নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
বিবেকবান মানুষ মাত্রই সকল অন্যায় ও জুলুমের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া ও তার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা চাই। ৭১ মুক্তিযুদ্ধের সময় কতিপয় বিভ্রান্ত যে যুদ্ধপরাধ করেছিল- তাতে কোনই সন্দেহ নাই। সুতরাং কোন ধর্মনিষ্ঠ মানুষের তাদের পক্ষে থাকার কোন প্রশ্নই আসতে পারেন।
কিন্তু তাই বলে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শের কারনে কাউকে ফাসিতে ঝুলিয়ে দেয়াও অন্যায়।
অযথা নাচানাচি করে আর গলা ফাটিয়ে কিন্তু কাজ হবে না। সফল হতে হলে চাই সুস্থ ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও সময়োচিত সঠিক পরিকল্পণা।
শাহাবাগ চত্বরে তরুণদের আহ্বানে গঠিত "নিরপেক্ষ গণমঞ্চে" বাদী ও বিবাদী সবাইকে তাদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়া উচিত।
সাধারণ জনতার কাছে জামাইলীগের মত বামলীগের আসল রূপটা দিনে দিনে ঠিকই প্রকাশ পাচ্ছে-
যতই নাচানাচি করুক, ইসলামের কটাক্ষ ও বিরুদ্ধাচরন করলে জনতার গণমঞ্চে যে এদের ঠাঁই হবে না- তা তারা অচিরেই বুঝতে পারবে।
৭১ এ হিংস্র হানাদারেরা আমাদের সাথী ও স্বজনদের হত্যা ও নির্যাতন করেছিল।
কিন্তু আমাদের প্রাণপ্রিয় এই স্বাধীন ও অসাম্প্রদায়িক বাংলার মাটিতে আজও সবার অলক্ষ্যে প্রতিনিয়ত নিরপরাধ মানব সন্তানদের মেরে কতবার যে মানবজাতিকে হত্যা করা হচ্ছে- তার হিসেব কে রাখে!?
বাংলার মাটিতে এ ধরনের হত্যাকান্ড আর নয়।
মনুষ্যত্বহীন সকল যুদ্ধপরাধী ও খুনিদের সাথে তাদের দোসর ও রক্ষাকারীদেরও অবশ্যই শাস্তি চাই-
সেই সাথে ধর্মহীন নাস্তিকদের মধ্যে যারা ধর্মকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তাদেরও রক্ষা নাই-
ধর্মান্ধ কিংবা ধর্মহীন সমাজ গঠনের নীল-নকশাকারীরা সাবধান তাই-
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: না ভাই, এখনও আমার মাথা ঠিকই আছে।
যারা চোখ খুলে থাকেন তাদের সামনে সত্যকে চিরদিন মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায়না।
কিন্তু যারা একচোখা- তারাই বিভ্রান্তিতে থাকে ও অন্যকে আহ্বান জানায়।
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: UNI EKJON PURONO CHHAGU. TOBE kotha pachaia Bolen. SORASORA BOLEN NA. CHHUPA CHHAGU.
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ইনি কিন্তু একজন ছুপা-পাগু
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
সিউল রায়হান বলেছেন: আপনারে গালিগালাজ করতে মন চাইলো না। তবে অন্য কেউ করলে সেটা আপনার প্রাপ্য।
যে জেগে ঘুমায় তারে জাগানো যায়না, আপনে ঘুমান। ঘুমের মাঝে ক্যালকুলেটর নিয়া হিসাব করেন কোন কোন সুশীল আচরণ মিস গেলো রাজাকারদের সাথে.........এরপরে সেটা ব্লগে পোস্ট দেন
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি ঘুমানোর সময় ঘুমাই---- আবার সময় মতই জেগে উঠি।
কিন্তু আপনি তো দেখছি জেগে জেগে ঝিমুচ্ছেন।
এবার ঝিমানো ছেড়ে সত্যি সত্যি জেগে উঠুন----তাহলেই মঙ্গল।
৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১১
না তুমি না আমি বলেছেন: সালাম মাহফুজশান্ত ভাই, কেমন আছেন? শাহবাগের আন্দোলন দেখি আপনাকেও আলোড়িত করেছে!!!
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ওয়ালাইকুমুছ সালাম-----
না ভাই, শুধু আলেড়িত হলে কাম হবে না---------এখন তো জাগরিত হবার সময়।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২০
ইখতামিন বলেছেন:
মনুষ্যত্বহীন সকল যুদ্ধপরাধী ও খুনিদের সাথে তাদের দোসর ও রক্ষাকারীদেরও অবশ্যই শাস্তি চাই-
+++++++++++++
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ-
মনুষ্যত্বহীন সকল যুদ্ধপরাধী ও খুনিদের সাথে তাদের দোসর ও রক্ষাকারীদেরও অবশ্যই শাস্তি চাই। সেই সাথে ধর্মহীন নাস্তিকদের মধ্যে যারা ধর্মকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে- তাদেরও শাস্তি চাই-
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৫
রাফা বলেছেন: কারো ক্ষমা নেই।যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে চাইছে তাদেরও বিচার চাই।
জয় বাংলা।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ-
সেই সাথে ধর্মহীন নাস্তিকদের মধ্যে যারা ধর্মকে হেয় করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে- তাদেরও শাস্তি চাই-
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
অপর্না হালদার বলেছেন: আপনি খুব চতুরতার সাথে শয়তানি করার চেষ্টা করেছেন । আপনি অন্ধ এবং ঘোল খাচ্ছেন তো তাই আপনাকে ঘৃনাও করলাম না, সাধুবাদ জানানোরতো প্রশ্নই আসেনা ।
শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরে কোথায় নাস্তিকতা তা আপনার মত মানুষরা খুজবে খুজতে থাকুক ।
দূরে গিয়া মর ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি আপনার ঘৃণা বা সাধুবাদের মোটেই তোয়াক্কা করি না।
চতুরতার কি পেলেন বা শয়তানিরই বা কি পেলেন? এসব তো আপনাদেরই সাজে।
সত্যকথা সোজা সুজি বললে পরান জইলা যায় বুঝি?
শিরকৃ যাদের মজ্জাগত------তারা নাস্তিকতা বা আস্তিকতার তফাৎ বুঝবে কেমনে?
আবারও বলছি-------ধর্মান্ধতা কিংবা ধর্মহীনতা-----কোনটাই বাংলার অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ মেনে নেবে না।
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩
কখঅআ বলেছেন: অপর্না হালদারেরা নাচতে নাচতে আর চিল্লাইতেই ব্যস্ত। নাস্তিকতা বুঝবে কেমনে?
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ওনাদের বুঝলেও কি আর না বুঝলেও কি?
৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
শিপু ভাই বলেছেন:
পোস্টের সাথে দ্বীমত।
শাহবাগে কোন ধর্মবিরোধী কথা হয় না, হচ্ছে না, হয় নাই।
একজন সিনিয়র ব্লগার হিসেবে আপনার আরো বিবেচনা প্রসূত বক্তব্য দেয়া উচিত।
আপনি ভাল করেই জানেন নাস্তিক বা ইসলামবিদ্বেষি ব্লগারদের আমরা সাধারন ব্লগাররা কিরকম দৌড়ের উপ্রে রাখি।
আর এই গনমঞ্চ আদালত না। এটা দাবী আদায়ের মঞ্চ।
শুয়োরদের বিচার হচ্ছে রাস্ট্রীয় আদালতে। কিন্তু জনতার আদালতে ের রায় "ফাঁসি" অনেক আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। এখানে বাদী বিবাদী বাহাস করার কোন সুযোগ নাই।
যাদের বিচার হচ্ছে তাদের মধ্যে কাকে কাকে আপনার নিরপরাধ মনে হয়???
আর এটাও নিশ্চই জানেন যে বাংলাদেশে কোনদিনও ধর্মহীনদের রাস্ট্র হবে না। সকল ধর্মের মানুষদের সম্প্রিতির উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবেই থাকবে।
আপনার এই পোস্ট জামাতী শুয়োরদের উতসাহিত করবে এবং ওদের চলমান প্রপাগান্ডায় সহায়তা করবে।
দুঃখিত ভাই।
২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: কষ্ট করে দ্বীমত পোষণের জন্য ধন্যবাদ- ভাই
শাহবাগে কোন ধর্মবিরোধী কথা হয় না, হচ্ছে না, হয় নাই।
একজন সিনিয়র ব্লগার হিসেবে আপনার আরো বিবেচনা প্রসূত বক্তব্য দেয়া উচিত।
আপনি ভাল করেই জানেন নাস্তিক বা ইসলামবিদ্বেষি ব্লগারদের আমরা সাধারন ব্লগাররা কিরকম দৌড়ের উপ্রে রাখি।
ব্লগের ময়দানে যে তাদেরকে দৌড়ের উপ্রে রাখা হয় তা আমি জানি। কিন্তু প্রজন্ম চত্বরের ময়দান যে কিছুটা ভিন্ন তা এখন না বুঝলেও পরে ঠিকই বুঝতে পারবেন।
এখানে সাধারন ব্লগারদের চাওয়া ও পলিটিকাল ব্লগারদের চাওয়া পাওয়ার মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান।
কিছু প্রশ্ন- এখন ধর্মের সাথে বিরোধ নেই বললেও প্রজন্ম চত্বরের মূল নায়ক অর্থাৎ পরিচালনায় যারা আছেন তারা কি ধর্মপ্রাণ? নাকি সুযোগ পেলেই ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করাই তাদের মজ্জাগত স্বভাব?
শাহাবাগ চত্বর মসজিদ নয়, কিন্তু শুরুতে সেখানে সর্বক্ষণ অবস্থান করে কি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার মত পরিবেশ ছিল? অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লোকদেখানোর জন্য এখন হয়ত পরিবেশ কিছুটা পাল্টেছে।
প্রথম দিককার রাজনৈতিক নেতাদের দেয়া বক্তৃতার সারমর্ম পুনরায় স্মরণ করার চেষ্টা করুন। আমাদের মনে রাখা উচিত- বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, ধর্মনিরপেক্ষ নয়। কিন্তু প্রথমে তো তারা চোখেমুখে সেই গানই গাইছিল। আর সাধারন ব্লগারদেরকে ফাঁসি ফাঁসি গান ধরিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। কাজেই একজন সিনিয়র ব্লগার হিসেবে আমি মনে করি- সাবধানীর মার নেই।
আর এই গনমঞ্চ আদালত না। এটা দাবী আদায়ের মঞ্চ।
শুয়োরদের বিচার হচ্ছে রাস্ট্রীয় আদালতে। কিন্তু জনতার আদালতের রায় "ফাঁসি" অনেক আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। এখানে বাদী বিবাদী বাহাস করার কোন সুযোগ নাই।
একবার বললেন- 'গনমঞ্চ আদালত না'। আবার বললেন- 'জনতার আদালতের রায় "ফাঁসি" অনেক আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে'। বক্তব্যটা পরস্পর বিরোধী হয়ে গেল না কি?
যাদের বিচার হচ্ছে তাদের মধ্যে কাকে কাকে আপনার নিরপরাধ মনে হয়???
যাদের বিচার হচ্ছে তাদেরকে একেবারে নিরপরাধ মনে করবার মত বেকুফ আমি নই। কিন্তু ৩৪৪ খুনের আসামীর ফাঁসি না হওয়ার রায় শুনে হাসি পায়। এতবড় মাপের অপরাধীকে ফাঁসি না দিয়ে কি সন্দেহমুক্ত রাখা যায়? স্কাইপি সংলাপের বিচারক মহাশয় যে ইংগিত দিয়েছিলেন, তাহলে কি ধরে নেয়া যায় যে, সেইরূপ যেনতেন মার্কা রায় দিতেই শেষতক ট্রাইবুনালকে বাধ্য করা হয়েছে। কারা বাধ্য করল এবং কেন? এখন ফঁসি ফাঁসি স্লোগান তুলে কি ট্রাইবুনালকে বিতর্কিত এবং তার রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে না? সেই সাথে প্রজন্ম চত্বরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে যে হত্যার হোলি শুরু হয়েছে, প্রজন্ম চত্বর কি তার দায় এড়াতে পারবে?
আর এটাও নিশ্চই জানেন যে বাংলাদেশে কোনদিনও ধর্মহীনদের রাস্ট্র হবে না। সকল ধর্মের মানুষদের সম্প্রিতির উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবেই থাকবে।
জ্বী আমিও তাই চাই। চক্রান্তকারীদের মনে রাখা উচিত- বাংলাদেশের জনগণ জন্মগতভাবেই সব সময় ধর্মপ্রাণ ও অসাপ্রদায়িক চেতনার অধিকারী। সব ধর্মের মানুষ এখানে মিলে মিশে বাস করেন। সুতরাং তাদেরকে নুতন করে ধর্মনিরপেক্ষতার দর্শন গেলানোর কোন প্রয়োজন নাই।
আপনার এই পোস্ট জামাতী শুয়োরদের উতসাহিত করবে এবং ওদের চলমান প্রপাগান্ডায় সহায়তা করবে।
একজন দেশপেমিক হিসেবে দেশের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভাবছি বলেই হয়ত আমার কথাগুলোকে এতটা বাকা দৃষ্টিতে দেখছেন। বর্তমান প্রজন্ম সব দলেই আছে। তেমনি ঘটনাচক্রে তাদের মধ্যে যারা জামাতের সাথে জড়িয়ে গেছে তারা সরাসরি যুদ্ধাপরাধ না করলেও সেই অপরাধীদের ছলানায় ভুলে অপরাধীদের ছত্রছায়ায় আছে। সুতরাং তাদেরকে সেই ভুল পথ থেকে ফেরানোর চেষ্টা করতে হবে। তা না হলে যে বিভাজন ও সংঘাত দেখা দেবে তা কারো জন্যই মঙ্গল বয়ে আনবে না। মাঝখান থেকে এ দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই বিষয়টিকে একগুঁয়ে মনোভাব নিয়ে একেবারে ছোট কোরে না দেখে বরং বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে তাদেরকে জনসম্মুখে মত প্রকাশের জন্য আহবান জানাতে বলাটা কি অন্যায়? তাদের জানা তথ্যগুলো যে কতটা অসাঢ় এবং তারা যে ভুল পথে আছে তা যুক্তি প্রমান দেখিয়ে তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। কিন্তু এরপরও যে সব ধর্মান্ধ তেড়ামি করবে তাদেরকে এমন শিক্ষা দিতে হবে যেন বাংলার মাটিতে থাকার সাহস না পায়।
দুঃখিত ভাই।
না ভাই, দুঃখিত হবার কিছু নাই। আমাদের ভাবনাটার ক্ষেত্রটা কিছুটা ভিন্ন হলেও গন্তব্য একই।
সব সময় সুখে থাকুন----শুভকামনা।
১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
হাসান নাঈম বলেছেন: ওয়াও!!
আপনি সেই ১১ ফেব্রুয়ারীতেই শাহবাগীদের আসল চেহারা চিনতে পেরেছিলেন?
সুবহানআল্লাহ
অথচ বহু মানুষের এটা বুঝতে অনেক সময় লেগেছে। এমনকি এখনও কিছু কিছু মানুষ শাহবাগী চেতনায় অন্ধ হয়ে আছে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: 'আত্মশুদ্ধি'
বিচার দিবসের কথা ভাবলে
ভয়ে অন্তর উড়ে যায়,
সত্য জীবনবোধ ভুলে
স্বেচ্ছাচারী বিলাসিতায়
হেলা করে এতটা কাল
কেমনে কাটিলো ঘোর তমসায়?
মরীচিকার পেছনে ধেয়ে
মিথ্যে মোহে হারালো সময়।
চেতনাহীন শূন্যতায় আর নয়,
অনুতাপে ভর মন
নাও আত্মশুদ্ধির পণ
বিবেকের হোক জয়,
সময় বাহিত হোক
স্রষ্টার ধ্যানে ও সৃষ্টি সেবায়,
ধন্য হোক জীবন-মরণ
শাশ্বত প্রেমের স্বচ্ছ চেতনায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫২
সিউল রায়হান বলেছেন: কোন সময় কি বলা উচিত এইটা কি ডাক্তারী করতে করতে পুরাই মাথা থেকে আউট হয়ে গেছে? আপনার কি কোনই আইডিয়া নাই আপনার কথাকে কিভাবে ম্যানিপুলেট করা সম্ভব?
এইটা কেন কোন রাজনৈতিক দলের আন্দোলন? ছাগুরা কন্টিনিউয়াসলি এই জিনিসটা এস্টাবলিশ করার চেষ্টা করতিছে আর আপনি ওদেরকেই ফুয়েল দিচ্ছেন? নাকি আসলে আপনিও তাই বিশ্বাস করেন?
পোস্ট এডিট করেন। বুঝলাম আপনি শাহবাগে যাচ্ছেন না কিন্তু তারমানে এই না আপনি আপনার লেখার দুর্বলতা দিয়ে ছাগুদের সুযোগ দিবেন