![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাধর্ম: মানবধর্ম ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস মুক্ত মানব বিকাশ মূলক ধর্ম। মানুষের মৌলিক ধর্ম।
নিজের মনকে জানো
~মহর্ষি মহামানস
(মহর্ষি মহামানস কৃত অধ্যাত্ম মনোবিজ্ঞান থেকে)
মন সম্পর্কে প্রচলিত ধারনায়, মনের দুটি বিভাগ বা অংশের মধ্যে একটি হলো--- হৃদয়, আর অপরটি হলো--- মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক বড় না হৃদয় বড়, এই নিয়ে অনেকের অনেক কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, হৃদয়বান মানুষ মস্তিষ্কজাত বুদ্ধিমান মানুষ থেকে শ্রেয়।
এখন, আমরাও আমাদের (সক্রিয় ও নিস্ক্রিয় মিলে) সমগ্র মনের বর্তমানে সক্রিয় ভূমিকায় থাকা দুটি অংশ-মন সম্পর্কে জানি। তার একটি হলো---অবচেতন বা প্রাক-মানবচেতন মন, আর অপরটি হলো--- সচেতন বা মানবচেতন মন।
প্রথমটি হলো কল্পনা ও আবেগ প্রবণ--- যুক্তি-বুদ্ধি বিহীন অন্ধবিশ্বাসী, কাম-ক্রোধ-লোভ-লালসায় আসক্ত অবুঝ মন। প্রয়োজন বোধে এই মন তার চাহিদা পূরণের জন্য অপরাধ করতেও পিছু-পা নয়। এই মনের মধ্যে আবার রয়েছে, তার স্বজাতি---স্বধর্মী---স্বজনদের প্রতি সহজাত টান ও ভালোবাসা। এককথায়, মোহমায়ায় আচ্ছন্ন অজ্ঞান-অন্ধ এক দুর্রবার-দুরন্ত শিশু-মানব-মন।
এই মনটি এখন অধিক অংশেই বিকশিত ও সক্রিয়। অপর সচেতন মনের সঙ্গে একত্রে বাস করার ফলে, সচেতন মনের বিকাশের সাথে সাথে এই মনটিও এখন পূর্বের তুলনায় অনেকটাই পরিশীলিত। সচেতন মনের কিছু কিছু গুণ এর মধ্যে সংক্রামিত হওয়ায় সে এখন অনেকটাই আধুনিকা।
সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় এই মনটির সুমধুর রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি অনেকবার। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই বর্তমানে অসুস্থ হওয়ায়, এই মনও অসুস্থ--- বিকারগ্রস্ত।
দ্বিতীয় সক্রিয় মনটি হলো--- যুক্তি-বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন সজাগ-সচেতন মন। কিন্তু এই মনটি অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই খুব সামান্য মাত্রায় বিকশিত ও সক্রিয়। তাই, এখনো এর কার্যকলাপ খুবই অল্প ও সীমিত।
চোখে ঠুলি পড়ানো তীব্র বেগবান বুনো ঘোড়াসম অবচেতন মনের রাশ বা লাগাম ধরা রয়েছে এই মনের কাছে। তাকে নিয়ন্ত্রণ ক'রে ভালোভাবে জীবন যাপন করা এবং বিকাশ লাভ করাই হলো এই সত্যপ্রিয় জ্ঞানপ্রিয় সচেতন মনের ধর্ম-কর্ম।
এখন, হৃদয় বলতে আমরা এই অবচেতন মনকেই বুঝে থাকি।
অনিয়ন্ত্রিত হৃদয়াবেগ-ই হলো অবচেতন মনের ধর্ম। সে সচেতন মনের নিয়ন্ত্রণাধীন না থাকলে, অন্ধ-আবেগ বশতঃ কখন যে কী করে বসবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
সে নিজে অন্ধ-বিশ্বাসী হলেও, তাকে মোটেও বিশ্বাস নেই। সে যাকে ও যাদেরকে স্বজন--- সমগোত্রীয়--- সমভাবাপন্ন মনে করবে, তাকে ও তাদেরকে সে প্রাণ দিয়েও সমর্থন করে যাবে। বাকিদের প্রতি সে বিদ্বেষ ভাবাপন্ন। তাদের বিনাশই তার কাম্য।
এই আদিমভাব সম্পন্ন মনটিকেই যারা একমাত্র পছন্দ ক'রে থাকে, তাদের মনও সমানুরূপ আদিম অবস্থায় রয়েছে। তাদের সচেতন মনের যথেষ্ট বিকাশ ঘটেনি এখনও। চারিপাশে একটু পর্যবেক্ষণ করলেই এমন মানুষ বহু দেখতে পাওয়া যাবে।
এখানে একটা কথা বলা আবশ্যক, সচেতন মন--- কোনোকিছুর সঙ্গে মনোযুক্ত হলে, তখন অবচেতন মন আগ্রহের সাথেই হোক আর বাধ্য হয়েই হোক, সেও সেই বিষয়-বস্তুর সাথে যুক্ত হয়।
এবার, সেই বিষয়-বস্তু যদি স্থির বা একঘেয়ে কিছু হয়, অথবা তার আগ্রহের কিছু না হয়, তখন অবচেতন মন চেষ্টা করে--- সেই বিষয়-বস্তু থেকে নিজেকে এবং সচেতন মনকেও বিচ্ছিন্ন করে--- তার নিজের (কল্পনার) জগতে ফিরে আসতে। আর, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সে একাজে সফল হয়ে থাকে।
আরও বিশদভাবে পড়ুন:
https://m.facebook.com/notes/মহর্ষি-মহামানস/নিজের-মনকে-জানো/208105493340056/
©somewhere in net ltd.