| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Hasin mahtab
একজন নৈরাশ্যবাদী
কয়েক সপ্তাহ আগের ঘটনা। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ শিক্ষার্থী যারা কি না সদ্য পশ্চিমা আধুনিকতা ত্যাগ করে ইসলামী আধুনিকতায় প্রবেশ করেছে... আই রিপিট, পশ্চিমা আধুনিকতা ছেড়ে ইসলামী আধুনিকতায় প্রবেশ করেছে। তারা মসজিদে এসেছে তাবলীগ জামায়েতে। মাসআলা দেয়ার সময় ভাইয়ারা তাদের পরিবর্তন এবং দুই জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বলছিলেন। এক পর্যায়েঃ- "তিন চিল্লা দেয়ার জন্য আমীর সাহেব কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ গিয়েছিলেন। সেসময় যুদ্ধাপরাধী একজনের ফাঁশি কেন্দ্র করে সারাদেশে জামায়েত-শিবিরের তান্ডব চলছে। পুলিশ ও বেশ ধরপাকড় শুরু করেছে। এরকমই এক রাতে রাস্তা থেকে পুলিশ তাদের ৩ জনকে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ ধরার অন্যতম কারণ মুখে দাড়ি আর সুন্নাতি পোষাক।
ভাইয়ারা দারোগা সাহেবকে অনেক করে বুঝালেন যে তারা শিবিরকর্মী নন বরং তারা তাবলীগ জামায়াতের উদ্দেশ্যে এসেছেন। কোনো কথাতেই কাজ হচ্ছিলো না এবং এস.আই আগামিকাল কোর্টে চালান করে দিবে এমন হুমকী দিয়ে গেলেন।
আসলে ওনারা প্রত্যেকেই ভদ্র ফ্যামিলির ছেলে, কোর্টে চালান হয়ে গেলে নিজের ক্যারিয়ার আর পরিবারের কথা চিন্তা হওয়ায় একজন বেশ অসুস্থ হয়ে গেলো। থানার ওসি সাহেব তাদের সাথে কথা বললেন এবং তাদের খাওয়ার জন্য রুটি কলার ব্যবস্থা করালেন।
তারা যখন খাচ্ছিলো ওসি সাহেব তাদের দেখছিলো এবং খাওয়া শেষ অবধি অপেক্ষা করলেন। খাওয়া শেষ হওয়ার পর ওসি সাহেব তাদের ছেড়ে দেয়ার নির্দেশ দিলেন। কারণ হিসেবে ওসি সাহেব তাদের বললেন "তাঁদের কাজে সুন্নাতের ছাপ আছে যেটা একমাত্র তাবলীগ জামায়েত থেকেই শেখা সম্ভব, একজন শিবিরকর্মী কখনোই এত সুন্দরভাবে সুন্নাত মেনে চলতে পারেনা"
.
- তাদের খাওয়ার সাথে সুন্নাতের ছাপ ছিলো। কলা কামড়ে খাওয়া সুন্নাত নয়। কলাকে অংশ অংশ করে ভেঙে খাওয়া সুন্নাত। ভাইয়ারা সেভাবেই খাচ্ছিলেন যেভাবে সুন্নাতের ব্যাখা তারা তাবলীগ থেকে পেয়েছেন।
- খাওয়ার আগে "বিসমিল্লাহ্" এবং খাওয়া শেষে "আলহামদুলিল্লাহ্" বলা, যেটাও একটি সুন্নাত।
- গ্লাসে পানি খাওয়ার সময় ডান হাতে গ্লাস ধরে নীচে বাম হাত দিয়ে এবং যথাসম্ভব ৩ বারে পুরো গ্লাসের পানি শেষ করা! এটাও একটি সুন্নাত যেটা তারা তাবলীগ থেকেই শিখেছিলেন।
©somewhere in net ltd.