![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন হাঁসি কান্না হতাশার সংমিশ্রণ এর মাঝে হতাশার ভাগটা একটু বেশি .
৮ ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস। বিশ্বের সব নারীকে জানাই হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা। আমার মা ছিল সংসারের স্পীকার সম। সব অভাব অভিযোগ মায়ের কানের কাছে এসে অকপটে বলা যেত কখনও বিরক্ত হতে দেখিনি। ব্যবসায়ী বাবা বাসা থেকে বের হতেন ভোরে ফিরতেন অনেক রাত করে। মা-ই ছিল বাবা- মা সব। আত্বিয়দের চাপাচাপি সত্বেও সন্তানের ক্যারিয়ার গঠনে বিয়ের জন্য চাপ দেন নি। নিজেই সব সামলিয়েছেন নিজ হাতে। বাবার কলেজে আসা-যাওয়ার ভাড়া ভাবদ বরাদ্দ ১০০ টাকার বাহিরে মা পকেটে যে টাকাগুলো গুজে দিতেন সেগুলো ছিল মায়ের পালিত হাসঁ মুরগি, ডিম,গরুর দুধ। কলা চাষকৃত সব্জি বিক্রির অর্থ। কলেজ কেন্টিনে খেতে বসে এগুলো মনে উঠলে আমার খাওয়া গলা দিয়ে নিচে নামতে কস্ট হতো। মায়ের সফল পরিকল্পনায় তার সব সন্তান মাথা তুলে সন্মানের সহিত দাড়াতে সমর্থ হলো। চারদিকে প্রাচুর্য, হাসি আনন্দেই এগিয়ে যাচ্চিলাম আমরা। হঠাৎ একটা ঝড় সবকিছু তছনছ করে দিলো। মা যখন নিজের চোখের সামনে দেখতেছিলো। তার সারাজীবনের অর্জন তার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ মোল্লারা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্চে আর যেগুলো লুটপাট করা সম্ভব নয় সেগুলো গানপাউডার দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্চে মা স্টোক করলো। পাচঁদিন রিমান্ড শেষে যখন মেডিকেল টেস্ট করার জন্য জেনারেল হাসপাতালে নিয়েছে সেখানে কর্মরত ৩০ তম বিসিএস এ আমার সাথে ভাইভা দেয়া কোচিং সেন্টারে পরিচিত বন্ধুুটির মোবাইলে মাকে ফোন দিলাম। মাকে বলতে চাইলাম জেল থেকে বের হয়ে আমি আবার তোমার বাড়ি-ঘর সংসার সবকিছু আগের মত গুচিয়ে দিবো সময়ের ব্যবধানে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মা বললো আমার সব শেষ হলেও তোকে মেরে পেলতে পারিনি আমার কিছুর প্রয়োজন নেই শুধু তুই বেচেঁ থাক। আর কোন ককথা বলার শক্তি ছিলনা। হাইকোর্ট থেকে জামিন হওয়ার পর শুরু হল হুমকি জেলগেট থেকে তুলে নিয়ে জবাই করবে। গোপনে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হল আমাকে। আমার ঠিকানা পুলিশ বা জঙীরা যেন কেউ ট্রেস করতে না পারে সেজন্য পরিবারের কেউ আমাকে ফোন দিতনা আমিও না। তৃতীয় ব্যক্তির মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করা হতো। দেশ ছেড়ে আসার দিন শেষবারের মত মা ভাইবোনদের সাথে রাতে গোপন স্থানে দেখা করার সিদ্বান্ত মা বাদ করে দেন শেষপর্যায়ে এসে আমি যেন ধরা পড়ে না যাই এ আশংকায়। তাই দেখা হলোনা। হয়তো জীবনে আর কখনো মা ভাই বোনদের সাথে দেখা হবেনা। আমাদের সাজানো সংসারটিতে হয়তো আর হাসি গানে মাতানো দেখে পাড়া পড়সি জেলাস ফিল করবেনা। মোল্লারা কুৎসা রটাবেনা ইহুদী নাসারারা কোটি কোটি টাকা দিত নইলে এরা এত টাকা কোথায় পায় এত প্রজেক্ট কেমনে করে। এতজমি কিসের টাকায় কিনছে। লেখালেখির কারনে আমাকে নাকি কোন ইহুদি নারী কোটি কোটি টাকা দিত। দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসলে ও পারিনি আমার মা-বাবা। ভাই- বোন। স্ত্রী -সন্তানকে দিনে দিনে মহাশক্তিধর হয়ে উঠা মোলবাদীদের হাত থেকে নিরাপদে রেখে আসতে। এ অপরাধ বোধ আমাকে প্রতিটি মুহুর্তে মূত্যু যন্ত্রনায় ক্ষতবিক্ষত করে যাচ্চে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: মাকে সালাম।