নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কিছুই জানিনা; এ না জানা থেকেই আমি শুধু শিখতে থাকি।

মাহতাব বাঙ্গালী

মাহতাব বাঙ্গালী, (চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ) এ নামে লিখতেই আমি স্বাচ্ছন্দবোধ করি বেশি। পেশাদার কবি বা লিখক আমি নই; বড়জোর শৌখিন লিখিয়ে বলা যায়। জানিনা কবিতা কি! এরপরেও মনের খোরাক জোগাতেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবগুলো একত্র করে লিখি। হয়তো এর নাম কবিতা বলি।

মাহতাব বাঙ্গালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইশ্বর শুধু বিশ্বাসের নাম

১২ ই মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

ইশ্বর তো ইশ্বর- প্রগাঢ় বিশ্বাসের নাম
এ পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা
আর আমরা যা কল্পনা করতে পারি বা পারিনা
সবকিছুই-সবাই সে ইশ্বরেরই সৃষ্টি

হ্যাঁ, তাঁর প্ৰয়োজন নেই
আমাদের মতো কোন বাসস্থানের,
নেই প্রয়োজন তাঁর
বিশ্রামের, আমাদের মতো ঘুমের,
জীবন ধারণের জন্য আমাদের মতো
তাঁর পানাহারেরও প্রয়োজন নেই,
ইহকাল বা পরকাল, জীবনের শিক্ষা বা সংস্কৃতি
এ সবের কিছুই প্রয়োজন নেই তাঁর,
আমাদের দ্বারা আরাধনা- তা-ও প্রয়োজন নেই তাঁর
কারণ- তিনি সর্বশক্তিমান, সার্বজনীন, সর্বদ্রষ্টা, চিরঞ্জীব আর চিরস্থায়ী

ইশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য
যদিও তিনি আমাদের ইবাদত, আরাধনা, পূজার প্রতি মুখাপেক্ষী নন
আমাদের থেকে কোনো কিছুই প্রত্যাশা তাঁর নেই
যদিও তিনি জান্নাত-জাহান্নাম তৈরী করেছেন আমাদের পরীক্ষার জন্য

ইশ্বর তো ইশ্বর- প্রগাঢ় বিশ্বাসের নাম
তিনি পূত পবিত্র সমস্ত কলঙ্ক বা আমাদের ধারণা থেকে
তিনি মুক্ত আমাদের প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে

আমি জানিনা ইশ্বর সম্পর্কে কিছুই
যা শুনি তা-ই বলে বেড়াই;
আধ্যাত্মিকতার শক্তি কী- তা-ও জানিনা
সবাই বলে তাই আমিও বলি

আমি জানি না আদম আর হাওয়া কীভাবে খোদার সাক্ষাত পেয়েছিলেন,
জানি না নূহ আদৌ সে স্রষ্টার উপস্থিত বুঝতে পেরেছিলেন কিনা
এভাবে ডেভিড, ইব্রাহীম, ঈসমাইল, মোজেস, হারুন, জেসাস, মুহাম্মদ
আদৌ সে খোদা বা স্রষ্টার সাথে কথা বলেছিলেন কিনা, জানি না এর কিছুই
সবাই বলে তাঁরা করেছিলেন তাই আমিও বিশ্বাস করি
বিশ্বাস করি তাই বলে সে বিশ্বাসের সত্যতা আমি দিতে পারবোনা

কারণ - বিশ্বাসের যথাযত সমীকরণ হয়না!

আমি জানি না, মহাপ্রভু ব্রহ্ম, বিষ্ণু, শিব ইশ্বর কিনা বা ভগবানের মনুষ্য রূপ কিনা
সবাই বলে ওনারাই এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের ধারক, বাহক, বিনাশক তাই আমিও বিশ্বাস করি
বিশ্বাস করি তাই বলে সে বিশ্বাসের সত্যতা আমি দিতে পারবোনা

কারণ - বিশ্বাসের যথাযত সমীকরণ হয়না!

মহামহিম মহাত্মা গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন ইশ্বর বা ভগবান বলে কিছুই নেই!
তিনি আরো বলেছিলেন - "তুমি অর্জন করো
চর্ম চক্ষু, জ্ঞান চক্ষু, দিব্য চক্ষু, সামন্ত চক্ষু, বুদ্ধ চক্ষু
তাহলে বুঝতে পারবে ইশ্বর কে আর তুমি কে! "
অনেকেই তা বিশ্বাস করে তাই আমিও করি
বিশ্বাস করি তাই বলে সে বিশ্বাসের সত্যতা আমি দিতে পারবোনা

কারণ - বিশ্বাসের যথাযত সমীকরণ হয়না!

পৃথিবীতে আছে প্রায় ৪২০০ ধর্ম
নিজের ধর্মই সত্য- প্রত্যেক অনুসারী তা-ই বিশ্বাস করে
আপন ইশ্বরই সত্য আপন বিশ্বাস অনুসারে
হয়তো এসব ধর্মের প্রচারকগণ সেভাবেই ধর্ম প্রচার করেছেন
যেভাবে তাঁরা ইশ্বরকে অনুধাবন করেছেন
প্রত্যেক অনুসারী নিজের ধর্মকেই ইশ্বরের ধর্ম বিবেচনা করে
আর আমি প্রত্যেক ধর্ম বা বিশ্বাস কে সম্মান করি
বিশ্বাসকে সম্মান করি তাই বলে সে বিশ্বাসের সত্যতা আমি দিতে পারবোনা

কারণ- বিশ্বাসের যথাযথ সমীকরণ হয়না!

আমি কিছুই বুঝিনা, জানি না আমাকেও!
বিশ্ব বাস্তবতায় বিবেকের ছাত্র হওয়ায়
আমি বিশ্বাসী জীবনকে অসংখ্য রঙ্গের আধারে পেয়েছি
যদি আমি উত্তম চিত্রকর না হই,
যদি আমি বিশ্বাসের তুলিতে সে রঙ্গের ভালো চিত্রপট তৈরী করতে না পারি
তখন ভিন্ন ভিন্ন রঙ্গের দোষ ধরায় আমার কাজ!

কারণ - ইশ্বর তো ইশ্বর- প্রগাঢ় বিশ্বাসের নাম
বিশ্বাস তো আপন মনের রঙ
আর সে বিশ্বাসের যথাযত সমীকরণ হয়না!


© মাহতাব বাঙ্গালী
-২৭/১০/২০২০ চট্টগ্রাম


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.