নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের চাহিদা মতো মানববিকাশ মূলক যুগোপযোগী ধর্ম~ মহাধর্ম -এর আবির্ভাব ঘটেছে। \'মহাধর্ম\' হলো অন্ধবিশ্বাস মুক্ত, খোলা মনের, যুক্তিবাদী আধ‍্যাত্মিক চেতনা সম্পন্ন, আত্মবিকাশকামী মানুষদের উপযোগী একটি ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম

মহাধর্ম: মানবধর্ম ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস মুক্ত মানব বিকাশ মূলক ধর্ম। মানুষের মৌলিক ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ : আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রম

০৩ রা মে, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩

প্রসঙ্গ : আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রম
~মহর্ষি মহামানস

বিকশিত মানুষ বলতে বোঝায়--- বিকশিত মনের মানুষ। যথেষ্ট জ্ঞান ও চেতনাসহ মানবিক গুণে সমৃদ্ধ সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ--- মুক্তমনের প্রগতিশীল মানুষ।

আমাদের মন অনেকাংশে তার অন্তর্নিহিত সংস্কার বা 'প্রোগ্রাম' দ্বারা চালিত হয়। তাই প্রথমেই মনের মধ্যে আত্মবিকাশ লাভের জন্য ব্যাকুলতা সহ--- সত্য ও জ্ঞান লাভের প্রবল আকাঙ্ক্ষার 'প্রোগ্রাম' রূপ বীজ বপন করতে হবে। এটা নিজেই নিজের মধ্যে বপন করা যায়। অর্থাৎ নিজেই নিজেকে 'প্রোগ্রামড্' ক'রে তোলা যায়। আবার অপর কারো দ্বারাও 'প্রোগ্রামড্' হওয়া যায়। উপযুক্ত শিক্ষা ও পরিবেশ এই বাসনা বৃদ্ধির সহায়ক হয়ে থাকে। এর জন্য প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার এবং প্রকৃত আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রমের প্রচলন একান্ত প্রয়োজন।

জ্ঞান ও সত্য লাভের তীব্র পিপাসা থাকাই হলো--- দ্রুত বিকাশ লাভের প্রথম সোপান। এই জ্ঞান ও সত্য লাভের জন্য হতে হবে যুক্তিবাদী--- বিজ্ঞানমনস্ক--- সত্যপ্রিয় মানুষ। তাই, এই প্রোগ্রাম-ও মনের মধ্যে থাকতে হবে। তা' না হলে ব্যক্তি--- মিথ্যা বা কাল্পনিক বিষয়কেই জ্ঞান ও সত্য ভেবে নিয়ে--- তা' গ্রহণ করেই তৃপ্তি লাভ করবে। মনকে যুক্তিবাদী--- বিজ্ঞানমনস্ক ক'রে তোলার পাঠ-ই হলো দ্বিতীয় সোপান। এই অত্যাবশ্যক কাজটিও প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমেই সম্পাদন করতে হবে। কে কতটা যুক্তিবাদী, তার পরীক্ষা নিয়ে সফল শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করতে হবে।

এর পরবর্তী সোপান গুলিতে--- আত্মবিকাশ শিক্ষাক্রমের পাঠ ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে ক্রমশ উত্তরণ সম্ভব হবে। মনের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাঠ ও অনুশীলন-ও এই শিক্ষাক্রমের অন্তর্গত।

অনেকেই, মানুষ হওয়া বা বিকশিত মানুষ হয়ে ওঠা বলতে, শুধু নীতি-রীতিজ্ঞ, আদর্শবান--- বিবেকবান হওয়া, কর্মপটু ও কৌশলী হওয়া, মানবিক কর্তব্যকর্ম ও আত্মত্যাগ করাকেই বুঝে থাকেন। কিন্তু এই নীতি--- আদর্শ--- বিবেক প্রভৃতি যাতে অন্ধ-আবেগ অন্ধ-বিশ্বাসের দ্বারা ভুল পথে চালিত না হয়, অথবা বিপথগামী না হয়, তার জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা লাভের সাথে সাথে মনকে সুশিক্ষিত করে তোলা প্রয়োজন। দয়া-মায়া-ক্ষমা, প্রেম-প্রীতি প্রভৃতি মানব মনের সুকুমার বৃত্তিগুলির আবশ্যকতা অনস্বীকার্য। সুস্থ ও সচেতন মানুষের মধ্যে এগুলি স্বতঃই প্রস্ফুটিত হয়ে থাকে। তাই, আত্মবিকাশ শিক্ষালাভের সাথে সাথে সর্বাঙ্গীণ সুস্থতা লাভের চেষ্টাও করতে হবে আমাদের। তার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কারের সাহায্য সহ উন্নত বিকল্প-চিকিৎসা পদ্ধতি গুলির সাহায্যও গ্রহণ করতে হবে।

সঠিক আত্মবিকাশমূলক শিক্ষার অভাবে এবং প্রকৃত সুস্থতার অভাবেই আজ মানুষের ও দেশের এই দুরবস্থা। আমরা এর আমূল পরিবর্তন চাই। আমরা চাই--- সুস্থ ও শিক্ষিত, প্রকৃত জ্ঞানী মানুষে সমৃদ্ধ হয়ে উঠুক আমাদের দেশ।

প্রথমে, আত্মবিকাশ লাভে আগ্রহী মানুষদের নিয়েই শুরু করতে হবে--- এই কার্যক্রম। তারপর, তাদের উন্নতি দেখে--- তাদের লাভবান হতে দেখে, পরবর্তী স্তরের মানুষ--- যারা স্বল্প ইচ্ছুক ছিলো, তাদের আকাঙ্খাও জাগ্রত হয়ে উঠবে, এবং তারাও এগিয়ে আসবে এর সুফল লাভের আশায়। এইভাবেই ক্রমশঃ এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে সর্বসাধারণের মধ্যে। 'যুক্তিবাদী মন' 'বিকাশপ্রাপ্ত মন', 'আলোকপ্রাপ্ত মন' প্রভৃতি সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত সার্টিফিকেট গুলি--- সমাজে এবং কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে সমাদৃত হলেই, সাধারণ মানুষ আত্মবিকাশ শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.