![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমএবি সুজন। এমএসএস (পাস) ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন। তথ্য সংগ্রহ ও রচনা: ক্রাইম পেট্রোল (এটিএন বাংলা), ক্রাইম ফিকশন (জিটিভি), সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টারস সোসাইটি (ঢাকা মহানগর উত্তর)
দক্ষিণখান আশকোনায় রহস্যজনক ! দারুল হুদা ক্যাডটে মাদ্রাসা
এমএবি সুজন : রাজধানীর দক্ষিণখান থানার আশকোনা র্পূবপাড়ার ৮৫৫নং বাড়ীটির ৫ তলা ভবনের নীচতলায় দারুল হুদা ক্যাডটে মাদ্রাসা নামে একটি প্রশ্নবদ্ধি মাদ্রাসা র্দীঘ ৫ বছর যাবৎ পরিচালিত হয়ে আসছে। নুরুল ইসলাম নামক এক কুয়েত প্রবাসী উক্ত প্লটের জমিটি ক্রয় করেন একটি বহুতল বিশিষ্ট মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার ওয়াদা দিয়ে। এরপর শুধু নীচ তলায় লোভীমন প্রতারক নুরুল ইসলাম ও তার ভাগনিা তাবলীগ শাহীন একমত হয়ে একটি নাম সর্বস্ব বাণিজ্যিক আকারে সম্পূর্ণ কমার্শিয়াল ক্যাডটে মাদ্রাসা চালু করেন। ঐ মাদ্রাসার ছাত্র সংখ্যা এ যাবৎ কাগজপত্রে ৩৩ জন উল্লেখ থাকলেও মাদ্রাসার প্রকৃত ছাত্র সংখ্যা মাত্র ৪ জন পাওয়া যায়। বাকী ছাত্রবৃন্দ কোথায় ? জানতে চাইল মাদ্রাসার তালেবে আলেম প্রিন্সিপ্যাল বলেন, “ঈদে সবাই বাড়ীতে গিয়াছে তাই এখনও অনকেই আসতে পারে নাই"। এদিকে মাদ্রাসায় অবস্থানরত কিছু যুবক ও বয়স্ক লোক দেখা যায় যাদের কথাবার্তা, শারীরিক গঠন, গতিবিধি অত্যন্ত সন্দেহমূলক যারা মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট কেউ নন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়। ৪ জন ছাত্র এবং ৪ জন শিক্ষক দ্বারা মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয় বলে জানা যায়। শিক্ষকদের গড় মাসিক বেতন মাত্র ৫ হাজার টাকা অথচ কিভাবে একজন শিক্ষক সামান্য ৫ হাজার টাকায় সংসার চালায় তাও অজানা রহস্যময়।
সূত্রে জানা যায়, কুয়েত প্রবাসী হাজী নুরুল ইসলাম কুয়েতে বসবাসরত বিত্তশালী বাঙালী কমিউনিটি এবং কুয়েতের ধনী আমিরদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকার অনুদান তহবিল সংগ্রহ করে মাদ্রাসা, এতমিখানা ও লিল্লাহ্ বোর্ডিং প্রতিষ্ঠা লক্ষ্যে। যথারীতি দেশী-বিদেশী দান ও অনুদানের টাকায় ৬ কাঠা জমি ক্রয় করে দক্ষিণখান আশকোনায় ঐ বহুতল ভবনটি নির্মাণ করেন। তারপর ভবনটির সামনে মাদ্রাসা ও এতিমখানার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে ফটো সেশন ও ভিডিও ফুটেজ নিয়ে কুয়েতে দানকারীদের দেখিয়ে শুরু করে মাদ্রাসার নামে নিয়মিত চাঁদাবাজি। এভাবে নিয়মিত মাসের পর মাস বছরের বছর দেশী-বিদেশী সাধারণ দান, অনুদান, যাকাত, ফিৎরা, মান্নত ও ছদকার টাকা সংগ্রহ করে আসছেন কুয়েত থেকে নুরুল ইসলাম আর দেশে তার ভাগিনা তাবলীগ শাহীন। মামার চাতুরী ধরে ফেলে ধুরন্ধর তাবলীগ শাহীন। ভাগিনা বেঁকে বসলে মামা নামকাওয়াস্তে নিচতলার ৫টি কুঠুরী মাদ্রাসার নামে মৌখিক ওয়াক্ফকৃত বলে বিশেষ প্রয়োজনে জানান দেয়। ধর্ম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের দোহাই দিয়ে চলছে মামা ভাগিনার জহুরী কেরামতি। আসলে মাদ্রাসার নামে মামা ভাগিনা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গোপন ধর্ম ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছেন বহাল তবিয়্যতে। প্রকৃতপক্ষে এটা কোন মাদ্রাসা বা একাডমেী হতে পারেনা। সরেজমিনে তদন্তে গেলে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ যথাযথ কোন প্রকার লিখিত কাগজপত্র, লাইসন্সে, অনুমোদন বা নিবন্ধন এমনকি কওমী কিংবা নুরাণী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের লিখিত কোন খতিয়ান বা অডিট রিপোর্টও দেখাতে ব্যর্থ হয়। মাদ্রাসাটির পরিচালনা কমিটি বলতে কিছু নেই। অথচ নিজেকে মাদ্রাসার চেয়ারম্যান দাবী করে ভাগিনা তাবলীগ শাহীন বলেন, “মাদ্রাসার জন্য আমাদের কোন কাগজপত্র লাগেনা। আমার গ্রামের বাড়ী ফেনীতেও আমার মাদ্রাসাসহ বেশকিছু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আছে। আমরা যখন এই দারুল হদা ক্যাডেট মাদ্রাসাটি শুরু করি তখন থানায় গিয়ে তৎকালীন দায়ত্বিরত ডিউটি অফিসার এস.আই মোশারফ এর সাথে কথা বলি। দারোগার কথা, "আপনারা চালান সমস্যা হলে আমরাতো পাশে আছি, দেখবো ইনশাল্লাহ"। মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত ছাত্রদের মাসিক বেতন ৪/৫ শত টাকা করে আদায় করেন মাদ্রাসা প্রিন্সিপ্যাল সাহেব।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, মাঝেমধ্যে গভীর রাতে দামী দামী গাড়ীতে করে বেশকিছু লোকজন আসে মাদ্রাসায়। ভিতরে অবস্থান করে আবার রাত পোহাবার আগেই সবাই চলে যায়। মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বেশকিছু বিতর্কিত বইপত্র বিক্রয় করে। সবকিছু মিলিয়ে মাদ্রাসাটিকে ঘিরে সৃষ্ট ধুম্রজাল ও রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি মাদ্রাসার চেয়ারম্যান শাহীনের আয়ের উৎস কি তা খতিয়ে দেখা বিশেষ প্রয়োজন বলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ এতদ সংশ্লিষ্ট যথাযথ কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানায় এলাকাবাসীসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: এই চিহ্নের মানে যে একার (ে) সেটা আপনি না বুঝে কেন প্রশ্ন। আপনি কি মনে করেছিলেন উনি যিশুখ্রীষ্টের সাইন দিচ্ছেলেন???
৩| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: † চিহ্ণের মানে কি?