![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৫৮ সালে পেলের অকল্পনীয় কীর্তির ৬০ বছর বাদে প্রথম টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপে এক ম্যাচে একাধিক গোল (আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুই গোল) করার পর অভিনন্দন জানিয়ে পেলে টুইট করেনঃ
'অভিনন্দন, কিলিয়ান এমবাপে। বিশ্বকাপে এত কম বয়সে দু'গোল তোমাকে মহান সাহচর্যে নিয়ে এসেছে! তোমার পরবর্তী খেলাগুলোর জন্য শুভকামনা, তবে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে নয়।'
প্রতিক্রিয়ায় এমবাপে সাংবাদিকদের বলেনঃ 'আমি খুবি খুশি এবং পেলের সাথে তুলনা হওয়াটা আত্মতৃপ্তিকর। তবে আমার মনে হয় প্রাসঙ্গিক থাকাই ভাল। পেলে অন্য পর্যায়ের খেলোয়াড় এবং এঁদের সাথে থাকতে পারাটা সন্তোষজনক।'
ফাইনালে ক্রোয়াশিয়ার বিপক্ষে ১ গোল করে পেলের পর দ্বিতীয় টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন এমবাপে। পেলে মজা করে বলেন, 'কিলিয়ান যদি একের পর এক আমার রেকর্ডে ভাগ বসাতে থাকে তাহলে ধুলো ঝেড়ে বুট জোড়া নিয়ে আবার হয়তোবা মাঠে নামতে হতে পারে'। জবাবে এমবাপে বলেন, 'রাজা সবসময়ই রাজা থাকবেন।'
২০১৮-র বিশ্বকাপে এমবাপের বয়স ছিল ১৯ বছর ৬ মাস। অন্যদিকে ১৯৫৮-র বিশ্বকাপে পেলের বয়স ছিল ১৭ বছর ৮ মাস। বয়সের বিবেচনায় সবগুলো রেকর্ড তাই এখনো পেলের দখলে।
১৯৫৮ সালে পেলের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সঃ
ইনজুরির কারণে প্রথম দু'টি খেলায় ছিলেননা। তৃতীয় ম্যাচে বদলী হিসেবে মাঠে নামেন এবং ভাভার ২য় গোলে অ্যাসিস্ট করেন। ব্রাজিল ম্যাচ জেতে ২-০ তে। কোয়ার্টার ফাইনালে দলের একমাত্র গোলটি করেন ওয়েলসের বিরুদ্ধে, ব্রাজিল জেতে ১-০ তে। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে দলের ৫-২ ব্যবধানে জয়ে পেলে করেন হ্যাট্রিক। ফাইনালে ব্রাজিল সুইডেনের বিপক্ষে ৫-২ গোলে জয় পায়। পেলে ২টি গোল করেন এবং একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেন। ফাইনালে পেলের প্রথম গোলটি সেই বিশ্বকাপের সেরা গোল এবং বিশ্বকাপ ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা গোল। সমব্রেরো টেকনিক ব্যাবহার করেন পেলে সেই গোলে। ২য় গোলটি করেন লুপ হেডে। সবমিলিয়ে ১৯৫৮-র বিশ্বকাপে ৪ ম্যাচে পেলের গোল ৬ টি এবং অ্যাসিস্ট ২টি। তার সবগুলো গোল নক আউট পর্বের ম্যাচে।
১৯৫৮ এর বিশ্বকাপে পেলের সব গোল
২০১৮ সালে এমবাপের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্সঃ
এমবাপে ফ্রান্সের ৭টি ম্যাচেই খেলেন। গ্রুপ পর্বের ২য় ম্যাচে পেরুর বিরুদ্ধে দলের জয়ে একমাত্র গোলটি করেন এমবাপে। দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ৪-৩ জয়ে ২ গোল করেন এবং দলকে ১টি পেনাল্টি পাইয়ে দেন যা থেকে গোল করেন গ্রিজম্যান। কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে গোল পাননি। তবে এই ২ ম্যাচেই তিনি হলুদ কার্ড দেখেন। ফাইনালে দলের ৪-২ জয়ে চতুর্থ গোলটি করেন। সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচে তার গোল ৪টি, কোন অ্যাসিস্ট নেই, হলুদ কার্ড ২ টি।
২০১৮-র বিশ্বকাপে এমবাপের সব গোল এবং কিছু দারুণ মুহূর্ত
১৯৫৮ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ব্রাজিলের দিদি। পরের স্থানেই ছিলেন পেলে। (তখন অফিসিয়ালি গোল্ডেন বল দেয়া হত না, সেটা শুরু হয় ১৯৮২ সালে)। সেরা নবীন খেলোয়াড়ও ছিলেন পেলে।
২০১৮ বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন যথাক্রমে লুকা মদ্রিচ, এডেন হ্যাজার্ড এবং আতোয়াঁ গ্রিজম্যান। এমবাপে সেরা নবীন খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।
২| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৭
আমর বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যবহুল পোস্টের জন্য।
৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৪
শিহাবমু বলেছেন: এমবাপে পেলে হতে পারবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। তবে আমি যা দেখেছি তাতে ওর সাথে ব্রাজিলের রোনাল্ডোর মিল বেশি।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
তুতুহিন বলেছেন: অনেক বছর হয়ে গেছে। নতুন কেউ এলে খারাপ হয় না।
৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
ইনফোক বলেছেন: পরিসংখ্যানে পেলেকে ছোঁয়া রীতিমত অসাধ্য।
৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪৯
শরাফচৌ বলেছেন: এম্বাপের শুধু ভাল খেলয়াড়ই নয়, সে যথেষ্ট বিনয়ী।
৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোষ্ট টি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এমবাপের সামনে অনেক সম্ভাবনা