নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের চাহিদা মতো মানববিকাশ মূলক যুগোপযোগী ধর্ম~ মহাধর্ম -এর আবির্ভাব ঘটেছে। \'মহাধর্ম\' হলো অন্ধবিশ্বাস মুক্ত, খোলা মনের, যুক্তিবাদী আধ‍্যাত্মিক চেতনা সম্পন্ন, আত্মবিকাশকামী মানুষদের উপযোগী একটি ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম

মহাধর্ম: মানবধর্ম ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস মুক্ত মানব বিকাশ মূলক ধর্ম। মানুষের মৌলিক ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহামনন : মহর্ষি মহামানস প্রদর্শিত, মহা আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রম

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪০

মহামনন: মহর্ষি মহামানস প্রদর্শিত, মহা আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রম

আমরা বিশ্বব‍্যাপী প্রকৃত মানবোন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত একটি ব্যতিক্রমী প্রচেষ্টার সঙ্গে আপনাদেরকে পরিচিতি করিয়ে দিতে চাই আজ।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হতে চলছে, একটি অত‍্যুৎকৃষ্ট অসাধারণ আত্মবিকাশ বা মনোবিকাশ শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে।

'মহামনন' হলো প্রকৃত আত্ম-বিকাশ ও মানব উন্নয়নের জন্য একটি অত্যাবশ্যক এবং মৌলিক শিক্ষা ব‍্যবস্থা। বনেদ গড়ার শিক্ষা।

'মহামনন কেন্দ্র' হলো প্রকৃত মনোবিকাশ শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অতুলনীয় শিক্ষা কেন্দ্র। মানুষ গড়ার শিক্ষা কেন্দ্র।

আমরা মনে করি, মানবজাতির সত‍্যিকারের বিকাশ, একমাত্র ব্যক্তির বিকাশের মাধ্যমেই সম্ভব। আমরা মনে করি, প্রথাগত বা প্রচলিত একাডেমিক (স্কুল-কলেজ ইত্যাদির) শিক্ষা মানুষের প্রকৃত উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট নয়। এর জন্য, আমাদের এমন একটি অভ্যাসগত (অপ্রচলিত) মৌলিক মানবোন্নয়ন মূলক শিক্ষা দরকার, যা আমাদেরকে সম্পূর্ণভাবে উন্নত মানবজাতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

প্রত্যেক সচেতন ব্যক্তিমাত্রই অবগত আছেন, মানব সমাজের অধিকাংশ সমস্যা, অপরাধ এবং ধংসাত্মক ঘটনার জন্য মূলত দায়ী প্রকৃত আত্ম-বিকাশ বা মনোবিকাশ শিক্ষার অভাব। অতএব আজকের এই অতি সংকটকালে, আত্মবিকাশ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

বর্তমানে, এই অপরিহার্য শিক্ষার যথেষ্ট চাহিদা সচেতন মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা গেলেও, আমাদের দেশে প্রকৃত আত্মবিকাশ শিক্ষার জন্য উপযুক্ত কোন প্রতিষ্ঠান নেই, নেই উপযুক্ত শিক্ষা ব‍্যবস্থা। এই মৌলিক অভাব পুরণ করে, দেশ তথা মানবজাতির প্রকৃত উন্নয়নের উদ্দেশ্যে গড়ে উঠেছে এই মহা আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রম।

মহাধর্ম-এর ব্যবহারীক (প্র্যাকটিক্যাল) দিক হলো— ‘মহামনন’ বা মহা আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রম। আত্মবিকাশ অর্থাৎ মনোবিকাশ ঘটানোর সাথে সাথে সর্বাঙ্গীন সুস্থতা লাভই হলো এই শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য।

বিভিন্ন চিকিৎসা বিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, অধ্যাত্ম মনোবিজ্ঞান, যোগবিজ্ঞান এবং অন্যান্য বিজ্ঞানের সমন্বয়ে এবং ‘মহাবাদ’ গ্রন্থের প্রকৃষ্ট জ্ঞানের সাহায্যে এই অসাধারণ শিক্ষাক্রম গ’ড়ে উঠেছে— বহুকালের নিরলস ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও গবেষনার ফলে--।

নিজেকে জানা—নিজের শরীর ও মনকে জানা, নিজের চারিপাশ সহ মানুষকে চেনা, নিজের প্রকৃত অবস্থান সহ জগৎ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান লাভ, নিজের উপর নিয়ন্ত্রন লাভ, জগতকে আরো বেশি উপভোগ করার জন্য নিজেকে যোগ্য—সমর্থ ক’রে তোলা— এই রকম আরো অনেক বিষয় নিয়েই এই শিক্ষাক্রম।

নিষ্ঠার সাথে শিক্ষা ও অনুশীলন করতে থাকলে— আস্তে আস্তে আপনার ভিতরে এক উন্নত—বিকশিত নতুন মানুষ জন্ম নেবে। যা দেখে আর সবার মতো আপনিও বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়ে অপার আনন্দের আধার হয়ে উঠবেন আপনি। আপনার চারিপাশে থাকা সবাই এই আনন্দের সংস্পর্শে এসে তারাও আনন্দ লাভ করবে এবং এই শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত হয়ে উঠবে।

ছাত্র-ছাত্রীগণ তাদের প্রচলিত শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি এই আত্মবিকাশ শিক্ষা গ্রহনের দ্বারা তাদের পরীক্ষার ফল আরো ভালো করতে সক্ষম হবে। এছাড়া তাদের আচরণেও শুভ পরিবর্তন দেখা যাবে।

এই প্রকৃত মানবোন্নয়ন কর্মসূচির জন্য আমাদের সমমনষ্ক ব্যক্তিদের একত্রিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আপনি যদি আমাদের এই কার্যক্রমে আগ্রহী হন, তবে দয়া করে এটি তৈরি করতে, এবং একে সফল করে তুলতে আপনার সাহায্যকারী হাত প্রসারিত করুন। ধন্যবাদ.

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.