নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাহীন ভাবনাগুলো

মাহের ইসলাম

মাহের ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথ্য বিভ্রাটের কবলে বঙ্গবন্ধু

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮



এম এন লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের এক প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত করতে গেলে, তিনি তাদেরকে বাঙালি হয়ে যাওয়ার আহবান জানান এবং পাহাড়ে বাঙালি পুনর্বাসনের হুমকি দিয়েছিলেন – প্রায় সর্বজনগ্রাহ্য এমন এক ধারনার নির্ভরযোগ্য সুত্রের অনুপস্থিতি আমাকে যারপরনাই বিস্মিত করেছে। তবে এই ঘটনা সংক্রান্ত কিছু পরস্পর বিরোধী তথ্যের উপস্থিতি আমাকে যতটা না বিস্মিত করেছে তার চেয়ে বেশি দ্বিধান্বিত করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র আন্দোলনের পিছনে এই ধারনার সম্পৃক্ততার মাত্রা বিবেচনায়, এমন একটা ধারনার তথ্যের গড়মিলগুলো সামনে তুলে ধরা অপরিহার্য বলে মনে করেই এই লেখার অবতারনা। যা করতে গিয়ে, প্রকাশনার গ্রহনযোগ্যতা, অহেতুক বিতর্ক এড়ানো এবং দীর্ঘ লেখায় বিরক্তি উৎপাদনের সম্ভাবনা বিবেচনায় শুধুমাত্র নির্বাচিত কয়েকটি প্রকাশনার উপরেই দৃষ্টি সীমাবদ্ধ রাখতে হয়েছে।

১৯৮৪ সালে Anti-Slavery Society কর্তৃক প্রকাশিত ‘The Chittagong Hill Tracts: Militarization, oppression and the hill tribes’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা’র নেতৃত্বে উপজাতিদের এক প্রতিনিধিদল ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুআরি তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবের নিকট নিম্নোক্ত চার দফা দাবী উপস্থাপন করেঃ
ক। নিজস্ব আইন পরিষদ সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হবে।
খ। সংবিধানে চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন ১৯০০ বহাল রাখতে হবে।
গ। পূর্ণ প্রশাসনিক ক্ষমতাসহ উপজাতীয় রাজাদের অফিস বহাল থাকবে।
ঘ। সংবিধানে এমন এক রক্ষা কবচ থাকবে যে, ১৯০০ সালের রেগুলেশন সংশোধন করা হবে না এবং এই এলাকায় বাঙালি
পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে না।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, স্বায়ত্বশাসনের দাবীকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিবেচনা করে শেখ মুজিব তাদেরকে নতুন বাংলাদেশে নিজেদের আত্নিকরন এবং বাঙালি হওয়ার উপদেশ দিয়েছিলেন। (পৃ-৪৬)।

‘জীবন আমাদের নয়’ – সি এইচ টি কমিশন রচিত এই রিপোর্টের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯১ সালের মে মাসে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের প্রতি বঞ্চনা আর নিপীড়নের এক প্রামান্য দলিল হিসেবে এই রিপোর্টটি বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর কাজ করার সময় আমাদের দেশের, এমনকি দেশের বাইরের একাধিক ব্যক্তি, গবেষক এবং সংস্থা এই রিপোর্টটিকে সুত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন অসংখ্যবার। এই রিপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বোঝানোর জন্যে চিন্ময় মুৎসুদ্দী‘র একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য,

“এটি আন্তর্জাতিক একটি কমিশনের রিপোর্ট। বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি নিয়ে তারা ১৯৯০/৯১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম সফর করে। ................. এই রিপোর্টে অঙ্কে স্পর্শ কাতর বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কমিশনের এই রিপোর্টটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ বা সেটি অসত্য এমন কোনো বক্তব্য বাংলাদেশ সরকার বলেনি।” (মুৎসুদ্দী, ১৯৯২, পৃ-মুখবন্ধ)।

সিএইচটি কমিশনের উক্ত প্রতিবেদনের সুত্রে পাহাড়ি জনগণের এক প্রতিনিধি দলের সাথে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাতের নাতিদীর্ঘ বিবরণ তুলে ধরেছেন বিপ্লব রহমান (২০১৫),

“১৯৭২ সালের পাহাড়ি জনগণের নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধি দল প্রথম রাষ্ট্রপতি মুজিবুর রহমানের সাথে দেখা করেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন সংসদের চাকমা সদস্য মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা, সঙ্গে ছিলেন উপেন্দ্রলাল চাকমাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় ১২ জন পাহাড়ি। মানবেন্দ্র লারমার সঙ্গে ছিল শেখ মুজিবের বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি।

শেখ মুজিব জিজ্ঞাসা করলেন, ওতে কী লেখা আছে। স্মারকলিপিতে দাবী করা হয়েছিল, নিজস্ব আইন পরিষদ সং বলিত পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্বশাসন, ১৯০০ সালের বিধিসমূহের সং রক্ষণ, তিন প্রধানের দপ্তরের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, বিধিসমূহের সংশোধনের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক রক্ষাকবচ এবং অ-পাহাড়িদের অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ করা। মুজিব দাবিগুলো সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেন।

উপেন্দ্রলাল চাকমার স্মরণে আছে শেখ মুজিব বলেছিলেন, ‘না, আমরা সবাই বাঙালি, আমাদের দুই ধরনের সরকার ব্যবস্থা থাকতে পারে না। তোমরা তোমাদের জাতীয় পরিচয় ভুলে যাও এবং বাঙালি হয়ে যাও।‘ তিনি নাকি হুমকি দিয়ে এও বলেন যে, বাঙালি মুসলমানরা পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেয়ে ফেলবে।

শেখ মুজিবের অফিসে মিটিং স্থায়ী হয় মাত্র ৩-৪ মিনিট। প্রতিনিধিদেরকে বসতে বলা হয়নি। শেখ মুজিব স্মারকলিপি গ্রহণ করেননি। উপেন্দ্রলাল চাকমার ভাষ্যমতে, তিনি সেটা মানবেন্দ্র লারমার দিকে ছুড়ে মেরেছিলেন।” (রহমান, ২০১৫, পৃ-১৪০-৪১)।

প্রায় একই বক্তব্য তুলে ধরেছেন সৈয়দ মুর্তজা আলী (১৯৯৬) এবং মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন (২০০৩)। তবে দু’জনেই প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা সাতজন ছিল বলে উল্লেখ করেছেন। তন্মধ্যে আলী (১৯৯৬) উপেন্দ্রলাল চাকমাকে প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য হিসেবে বর্ণনা করে, তার উদ্ধৃতি দিয়েছেন। (আলী, ১৯৯৬, পৃ-৩৭-৩৮; আবেদিন, ২০০৩,পৃ-৪৫)।

এই ঘটনার প্রায় একই বিবরণ পাওয়া যায় আমেনা মহসিন (১৯৯৭) রচিত ‘The Politics of Nationalism’ বইয়ে। তবে তিনি প্রতিনিধিদলকে বসতে না দেয়া, মিটিংয়ের স্বল্পস্থায়ীত্ব এবং স্মারকলিপি গ্রহণ না করে ছুঁড়ে মারার ব্যাপারগুলো উল্লেখ করেননি। একই সাথে লেখিকা আরো জানিয়েছেন যে, উক্ত প্রতিনিধিদলের সদস্য অনন্ত বিহারী খিসা ১৯ অক্টোবর ১৯৭৩ তারিখে লেখিকার সাথে এক সাক্ষাতকারে এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। (মহসিন, ১৯৯৭, পৃ-৫৭-৫৮)।

এস মাহমুদ আলী (১৯৯৩) জানান, ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুআরিতে এম এন লারমার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল শেখ মুজিবের কাছে চার দফা দাবী পেশ করলে তিনি প্রতিনিধিদলকে বাঙালি হয়ে যাওয়ার উপদেশ দেন। তবে তিনিও প্রতিনিধিদলকে বসতে না দেয়া, মিটিংয়ের স্থায়ীত্ব এবং স্মারকলিপি গ্রহণ না করে ছুঁড়ে মারার ব্যাপারগুলো উল্লেখ করেননি। অনুরূপ বক্তব্য ফুটে উঠেছে মিজানুর রহমান শেলী (১৯৯২) এবং এস পি তালুকদারের (১৯৯৪) কণ্ঠেও।

প্রদীপ্ত খীসা (১৯৯৬) জানিয়েছেন, “ বাংলাদেশের ভাবি সংবিধানে উপজাতীয়দের ন্যায়সঙ্গত অধিকার সংরক্ষনের জন্যে এম এন লারমাসহ একটি উপজাতীয় প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুআরি মঙ্গলবার সন্ধে সাড়ে ছয়টার সময় একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।” তিনি আরো জানিয়েছেন যে, বঙ্গবন্ধু “উপজাতীয় নেতৃবৃন্দের দাবিদাওয়ার প্রতি সমর্থনে কুণ্ঠিত হন। উল্টো তিনি এম এন লারমাকে এ ব্যাপারে আর অগ্রসর না হবার পরামর্শ দেন ”। এখানে লেখক চার দফা দাবীর প্রতিটি উল্লেখ করেছেন। তবে, প্রতিনিধিদলে সদস্য সংখ্যা, প্রতিনিধিদলকে বসতে না দেয়া, মিটিংয়ের স্থায়ীত্ব এবং স্মারকলিপি গ্রহণ না করে ছুঁড়ে মারার ব্যাপারগুলো উল্লেখ করেননি। (খীসা, ১৯৯৬, পৃ-৪১)।

সুবীর ভৌমিক (১৯৯৬) জানিয়েছেন যে, ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুআরিতে সতের সদস্যের এক প্রতিনিধিদল ঢাকায় বঙ্গবন্ধুর সরকারী বাসভবনে তার সাথে সাক্ষাৎ করে চার দফা দাবী সম্বলিত এক স্মারকলিপি পেশ করে। সতের জনের একজন উপেন্দ্রলাল চাকমা’কে উদ্ধৃত করে তিনি জানান যে, বঙ্গবন্ধু তাদেরকে স্বশাসনের কথা ভুলে গিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে এবং বাঙালি হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। প্রতিনিধি দলে মং রাজা এবং এম এন লারমার উপস্থিতির কথা জানালেও লেখক অন্য কোন সদস্যের নাম উল্লেখ করেননি। এছাড়াও, প্রতিনিধিদলকে বসতে না দেয়া, মিটিংয়ের স্থায়ীত্ব এবং স্মারকলিপি গ্রহণ না করে ছুঁড়ে মারার ব্যাপারগুলো উল্লেখ করেননি।

তারিখ উল্লেখ না করলেও ফেব্রুআরি ১৯৭২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের এক প্রতিনিধিদলের বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করে চার দফা দাবী প্রণয়ন এবং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক তা প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপার উল্লেখ করেছেন আরো কিছু লেখক/ গবেষক; তন্মধ্যে ইফতেখারুজ্জামান (১৯৯৮) এবং শরদিন্দু শেখর চাকমা (২০১৪) উল্লেখযোগ্য। উল্লেখ্য যে, আমেনা মহসিন (২০০৩) তার ‘The Chittagong Hill Tracts: On the Difficult Road to Peace’ বইয়ে সন-তারিখ উল্লেখ না করে বলেন যে, বাংলাদেশের সংবিধান প্রনয়নের সময়কালে এম এন লারমার নেতৃত্বে পাহাড়িদের এক প্রতিনিধিদল শেখ মুজিবের রহমানের সাথে দেখা করে চার দফা দাবী পেশ করেন। মুজিব তাদের দাবী প্রত্যাখ্যান করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ গ্রহণ করার উপদেশ দেন এবং বাঙালি পুনর্বাসনের হুমকি দেন। (মহসিন, ২০০৩, পৃ-২২)।

পার্বত্য চট্টগ্রামের কতটি প্রতিনিধিদল ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিল, তার কোন তালিকা হয়ত থাকতে পারে, কিন্তু আমি খুঁজে বের করতে পারিনি। তবে বিভিন্ন প্রকাশনা পর্যালোচনা করে এবং বিভিন্ন লেখকের বইয়ে প্রদত্ত ঘটনাপঞ্জী হতে দুইটি প্রতিনিধিদলের ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ, অন্তত আমার নেই। এই প্রতিনিধিদল দু’টির একটির নেতৃত্বে ছিলেন চারু বিকাশ চাকমা; অন্যটির নেতৃত্বে ছিলেন মং রাজা মং প্রু সাইন। অপরদিকে, এম এন লারমা’র নেতৃত্বে কোন প্রতিনিধি দলের বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাতের ব্যাপারে আমি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারিনি।

১৯৭২ সালের ২৯ জানুয়ারিতে চারু বিকাশ চাকমার নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধিদলের উল্লেখ পাওয়া যায় জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা রচিত ‘ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পার্বত্য স্থানীয় সরকার পরিষদ’ বইয়ে (প্রকাশকাল ১৯৯১ সন)। পরবর্তীতে আরো কিছু লেখক এই প্রতিনিধিদলের উল্লেখ করেছেন; যেমন, মিজানুর রহমান শেলী (১৯৯২), আফতাব আহমাদ (১৯৯৩), প্রদীপ্ত খীসা (১৯৯৬), আমেনা মহসিন (১৯৯৭), গোলাম মোর্তোজা (২০০০), হাবিবুর রহমান (২০০৪), ডাঃ এ. কে. দেওয়ান (২০১১) প্রমুখ। তন্মধ্যে ইবরাহিম (২০০১) এই প্রতিনিধিদলের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। এরা হলেন মং শানু চৌধুরী, দেবদত্ত খীসা, যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, অশোক মিত্র, রুপায়ন দেওয়ানসহ আরো দুইজন।

১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মং রাজা মং প্রু সাইনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আরেকটি প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিল। অন্যান্য যারা এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন, তারা হলেনঃ
১। মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা।
২। কে কে রায়।
৩। বিনীতা রায়।
৪। বোমাং রাজা মং শৈ প্রু।
৫। সুবিমল দেওয়ান।
৬। জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা।

উক্ত প্রতিনিধি দলের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা (১৯৯১) হতে জানা যায় যে, বঙ্গবন্ধু জরুরী কাজে বাইরে থাকায় প্রতিনিধিদল তার (বঙ্গবন্ধু) সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেনি। তাই, তার জনসংযোগ কর্মকর্তার কাছে নিম্নলিখিত ৪ দফা দাবী সম্বলিত একটি দাবীনামা রেখে আসেঃ
ক। পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হবে এবং এর একটি নিজস্ব আইন পরিষদ থাকবে।
খ। উপজাতীয় জনগণের অধিকার সংরক্ষনের জন্য ১৯০০ সালের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধির’ অনুরূপ সংবিধি ব্যবস্থা শাসনতন্ত্রে থাকবে।
গ। উপজাতীয় রাজাদের দফতর সংরক্ষণ করা হবে।
ঘ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয় নিয়ে কোন শাসনতান্ত্রিক সংশোধন বা পরিবর্তন যেন না করা হয়, এরূপ সংবিধি ব্যবস্থা শাসনতন্ত্রে থাকবে। (চাকমা, ১৯৯১, পৃ-৫০-৫১)।

১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুআরিতে তৎকালীন মং রাজার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদলের আগমন এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাত না হওয়ার প্রেক্ষিতে চার দফা দাবীনামা রেখে যাওয়ার ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন আরো কিছু লেখক/গবেষক। তন্মধ্যে আফতাব আহমাদ (১৯৯৩), মাহফুজ পারভেজ (১৯৯৯), গোলাম মোর্তোজা (২০০০), মেজর জেনারেল (অব.) ইবরাহিম (২০০১), ডাঃ এ. কে. দেওয়ান দেওয়ান (২০১৫) প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

প্রসঙ্গত উল্লেখ না করলেই নয় যে, সুদীপ্তা দেওয়ান ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের প্রথম মনোনীত সাংসদ। তিনি এবং তার স্বামী ডাঃ এ. কে. দেওয়ান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বিশেষ স্নেহধন্য, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনাবলী কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন। ডাঃ দেওয়ান রচিত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বঙ্গবন্ধু’ বইটি বঙ্গবন্ধুর পার্বত্য চট্টগ্রাম সংক্রান্ত মুল্যবান একটি দলিল বলে বিবেচিত। সম্পূর্ণ তথ্য ভিত্তিক এই বইয়ে তিনি দুর্লভ কিছু ছবি এবং পেপার কাটিংসহ ঐ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন,

“১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২ সনে সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা মং রাজা মং প্রু সাইনের নেতৃত্বে মানবেন্দ্র নারায়ন লারমাসহ ৭ সদস্যের আরো একটি পাহাড়ি প্রতিনিধি দল পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের শাসনতান্ত্রিক অধিকার ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে চার দফা দাবি নিয়ে হাজির হন।

উক্ত চার দফা দাবি হলো- (১) পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হবে এবং এর একটী নিজস্ব আইন পরিষদ থাকবে। (২) উপজাতীয় জনগণের অধিকার সংরক্ষণের জন্য ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধির অনুরূপ সংবিধি ব্যবস্থা শাসনতন্ত্রে থাকতে হবে। (৩) পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় রাজপ্রথা সংরক্ষণ করতে হবে। (৪) পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয় নিয়ে কোনো শাসনতান্ত্রিক সংশোধন বা পরিবর্তন যেন না হয় এরূপ সংবিধি ব্যবস্থা শাসনতন্ত্রে থাকতে হবে।

যাহোক নির্ধারিত সময়ে বঙ্গবন্ধু জরুরি কাজে বাইরে থাকায় নেতৃবৃন্দ তার সাথে সাক্ষাৎ করতে ব্যর্থ হয়। তবে জনসংযোগ কর্মকর্তার কাছে উল্লেখিত চার দফা দাবি সম্বলিত দাবিনামাটি বঙ্গবন্ধুর কাছে পেশ করার জন্য রেখে আসে।” (দেওয়ান, ২০১৫, পৃ-১৫-১৭)।

সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হল এই যে, ১৯৭৪ সালের ২১ মে তারিখে এম এন লারমার সাথে সাক্ষাৎকারের সুত্রোল্লেখ করে আফতাব আহমাদ জানিয়েছেন যে, ২৯ জানুয়ারি ১৯৭২ সালের প্রতিনিধিদলকে বঙ্গবন্ধু আশ্বস্ত করেছিলেন যে, পাহাড়িদের ঐতিহ্য এবং কৃষ্টি সংরক্ষনের জন্যে সংবিধানে যথাযথ প্রভিশন থাকবে এবং চাকুরির সুযোগ প্রদানের জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এর পরেই তিনি ১৫ ফেব্রুআরি ১৯৭২ সালের প্রতিনিধি দলের প্রসঙ্গ এনে বলেন যে, মং রাজা মং প্রু সাইনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আরেকটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিল, যেখানে অন্যান্যদের মধ্যে বিনীতা রায় এবং এম এন লারমা ছিলেন । তবে বঙ্গবন্ধু না থাকায় তার সাথে এই প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে পারেনি; তখন জনসংযোগ কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি রেখে আসে, যেখানে চার দফা দাবী ছিল। এই দাবী সমুহের সুত্র হিসেবে লেখক তার পূর্বোক্ত সুত্র (Ibid), অর্থাৎ এম এন লারমার সাথে ২১ মে তারিখে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎকারের উল্লেখ করেছেন। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন জাগে, ১৫ ফেব্রুআরি ১৯৭২ তারিখে বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ হলে এম এন লারমা নিশ্চয় আফতাব আহমাদকে সেই সংক্রান্ত কিছু না কিছু বলতেন। অথচ, আফতাব আহমাদ পরিস্কারভাবে বলেছেন যে, বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ হয়নি।

উপরোক্ত দু’টি প্রতিনিধি দল ছাড়া আর কোন উপজাতীয় প্রতিনিধিদলের ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাতের বিবরণ পাওয়া যায় না। তবে আফতাব আহমাদ ( ১৯৯৩) জানিয়েছেন যে, জাতীয় সংসদ কর্তৃক বাংলাদেশের সংবিধান অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত, ১৯৭২ সালে একাধিকবার এম এন লারমা বঙ্গবন্ধুর সাথে পাহাড়িদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা এবং দাবীদাওয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এমতাবস্থায়, যখন চোখে পড়ে, কেউ কেউ দাবী করছেন যে, এম এন লারমার নেতৃত্বে এক উপজাতীয় প্রতিনিধিদল ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুআরিতে বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করে চার দফা দাবী পেশ করেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধু সেই দাবী মেনে নেননি – তখন বিস্মিত না হয়ে উপায় থাকে না। বিস্ময়ের মাত্রা আরো উচুতে ওঠে যখন আরো চোখে পড়ে, ১৫ ফেব্রুআরি ১৯৭২ তারিখের প্রতিনিধিদলের সাতজনের মধ্যে যার নামই নেই, সেই উপেন্দ্রলাল চাকমাকে উদ্ধৃত করে সি এইচ টি কমিশন তাদের প্রতিবেদনে স্মারকলিপি ছুড়ে মারার মত ঘটনা উল্লেখ করছে – সেই প্রতিবেদন আবার অনেক গবেষনাকর্মের সুত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

১৫ ফেব্রুআরি ১৯৭২ তারিখের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন, এমন একজন হলেন জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা। তিনি যেখানে নিজে বলেছেন (১৯৯১) যে, মং রাজা মং প্রু সাইনের নেতৃত্বে সাত সদস্যের এক প্রতিনিধি দল গিয়েছিল এবং ঐ সময়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ হয়নি; সেখানে সি এইচ টি কমিশন (১৯৯১), মিজানুর রহমান শেলী (১৯৯২), এস মাহমুদ আলী (১৯৯৩), এস পি তালুকদার (১৯৯৪), প্রদীপ্ত খীসা (১৯৯৬), সুবীর ভৌমিক (১৯৯৬), সৈয়দ মুর্তজা আলী (১৯৯৬), আমেনা মহসিন (১৯৯৭), বিপ্লব রহমান (২০১৫) এবং আরো অনেক লেখক/গবেষকের প্রকাশনায় ১৫ ফেব্রুআরি ১৯৭২ তারিখে এম এন লারমার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল গমন এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ, বার বা সতের সদস্যের প্রতিনিধিদল, অনন্ত বিহারী খীসা কিংবা উপেন্দ্রলাল চাকমাকে প্রতিনিধি দলের সদস্য বিবেচনা করা, বঙ্গবন্ধু কর্তৃক প্রতিনিধিদলের দাবী অগ্রাহ্য করা, বা স্বল্প সময়ের মিটিং, কিংবা তাদেরকে বসতে না দেয়া, এমনকি এম এন লারমার দিকে স্মারকলিপি ছুড়ে মারার ব্যাপারগুলো কোন দৃষ্টিকোণ হতে বিচার করা উচিৎ - সেটা বিবেচনার ভার পাঠকের উপর ন্যস্ত করা ছাড়া গত্যন্তর নেই।

প্রথিতযশা আর স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গের প্রকাশনায় তথ্য বিভ্রাটের এহেন উপস্থিতিতে সাধারণ পাঠকের দ্বিধান্বিত না হয়ে উপায় নেই। বিগত বছরগুলোতে এই তথ্য বিভ্রাটের বলি হয়েছে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ, বিশেষত পার্বত্য চট্টগ্রামে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিন ধরেই তথ্য বিভ্রাটের মাত্রা এমনি ব্যাপক যে স্বয়ং বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করেও এমনটা ঘটেছে; যার প্রমাণ হল ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ঘটনাবলী। যাদের সাথে বঙ্গবন্ধুর দেখাই হয়নি, তাদের দাবী না মেনে বসতে না দেয়ার মত অভদ্র আচরণ, এমনকি স্মারকলিপি ছুড়ে মারার মত শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজের দায়ভারে আক্রান্ত করা হয়েছে তাঁকে - দেশে, এমনকি বিদেশে, দীর্ঘদিন ধরেই।

তথ্যসুত্রঃ
১। খীসা, প্রদীপ্ত (১৯৯৬). পার্বত্য চট্রগ্রামের সমস্যা. ঢাকা: সাহিত্য প্রকাশ।
২। ইব্রাহিম, মেজর জেনারেল (অব.) (২০০১). পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি প্রক্রিয়া ও পরিবেশ- পরিস্থিতির মূল্যায়ন, ঢাকা: মাওলা ব্রাদার্স।
৩। চাকমা, জ্ঞানেন্দু বিকাশ (১৯৯১). ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে পার্বত্য স্থানীয় সরকার পরিষদ. রাঙামাটি: স্থানীয় সরকার পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
৪। পারভেজ, মাহফুজ ( ১৯৯৯). বিদ্রোহী পার্বত্য চট্টগ্রাম ও শান্তি চুক্তি. ঢাকা: সন্দেশ।
৫। মুৎসুদ্দি, চিন্ময় (১৯৯২). অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য প্রসঙ্গ . ঢাকা: আগামী প্রকাশনী।
৬। মোর্তোজা, গোলাম (২০০০ ). শান্তি বাহিনী গেরিলা জীবন. ঢাকা: সময় প্রকাশন।
৭। রহমান, বিপ্লব (২০১৫). পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ. ঢাকা: সংহতি প্রকাশন।
৮। দেওয়ান, ডা. এ.কে. দেওয়ান (২০১৫), পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বংগবন্ধু (২য় সংস্করণ), রাঙ্গামাটী, সুদিপ্তা দেওয়ান।
৯। Ahmed, Aftab (1993, November). Ethnicity and Insurgency in the Chittagong Hill Tracts Region: A Study of the Crisis of Political Integration in Bangladesh. Journal of Commonwealth & Comparative Politics, 31(3), 32-36.
১০। Ali, S Mahmud (1993). The Fearful State: Power, People and Internal War in South Asia . London: Zed Books.
১১। Ali, yed Murtaza (1996). The Hitch in the Hills: CHT Diary. Chittagong: Dil Monowara Begum.
১২। Bhaumik, Subir. (1996). Insurgent Crossfire North-East India. New Delhi: Lancer Publishers.
১৩। Mohsin, Amena. (1997). The Politics of Nationalism: The Case of the Chittagong Hill Tracts Bangladesh. Dhaka: The University Press Limited.
১৪। Mohsin, Amena. (2003). The Chittagong Hill Tracts, Bangladesh: On the Difficult Road to Peace. Dhaka: The University Press Limited.
১৫। Royhan, Syed Abu (2016). The Chittagong Hill Tracts. Dhaka: Kalikolom Prokashona.
১৬। Shelley, Mizanur Rahman (Ed.). (1992). The Chittagong Hill Tracts of Bangladesh: The Untold Story. Dhaka: Centre for Development Research, Bangladesh.
১৭। Society, Anti-Slavery (1984). The Chittagong Hill Tracts: Militarization, oppression and the hill tribes. London: Anti-Slavery Society.
১৮। Abedin, Mohammad Zainal (2003). The Chittagong Hill Tracts: A Victim of Indian Intervention. London: Eastern Publications.

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিরক্তকর পোষ্ট।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২০

মাহের ইসলাম বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন, ভেবে খুশী হলাম।

কবিতা আমার মাথায় আসে না।
আমার লেখাঁ গল্প পড়ে আমার এক বন্ধু বলেছে যে, ওগুলো নাকি প্রাইমারী স্কুলের বাচ্চাদের লেখা মনে হয়।
এত কিছুর পরেও লিখতে ইচ্ছে করে। এখন ভাবছি, কি নিয়ে লিখলে পাঠকের বিরক্তি উৎপাদন হবে না।

শুভ কামনা রইল।
আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৩

অভি চৌধুরী বলেছেন: বিস্তারিত পরে পড়বো। শুধু ছবির মানুষটার কথা বলি - বাংলাদেশ তার অভিশাপ বয়ে বেড়াচ্ছে এখনো।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১২

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমার ব্লগে ঢূ মারার জন্যে।
শুভ কামনা রইল।

দেশের সকলের প্রতি শুভ কামনা , যাতে কারো অভিশাপ বয়ে বেড়াতে না হয়, যেন সকলের মঙ্গল হয় ।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার পুরো ব্লগটাই বেশ ইন্টেরেসটিং

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: উৎসাহিত বোধ করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার ক্যাপ পড়ার স্টাইলটা কিন্তু দারুন মানিয়েছে।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনি প্রচুর পড়াশোনা করেন...
রিসার্চ করেন...

আমিও করি....

পোস্টটা পড়লাম...
কিন্তু বইগুলো না পড়ে মন্তব্য করার যোগ্যতা আমার এখনো হয়নি....

পরে একসময় পড়ার চেষ্টা করবো :)

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত বোধ করছি, আপনার কথায়।

কিছু বই হয়ত হাতের নাগালে পেতে একটু কষ্ট হতে পারে। আমার হয়েছে, তাই আপনার জন্য দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
আগে মুভি দেখতাম। এখন পারি না। তাই বই পড়ি। নীলক্ষেতে গিয়ে পুরনো বইয়ের দোকানে ঢু মারতে ভালো লাগে।

ভালো থাকবেন, অনেক অনেক শুভ কামনা রইল

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৭

যোখার সারনায়েভ বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার এই ছোট্ট একটা কথা আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা যোগাবে।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহেরভাই,

পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের দাবি সংবলিত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎ হয়েছিল বা হয়নি সে সম্পর্কে বিতর্ক রয়ে গেছে । আবার যিনি প্রতিনিধিদলে ছিলেন না সাত সদস্যের কমিটিতে তাকে উদ্ধৃতি দিয়ে ঘটনার বর্ণনা সেটাও বেশ রহস্যজনক। 1972 খ্রিস্টাব্দের 15 ফেব্রুয়ারি মঙ্গ রাজার নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলের চার দফা দাবি যেখানে দেখলাম বাস্তবে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকার হয়নি। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম সাংসদ ডা:দেওয়ান তার গ্রন্থে মং রাজার সাত সদস্যের কমিটির দেখা করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন যে ওনারা দেখা করতে গিয়েছিলেন কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে না পেয়ে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দাবি-দাওয়া জামাদান । এমতাবস্থায় এ আহমেদের , লারমার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাৎকারের ঘটনাটি বেশ উদ্ভট লাগলো । নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া এরকম উদ্ধৃতি সন্দেহে বিতর্ক থেকে যায়।
শেষে তো দেখলাম আবার একজনের যার কমিটিতে নামই ছিল না অথচ তার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্বটি নিঃসন্দেহে রহস্যময়।


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।


২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০১

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যে এটা পরিস্কার যে আপনি যা পড়েন তা খুব তাড়াতাড়ি বা এক দফাতেই মাথায় নিয়ে নিতে পারেন।
অথবা, আমার এই লেখা আপনি কমপক্ষে দু'বার পড়েছেন।

যাই হোক, আমি নিজেই প্রচন্ড কনফিউসড হয়ে গেছি। আর সে কারণেই এতগুলো বই ঘেটেছি। লক্ষ্য ছিল, সবার আগে কে এবং কাকে সুত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল তা বের করা। অবশ্য সেটা বের করতে পারিনি। কারণ, দুইটা রেফারেন্স খুঁজে বের করতে পারিনি।

তবে, আমার মনে হয়, যেহেতু এই রকম একটা ধারনা প্রচলিত আছে অনেক দিন ধরেই, সেহেতু আমার প্রান্তে কোন ভুল হয়ে থাকতে পারে। যদিও, এখন পর্যন্ত আমার ফাইন্ডিংস বলছে যে ১৫-২-১৯৭২ তারিখে এম এন লারমার সাথে বঙ্গবন্ধুর সাক্ষাতের কোন সুযোগ ঘটে নি।
আর হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন, যারা ঐ দলে ছিল না, তাদেরকে সুত্র হিসেবে উল্লেখ করার পিছনে বিশেষ কোন কারণ হয়ত ছিল।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫১

প্রামানিক বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আমার ব্লগে বেড়িয়ে যাওয়ার জন্যে।

শুভ কামনা রইল।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

কালীদাস বলেছেন: ডায়নামাইট পোস্ট :|| স্বীকার করছি অনেক দাবি সরাসরি মেনে নেয়ার মত না বাংলাদেশের তৎকালীন কনস্টিটিউশনে, তাই বলে ... আর একটা গ্যান্জাম ররে গেছে। দুয়েকটা ট্রাইবাল ফাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে ১৯৭১ সালে। সেই কারণেই কি বঙ্গবন্ধুর রাগ?

লীগের লোকজনের বক্তব্য/ব্যাখ্যা আশা করছি |-)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১০

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক মুল্যবান কথা বলেছেন।
ট্রাইবালদের রাজাকারগিরির কারণেই মুলত যে কারোরই একটা অবিশ্বাস আর সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া স্বাভাবিক। তার উপরে, বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরার মাত্র ১৮ দিনের মাথায় যদি আবার ঐ রাজাকারদের এলাকার জন্যে স্বায়ত্বসাশন দাবী করে, তাহলে তো দুইয়ে দুইয়ে চার মিলেই গেল।
তবে এটা মান্তেই হবে যে, অপপ্রচারে পাহাড়িরা অনেক অনেক এগিয়ে। আর দেশের মূল জনগোষ্ঠীর উদারতা তাদের একটা অংশকে আরো দুঃসাহসী করে তুলেছে।

আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি, শুভ কামনা রইল।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৯

রাফা বলেছেন: ঐ সময়ে সন্তু লারমার নেতৃত্ব দেওয়া নিয়েই সন্দেহের অবকাশ আছে।বঙ্গবন্ধু যা বলেছিলেন সঠিকই ছিলো বলে আমি মনে করি।নবীন একটি রষ্ট্রের জন্মের পর পরই এই দাবিটি শতভাগ অযৌক্তিক।সদ্য স্বাধীন রাষ্টে আরো বড় সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

ধন্যবাদ,মা. ইসলাম-আপনার কষ্টসাধ্য পোষ্টের জন্য।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, অত্যন্ত মুল্যবান একটা বক্তব্য ছোট্ট কয়েকটা কথায় সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্যে।
আমি আপনার সাথে শতভাগ একমত।

দেশ স্বাধীন হওয়ার মাস খানেকের মাথায় স্বায়ত্বশাসনের দাবি জানালে যে কারো সন্দেহ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই,বংগবন্ধু তাদের দাবি না মেনে নিয়ে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং যৌক্তিক একটা কাজ করেছিলেন। তবে, কিছু কুচক্রী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপপ্রচারের চেস্টা করেছে।

আপনার মন্তব্যে আমি অনুপ্রানিত বোধ করছি।
শুভ কামনা রইল।

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৩২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী এবং কাজের একটা পোস্ট। এসব নিয়ে আমাদের আরো রিসার্চ করা প্রয়োজন। প্রকৃত সত্য বের করা প্রয়োজন।
নইলে ২. নং কমেন্টারের মতো মানুষের সংখ্যা হু হু করে বাড়বে...

অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা...

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল।
আপনার কথাগুলো শুনে মন ভালো হয়ে গেল।
সকাল সকাল একটা ভালো ফিলিংস নিয়ে দিন শুরু করতে সুযোগ করে দেয়ার জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি আপনার সাথে একমত যে এই বিষয় নিয়ে আরো গবেষনা দরকার।
কাজ করতে গিয়ে আমি দেখলাম যে, প্রায় একপেশে বক্তব্য দিয়ে লোকজন যার যার মত করে কাহিনি শুনিয়ে গেছে।
তথ্য যাচাই বাছাই এর কোন চেষ্টা খুব একটা চোখে পরেনি।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইল।

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমিও বই সংগ্রহ করি..
বস্তা বস্তা....

কোনো বই পছন্দ হলে আমি কিনেই ছাড়ি...
বাজারে এভেইলেবল না হলে অনলাইনে খুঁজি...
পিডিএফ হলেও পড়ি....

আসলে বই এর গন্ধটাই মনোলোভা আমার কাছে....
বই যেন কোনো সুন্দরী রমণী...
যাকে বুঝতে পুরোটা পেতে হয়....

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: শুভ সকাল।
সত্যি বলতে কি, আপনার কথা শুনে ঈরষা হচ্ছে।
কারন, আমি বই পড়তে ভালোবাসি।
তবে, আমার সংগ্রহ এবং দৌড় কম। তাই, চাইলেও বেশি সময় দিতে পারি না।

হ্যা, নিলক্ষেত এখনো আমার প্রিয় জায়গাগুলোর একটি।

বইয়ের যে উপমা ব্যবহার করেছেন, খুব পছন্দ হয়েছে।
যারা এমন পরিস্থিতিতে পরেনি, তারা কোনদিনও অনুধাবন করতে পারবে না।

আশা করছি ব্লগে আপনার সাথে যোগাযোগ থাকবে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভ কামনা রইল।

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:১৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তাও ভালো বউ না বই B-))
বই এর ব্যাপারে ঈর্ষা অনুভব করতে বইয়ের প্রতি ভালোবাসা লাগে...
বই এর সাগরে ডুব দেওয়া লাগে.....

ইনসাইড র পড়েছেন??
আমি এখন পড়ছি....

দেখা হবে পোস্টে কমেন্টে :)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

মাহের ইসলাম বলেছেন: ইনসাইড র - পেলেন কিভাবে?
আমি পড়েছি। তবে, খুজে পেতে বেশ সময় লেগেছে।

বইয়ের সাগরে ডুব দেওয়ার অভ্যাস আগে এক সময় ছিল। এখন আর ডুব দেওয়ার দম পাই না। তবে, সুযোগ পেলেই মাঝে মাঝে বই এর সাগরে নেমে পড়ি।
আমিও আপনার সাক্ষাতের অপেক্ষায় থাকবো, পোষ্টে-কমেন্টে।

ভালো থাকবেন।

১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৪

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পাওয়া কোনো ব্যাপার না B-))
ইন্টারনেট, ডার্কওয়েব + ;)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার পোষ্টে রেফারেন্স দুটো উল্লেখ করেছি, এই মাত্র।
শুভ কামনা রইল।

১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স @ ভাই চমৎকার একটা বই পড়ছেন। মন্তব্য দেখে আমার আবার পড়তে ইচ্ছে করছে।

মাহের ভাই, আপনার ('সত্য সামনে বের করে আনবার';) এই মহৎ, চ্যালেঞ্জিং চেস্টা অব্যাহত থাকুক। শুভকামনা।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনুপ্রানিত বোধ করছি, আপনার আপাতদৃষ্টিতে ছোট কিন্তু মুল্যবান একটি কথায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আমার ইচ্ছা আছে এবং চেষ্টা থাকবে যেন প্রকৃত সত্য খুজে বের করতে পারি।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: হাহাহা আবার আসলাম, ইহা আমার বর্তমান ছবি না, ক্লাস সিক্সে তোলা, আমি এখন ইলেভেনে পড়ি :D
মন্তব্যতো বেশ জমে উঠেছে!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে আবার দেখতে পেয়ে খুব খুশী হলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং ভালো লাগা।

আপনি এত অল্প বয়সে চশমা নিয়েছেন !! মোবাইল ইফেক্ট, নিশ্চয় ?

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

১৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: অনেক লম্বা লেখা, মনে হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ; প্রিয়তে রাখলাম। সময় করে পড়ে নেব।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে ভালো লাগল।
আপনি প্রিয়তে রেখেছেন, এতেই আমি অনেক খুশী আর অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

শুভ কামনা রইল।

১৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইতিহাসের স্পর্শকাতর বিষয়ে গভীর গবেষনা ধর্মী লেখায় ভাল লাগা।

পদাতিক দা, কালীদাস দা, রাফা ভায়ার মন্তব্যে সহমত।
একটা জাতির জন্মের সাথে সাথে স্বায়ত্ব শাসনের দাবী সন্দেজনকতো বটেই।
আর এরপরই তাদের অস্ত্র হাতে তুলে নেয়া সেই সন্দেহের বাস্তবতাকেই প্রমাণ করেছে!

পুরা দেশের এক তৃতীয়াংশে ৯৮% নাগরিকের মৌলিক সাংবািধানিক অধিকার নেই ২% এর কারণে!
ভাবা যায়! অথচ তারা সমতলে কোটা থেকে শুরু করে সকল সুযোগ সুবিধা সমহারেই ভোগ করছে।

অথচ এরপরও অনলাইনে নানা পেইজ খুলে তারা স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বসে আসে!!
যা ষ্পষ্টত: রাস্ট্রদ্রোহীতার শামিল!

গবেষনা চলুক অবিরাম
+++++

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার কথাগুলো যথেষ্ট ওজনদার এবং বাস্তবসম্মত।
আমরা জানি বা না জানি, মানি বা না মানি - নব্য স্বাধীন একটা দেশের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেয়ার প্রেক্ষিতে যে কোন সরকারের কাছেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। বাঙ্গাদেশ সরকারকেও বাধ্য করা হয়েছিল, পাহাড়ে সেনা মোতায়েন করতে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়েছে কিছু লোক, যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সকলের সংবেদনশীলতা, সরকারের যাবতীয় উন্নয়নমূলক কাজ, দেশবাসীর সহানুভূতি এবং তাদের প্রতি বিশেষ ছাড় দেয়ার পরেও তারা আজ সোশ্যাল মিডিয়া আর অনলাইনে বাংলাদেশ বিরোধী কথাবার্তা বলে বেড়ায়।

অস্বীকার করার উপায় নেই যে, তাদের কিছু কিছু কাজ দেশের বর্তমান প্রচলিত আইনেই রাস্ট্রদ্রোহিতার সামিল।

আপনার মুল্যবান মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

১৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

হাবিব বলেছেন: আমার কাছে ভালো লেগেছে মাহের ভাই

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে আমি অসম্ভব খুশী হয়েছি।
এ এক বিরাট অনুপ্রেরণা, আমার জন্যে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমাকে সময় দেয়ার জন্যে; কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে অনুপ্রাণিত করায়।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

১৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৬

টুনটুনি০৪ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো। আমার (বিপিপি) ইশতেহার

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার ইশতেহার আমার ভালো লেগেছে। ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি, যে আপনি ভালোই ভোট পাবেন।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৩

নজসু বলেছেন:




সকাল থেকে আপনার ব্লগ ঘুরে ঘুরে দেখছি আর কিছু কিছু পোষ্ট পাঠ করছি।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমার ব্লগের ভুবনে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
খুব ভালো লাগলো আপনাকে আমাদের এখানে দেখে।
আশা করছি ব্লগের পোষ্ট আর মন্তব্যের মাধ্যমে যোগাযোগ থাকবে।

আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইল।

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অচিরেই আপনাকে কিছু বই এবং ডকুমেন্ট কমেন্টে দেবো...
আপাতত ব্যস্ত আছি...

আপনি web.archive.org তে অনেক ডকুমেন্ট এবং রেফারেন্স পাবেন :)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: কি বলে যে ধন্যবাদ জানাবো বুঝতে পারছি না।
অত্যন্ত খুশী হয়েছি।

কৃতজ্ঞ থাকব।

অনেক অনেক শুভ কামনা এবং শ্রদ্ধা রইল।

২২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মেজর জেনারেল ইব্রাহিম এর বইটা কোথায় থেকে সংগ্রহ করেছেন ???

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: বইটা মার্কেটে আছে। আমি চট্টগ্রামের শাহী মসজিদের কাছে এক বইয়ের দোকান থেকে কিনেছি।
এখন চেক করে দেখলাম, রকমারি ডট কমেও পাওয়া যাচ্ছে।

আপনি পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর আগ্রহী মনে হচ্ছে। ভালো লাগল।
শুভ কামনা রইল।

২৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: বস, বইটা ধার দিলে পড়তে পারতাম। বেকার মানুষ । বই কেনার টাকা নাই।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: কিভাবে আপনার কাছে পাঠাতে পারি ?

২৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: আপনি যদি চট্টগ্রামের হন, তাহলে সরাসরি নিতে পারি। যদি আপনার আপত্তি না থাকে,
[email protected] আমাকে মেইল করুন, অথবা আপনার মেইল এড্রেস দিতে পারেন

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার মেইল চেক করুন, প্লীজ।

২৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:





অনেক তথ্য বহুল একটা পোস্ট । অনেক খেটেছেন বোঝাই যাচ্ছে ।

আমার ও রিসার্চ করতে ভালো লাগে । আপাতত সময়ের অভাবে হচ্ছে না । তবে কিছু টা সময় বের করে রিসার্চে মনোনিবেশ করব ।

ধন্যবাদ পোস্টের জন্য ।

বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে লেখার জন্য ।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, আমি অনুপ্রানিতবোধ করছি।
আপনার লেখাগুলোতেও দক্ষতা আর পরিশ্রমের ছাপ পরিস্কার বোঝা যায়।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

২৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৪:০২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমার দেখা ভোট : জনগনের ভাবনা
................................................................................................
কিছুক্ষন আগেই সংবাদ এলো ২/১ জনের প্রান গেল , ব্যালট বক্স ছিনতাই হলো,
পুলিশের ঘুম হারাম হলো । কেন এই সহিংসতা ???
..................................................................................................
আমার ব্লগে আসুন "ভোট দিন "

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভ কামনা রইল।
ভালো থাকবেন।

২৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৯

নজসু বলেছেন:

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লাগল, ব্লগে আলাদা করে উইশ করার আইডিয়াটা কিন্তু দারুন।

আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্যেও শুভ কামনা রইল। আশা করছি, নতুন বছর আপনাদের সকলের জন্যে শান্তি আর সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে।

ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.