নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের চাহিদা মতো মানববিকাশ মূলক যুগোপযোগী ধর্ম~ মহাধর্ম -এর আবির্ভাব ঘটেছে। \'মহাধর্ম\' হলো অন্ধবিশ্বাস মুক্ত, খোলা মনের, যুক্তিবাদী আধ‍্যাত্মিক চেতনা সম্পন্ন, আত্মবিকাশকামী মানুষদের উপযোগী একটি ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম

মহাধর্ম: মানবধর্ম ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস মুক্ত মানব বিকাশ মূলক ধর্ম। মানুষের মৌলিক ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

\'চেতনা\' প্রসঙ্গে মহর্ষি মহামানস উবাচ

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

।। প্রসঙ্গ : চেতনা ।।

'চেতনা' সম্পর্কে অনেকের অনেক রকম ধারণা থাকতে পারে। আমি 'চেতনা' বলতে বুঝি, মনের শক্তি--- মানসিক ক্ষমতা। মনন শক্তি, বোঝার ক্ষমতা, অনুভব করার ---উপলব্ধি করার , জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতা। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও উদ্ভাবন ক্ষমতা বা শক্তি প্রভৃতি। এই ক্ষমতা--- এই শক্তির বিকাশ ঘটলে, এই ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
আরেকটু বিস্তারিতভাবে বলা যায়, চেতনা হলো— শরীর ও মনের অনুভব—সংবেদন—বোধ করার ক্ষমতা, জ্ঞান-অভিজ্ঞতা লাভের ক্ষমতা, কোনো কিছু সম্পর্কে সতর্ক হওয়ার, বিচার-বিবেচনা করা ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, শরীর ও মনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ক্ষমতা, কল্পনা—উদ্ভাবন—সৃষ্টি করার ক্ষমতা প্রভৃতি বিভিন্ন মানসিক ক্রিয়ার শক্তি ও ক্ষমতা স্বরূপ।

চেতনার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে, সেই ব‍্যক্তি ক্রমশ নিজেকে বুঝতে, মানুষকে বুঝতে, জাগতিক ব‍্যবস্থাকে বুঝতে ও জানতে সক্ষম হয়ে উঠবে।

সে তখন ক্রমশই প্রকৃত মুক্ত মনের মানুষ হয়ে উঠতে থাকবে। সমস্ত বিশ্বটাই তার আপন হয়ে উঠবে। অন্ধবিশ্বাস, সংস্কার, প্রচলিত ধর্ম, সম্প্রদায়, রাজনীতিসহ সমস্ত মোহ-মায়ার বন্ধন থেকে সে ক্রমশই মুক্ত হতে থাকবে। ক্রমশ তার আচরণে, তার মনোভাবেও এই পরিবর্তনের প্রকাশ ঘটতে থাকবে।

চেতনা ও যন্ত্রনা

চেতন-অস্তিত্ব লাভ করার বা প্রাপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই যন্ত্রনার পালা শুরু হয়ে যায়। তবে, নিম্ন-চেতন-স্তরগুলিতে বোধ-শক্তি কম হওয়ায়— যন্ত্রনাও কম বোধ হয়। চেতনা যত বর্ধিত হয়, যন্ত্রনাও তত বর্ধিত হতে থাকে।

আবার, উচ্চ-চেতনা লাভের পর থেকে যন্ত্রনা ধীরে ধীরে কম অনুভূত হতে থাকে। অনেকটা উচ্চ বা উচ্চতর চেতন-অবস্থায় আর তেমন যন্ত্রনা থাকে না।

পার্থিব দেহ-অস্তিত্ব সম্পন্ন চেতন-সত্তার যন্ত্রনা কিছু বেশি হলেও, দেহাতীত বা দেহ-বিহীন চেতন সত্তাকেও অনেক যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়। তা’ হলো মানসিক যন্ত্রনা।

দেহ-অস্তিত্ব সম্পন্ন সচেতন মানুষ শারীরিক যন্ত্রনা থেকে মানসিক যন্ত্রনাই বেশি ভোগ করে থাকে। যন্ত্রনার মধ্যদিয়েই মনোবিকাশ তথা চেতনার বিকাশ ঘটে থাকে।

যে একবার চেতন-অস্তিত্ব লাভ করেছে, তার যন্ত্রনা থেকে রেহাই নেই। একমাত্র, দ্রুত উচ্চ চেতন-স্তরে উপনীত হতে পারলে, তবেই যন্ত্রনা থেকে অনেকাংশে মুক্তি ঘটবে।

তাই, যন্ত্রনা থেকে পালিয়ে যাওয়ার অথবা যন্ত্রনাকে ভুলে থাকার চেষ্টা না করে, দ্রুত আত্ম-বিকাশ লাভের চেষ্টা করো। আত্ম বিকাশই আমাদের অন্তিম লক্ষ্য।

জাগতিক-ব্যবস্থা মতো— আমাদের জীবন-চলা ঐ পরম লক্ষ্যপানেই এগিয়ে চলেছে। কেউ দ্রুত গতিতে— কেউ ধীর গতিতে, কেউ এগিয়ে, আর কেউ পিছিয়ে। আমরা সবাই এই একই পথের পথিক— বিকাশমান চেতনার পথে।

মন থেকে চেতনাকে, চেতনা থেকে মনকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব নয়। একের অস্তিত্ব অপরের উপর নির্ভরশীল। চেতনার বিকাশ মানেই মনের বিকাশ বোঝায় তাই, চেতনা সম্পর্কে আরও বিশদভাবে জানতে ও বুঝতে, 'মন-আমি' ও 'নিজের মনকে জানো' রচনা দুটি পড়ুন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.