকেন/আছেন- ১০:৪৭
এমন কোন জাতি নেই যেখানে নম্র স্বভাবী (আরছাল) সতর্ককারী থাকে না/নেই। (৩৫: ২৪)
আয়াতদ্বয়ে দুই/আড়াই হাজার বছরের কোন আলামত নেই; বাংলা বুঝতে আপনার সমস্যা হওয়ার কথা নয়; কোন মাদ্রাসার ছাত্র হয়ে থাকলে বাংলা শিখে নিন?
২. কুরআন সাক্ষি দেয় মুহাম্মদ বিশ্বনবি নন। তবুও আপনারা কুরআনের বিপরীতে আপানাদের ভন্ড নবি আবু হানিফা/বোখারীগংদের অহি হাজির করেন কেন? এতে কি প্রমান হয় না যে মুহাম্মদকে প্রত্যাখ্যান করে ওদের নবি হিসাবে গ্রহন করেছেন?? আর মুখে মুহাম্মদ মুহাম্মদ বলে চিত্কার করছেন? বোখারীগং ও তার উম্মত কথিত ওলামা-আলেমগণও অনুরূপ চিত্কার করে নিজস্ব মিথ্যা মতবাদ প্রতিষ্টা করে গেছে।
৩. ওলামাগণের জবাব ও ম জ বাসারের জবাবের সত্য/মিথ্যার সাক্ষ্য দেবে কুরআন; কিন্তু এর ধারে কাছেও যাচ্ছেন না।
৪. কুরআনের আলোতে ‘বিশ্বনবি’ ধারণাটা ভুল অপব্যাখ্যা’ পোষ্টটি নিচেই আছে দেখে নিজের ভুল সংশোধন করতে পারেন। স্মরণ রাখবেন উহাতে ম জ বাসারের নিজস্ব কোন ফতোয়া বা অনুবাদও নেই।
৫. কুরআনে বিশ্বাস থাকলে নিজেই খুজে নেন! বাংলায় কে নবি-রাছুল আছেন? কুরআন না মানলে আপনার আল্লাহকে জবাবদিহি করুণ যে এমন মিথ্যা কথা কেন বললেন?
৬. ম জ বাসারের পরামর্শ হলো ‘আপন ভাষায় কুরআন বুঝে বুঝে পড়ুন এবং বুঝে নিজের আত্মস্থ ও দেহস্থ করুণ? অত:পর নিজেই ঠিকানা পাবেন। ম জ বাসার বলে দিলেই কি আপানি মানবেন? –না। শুধুমাত্র গোলযোগ-অশান্তি সৃষ্টির জন্যই ষড়যন্ত্র করছেন মাত্র।
ভালো থাকুন।
বিনীত।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৪
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: " ম জ বাসার বলে দিলেই কি আপানি মানবেন? –না।"
হ্যা এটাই সত্য কথা
ঐসব নাস্তিকদের যতভাবেই বলুন তারা মানবে না
সুতরাং নাস্তিকদের সন্তুস্ট করার জন্য কোরআনের অর্থ বদলানো নিতান্তই বোকামী।
আর প্রেরনা প্রাপ্তের নাম বলতে আপনার সমস্যা কোথায়? আমাদেরকে নবীর নাম বলতে বলার আগেইতো আমরা মুহাম্মদ(স.)কে নিজেদের নবী বলে হাজার মুখে হাজারবার প্রচার করছি। আপনি যে প্রেরণা প্রপ্তকে বিশ্বাস করেন তার নাম বলতে পারেন না কেন? এটাই কি আপনার বিশ্বাসকে ভ্রান্ত প্রমানের জন্য যথেস্ট নয়??
"কুরআনের আলোতে ‘বিশ্বনবি’ ধারণাটা ভুল অপব্যাখ্যা’ পোষ্টটি নিচেই আছে দেখে নিজের ভুল সংশোধন করতে পারেন। "
কোনটা যে ভুল ব্যাখ্যা আর কোনটা সঠিক তা কে নির্ধারণ করবে? আপনি বল্লেই কি সেটা সঠিক হবে?? কোরআনে বর্ণিত ইতিহাসে দেখা যায় সকল নবী/রাসুলগন সত্য বক্তব্য ব্যখ্যা উপস্থাপন করেছিলেন - ফলে হয় তারা বিজয়ী/প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন আর না হয় সত্য প্রত্যাখ্যানকারীরা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। এই নীতির আলোকে পরিষ্কার দেখা যায় যে আপনি ও আপনার পিতা, নানা বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে বিলুপ্ত হয়ে গেছেন। বরং শরিয়তের হাজার হাজার আলেম ওলামা এখনও প্রতিষ্ঠিত আছেন - কাজেই আপনার ব্যাখ্যাই মিথ্যা, ভুল, বিভ্রান্ত - তাই সত্যে সামনে টিকতে/প্রতিষ্ঠিত হতে পারে নাই।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
জনাব! একটু সাধারণ স্কুলের জ্ঞান খাটান! যে ব্যক্তি আরবী জানেন না সে কি করে বলে অর্থ বদলানো হয়েছে?? কি অবাক কান্ড।
২. না। এটা প্রকাশ্য প্রতারণা। মুহম্মদকে নিজের নবি ঈমান করলে ছুন্নী হানাফি দাবি করতে পারে না; ছুন্নী হানাফি দাবি করার অর্থই আবু হানিফা ও বোখারীগংদের উম্মত; হেন মোনাফিক থেকে মুক্ত হওয়া উচিত।
৩. নাম বলতে কোনই সমস্যা নেই জনাব। পূর্বে বহুবার বলা হয়েছে বলেই বাবা-নানাকে নিয়ে অজস্রবার টানা হ্যাচড়া করেছেন । তা ছাড়াও আরো কয়েক জনের নাম বলা হয়েছে।
৪. আয়াত দুটির উপর ঈমান থাকলে আপনার আল্লাহকে ছওয়াল করেন না কেন? ঈমান না থাকলে প্রেরণাপ্রাপ্তের পুন: নাম বলা নিষ্প্রয়োজন। তবুও বলি: তাদের প্রত্যেকের নাম প্রেরণাপ্রাপ্ত মহাপুরুষ।
৫. নাস্তিকরা কুরআন বা ধর্মে বিশ্বাসী নয় বলেই তারা নাস্তিক; কুরআন অনুবাদ নাস্তিকদের ব্যাজার/খুশীর উপর নির্ভর করে না, তোয়াক্বাও করে না। হাস্যকর কথা না বলাই উচিত।
৬. এক কথা বারবার কেন বলাচ্ছেন?সত্য/মিথ্যা নির্ধারণ করবে অভিধান, ব্যকরণ,শব্দার্থ ও বাক্যার্থের সাহায্যে আপনি নিজে। ম জ বাসার বললেই হবেনা সত্য। বলাটা পরীক্ষা করে নিতে হবে।পরীক্ষা করার ক্ষমতা না থাকলে আপানি বিতর্কে অনুপযুক্ত, অধিকার নেই।
৭. বারবার বিভ্রান্ত মোল্লাদের বুলির নকল করছেন। দেখুন সেইই ইব্রাহীমের আমল থেকে মুহাম্মদের আমলের সকল পৌক্তলিক, তৃত্ববাদী, দ্বৈতবাদী, নিরিশ্বরবাদী, নাস্তিক সকলেই জান ছালামতে বর্তমান আছে; এবং আপনাদের চেয়ে তারা ভালো অবস্থানেই আছে, কেহই ধংস হয়নি। আপনি মুছলিম থেকে খারিজ হয়ে ছুন্নী হানাফি হয়েও জানছালামতে আছেন, ধংস হননি।
৮. কুরআনগ্রন্থ পদদলীত করে হাজার হাজার ওলা-ওলামাদের পদদলীত হচ্ছেন কেন জনাব। শিক্ষার কি লেস মাত্র আপনার মধ্যে নেইই?? বিনীত।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "তবুও বলি: তাদের প্রত্যেকের নাম প্রেরণাপ্রাপ্ত মহাপুরুষ।"
কি চমৎকার নাম - সকলের একই নাম, একই পরিচয়!! তা এই নামটা ওনাদের দিলেন কে? ওনারা কি নিজেরাই নিজেদের এই নাম ঠিক করেছেন? না কি আপনারমত কিছু অনুসারী নিজেদের পছন্দের নেতা হিসেবে ওনাদের ঐ নাম দিয়েছেন?
আচ্ছা হানাফী মাজহাবের লোকেরা যদি ইমাম আবু হানিফাকে প্রেরনাপ্রাপ্ত মহাপুরুষ বলে বিশ্বাস করে এবং তার অনুসরণ করে তাহলে কি আপনার আর আপত্তি থাকার কথা নয় - কি বলেন?
৬. আপনার কি ধারনা অভিধান, ব্যাকরণ, শব্দার্থ, বাক্যার্থ কেবল আপনিই জানেন? আরব অঞ্চলে হাজার বছর ধরে জন্ম নেয়া হাজারো আলেম মাতৃভাষা আরবী হওয়ার পরও আরবী শব্দের অর্থ ব্যাকরণ কিছুই জানে না - আর আপনি সব জেনে বসে আছেন??? বাহ দারুন তো!! আচ্ছা আপনার কি পুরো কোরআন আরবীতে(এবং বাংলা অর্থসহ) মুখস্ত আছে?
৭. হ্যা যেমন আপনিও নিজের পিতা, নানার ভ্রান্ত মতবাদ নিয়ে টিকে আছেন - তাই না? তবে কোরআনে বর্ণিত ইতিহাসে দেখা যায় নবী/রাসুলগন তাদের জীবনকালে মিথ্যাপন্থীদের উপর বিজয়ী হয়েছিলেন, অথবা মিথ্যাপন্থীরা ধ্বংস হয়েছিল। কিন্তু আপনার নানা, পিতা এবং আপনি কখনই আপনাদের প্রতিপক্ষ শরিয়তপন্থীদের উপর বিজয়ী হতে পারেন নাই - কেন? সত্য-মিথ্যার দ্বন্দে কি সত্যেরই জয় হওয়ার কথা নয়??
৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
কর্মগুনই নামটা দেয়, ওয়াজ নছিহতে নয়। যখন মহাপুরুষ নামটা প্রমানিত হয় তখন বাপ-দাদার দেয়া নামটা গৌণ হয়ে যায়। মুছা, ঈছা, শিব, শোয়েব, ইব্রাহিম, লুত, এমরান, ইনুছ, ইউছুফ প্রভৃতি এদের সকলেরই ঐ নামগুলী গুরুত্বহীন হয়ে একই নাম ‘নবি-রাছুল’ কি চমত্কার নাম।
মো: অধিকাংশ মানুসের নাম ‘কি চমত্কার নাম।‘ দাবি আর নির্দাবি দুটোই সমানভাবে সাক্ষ্য প্রমানিত হতে হয়।
হ্যা ! বোখারীগং ও আবু হানিফাকে ওরা প্রত্যক্ষভাবে প্রেরণাপ্রাপ্ত মহাপুরষ হিসাবে মেনেই প্রেরণাপ্রাপ্ত মুস্তফা>আলামীন>মুহাম্মদ>মহাপুরুষের ‘মুছলিম’ খেতাব প্রত্যাখ্যান করে ছুন্নী হানাফি প্রভৃতি মুসলমান নাম ধারণ করেও পরোক্ষভাবেও ঐ নামে তাকে স্বীকার করে না; অর্থাত তারা মুনাফিক এবং ভন্ড মহাপুরুষের উম্মত।কারণ আবু হানিফা/বোখারীগংদের মহাপুরুষ বলে স্বীকার করার কোন সাক্ষি বা যুক্তি-প্রমান নেই। থাকলে ২/১টি হাজির করতে পারেন। এরা সকলেই মুহাম্মদের প্রণীত কুরআনের দোহাই দিয়ে কুরআনকে বিকৃত করে ফেলেছে। মুছলিম জাতিকে বিভ্রান্ত করে শিয়া, ছুন্নী,হানাফি-হাম্বলী-কাদিয়ানীতে কনর্ভাট করেছে।কুরআন ত্যাগ করে হাদিছে আকৃষ্ট করেছে।
৬. এ প্রশ্নটার মধ্যেই আপনার উত্তর খুজে নিন: হাজার বছর ধরে আরব অঞ্চলের আরবী জানা সত্বেও ১ জন মাত্র ‘মুছলিম’ নেই কেন? নিদারুণ নয় কি? আরবী, বাংগালি, অবাংগালি শতভাগ লোক জানে, ভালো করেই বুঝে যে, মিথ্যা, লোভ, হিংসা, মোহ, ক্রোধ প্রভৃতি গুরুতর অন্যায়; তবুও কেন শতভাগ লোক উহা থেকে মুক্ত নয়! কেন? আশাকরি উত্তরটা পেয়ে ধন্য হয়েছেন।
না। মুখস্ত নেই। রাছুলেরও ছিল না (দ্র: ৭৫: ১৬-১৯)তাতে কি রাছুলে নবিত্বে আঘাত হেনেছে? অর্থ বিহীন প্রচলিত মুর্খ কুরআন বেহোধা হাফেরদরও নেই। এক্ষণে যে কোন ২ জন সনদধারী হাফেজ দাবিদারকে ডেকে নিখুতভাবে হঠাত পরীক্ষা নিয়ে ম জ বাসারের চ্যালেঞ্জের সত্যতা যাচাই করুণ?
প্রাইমারী থেকে কলেজ-ইউনিভারসিটি পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫/২০/২৫ বছরের এমন কি অর্থসহ জানা, বুঝা শিক্ষা কি কারো মুখস্ত থাকে?- না। এমন কি আদর্শলিপি, বাল্য শিক্ষা বইটি কি মুখস্ত আছে?- না নেই। সুতরাং আপনার হেন প্রশ্নটি অবান্তর নয় কি জনাব?
৭. বহুবার বলা হয়েছে যে, সত্য সর্বদাই জয়-বিজয় নিয়েই নিখুত, স্বতত প্রতিষ্ঠিত; কারো মানা না মানার ধার ধারে না। আপনার সাথে দীর্ঘ দিন যাবত তর্ক-বিতর্কে আপনিই তার প্রত্যক্ষ সাক্ষি।
বহুবার বলা হয়েছে সেইই ইব্রাহিমের আমলের পৌত্তলিক আজো বেচে আছেন এবং দিন দিন প্রসার লাভ করছে। সেইই লুতের আমলের সমকামীরা আজো বেচে থেকে প্রসার লাভ করত: সরকারী স্বীকৃতি পাচ্ছে। সেইই ফেরআউন-আবুজেহেলের আমলের সংখ্যা গরিষ্ট লোক আপনিসহ শরিয়ত মৌলবাদ অনবরত বিস্তার লাভ করেছে। বলুন! কে ধংস হয়েছে? স্থান, কাল পাত্রভেদে কতিপয় মানুষ ধংষ হয়েছে মাত্র। আপনার কথার ভালোরাও অনুরূপ ধংস হয়েছে; কেহ স্বতন্ত্রভাবে আবার কেহ দলীয়ভাবে; সামনেও অনুরূপ দলীয় ধংস অনিবার্য অপেক্ষা করুন?
‘সত্যের জয়’ কথাটা আবার উপলব্ধি করুণ? যতক্ষণ পর্যন্ত উহা মিথ্যা প্রমান করা না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত সত্যের জয় সমুন্নত/চিরন্তন; তাতে কেহ মানুক বা না মানুক। জন সমর্থন/অসমর্থনের উপর চিরন্তন সত্য ধার ধারে না।
• আজ দেড় বিলিয়ন শিয়া/ছুন্নী/হানাফি/কাদিয়ানিদের মধ্যে ১ জন মাত্র মুছলিম নেই। ৭ বিলিয়ণ মানুষের মধ্যে বলতে গেলে ১ জন মাত্র মিথ্যা, অন্যায়, অত্যাচার অবিচার, ঘুষ ব্যতীত মানুষ নেই; তাতে কি মিথ্যা, অন্যায়, অবিচার, ঘুষ খাওয়া অবৈধ-অন্যায় প্রভৃতি চিরন্তন সত্য সুত্রটি কি মুছে গেছে? মুছে যাবে?
বিনীত।
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
এযাবত শত শত প্রশ্নের ১টি মাত্র সংগত উত্তর দিতে সক্ষম হননি। তবুও আর একটি প্রশ্ন করি:
ঈমান>বিশ্বাস বা দর্শন মারতে না পারলে কতিপয় মানুষ মারায় কি আসে যায়?
মানুষ আজ হোক কাল হোক মরবেই মরবে।
সুতরাং হাজার লক্ষ কোটি নবি-রাছুলদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন নবি-রাছুলের সময় কতিপয় মানুষ মারার প্রেক্ষাপট আবিস্কার করুন?
বিনীত।
৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
এযাবত শত শত প্রশ্নের ১টি মাত্র সংগত উত্তর দিতে সক্ষম হননি। তবুও আর একটি প্রশ্ন করি:
ঈমান>বিশ্বাস বা দর্শন মারতে না পারলে কতিপয় মানুষ মারায় কি আসে যায়?
মানুষ আজ হোক কাল হোক মরবেই মরবে।
সুতরাং হাজার লক্ষ কোটি নবি-রাছুলদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন নবি-রাছুলের সময় কতিপয় মানুষ মারার প্রেক্ষাপট আবিস্কার করুন?
বিনীত।
১০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "কর্মগুনই নামটা দেয়, ওয়াজ নছিহতে নয়। "
জি খুবই খাটি কথা বলেছেন। কর্মগুনেই পরিচয়। তা আপনার নানা পিতা এবং আপনি এমন কোন কর্মটা করেছেন যার জন্য আপনাদের মহামানব হিসেবে নামকরণ করা হবে??
বাংলাদেশে শতাধিক বছর কাজ করার পরও আপনারা তিন প্রজন্ম মিলে এই জনপদের মানুষকে সামান্যতম প্রভাবিত করতে পারেন নাই। তাদের বিশ্বাস, স্বভাব-চরিত্র, অর্থনৈতিক অবস্থা বা অন্যকোন দিকে সামান্যমত কোন পরিবর্তন আনা তো বহু দুরের কথা এই জনপদের লাখে একজন মানুষের কাছেও আপনারা বা আপনাদের মতবাদ পরিচিতও হয় নাই।
বরং আপনি প্রাণ ভয়ে পালিয়ে আছেন কানাডায় - নিজ জন্মভুমিতে ফিরে আসারমত সাহসটুকুও অর্জন করতে পারেন নাই। এর পরও কি আপনাদের মহামানব হিসেবে মানতে হবে? কোন যুক্তিতে, কোন অবদানের জন্য?
"যতক্ষণ পর্যন্ত উহা মিথ্যা প্রমান করা না যায় ততক্ষণ পর্যন্ত সত্যের জয় সমুন্নত/চিরন্তন; তাতে কেহ মানুক বা না মানুক।"
আপনি যদি কস্ট করে পাবনার হেমায়েতপুরে যোগাযোগ করতে পারেন তাহলে সেখানে এইরকম বহু মানুষ পাবেন যারা তাদের বক্তব্যকে এতটাই সত্য মনে করে যে দুনিয়ার কার পক্ষে তাদের সেই সত্য/যুক্তি মিথ্যা প্রমান করা সম্ভব নয়। - তার মানে কি সেগুলি সবই ধ্রুব সত্য? আমাদের সকলের কি সেই সত্যগুলি মেনে নিয়ে অনুসরণ শুরু করা উচিত??
১১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
যে কর্মটা দিয়ে আজ ম জ বাসার দুনিয়ার দেড় বিলিয়ণ শিয়া/ছুন্নী/হানাফিদেরকে মিথ্যা ভুল বিভ্রান্ত অমুছলিম প্রমান করে মুক্তির পথে ডাকছে; যা খন্ডন করার শক্তি-সাহস দুনিয়ার কারো নেই; কিন্তু মানা না মানা স্ব স্ব বিষয়; নবি-রাছুলদের কাজ শুধুমাত্র পৌছে/প্রচার করা; মানা না মানা আল্লাহর বিষয়; ম জ বাসার বা আপনার নয়; জেনেশুনে কুরআনের হস্তক্ষেপ করছেন কেন? কুরআনিক এই সামান্য ধারণাটুকু আপনার নেই জনাব; বিশ্বাস করবেন ক্যামনে?
২. রাছুল মৃত্যু ভয়ে পলায়ণ করেন; ম জ বাসার পেটের দায়ে গেছে, পলায়ণ করেনি।
৩. হেমায়েত পুরীরা সাক্ষি যুক্তি প্রমানহীন অপ্রাসংগীক, অসংগত কথা বলেন; তাদের সাথে আপনার না ম জ বাসারের তুলনা হয়; তা আপনি আপনার শরিয়ত তাদের মতই বুঝবেন না। দীর্ঘ বিতর্কে এটাই অনবরত প্রমান দিয়ে আসছেন। দুনিয়ার সকল নবি-রাছুল, দার্শনিক, কবি, সাহিত্যিকগণই আপনাদের কাছে পাগল বলে সাব্যস্ত; আপনারাই সংখ্যা গরিষ্ঠ সুতরাং আপনার মতামত ফেলে দেয়ার স্থান নেই, ধন্যবাদ।
৪. সেয়ান পাগল ব্যতীত বদ্ধ ছলিড পাগল পরস্পর সম্বন্ধেও অভিজ্ঞতা নেই। ঐ পাগলরা কোন বিষয়ই ধ্রুব সত্য বলে মানে না; ওদের কোন নির্দিষ্ট ঈমান বিশ্বাস বা চরিত্র নেই বলেই ওরা পাগল; আপনার সাথে তুলনাটা যথার্থই হয়, ভেবে দেখুন; না হলে ম জ বাসারই থাকুক। আর সে কুরআনের যা বলে তাতে মাত্র ঈমান আনুক। ব্যাস।
* পরস্পর বিতর্কের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা উচিত।
বিনীত।
১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনি মনে হয় রেগে যাচ্ছেন - রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন!!
রাগ করবেন না - বিষয়টা আরো গভীর ভাবে চিন্তা করুন -
আপনি বলেছেন -
"কিন্তু মানা না মানা স্ব স্ব বিষয়; নবি-রাছুলদের কাজ শুধুমাত্র পৌছে/প্রচার কর"
নিশ্চয়ই নবী-রাসুলদের কাজ শুধুই পৌছে দেয়া। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত নবী-রাসুলদের প্রত্যাখ্যান করার পরও কি আল্লাহ সেই জাতির প্রতি কিছুই করবেন না? তাহলে আদ, সামুদ, ফেরাউন, নমরুদ, লুতের জাতি, নুহের জাতি, মাদিয়ানের অধিবাসী - এরা ধ্বংস হল কেন? আর এইসব জাতির ধ্বংসের কাহিনী কোরআনেরমত গুরুত্বপুর্ণ গ্রন্থে এত বড় অংশজুরে এত বিস্তারিত ভাবে কেন বর্ণনা করা হল? আপনি কি কোরআন থেকে একটা উদাহরণ দেখাতে পারবেন যে আল্লাহর কোন এক নবী-রাসুলকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আর সেই জাতিকে আল্লাহ কিছুই করেন নাই?? তাহলে কোরআনের এইসব বর্ণনা থেকে আপনি কী শিক্ষা নিলেন??
১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
স্বকীয়তা বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুর্শিদ
আপনাদের আলোচনায় অযথা নাক গলানোর জন্য দুঃখিত। তবে একটা প্রশ্ন এসে গেল বলেই মন্তব্য করলাম।
আপনি বলেছেনঃ ''আপনি কি কোরআন থেকে একটা উদাহরণ দেখাতে পারবেন যে আল্লাহর কোন এক নবী-রাসুলকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আর সেই জাতিকে আল্লাহ কিছুই করেন নাই??''
আপনার উপরোক্ত কথায় আমার আপত্তি আছে। কোরান থেকে এমন একটি উদাহরণ দেখালে কি আপনি ম জ বাসারের দাবী মেনে নেবেন? বস্তুত এমন একটি নয় বহু উদাহরণ কোরানে আছে। আমাদের ঈসা নবীই সবচেয়ে বড় উদাহরণ নয় কি? ঈসা নবীকে প্রত্যাখ্যান করার পরও ইহুদী জাতি কি কোন গজবে পড়েছিল? ঈসা নবীর বাইরেও কি উদাহরণ নেই? কোরান ঘেঁটে দেখুন, একটি দুটি নয় বরং বহু সংখ্যক নবীর কথা কোরানে বলা হয়েছে (যদিও তাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়নি) যারা তাঁদের জাতির কাছে প্রত্যাখ্যিত হয়েছিলেন তো বটেই বরং সেই নবীদের হত্যাও করা হয়েছিল। অথচ সেই হত্যাকারী ইহুদি জাতি আজ বহাল তবিয়েতে মুসলিম জাতির উপর বহু বছর ধরে ছড়ি ঘুড়িয়ে যাচ্ছে।
১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. নিশ্চিত হোন যে, ম জ বাসার কখনও রাগ করে না।তর্কের বিতর্কে কঠিন সত্য তুলে ধরলে প্রতিপক্ষের কাছে তা রুক্ষ মনে হয়, যা সহ্য করতে তার কষ্ট হয় মাত্র।
ম জ বাসারের দর্শনগুলি তার ব্যক্তিগত নয় বিধায় পক্ষে/বিপক্ষের মন্তব্যগুলি তার ব্যক্তি স্বার্থে আকর্শন বা আঘাত করে না; সুতরাং এ নিয়ে রাগ/আনন্দ করার কারণ নেই।
২. ক. আল্লাহ কি করে না করে তার উপর আপনার/আমার কোন কর্তৃত্ব বা দাবি দাওয়া থাকা সংগত নয়।
ভালো বা মন্দ প্রত্যেকটি জাতির নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে; মেয়াদ শেষ হলে ভালো/মন্দ উভয়ই ধংস হয় (দ্র: ৭: ৩৪-৩৭)।
খ. অতীত ধংসের যে যুক্তি-প্রমান তুলে ধরেছেন! তা মাত্র কতিপয় মানুষ খুন; কিন্তু যে দর্শন/বিশ্বাসের কারনে খুন/ধংস করা হয়েছে সে সকল কারন/দর্শন অখুন রেখে অবিরত উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে।
গ. পাশাপাশি অতীত নবি-রাছুলদের বর্তমান সমুন্নত অস্তিত্বের প্রমানও তুলে ধরলে নিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক, সঠিক তথ্যজ্ঞান প্রাপ্ত হতেন।
আপনি কি কোরআন থেকে একটা উদাহরণ দেখাতে পারবেন যে আল্লাহর কোন এক নবী-রাসুলকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে আর সেই জাতিকে আল্লাহ কিছুই করেন নাই??
৩. না কিছুই করেন নি! হাজার হাজার উদাহরণ। পৌক্তলিকবাদ, দ্বিত্ববাদ, তৃত্ববাদ, নাস্তিক্যবাদ, শিয়া/ছুন্নী/হানাফি-হাম্বলীবাদ/কাদিয়ানীবাদ/সমকামীবাদ; হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি, খৃষ্টান, জৈন, শিখ প্রভৃতি জল জ্যান্ত কুরআন সত্য উদাহরণ; এদেরকে আপনার অস্তিত্ব/আকৃতিধারী আল্লাহ কিছুই করেননি!
এতে তৃপ্ত না হলে জনাব স্বকীয়তার মন্তব্য লক্ষ্য করুন?
অতীত অস্বীকারকারীদের ধংসের সত্যাসত্য উদাহরণের পাশাপাশি অতীত ও বর্তমান স্বীকারকারীদের ১টি মাত্র উদাহরণ হাজির করুন?
এজন্যই অনুরোধ ছিল, অনুরোধ রইল:
ক. মিথ্যা, ভুল, বিভ্রান্তকর ঈমান>বিশ্বাস বা দর্শন ধংস না করে কতিপয় মানুষ ধংসে কি আসে যায়?
খ. আল্লাহ কি আওমিলীগ, বিএনপি বা জামাত -তালিবানদের মতই পরস্পর মানুষ মারার ঘৃণ্য পলিট্রিক্স করছেন?
হাজার লক্ষ কোটি নবি-রাছুলদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন নবি-রাছুলের সময় বিভ্রান্ত ধর্ম দর্শন বাচিয়ে রেখে মাত্র কতিপয় মানুষ ধংসের প্রেক্ষাপট নতুন করে আবিস্কার করত: ইতিহাস শিক্ষা বা ঈমানের সংস্কার করুণ?
৪. আপনার প্রায় শতভাগ প্রশ্নের জবাব ধারাবাহিকভাবে দেয়া হয়; কিন্তু আপনি সব সময়ই ধারাবাহিকতা লংঘন করেন; এভাবে তর্ক বিতর্ক চলে না।
বিনীত।
১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম স্বকীয়তা,
একান্ত ব্যক্তি বা পারিবারিক বিষয় ব্যতীত দুনিয়ার যে কোন বিষয় মতামত প্রকাশ জীবের জন্মগত এবং ধর্মীয় অধিকার; এজন্য দু:খ প্রকাশ নিষ্প্রয়োজন।
বিনীত।
১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @স্বকীয়ত
আলোচনার মাঝে প্রবেশে কোন সমস্যা নাই, তবে গোড়া থেকে একটু জেনে নিলে বুঝতে সুবিধা হয়।
আপনি ঈসা(আ.) এর সাথে ম জ বাসার আর আর নানা পিতার তুলনা করলেন? খুবই হাস্যকর হয়ে গেল না কি? যে ঈসা(আ.) কে আল্লাহ হাজার বছর ধরে শত কোটি মানুষের মাঝে নেতা/নবী/রাসুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন - তার তুলনা করছেন এমন একজনের সাথে যাকে আল্লাহর দুই চার হাজার বান্দাও নবী/রাসুল হিসেবে মানে না??
হ্যা, ঈসা(আ.) কে সেই সময়ের ইহুদীরা প্রত্যাখ্যান করেছিল সে জন্যই ঈসা(আ.) কে মৃত্যু নয় বরং দুনিয়া থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। তিনি আবার পৃথিবীতে আসবেন এবং সমস্ত দুনিয়ার উপর বিজয়ী হবেন - তার পর তার মৃত্যু হবে। এটাই মুসলমানদের সার্বজনীন বিশ্বাস।
হ্যা, কোরআনে ইহুদীদের বহু নবী হত্যার কথা আছে - এবং সে জন্য ইহুদীদের অভিসম্পাতও করা হয়েছে। নবী হত্যা ও প্রত্যাখ্যানের কারণে ইহুদীরা দীর্ঘ কয়েক হাজার বছর কোন স্থায়ী আবাস পায় নাই - দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে যাযাবর হয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। অথচ ম.জ. বাসারের নানা, পিতাকে অস্বীকার ও প্রত্যাখ্যান করার পর পরই বাঙ্গালীরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছে - সম্পুর্ণ বিপরিত অবস্থা নয় কি??
আপনি ম.জ. বাশারকে কবে থেকে চেনেন? ওনার পিতা, নানা - যাদেরকে উনি নবী/রাসুল মনে করেন তাদের নাম আগে কখনও শুনেছেন? আমি শুনি নাই, বাংলাদেশের হাজারে একজন মানুষও ওনাদের সম্পর্কে কিছুই জানে না - এটা একটা ম.জ. বাশারও অস্বীকার করে না।
অথচ কোরআনে বর্ণিত নবী/রাসুল গনের যতগুলি ঘটনা আছে তার সবগুলির কমন বৈশিস্ট হচ্ছে এই যে প্রত্যেকে তার জাতির সামনে নিজের নবুয়ত/রেসালতের প্রকাশ্য ঘোষনা দিয়েছেন এবং যেখানে নবী/রাসুল ও তার জাতির মধ্যে দ্বন্দ হয়েছে - সেখানেই হয় নবী/রাসুলগন বিজয়ী হয়েছেন, অথবা ঐসব জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। ( হ্যা, তারা টিকে আছেন বটে, সে তো তেলাপোকাও টিকে থাকে যখন বড় বড় ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়! )
এর বিপরিতে দেখুন ম.জ. বাসারের নানা বা পিতা নিজেকে কখনই নবী/রাসুল হিসেবে ঘোষণা করেন নাই। ম.জ. বাশার ওনাদের মৃত্যুর পরে আবিষ্কার করেছেন যে ওনারা নবী/রাসুল ছিলেন। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে কোরআন থেকে একটা উদাহরণ দেখান যেখানে নবী/রাসুল নিজেই জানতেন না যে তিনি নবী/রাসুল - তাদের মৃত্যুর পরে তাদের বংশধর বা অন্যকেউ আবিষ্কার রেছিলেন ও ওনারা নবী রাসুল ছিলেন। সেই সাথে এমন একটা ঘটনা বলুন যেখানে নবী/রাসুলের সাথে দ্বন্দের পর নবী/রাসুলগন দুনিয়া থেকে, দুনিয়ার মানুষের বিশ্বাস থেকে একেবারে মুঝে গেছে অথচ আল্লাহ সেই জাতিকে কোন স্বাস্তি দেন নাই।
এই সব বিষয় বিবেচনার পর এবং তার প্রচারিত ধর্মের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার পর আপনি যদি ম.জ. বাশারকে বা তার নানা বা পিতাকে নবী/রাসুল/প্রেরণা প্রাপ্ত হিসেবে মানতে চান - আমার কোন আপত্তি থাকা উচিত নয়। আপনার পথ আপনি বেছে নেবেন - সেই স্বাধীনতা আল্লাহ তার প্রত্যেক বান্দাকেই দিয়েছেন। শুধু একটাই অনুরোধ আত্ম প্রতারণা করবেন না - আর ম.জ. বাশারের প্রচারিত ধর্মকে ইসলাম মনে করবেন না। গরুর দুটি চোখ আছে, মানুষেরও দুটি চোখ আছে - সেই যুক্তিতে গরু যেমন মানুষ হয়ে যায় না, তেমনি ম.জ. বাসার কোরআনের কথা বা কোরআনের বিকৃত অর্থ প্রচারের মাধ্যমে ওনার ধর্মের সাথে ইসলামের কিছু মিল দেখালেও সেটা ইসলাম হয় না। আর শেষ বিচারের দিন যখন আল্লাহর সামনে দাড়াবেন তখন অন্তরের অন্ত:স্থল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়ে যাবে - সেদিন নিশ্চিত ভাবেই জানা যাবে কে ছিল সত্যের পথে আর কে বিভ্রান্ত হয়েছে।
১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "ক. মিথ্যা, ভুল, বিভ্রান্তকর ঈমান>বিশ্বাস বা দর্শন ধংস না করে কতিপয় মানুষ ধংসে কি আসে যায়"
আল্লাহ কি তাহলে আদ, সামুদ, ফেরাউন, নমরুদ, নুহের জাতি, লুতের জাতি . . . এদের এমনি এমনি অযৌক্তিক কারনে ধ্বংস করেছেন? অথবা আপনি কি বলতে চান বিশ্বাস দর্শন ধ্বংস না করে কতিপয় মানুষ ধ্বংস করে কি আল্লাহ ভুল করেছেন? আবার সেই (ভুলের!)ঘটনা পুরো কোরআন জুড়ে বার বার বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন? বাহ, আল্লাহর প্রতি আপনার বিশ্বাসতো দারুন!!
"হাজার লক্ষ কোটি নবি-রাছুলদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন নবি-রাছুলের সময় বিভ্রান্ত ধর্ম দর্শন বাচিয়ে রেখে মাত্র কতিপয় মানুষ ধংসের প্রেক্ষাপট নতুন করে আবিস্কার করত: ইতিহাস শিক্ষা বা ঈমানের সংস্কার করুণ?"
এটা নতুন করে আবিষ্কার কিভাবে হবে? এটাতো কোরআনে সেই দেড় হাজার বছর আগেই বিস্তারিত বলা হয়েছে। বিপরিত আপনি কোরআন থেকে কিছু ঘটনা বর্ণনা করুন না যেখানে - ১. নবী/রাসুলগন নিজেরা নিজেদের পরিচয় জানতেন না বরং তাদের মৃত্যুর পর তাদের বংশধরগন আবিষ্কার করেছেন যে ওনারা নবী/রাসুল ছিলেন ২. নবী/রাসুলগন নিজেরা নিজেদের নবুয়ত/রেসালতের ঘোষণা দেন নাই ৩. জাতি প্রত্যাখ্যান করার পরও সেই জাতির ধ্বংসের পরিবর্তে উন্নতি হয়েছে। কোরআন থেকে উদাহরণ না দিয়ে নিজের বক্তব্য কেন বার বার বলছেন - বার বার বল্লেই কি মিথ্যাকে সত্য বানানো যাবে??
"যে কর্মটা দিয়ে আজ ম জ বাসার দুনিয়ার দেড় বিলিয়ণ শিয়া/ছুন্নী/হানাফিদেরকে মিথ্যা ভুল বিভ্রান্ত অমুছলিম প্রমান করে মুক্তির পথে ডাকছে"
বাহ বিশাল কর্ম করেছেন তো!! আর এই কর্মগুনে নিজেই নিজেকে মহামানব ঘোষণা দিলেন? সেই বাংলা প্রবাদটা মনে আছে - "গায়ে মানে না আপনি মোড়ল"?
"আপনার প্রায় শতভাগ প্রশ্নের জবাব ধারাবাহিকভাবে দেয়া হয়"
হ্যা জবাব একটা দেন বটে, কিন্তু মহামানব সাহেব, আপনার জবাব যে কতটা হাস্যকর অযৌক্তিক হয় সে ব্যাপারে কোন ধারনা কি আছে? যদি থাকত তাহলে কি নিজেই নিজের কর্ম(নাকি দুস্কর্ম?) জাহির করে নিজেকে মহামানব ঘোষণা করতে পারতেন?
১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
ম জ বাসারের দেয়া যুক্তি-প্রমানে আপনার খন্ডিত অনুবাদী বিশ্বাস তাহলে ধরা খেয়ে গেল?
এক সত্য একাধিকবার বলাচ্ছেন:
১. আল্লাহ যাদেরকে এবং যে কারণে মানুষ ধংস করেছেন; অবিকল ঠিক সেই স্বভাবী মানুষগুলি এবং ঠিক সেই কারণ আজ দুনিয়ার সর্বত্র বিরাজমান এবং উত্তরোত্তর তারা উর্দ্ধগামী।
আর একবার বলি:
অতীত সকল নবি-রাছুলদের আমলের কতিপয় খুন হওয়া বিরুদ্ধবাদীদের দল আজো সর্বত্র, কেহই ধংস হয়নি। এটা কুরআন নয় বরং কুরআনগ্রন্থের তুলনায় কঠিন সত্য। বিষয়টা কি অস্বীকার করতে পারেন???
- না, পারেন না। কারণ পৌত্তলিক, হিন্দু, ইহুদি, খৃষ্টান, সমকামী, নাস্তিক সকলেই আপনার সামনে গা ঘেষে উপস্থিত এবং আপনাদের চেয়েও তারা সংখ্যায় গরিষ্ঠ, উন্নত। সুতরাং এক্ষণে হয় আপনার বরই বাগানের দেহধারী আল্লাহর রাজনৈতিক ভুল বা দুর্বলতা স্বীকার করুন? অন্যথায় কুরআন গ্রন্থ জুড়ে এতদ্বিষয় পুরো ভুল বা ঘাটতি অনুবাদ স্বীকার করুন? দুটোর ১টিও স্বীকার না করলে ৩য় সমাধান দিয়ে আপনার আল্লাহকে অথবা কুরআন গ্রন্থের অনুবাদকে রক্ষা করা আপনারই দায়িত্ব ও কর্তব্য। ব্যর্থ হলে তা সহজ সরলভাবে স্বীকার করলে ম জ বাসারই এ বিষয় তার আল্লাহর প্রকাশিত সমাধান দেবে।
বি: দ্র: পূর্বের মত অনেকগুলি বিষয় জগা খিচুড়ী করা সংগত নয়; কারণ তাতে কোন বিষয়ই ইতিবাচক হয় না। ১টি শেষ হলে অন্যটি ধরুণ? (চলবে-২)
বিনীত।
১৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
ম জ বাসার বলেছেন: জনাব কাংগাল মুরশিদ-২
কাংগাল মুরশিদ: -তা আপনার নানা পিতা এবং আপনি এমন কোন কর্মটা করেছেন যার জন্য আপনাদের মহামানব হিসেবে নামকরণ করা হবে-?
ম. জ বাসার: "যে কর্মটা দিয়ে আজ ম জ বাসার দুনিয়ার দেড় বিলিয়ণ শিয়া/ছুন্নী/হানাফিদেরকে মিথ্যা ভুল বিভ্রান্ত অমুছলিম প্রমান করে মুক্তির পথে ডাকছে"
কাংগাল মুরশিদ: বাহ বিশাল কর্ম করেছেন তো!! আর এই কর্মগুনে নিজেই নিজেকে মহামানব ঘোষণা দিলেন? সেই বাংলা প্রবাদটা মনে আছে - "গায়ে মানে না আপনি মোড়ল"?
ছালাম,
১. ছি! ছি! নিজের সন্দেহ-ভাবাবেগ উদগীরণ করে অন্যের মুখে পুরে দেয়াটা কি প্রতারণা নয়? ম জ বাসার নিজকে মহামানব দাবি করেনি! ঘোষনা দেয়নি!ঘোষনা বা মানার জন্য আপনাকে অনুরোধ করেনি বা ঘুষ দেয় নি। ভালো করেই জানেন এই দাবিটা ম জ বাসারের মূখ থেকে বের করার জন্য আজ ২/৩ বছর যাবত খোচাখুচি করে চলছেন! উত্তরটা দেয়া হয়েছে প্রশ্নটির পরিপেক্ষিতে যেহেতু তার মধ্যে দুজন প্রেরণাপ্রাপ্তের নাম জড়িত আছে বলে।
খ. আর একবার বলি: ম জ বাসার ইমাম, আলেম-আল্লামা, পীর, গাউস-কুতুব; মহাপুরুষ, মহামানব, প্রেরণাপ্রাপ্ত বা নবি-রাছুল নয়, নয়, নয়! ফেরাউন, আবুযেজেলও নয়! দাবিও করেনি, ঘোষনাও করেনি; এমন ধৃষ্টতা সে কখনও দেখায় নি! প্রমানও নেই। সে মাত্র ঐ সকল মহা পুরুষদের কথাই প্রচার করে মাত্র।
ভালো কথা! ম জ বাসারের উত্তরটার বিপরীতে তুলনায় বিশাল একটি কর্মের নমুনা দিয়ে আপনার উত্তরটা উপস্থাপণ করলেই তো ম জ বাসার আপনার প্রবাদের আওতায় ধরা পড়ে যেত! তা করার সাহস আপনার নেই।
২. ম জ বাসারের ‘মুক্তির ডাকটি মিথ্যা! ভুল!প্রতারণা! কি কৌতুককর! সেটাই না আপনার প্রমান করার দায়-দায়িত্ব ছিল; দ্বিতীয় কেহ অনুরূপ ডাক দিয়েছে কি না! তাও আপনার বিবেচনায় থাকা উচিত ছিল। সুতরাং প্রবাদটি অতিরিক্ত হয়ে গেল না?
আর একবার বলি:
ম জ বাসারের বিরুদ্ধে আজ ৩ বছর যাবত উঠে পড়ে লেগেছেন; এজন্য ম জ বাসার আপনাকে ধন্যবাদ দেয়; কিন্তু এক তিল পরিমাণো সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারেন নি বলে সে আপনার জন্য দু:খিত।তাই আপনার সাহায্যার্থে বলি:
ম জ বাসারের মুখোস উন্মেচন করতে হলে সহজ, সরল ও উত্তম পন্থা হলো তার প্রচারিত দর্শনের অন্তত ২/১টি দর্শন মিথ্যা বা ভুল প্রমান করতে হবে। এজন্য আবারো সদ্য ৪টি পুরাণো বিষয় সম্বন্ধে নতুন করে আহ্বান করি; পর্যায়ক্রমে এক একটির সামনে হাজির হোন:
ক. দেড় বিলিয়ণ শিয়া, ছুন্নী, হানাফি-হাম্বেলী, কাদিয়ানী প্রভৃতি স্ব স্ব ভ্রান্ত, বিভ্রান্ত দল ছেড়ে ‘মুছলিম’ হওয়ার ডাক দেয়।
খ. মুহাম্মদ ‘বিশ্ব নবি’ নন। নবিদের নবি বা সরদারও নন! শেষ নবিও নন।
গ. কথিত আদম মিয়া সৃষ্টির প্রথম মানব নয়।
৪. শেষবারের মত আপনার দৃষ্টি আকর্শন করি:
‘সত্য’ স্ব স্ব ক্ষমতাগুণে প্রতিষ্টিত ও সমুন্নত থাকে। উহা সংখ্যা গরিষ্ঠ সমর্থনের তোয়াক্বা করে না। (চলবে-৩)
বিনীত।
২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪
স্বকীয়তা বলেছেন: @ কাঙ্গাল মুরশিদ
''আপনি ঈসা(আ.) এর সাথে ম জ বাসার আর আর নানা পিতার তুলনা করলেন? খুবই হাস্যকর হয়ে গেল না কি? যে ঈসা(আ.) কে আল্লাহ হাজার বছর ধরে শত কোটি মানুষের মাঝে নেতা/নবী/রাসুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন - তার তুলনা করছেন এমন একজনের সাথে যাকে আল্লাহর দুই চার হাজার বান্দাও নবী/রাসুল হিসেবে মানে না??''
আপনার বুঝায় ভুল আছে। আমি ইসা নবীর সাথে ম জ বাসারের তুলনা করলাম কোথায়? না বুঝে আগে থেকেই হাসাহাসি করলে তো মুশকিল। আমি কি বিশ্বাস করি না করি সে সম্পর্কে আপনার কিছুই জানা নেই, এবং আপনার মন্তব্যে আমার বিশ্বাসের কথা তুলে আনা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক। আমি শুধু একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেছি। আপনি যেহেতু বারবার কোরান থেকে একটিমাত্র উদাহরণ খুঁজছিলেন তাই আমি ম জ বাসারের হয়ে উদাহরণ দেখালাম। এর উত্তর আপনি ম জ বাসারকে দিন আমাকে নয়। কারণ ম জ বাসার আর আমার বিশ্বাসে পার্থক্য রয়েছে। আপনি উত্তর দিয়েছেন আমাকে, ম জ বাসারকে নয়। আপনার উত্তরের ত্রুটি নিচে দেখালাম।
আপনি বলেছেনঃ ''হ্যা, ঈসা(আ.) কে সেই সময়ের ইহুদীরা প্রত্যাখ্যান করেছিল সে জন্যই ঈসা(আ.) কে মৃত্যু নয় বরং দুনিয়া থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। তিনি আবার পৃথিবীতে আসবেন এবং সমস্ত দুনিয়ার উপর বিজয়ী হবেন - তার পর তার মৃত্যু হবে। এটাই মুসলমানদের সার্বজনীন বিশ্বাস।হ্যা, ঈসা(আ.) কে সেই সময়ের ইহুদীরা প্রত্যাখ্যান করেছিল সে জন্যই ঈসা(আ.) কে মৃত্যু নয় বরং দুনিয়া থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। তিনি আবার পৃথিবীতে আসবেন এবং সমস্ত দুনিয়ার উপর বিজয়ী হবেন - তার পর তার মৃত্যু হবে। এটাই মুসলমানদের সার্বজনীন বিশ্বাস।''
আপনার উপরোক্ত কথাগুলো তো কোরান এর রেফারেন্সে বলা হয়নি। ম জ বাসার এর সাথে আপনার আলোচনার ভিত্তিই হচ্ছে কোরান। আপনি এখানে কোরানের বাইরের কিছু নিয়ে তার সাথে তর্ক করছেন না। আপনি কোরান থেকে নবী প্রত্যাখ্যানের উদাহরণ চেয়েছিলেন, উদাহরণ পেয়েছেন। কিন্তু সেটার ব্যাখ্যা কোরান বহির্ভূত কেন? ভুলে যাবেন না যে মুসলমানের সার্বজনীন বিশ্বাস নিয়ে সাধারণ মুসলিমের সাথে আপনি আলোচনা করতে পারেন তবে ম জ বাসারের সাথে নয়। আপনার অন্যান্য কথা বা যুক্তি ঠিক আছে কিন্তু আপনি ম জ বাসারের কাছে কোরানের ভিতর এমন উদাহরণ চেয়ে মারাত্মক ভুল করেছেন, সেটা আপনি স্বীকার করে নিলেই উত্তম।
২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: @স্বকীয়তা
হ্যা, আমার সাথে ম.জ. বাশারের বিকর্ত অনেক পুরোন। এর মাঝখানে এসে একটি মাত্র বিষয়ে কথা বলতে গেলে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা থাকতেই পারে। আপনি আমার উত্তরের একটি অংশ দেখলেও সম্ভবত পুরো বিষয়টি আপনার কাছে পরিষ্কার হয়নি।
সহজ করে বলি - নবী/রাসুলগনের সাথে যে জাতির দ্বন্দ হয় তারা পরাজিত হয়ে নবী/রাসুলের সত্য আদর্শের আনুগত্য মেনে নেবে অথবা ধ্বংস হবে - এটা একটা সার্বজনীন নীতি। কোরআনে যত নবী/রাসুলের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলিতেই এই নীতির প্রতিফলন দেখা যায়। এ'জন্যই ম.জ. বাশার বহু চেস্টা করেও এর ব্যাতিক্রমে ওনার নানা/পিতার মত এমন একটা উদাহরণও দেখাতে পারছে না যেখানে ১. নবী রাসুলগন নিজেদের পরিচয় জানতেন না, ওনাদের মৃত্যুর পরে বংশধর বা অনুসারীগন বুঝেছেন যে তারা নবী রাসুল ছিলেন। ২. নবীর প্রচারিত সত্য আদর্শ প্রত্যাখ্যানের পরও কোন জাতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।
আপনি বিতর্কের মাঝখানে এসে নবী ঈসা(আ.) এর উদাহরণ দিলেন, সেটা হয়ত এই আলোচনার ধারাবাহীকতা না জানার কারণে। অন্যথায় ম.জ. বাসার কি ঈসা(আ.) সম্পর্কে জানেনে না? তাহলে উনি কেন ঈসা(আ.) এর উদাহরণ দিচ্ছেন না? কারণ সেটা দিতে গেলে দেখা যাবে ঈসা(আ.) এর জন্য অলৌকিক, কোরআন মতে তিনি অলৌকিক ভাবে জম্মের পর পরই মানুষের সাথে কথা বলেছেন, এবং একই ভাবে তার পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়াটাও অলৌকিক - এই ঘটনাগুলির ব্যখ্যা ম.জ. বাশারের উদ্ভাবিত ও প্রচারিত তত্বের ভিত্তিতে দেয়া যায় না। এ'জন্য উনি ভুলেও ঈসা(আ.) এর প্রসঙ্গের অবতারনা করেন না।
তাই উত্তরটা আপনাকেই দিয়েছি - ইহুদীরা নবী ইসা(আ.) কে অস্বীকার এবং বহু নবী/রাসুল হত্যার দ্বায়ে কোরআনে বহুবার অভিশপ্ত হয়েছে। পৃথিবীতে তারা দীর্ঘদিন বিভিন্ন জাতির দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়ে যাযাবর জীবন যাপন করেছে। হ্যা, আপনি এখন তাদের শক্তিশালী দেখছেন - কিন্তু সেটাতো নবী/রাসুল বিদায় নেয়ার হাজার বছর পরে। কৃষক যখন জমিতে নিড়ানি দিয়ে পরিষ্কার করে তখন তা আগাছামুক্ত হয় - কিন্তু কিছুদিন পরই দেখা যায় আবার আগাছাগুলি বাড়তে শুরু করে। নবী/রাসুলের অনুপস্থিতির সুযোগে ইহুদী, মুশরিকরা আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে - এটাকে কোরআন প্রতিষ্ঠিত ঐ নীতির ব্যাতিক্রম ভাবার কারণ নাই। আজকেও যদি আল্লাহ কোন নবী/রাসুল পৃথিবীতে পাঠান আর ইহুদী/নাসারা/ম.জ.বাশার বা অন্য কোন জাতির সাথে যদি তাঁর দ্বন্দ হয় তাহলে তাদের পরিনতিও একই হবে।
আপনি বলেছেন ঈসা(আ.) এর পুণ: আগমনের ব্যাপারে কোরআনে সুস্পস্ট কোন ঘোষণা নাই। হ্যা সেই দাবি আপনি করতে পারেন - তবে ইহুদী বা খ্রিস্টানরা এবং ম.জ. বাশার যেভাবে দাবি করে যে ঈসা(আ.)কে ক্রশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে কিন্তু পরিষ্কার বক্তব্য আছে। বলা হয়েছে -
"আর তাদের একথা বলার কারণে যে, আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসা মসীহকে হত্যা করেছি যিনি ছিলেন আল্লাহর রসূল। অথচ তারা না তাঁকে হত্যা করেছে, আর না শুলীতে চড়িয়েছে, বরং তারা এরূপ ধাঁধায় পতিত হয়েছিল। বস্তুতঃ তারা এ ব্যাপারে নানা রকম কথা বলে, তারা এক্ষেত্রে সন্দেহের মাঝে পড়ে আছে, শুধুমাত্র অনুমান করা ছাড়া তারা এ বিষয়ে কোন খবরই রাখে না। আর নিশ্চয়ই তাঁকে তারা হত্যা করেনি।"(৪:১৫৭)
তাহলে দেখা যাচ্ছে ইহুদীরা চেস্টা করলেও ঈসা(আ.)কে হত্যা করতে পারেনি। বরং এ'ব্যাপারে তারা ধাধা বা বিভ্রান্তিতে পরে আছে(অর্থাৎ আসলে কী হয়েছিল তা কেউ জানে না)। এবং তার পর পরই তার প্রতি বিশ্বাসী নাসারা(বা খ্রিস্টান)দের ব্যাপক জনপ্রিয়/প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ফলে ঈসা(আ.) এখনও বিশ্বের শতকোটি মানুষের কাছে নবী/রাসুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এর বিপরীতে ম.জ.বাশারের নানা/পিতার মৃত্যুর পরও তাদের আদর্শ কোনভাবেই বিস্তৃত হয়নি - বরং সেই আদর্শের একমাত্র বাহক তাদের বংশধর ম.জ. বাশার দেশ ছেড়ে কানাডায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
কোরআনে পঁচিশজন নবী/রাসুলের কাহিনী বর্ণিত হলেও একজনও এমন পাওয়া যায়না যার সাথে ম.জ. বাসারের পিতা/নানার মিল খুজে পাওয়া যায়। বরং দেখা যায় ওনাদের প্রত্যখ্যান করার পরপরই বাঙ্গালী জাতির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। রাজনৈতিকভাবে একটি স্বাধীন দেশ যেমন পেয়েছে তেমনি অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক পরিচিতির দিক দিয়েও ব্যাপক উন্নতি করেছে। যদি ওনারা সত্য নবী হতেন তাহলেকি এটা সম্ভব ছিল? কোরআনের সেই চিরন্তন ঘোষণা 'সত্য মিথ্যার দ্বন্দে সত্যই বিজয়ী হবে, মিথ্যার পরাজয় সুনিশ্চিত' এর আলোকে যখন দেখা যায় শতাধিক বছর তিন প্রজন্মে প্রচারনা চালানোর পরও ওনার মতবাদ মানুষের মাঝে সামান্যতম প্রভাব বিস্তার করতে পারে নি বরং উনি নিজে কানাডায় পালিয়ে গিয়েছেন - তখন কি এটাই প্রমানিত হয়না যে ওনার বক্তব্যই মিথ্যা এবং কোরআনের ঘোষনা অনুযায়ী মিথ্যার পরাজয় সুনিশ্চিত?
আপনি যদি মনে করে থাকেন যে আমি ম.জ.বাশারকে আমার আদর্শ বা বিশ্বাস মানাতে চেস্টা করছি - তাহলে ভুল করবেন। বরং বিষয়টা উল্টো, ম.জ.বাশার তার ভ্রান্ত ধারনা প্রচার করছেন, আর আমি চেস্টা করছি তার ভুল ধরিয়ে দিতে। ওনার চিন্তাধারার সবচেয়ে মারাত্মক ভুলটি হচ্ছে ওনার পিতা/নানাকে নবী/রাসুল মনে করা। আপনি এই আলোচনায় আমার এবং ওনার যে বক্তব্য দেখলেন তার ভিত্তিতে কি আপনার মনে হয় যে ওনার নানা/পিতার নবী/রাসুল হওয়ার কোন সম্ভাবনা আছে? প্রয়োজনে আপনি ওনার পুরো বইটা পড়ে দেখতে পারেন। দেখতে পারেন ওনার পিতার লেখা কিছু অতি স্বাধারণ মানের ছন্দময় পদ্য/ছড়া, যেগুলোকে উনি ওহী বা ঐশী বানী বা প্রেরণা বানী বলে বিশ্বাস করেন। যদি আপনি সময় নিয়ে সবকিছু পড়ে দেখেন তাহলে আরো নিশ্চিতভাবেই বুঝতে পারবেন যে এই লোক সারাটা জীবন কী মারাত্মক বিভ্রান্তি নিয়ে কাটিয়ে দিয়েছে!
স্বাধারনত দেখা যায় এই ধরনের লোকদের পাশে কিছু চাটুকার/সুযোগসন্ধানী লোক জুটে যায়। যারা এদেরকে উৎসাহ দেয় ব্যাতিক্রমি কিছু করার জন্য। কিন্তু এরা যখন সত্যিকার বিপদে পরে তখন আর ঐসব চাটুকারদের খুজে পাওয়া যায় না। যদি তারা মিথ্যা উৎসাহ না দিয়ে এ'দেরকে আসল সত্যটা বুঝিয়ে বলত তাহলে সেটা সবার জন্যই কল্যানকর হত। ওনাকেও জীবনের ভয়ে বা পেটের টানে দেশ ছেড়ে কানাডায় পালাতে হত না। আমি আন্তরিক ভাবে প্রথম থেকে সেই চেস্টাই করছি। কিন্তু কেউ যদি বুঝতে না চায় তাহলে তাকে কিছু বুঝানো কি খুব সহজ?
২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ম. জ বাসার: "যে কর্মটা দিয়ে আজ ম জ বাসার দুনিয়ার দেড় বিলিয়ণ শিয়া/ছুন্নী/হানাফিদেরকে মিথ্যা ভুল বিভ্রান্ত অমুছলিম প্রমান করে মুক্তির পথে ডাকছে"
যাক তহালে স্বীকার করে নিলেন যে দেড় বিলিয়ন শিয়া/ছুন্নী/হানাফিদের মিথ্যা ভূল বিভ্রান্ত অমুসলিম ভোষনা করা ছাড়া মানব কল্যানে আপনার নানা /পিতার বলারমত আর কোন অবদান নাই। তার পরও আপনার বিচারে ওনারা মহামানব! হ্যা নিজ পিতা, দাদা, নানা বা বংশের লোকদের প্রতি মানুষের ভক্তি শ্রদ্ধা থাকে - তাই বলে একেবারে মহামানব বানিয়ে দিলেন?
আচ্ছা যদি দেড় বিলিয়ন মানুষকে মিথ্যা বা জাহান্নামী ঘোষনা করার মাধ্যমে কেউ মহামানব হয় তাহলে এই বাংলাদেশে কি তার চেয়েও বড় বড় মহামানবের কোন অভাব আছে? -
১. আপনি যদি তাবলিগ জামাতের লোকদের সাথে কথা বলেন তাহলে দেখবেন যে তারা বিশ্বাস করে শুধুমাত্র তাবলীগের কয়েক কোটি সমর্থক ছাড়া দুনিয়ার ছয় বিলিয়নেরও বেশী মানুষই মিথ্যা/বিভ্রান্ত/জাহান্নামী - তাহলে তারা কত বড় মহামানব?
২. যদি আপনি জামাত-শিবিরের সাথে কথা বলেন তাহলে তারা আপনাকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেবে যে শুধুমাত্র জামাত-শিবির এবং তাদের পন্থী কয়েক লাখ মানুষ ছাড়া ছয় বিলিয়নের বেশী মানুষ সব জাহান্নামী - তাহলে তারা কতবড় মহামানব?
৩. যদি আপনি কোন পীরের মুরিদের সাথে কথা বলেন তাহলে দেখবেন সেই পীরের কয়েক হাজার মুরিদ ছাড়া বাকি সাত বিলিয়ন মানুষেকেই তারা অনায়াসে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিচ্ছে - তাহলে তারা কতবড় মহামানব?
-
-
- খুজলে এ'রকম আরো বহু উদাহরণ পাওয়া যাবে।
এবং আপনি এদের কাউকেই যুক্তি দিয়ে বুঝাতে পারবেন না। যদি পারতেন তাহলেতো এরা বহু আগেই নিজেদের বিশ্বাস ছেড়ে আপনার নানা/পিতার আদর্শের অনুসরণ শুরু করে দিত। কিন্তু সেটা হয়নি - এরা প্রত্যেকে নিজ নিজ বিশ্বাসে টিকে আছে - কারণ আপনারমতই এরা নিজেদের বুঝের বাইরে কোন যুক্তি/তথ্য গ্রহন করে না।
সুতরাং আপনার পিতা/নানা শুধুমাত্র দেড় বিলিয়ন মুসলমানকে জাহান্নামী ঘোষনার কারনে যদি মহামানব হয়ে থাকেন তাহলে এই বাংলায় এত বেশী মহামানব থাকবে যে সুদুর কানাডা প্রবাসী কার কাছ থেকে মহামানবের কথা শোনার কোনই প্রয়োজন হওয়ার কথা না - কি বলেন??
২৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরশিদ,
অপেক্ষা করছি ১৯ নম্বরের জন্য; আশা করি মাশালা-মাশায়েল আর ফতোয়াবাজী ত্যাগ করত: এখানে আবির্ভূত হবেন।
বিনীত।
২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৪৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম কাংগাল মুরিশদ,
১. বাবা-শ্বশুর, মামা-খালুরা কি বলে সেটা নতুন করে আপনার বলার অপেক্ষা রাখে না; কারণ ম জ বাসার উহাদের নাড়ী নক্ষত্র পর্যন্ত কুরআনিক মানদন্ডে মুখোস খুলে দিয়েছে। তাছাড়া ওরা বিতর্ক করছে না, করছেন আপনি, অতএব আপানার নিজের কথা বলাই আপানার দায়-দায়িত্ব; এবার বলুন:
ক. ওদের উপর আপনার ভুমিকা কি? সবার কথাই গোগ্রাসে গিলবেন (যা সম্ভব নয়)? না কোন একটা মানদন্ড দিয়ে সবগুলি বিচার-বিবেচনা করত: ঐ মানদন্ডে যেটা টিকবে সেটাই গ্রহণ করবেন; একটাও না টিকলে সবগুলি বাদ দিতে বাধ্য হবেন; শুধুমাত্র মানদন্ডটিই গ্রহণ করবেন। একমত কি?
২. ম জ বাসার বা তার বাবা-নানা কুরআন ব্যতীত কোন কথাই বলেননি; তবুও তাদের বিরুদ্ধে আপনার একমাত্র অহং, হিংসা-বিদ্বেষ ব্যতীত ১টি মাত্র সংগত সাক্ষি বা যুক্তি-প্রমান আজ পর্যন্ত দিতে পারেননি। সুতরাং নীচের আয়াত দিয়ে আপনার ঠিকানা-পরিচয় জেনে নিন:
ক. যখন তাদের বলা হয় উপাস্য থেকে যা প্রকাশিত হয়েছে শুধু তাইই তোমরা অনুসরণ কর; তারা বলে “না, কিছুতেই না, আমাদের বাপ-দাদাদের যাতে পেয়েছি আমরা তাইই অনুসরণ করব”; -আহা! যদিও তাদের বাপ-দাদাগণ কিছুই বুঝে না এবং সঠিক পথেও নয়! তবুও কি? (২: ১৭০)
খ.- তারা স্ব জ্ঞানেই হিংসা-বিদ্বেষ বশত: পরস্পর মতানৈক্য করে- (৩: ১৯
কুরআনের এসমস্ত আয়াতের উপর ঈমান আনলে আপনাদের অস্তিত্ব টেকা দায়; সুতরাং মানবেন কেন??
৩. হে স্ব ঘোষিত মুরশিদ! দুনিয়ার ইতিহাসের ১ জন মাত্র নবি-রাছুলের উদাহরণ দিন? যিনি মানব কল্যাণে ১টি সুই আবিস্কার করেছেন! একখানা চুল কাটা কেচি আবিস্কার করেছেন অথবা ১টি খনি আবিস্কার করেছেন!
অথবা
চাদ ফাটিয়ে/কেটে একফোটা রস দুনিয়ায় ফেলেছেন।
বিনীত।
২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: “না, কিছুতেই না, আমাদের বাপ-দাদাদের যাতে পেয়েছি আমরা তাইই অনুসরণ করব”; -আহা! যদিও তাদের বাপ-দাদাগণ কিছুই বুঝে না এবং সঠিক পথেও নয়! তবুও কি? (২: ১৭০)
এই কথাটাইতো আপনাকে বার বার বলছি - পিতা নানা কী বলে গেছেন তার ভিত্তিতে কোরআানের বিকৃত অনুবাদ/ব্যাখ্যা করা বাদ দিয়ে কোরআন পড়ুন যেভাবে আছে সেভাবে এবং গ্রহন করুন তার স্বাভাবিক অর্থ। তাহলেই বুঝতে পারবেন কতটা ভুলের মধ্যে আছেন।
আসলে সারা জীবনের ভ্রান্ত বিশ্বাস থেকে বের হওয়া খুবই কঠীন। কোরআন থেকে যখন সন্দেহাতীত ভাবে প্রমান করা হল যে আপনার পিতা/নানার নবী/রাসুল হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই, যখন পরিষ্কার দেখান হল কোরআনে বর্ণিত ২৫জন নবীর কমন বৈশিষ্টের সাথে আপনার পিতা/নানার ব্যাপক পার্থক্য রয়েগেছে তখন, যখন সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হল যে কোরআনের বিশাল অংশ জুড়ে থাকা নবী/রাসুলদের ইতিহাস থেকে আপনি কোন শিক্ষাই নিতে পারেন নাই বরং আল্লাহর কাজকে(বিভিন্ন জাতিকে ধ্বংস করা) অযৌক্তিক/ভুল/অপ্রয়োজনীয় বলারমত চরম দু:সাহস করতে বাধ্য হচ্ছেন - তখন সেই এই কথা আবার বলছেন 'কোরআন মান', 'কোরআন থেকে শিক্ষা নাও'।
সত্যিই সেলুকাস বড় বিচিত্র এই জগত - এখনে চোরের মার গলাই সবসময় উচু থাকে - যে নিজে কোরআন থেকে শিক্ষা নেয় না, কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর কাজকে বলে অযৌক্তিক/ভুল/অপ্রয়োজনীয়, যে নিজের ইচ্ছামত কোরআনের অর্থ বদলে দেয় সেই আবার বড় গলায় বলে কোরআনের কথা!! সামান্য চক্ষু লজ্জাও কি থাকতে নাই??
যাক, আপনাকে আর বিব্রত করতে চাই না। শত হলেও আপনি একটা নতুন ধর্মের প্রচারক। কিছু লোক আপনাকে নেতাও মানে। তাদের সামনে এই ভাবে পরাজিত হওয়ার লজ্জা সহ্য করাও আপনার জন্য কষ্টকর হবে। আর আমরা আগেও এই ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম যে কাউকে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য করা হবে না। আপনি যখন আপনার নানা/পিতার মানব কল্যানে অবদানের বিষয়ে কিছু বলতে না পেরে উল্টো আমাকেই নবী-রাসুলের অবদান নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তখনই এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে যে আপনার ভান্ডারে বলারমত আর কোন কথা/যুক্তি অবশিস্ট নাই। কাজেই এই আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আর কোন অর্থ হয় না। আপনাকে মুখে পরাজয় স্বীকার করার লজ্জা থেকে বাঁচাতে এবং আরো ভয়ঙ্কর বিভ্রান্ত কথাবার্তা বলা থেকে রক্ষা করতে আমি বরং এই আলোচনা এখানেই সমাপ্ত করলাম।
সম্ভব হলে নিজেকে সংশোধন করে সঠিক পথে ফিরে আসতে পারেন। না হলেও মৃত্যুর পর আল্লাহ যেদিন সব প্রশ্নের/সংশয়ের জবাব দিয়ে দেবেন সেদিন নিশ্চিত ভাবেই জানতে পারবেন কতবড় বিভ্রান্তিতে কাটিয়েছেন পুরো জীবন। সেই পর্যন্ত ভাল থাকুন।
২৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
আপনার বিভ্রান্তকর পরামর্শের সত্যতা থাকলে কাপুরুষের মত
১৯ ও ২৪ নং মন্তব্যের জবাব না দিয়ে পলায়ণ করতনে না। পলায়ণ করে নিজের মাথায় নিজেই ঘোল ঢাললেন এবং নিজেরই নাকের উপর থেকে আপতিত ঘোলের ফোটা তৃপ্তিসহকারে চাখতে থাকুন।
২. পালাবার ক্ষণে শুনে যান:
কুরআনে বর্ণিত কতিপয় নবি-রাছুলদের আমলে ভ্রান্ত দর্শন হত্যা না করে কতিপয় মানুষ হত্যার কারণ:
যে সকল নবি-রাছুলগণ কতিপয় শত্রুদের প্রত্যক্ষ অন্যায় যুলুম, অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে সক্ষম হননি এবং সহ্যও করতে পারেন নি কেবলমাত্র তারাই ঐ কতিপয় মানুষদের উপর প্রাকৃতিক ধংস ডেকে আনেন।
প্রচলিত ব্যবসায়ী বিভ্রান্ত অনুবাদকগণ কুরআনের মৌলিক দর্শন না বুঝে 'মাছি মারা কেরানীর মত অনুবাদ করেছেন বিধায় এই সাধারণ মুল দর্শন বুঝতে আপনার মত শিক্ষিত লোকও ব্যর্থ হয়েছেন।
আর এই কারণেই অতীতের সকল ভ্রান্ত-বিভ্রান্ত দর্শন জীবিত ও উত্তরোত্কর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভালো থাকুন! সুস্থ থাকুন! মগজের সকল আবর্জনা থেকে মুক্ত হোন! না হলে না হোন!
বিনীত।
২৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
ম জ বাসার বলেছেন: পুনশ্চু ছালাম,
আপনার বিদায় নেয়া আপনি ও আপনার দলের প্রত্যক্ষ পরাজয়; এটা স্বীকার করেও বিদায় নিলে ম জ বাসারের ক্ষমতা নেই আপনাকে ধরে রাখার। তবে বিদায় বেলা বর্ণিত দুটো কঠিন সত্য আপনার কাছে কর্কশ মনে হলে মাফ করে দিবেন।
বিনীত।
২৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৭
হোসেন মনসুর বলেছেন: ম জ বাসার ভাই এর নিকট জানতে চাই
সিরাজুল ইসলাম ওরফে সেরু পাগলা আমারব্লগে বলেছেন "রাসুলের চোখে সবচেয়ে মিথ্যাবাদী ও কুটকৌশলী ছিলেন আবু বকর।কিন্তু তাকে রাসুলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বানাতে রাসুল মারা যাওয়ার পরে হাদিসে যোগ করা হয় কাল্পনিক মেরাজ কাহিনী।এবং সে মেরাজে রাসুল বেহেস্ত দোজখ সহ তামাম সৃষ্টি দর্শণ ও মেরাজ থেকে মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে আসাকে এক মাত্র আবু বকর, বিনা প্রশ্নে বিশ্বাস করার জন্য রাসুল তাকে সিদ্দিক বা বিশ্বাসী উপাধি দেন বলে প্রচার করেন।"
এই ব্যাপারে আপনার মতামত কী?
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫১
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম, কাংগাল মুরশিদ
জনাব মরু দস্যুর প্রচলিত নকল অনুবাদের আসল অনুবাদ নিচে:
১. সূরা ইউনুস-১০:৪৭ আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি-
আসল অনুবাদ: সকল জাতির মধ্যেই প্রেরণাপ্রাপ্ত থাকেন-
২. এমন কোন সম্প্রদায় নেই যাতে সতর্ককারী আসেনি।সূরা -ফাতির -৩৫:২৪
আসল অনুবাদ: এমন কোন জাতি নেই যেখানে নম্র স্বভাবী (আরছাল) সতর্ককারী থাকে না-।
উল্লিখিত সঠিক অনুবাদগুলো মরু দস্যুর জানা থাকলে তার প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু ভিন্নরূপ ধারণ করত।
আশকরি আপনার ঈমান বিশ্বাসের কিছুটা হলেও কাজে লাগবে।
বিনীত।