![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এমএবি সুজন। এমএসএস (পাস) ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ডিজাইন। তথ্য সংগ্রহ ও রচনা: ক্রাইম পেট্রোল (এটিএন বাংলা), ক্রাইম ফিকশন (জিটিভি), সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টারস সোসাইটি (ঢাকা মহানগর উত্তর)
এমএবিসুজন: রাজধানী ঢাকার নাভি খ্যাত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার পুলিশ বক্স সংলগ্ন বাবুস সালাম জামে মসজিদের সিঁড়ির নিচে টিটু ও কুদুছ নামে দুই সহোদর ভাই অবৈধ বিদেশী মুদ্রা বিশেষত বেপড়োয়া অবৈধ ডলার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী মসজিদের নিচে প্রস্তাবিত তৈমুর মানি এক্সচেঞ্জ এর ব্যানারে কিভাবে দাপুটে অবৈধ ডলার বাণিজ্য চলছে তা দেখে সবাই বিস্মিত। দিনরাত ২৪ ঘন্টা হরদম চলছে অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা। এতে জড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী রেল ষ্টেশনের ছিন্নমূল পথশিশুরা পাশাপাশি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায় সরাসরি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করছে দাগী চোর, ছিনতাইকারী, পকেটমার, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও টানা পার্টির সক্রিয় অপরাধী চক্র। টিটু ও কুদ্দুছের দোকানে লাইন ধরে ডলার, দিরহাম, রিয়ালসহ অন্যান্য বিদেশী ধাতব মুদ্রা এবং কাগজের নোট ভাঙানোর এই চিত্র নিয়মিত দৃশ্যমান।
এতে করে বিদেশ থেকে আসা যাওয়ার যাত্রীরা প্রায়ই চুরি ও ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছে। বিদেশী টাকা ভাঙানোর সহজলভ্য একটি স্থান হওয়ায় পেশাদার অপরাধীরা এর ব্যাপক সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসার মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ অবৈধ ডলার চক্র। এ ব্যপারে প্রস্তাবিত তৈমুর মানি এক্সচেঞ্জ এর ছোট মালিক কুদ্দুছ জানায়, "আপনি পত্রিকায় দিয়া আমাগো কিছুই করতে পারবেন না, বেড়ায় ক্ষেত খায়, বোঝেন না ? আমরা কমবেশি সবাইরে ম্যানেজ কইরাই দিনের আলোতে আর রাইতে হাই পাওয়ার এনার্জি বাল্বের নিচে কারবার করি"। আরেক চৌকষ বড় মালিক টিটু বলে, "আমার বৈধ কাগজপত্র আছে দেখবেন ? দেখেন"। দেখায় নকল সিল ও সহি স্বাক্ষর করা জাল কাগজপত্র। টিটু আরও বলে, " দেখতাছেন না আমার এইডা প্রস্তাবিত তৈমুর মানি এক্সচেঞ্জ। আবেদন করা আছে আপাতত কতৃপক্ষ এই কাগজপত্র দেখাইয়া চালাইতে কইছে"। সূত্র জানায়, নামের আগে প্রস্তাবিত শব্দটি ব্যবহার করে এরকম আরও কয়েকটি অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজী ক্যাম্প সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটে।
বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, বিমানবন্দর, বিমানবন্দর রেল ষ্টেশন, হাজী ক্যাম্প, আশকোনা ও কাওলা এলাকায় অভিযানে ধৃত দাগী চোর, পকেটমার, ছিনতাইকারী, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি ও টানা পার্টির বেশকিছু সক্রিয় সদস্য যেমন: আবু কালা, জসমত, তাহেরী বেগম, জমিলা, বাচ্চু, গোলাপ, শুকুর, বিমল পাশা, সোনা বাবুল, ওয়াছেক ও আজগররা ঐসব প্রস্তাবিত মানি এক্সচেঞ্জের সাথে তাদের যোগসাজশের কথা স্বীকার করে। ধৃতরা বলে, "আমরা কাম বাড়ি দিয়া যা পাই সব তৈমুর, ক্রাউন মানি এক্সচেঞ্জ এ দিয়া আসি। দাম কম দিলেও তারা আমাগো নগদ ট্যাকা দাদন দেয়, সেল্টার দেয়, পাবলিক ও পুলিশ ধরলে বাঁচায়, মামলা খাইলে জামিনে ছাড়ায়া আনে"।
সরেজমিনে প্রায় প্রতিদিনই কিছু কিছু ডলারসহ অন্যান্য বিদেশী মুদ্রা বিক্রেতারা উচিত মূল্য না পেয়ে তর্ক করে; এক পর্যায়ে প্রস্তাবিত মানি এক্সচেঞ্জ এর মালিকদের লালিত গুন্ডা বাহিনীর রোষানলে পড়ে ঐসব বিক্রেতারা একরকম নি:স্ব হয়ে জানের ভয়ে পালিয়ে যায় বলে জানায় আশেপাশের দোকানদার ও কর্মচারীরা। প্রস্তাবিত তৈমুর মানি এক্সচেঞ্জ নামকরণ কেন জানতে চাইলে টিটু জানায়, "আমরা যে কোন সময় স্থান পরিবর্তন করতে পারি তাই নামের আগে প্রস্তাবিত লাগাই। অনেক কাঠখড় পোড়াইয়া ব্যবসা করি। আমাদের বিরুদ্ধে যে নিউজ করবো তার খবর কইরা ছাড়বো ইনশাল্লাহ"।
ভূক্তভোগী ও বিমানবন্দর এলাকার সচেতন মহল জানতে চায় কোথায় গেলে এই ভয়ংকর অবৈধ ডলার চক্রের কারবার বন্ধ হবে। সেই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার বিশিষ্ট জনেরা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: ভূক্তভোগী ও বিমানবন্দর এলাকার সচেতন মহল জানতে চায় কোথায় গেলে এই ভয়ংকর অবৈধ ডলার চক্রের কারবার বন্ধ হবে। সেই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার বিশিষ্ট জনেরা।
---সেই সুযোগ বাংলার মানুষের এর নেই।