নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের চাহিদা মতো মানববিকাশ মূলক যুগোপযোগী ধর্ম~ মহাধর্ম -এর আবির্ভাব ঘটেছে। \'মহাধর্ম\' হলো অন্ধবিশ্বাস মুক্ত, খোলা মনের, যুক্তিবাদী আধ‍্যাত্মিক চেতনা সম্পন্ন, আত্মবিকাশকামী মানুষদের উপযোগী একটি ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম

মহাধর্ম: মানবধর্ম ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস মুক্ত মানব বিকাশ মূলক ধর্ম। মানুষের মৌলিক ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তি প্রসঙ্গে মহর্ষি মহামানস

০৪ ঠা মে, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪

প্রসঙ্গ : শান্তি
~মহর্ষি মহামানস

'শান্তি— শান্তি’ বলে, মাতামাতি করলেই শান্তি আসবেনা। অশান্তির কারণটাকে বুঝতে হবে ভালোভাবে, এবং সবাইকে তা’ বোঝাতে হবে। তারপর, তার প্রতিকার করতে পারলে, তবেই শান্তি আসবে। যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব, আর শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতাই অশান্তির মূল কারণ।

শান্তির জন্য— ভিতরের ও বাইরের সুস্থতাসহ অন্তর্জগত ও বহির্জগত সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান থাকা আবশ্যক। যার নিজের সম্পর্কে এবং বহীর্জগত সম্পর্কে ভালো ধারণা নেই, সে অজ্ঞানতার কারণে— মায়ার বশবর্তী হয়ে, অশান্তিকেই ডেকে আনবে। যাতে অশান্তি সৃষ্টি হয়— সেইরূপ কাজই সে করবে।

বিশেষ চাহিদা বিহীন অর্থাৎ স্বল্প চাহিদা সম্পন্ন নির্জীব অথবা দাস মনোভাবাপন্ন অল্পকিছু অন্ধ-ভক্ত মানুষ— ঈশ্বরের কাছে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পন ক’রে ব্যক্তিগতভাবে শান্তিলাভে সক্ষম হতে পারে। কিন্তু তার ফলে বা তার প্রভাবে মানব সমাজে শান্তি আসবেনা।

এখানে উল্লেখনীয়, সাধারণতঃ এরা নিজেকে ও ঈশ্বরকে নিজেদের স্বরূপে না জেনেই, এইরূপ ক’রে থাকে। যথেষ্ট জ্ঞান-অভিজ্ঞতা-চেতনা লাভের পর, নিজেকে ও ঈশ্বরকে সম্যকভাবে জানার পর কেউ সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পন করলে, তা’ হবে ভিন্ন প্রকৃতির।

অধিকাংশ অশান্তির পিছনে আছে— নানা প্রকারের অনিয়ন্ত্রিত— অবুঝ কামনা-বাসনা —চাহিদা, এবং উগ্র ও বিকৃত চাহিদা। এই সমস্ত চাহিদার পিছনে থাকে— অজ্ঞান বা স্বল্পজ্ঞান সম্পন্ন অসুস্থ মন, এবং অসুস্থ শরীর। থাকে যথেষ্ট চেতনার অভাব।

অনেক অশান্তিকর পরিবেশ-পরিস্থিতির পিছনেও দায়ী মানুষের অজ্ঞান-অসুস্থ মন। তাই সার্বিক মনোবিকাশ না ঘটা পর্যন্ত— এ’সব চলবে— চলতেই থাকবে।

এর সমাধান আছে একমাত্র মানব ধর্ম— মহাধর্মে। বিশ্ব-শান্তি প্রতিষ্টায় মহাধর্ম-ই একমাত্র পথ। মহাধর্ম হলো— প্রকৃত মানব-বিকাশের জন্য বেসিক এডুকেশন।

ঈশ্বর তথা জাগতিক ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে নানাবিধ ক্ষুধা বা চাহিদারূপ অশান্তির বীজ বপন ক’রে দিয়েছে, যাতে আমরা এই সমস্ত ক্ষুধা বা চাহিদার তাড়নায় ব্যতিব্যস্ত হয়ে— কর্ম ও ভোগের মধ্য দিয়ে— জ্ঞান-অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারি। ক্রমশ লাভ করতে পারি সেই অমূল্য সম্পদ— চেতনা।

যথেষ্ট জ্ঞান-অভিজ্ঞতা-চেতনা লাভ না হওয়াবধি, অবুঝের মতো শান্তি চাইতে গিয়ে— অশান্তিই বাড়ে। তাই, শান্তি লাভ করতে চাইলে, আত্ম-বিকাশ-এর পথ অবলম্বন করাই একমাত্র কর্তব্য।
যার জন্য এই অশান্তি— যার অভাবে এত অশান্তি, সেই জ্ঞান ও চেতনা লাভ না হওয়া পর্যন্ত— ঈশ্বরের কাছে শত মাথা কুটলেও শান্তি পাওয়া যাবে না।

তাই, নিজের চাহিদামতো ছোটার সাথে সাথে— ঈশ্বরের চাহিদাটাকেও বোঝার চেষ্টা করো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.