নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের চাহিদা মতো মানববিকাশ মূলক যুগোপযোগী ধর্ম~ মহাধর্ম -এর আবির্ভাব ঘটেছে। \'মহাধর্ম\' হলো অন্ধবিশ্বাস মুক্ত, খোলা মনের, যুক্তিবাদী আধ‍্যাত্মিক চেতনা সম্পন্ন, আত্মবিকাশকামী মানুষদের উপযোগী একটি ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম

মহাধর্ম: মানবধর্ম ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস মুক্ত মানব বিকাশ মূলক ধর্ম। মানুষের মৌলিক ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজ পূজা— ঈশ্বর পূজা

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

রাজ পূজা— ঈশ্বর পূজা

রাজা-বাদশাদের কৃপালাভের জন্য মানুষ যেমন নতমস্তকে স্তব-স্তুতি, পূজা (রাজ পূজা)—প্রার্থনা, উপঢৌকন প্রভৃতির দ্বারা তাদের সন্তুষ্টি বিধানের চেষ্টা করে এসেছে, ঈশ্বরের কৃপালাভের আশাতেও স্বল্পচেতন মানুষ তার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে— সেই একই পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছে—।

মানুষী ধারণায় ঈশ্বর যেন রাজা-বাদশাদের মতই মানব-মন ও মানব-চেতনা সম্পন্ন কোনো পরাক্রমশালী ব্যক্তি, যে ঐগুলি পেয়ে খুব খুশি হয়ে— তার প্রার্থনা মঞ্জুর করবে!

শুধুকি তা’ই, রাজ-পূজা, দেব-পূজা*, ঈশ্বর-পূজার সাথে জড়িয়ে আছে— পূজা পেতে চাওয়া—পূজা দিতে চাওয়ার** মতো মানুষী মনস্তত্ব, যা ক্রমে সংক্রামিত হয়েছে বহু মানুষের মধ্যে।
মানুষ ক্রমশ বিকশিত হয়ে— যেদিন ঈশ্বরকে তার প্রকৃত রূপে (স্বরূপে) জানতে পারবে, সেদিন সে আর ঈশ্বরের প্রতি এ’রূপ আচরণ করবে না।

একমাত্র স্বল্প-চেতন স্তরের মানুষই চায়, সবাই তার পূজা করুক। ঈশ্বরের চেতনার কী এতই দৈন‍্য‍দশা যে মানুষের পূজার জন্য সে লালাইত হবে!

মহাধর্ম-এ দেব, ঈশ্বর, গুরু পূজার অবকাশ নেই। আত্ম-বিকাশ লাভ এবং সুস্থতা লাভের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মই আমাদের ধর্ম, আমাদের পূজা।

*’দেব’ অর্থে জ্ঞানী—বিদ্বান ব্যক্তি
**কতকটা ‘খেতে ভালবাসা— খাওয়াতে ভালবাসা’-র মতো

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.