নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের চাহিদা মতো মানববিকাশ মূলক যুগোপযোগী ধর্ম~ মহাধর্ম -এর আবির্ভাব ঘটেছে। \'মহাধর্ম\' হলো অন্ধবিশ্বাস মুক্ত, খোলা মনের, যুক্তিবাদী আধ‍্যাত্মিক চেতনা সম্পন্ন, আত্মবিকাশকামী মানুষদের উপযোগী একটি ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম

মহাধর্ম: মানবধর্ম ভিত্তিক অন্ধবিশ্বাস মুক্ত মানব বিকাশ মূলক ধর্ম। মানুষের মৌলিক ধর্ম।

মানব ধর্মই মহাধর্ম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহর্ষি মহামানস-এর রাজনৈতিক চিন্তা-ভাবনা, মানববিকাশের লক্ষ্যে

২৬ শে মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

একটা প্রশ্ন মনে উদয় হলো:
আচ্ছা,যদি কোনো একটি গণতান্ত্রিক ব‍্যবস্থায়, প্রত‍্যেকের ভোটাধিকার থাকলেও, অশিক্ষিত ও স্বল্পচেতনা সম্পন্ন মানুষদের তুলনায় যথেষ্ট শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিকদের ভোটের মূল অনেক বেশি বলে বিবেচিত হয়, তখন সেই ব‍্যবস্থাকে কিরূপে অভিহিত করা হবে? এবং তা' কিরূপ ফলপ্রসূ হবে?

এই পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে আমাদের একটা মহৎ উদ্দেশ্য। যা হলো আমাদের প্রকৃত মানব বিকাশ কার্যক্রম। আমরা আমাদের পরিকল্পনাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করে দেখতে চাইছি।

আমি এখানে শুধু শিক্ষিত মানুষের কথা বলিনি, বলেছি যথেষ্ট বিকশিত উচ্চ-চেতনা সম্পন্ন মানুষের কথা।
যখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চ চেতনার মানুষ সুযোগ-সুবিধা পাবে, তখন পিছিয়ে থাকা মানুষ সুযোগ-সুবিধা লাভের আশায় স্বভাবতই উপরে ওঠার চেষ্টা করবে। মানব বিকাশ মূলক শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বিকশিত হয়ে ওঠার চেষ্টা করবে। এই সঙ্গে, তাদের সামনে সেই সুযোগও রাখা হবে, যাতে তারা দ্রুত বিকশিত হয়ে উঠতে পারে।
আমাদের এই কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে, গুগল সার্চ: মহামনন, মহাধর্ম।

অপরদিকে, যে দেশের অধিকাংশ মানুষই অশিক্ষিত, কুসংস্কারচ্ছন্ন, অন্ধ-বিশ্বাস প্রবণ, স্বল্প-চেতন মানুষ, সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের ভোট পাওয়ার জন্য রাজনৈতিক দল ও সরকার তাদের মন জয় করতে চেষ্টা করবে। সংখ্যালঘু উচ্চ-চেতন মানুষের চাহিদা উপেক্ষা করে, ওদের নিম্নমুখী চাহিদা পূরণে চেষ্টা করবে। ফলে, সে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি না ঘটে অবনতিই ঘটতে থাকবে ক্রমশ।

যে যেমন চেতন-স্তরের মানুষ, তার চাহিদাও তদনুরূপ হবে। উচ্চ চেতন মনের মানুষ, নিজেদের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে, অন‍্যান‍্য সমস্ত মানুষেরও শিক্ষা ও চেতনার উন্নতি, মনোবিকাশ চেয়ে থাকে। উচ্চ চেতনার মানুষ কখনোই নিচু মনের হয়না। তারা তাদের উচ্চ চেতনার আলোকে, দেশের বিকাশ ঘটাতে চাইবে।

আর নিম্ন চেতনার মানুষ স্বভাবতই সবাইকে তথা দেশকে নিম্নমুখী করতে চাইবে। তারা দেশকে আদিম-অন্ধকার যুগে নিয়ে যেতে চাইবে এবং তারা সেই আদিম অবস্থায় ধরে রাখতে চাইবে। উচ্চ চেতন মনের মানুষের চিন্তা-ভাবনা চাহিদা এবং নিম্ন চেতন মনের মানুষের চিন্তা-ভাবনা ও চাহিদা কখনোই এক রকম হতে পারে না। তাদের ভোটের মূল্যও তাই এক হওয়া উচিত নয়।

নিম্ন চেতন মানুষ বিশেষ পরিস্থিতির চাপ ছাড়া, কখনোই তাদের প্রকৃত বিকাশ চায়না। তাই, তাদের মন জোগাতে, ভোট নির্ভর (অধিক অংশে নিম্ন ও অতি সাধারণ চেতনার মানুষের দ্বারা পরিচালিত) সরকারও স্বাভাবিকভাবেই দেশের এবং দেশের মানুষের প্রকৃত বিকাশ চাইবে না।
যে যেমন প্রকৃতির মানুষ, সে সেই প্রকৃতির মানুষকেই ভালোবেসে থাকে। তাই, দেশের নিম্ন চেতন মানুষ চাইবে, তাদের মতো মানুষই ভোটে নির্বাচিত হয়ে, মন্ত্রী ও প্রধান মন্ত্রী হোক।

এছাড়া, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিম্ন-চেতন মানুষের জন্য সরকার আসন সংরক্ষণ পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে,বিভিন্ন উচ্চপদে নিম্ন চেতন মানুষদের বসিয়ে দিয়ে,দেশের সমূহ ক্ষতি করতে থাকবে। রাজনৈতিক দলের নেতা ও দেশের মন্ত্রীরাও বিকশিত না হয়ে, হবে নিম্ন শ্রেণীর মানুষ। আমি কিন্তু এখানে উঁচু ও নিচু জাতি-বর্ণের কথা বলছি না, বলছি জ্ঞান ও চেতনায় উচ্চ ও নিম্ন শ্রেণীর মানুষের কথা। আজকের সংকরজাতির মানুষের মধ্যে, প্রচলিত ধারণা অনুসারে নির্ধারিত উঁচু জাতি-বর্ণের মানুষের মধ্যেও অনেক নিম্ন চেতনার মানুষ আছে, আবার অবহেলিত নিচু জাতি-বর্ণের মধ্যেও উচ্চ চেতনার মানুষ আছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.