নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মজিদ বিশ্বাস

ঈশ্বর না থাকলে তাকে বানাতে হতো, কিন্তু প্রকৃতি বলছে ঈশ্বর আছে- ভলতেয়ার

মজিদ বিশ্বাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট গল্প- হাই হিল

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:০৯

ব্লগে গল্প উপন্যাস পড়ার মতো পাঠক মনে হয় খুব কমই আছে। তার পরও কিছু মজাদার অভিজ্ঞতা আছে যা গল্প আকারে লিখলে এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো অবস্থা হবে। তাই সাহস করে লিখে ফেললাম।



এখন আমি বাসে উঠার আগেই কাউন্টারের লোককে নিচু গলায় জিজ্ঞেস করে নিই যে পাশে কোন মেয়ে বা মহিলা টিকেট কেটেছে কিনা। যদি কাটে তবে আমি আর সেই পাশের টিকিট কাটি না। আর দুই সিটের প্রথম টিকিট আমি আর ভুলেও আগে কাটি না। গত ঈদের ছুটিতে বাড়ী যাচ্ছিলাম। ছাত্রজীবন থেকেই আমি বাসে উঠলেই আশা করতাম আমার পাশে যেন কোন সুন্দরী মেয়ে বসে। কত বন্ধুর মুখে গল্পশুনি তারা বাসে উঠলেই তাদের পাশে মেয়ে পেয়ে যায়। সেই মেয়েকে নিয়ে অনেক কাহিনী হয়। আমিও তেমনি আশা করতাম। কিন্তু আমার বৈচিত্ত্য কখনো পূরন হতো না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখাযেত কোন রাশভারীলোক আমার পাশে বসেছে। অথবা কোন মধ্যবয়সী মোটকা মহিলা বসে। ঠিক মতো নড়াচরা করা তখন আমার পক্ষে বিব্রতকর অবস্থা হয়ে দাড়ায়।

বাসে উঠে সুটকেসটা উপরে রেখে চিরাচরিতভাবে আশা করছিলাম যেন কোন সুন্দরী মেয়ে আমার পাশের টিকিটটা কাটে। মিনিট দুই পরেই বাস ছেড়ে দিল। মনোবাসনা মনের অন্দরমহলে তালা লাগিয়ে উদাস ভঙ্গিতে জানালার দিকে তাকিয়ে রইলাম। ড্রাইভার গান ছড়লো। চাইনা আমি সেই ভালোবাসা যে ভালোবাসা কোন দিন সয় না কারো....। মনে মনে বললাম ছ্যাকা খেলে এমনিই হয়। তখন ভালোবাসাই ভুল বলে প্রতিয়মান হয়। তখন মনে হয় পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই। ভাবলাম ড্রাইভারকে বলি গানটি পরিবর্তন করেদিতে। কিন্তু কে কি মনে করে তাই বলে সাহস পেলাম না। গাড়ী সাভারের কাছাকাছি আসতেই একটা দোকানের পাশে থামলো। বুঝলাম না হঠাৎ এখানে কেন থামলো। মনের মধ্যে হালকা একটা শীতল ধাক্কা অনুভব করলাম। আমার অবচেতন মন এখনো আকাংখা করছে হয়তো এখন কোন মেয়ে উঠবে। কিন্তু মনকে সান্তনা দিলাম অন্যভাবে। সামনে উঁকিদিয়ে তাকাতে যেয়েও তাকালাম না। জানালার ভেতর দিয়ে মাথাটা বের করে দিয়ে সরিষার ফুল দেখতে থাকলাম। গাড়ি ছেড়ে দিল। আমি বসেছিলাম বাম দিকের ছিটে। গাড়ী একটু সামনে যেতেই আমার কর্নকুহরে সমুধুর মেয়েলি কন্ঠ প্রবেশ করলো। আমি কি বসতে পারি? ঘার ঘুড়িয়ে তাকাতেই আমি হতভম্ভ। একি? স্বপ্ন দেকছি না তো। নাকি এটা নিযে বেশি ভাবছি বলে হ্যালুসিনেশন হচ্ছে। যা হচ্ছে হোক আমি বোকার মতো বলে বসলাম, কেন?

এটা জি-টু না?

সে জিটুনা বলছে এদিকে আমি জিভ কেটে আমার বোকামো উত্তরটা তার মন থেকে সরিয়ে দিতে বলছি বসেন, জি এটা জি-টু।

মেয়েটি প্রথমে তার লাগেজটা ঠিকমতো রাখলো। তারপর এদিক সেদিক তাকিয়ে আমার পাশের সিটে বসলো। আমি তো হা করে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। এতো সুন্দর কোন মানুষ হতে পারে? এ যেন প্রবাল পদ্মরাগ।এই এরকম মেয়ে পাশে থাকলে সারাজীবন আর অন্যকোন সৌন্দর্য্য ভালো লাগবে না এটা আমি নিশ্চিত। এদিকে আমার হার্টবিট হঠৎ বেড়ে গেল। আমার গলা শুকিয়ে যেতে লাগল। পানিটা উপরে রেখেছি। ওটা নিচে নামাতে হলে মেয়েটাকে আবার উঠতে হবে তাই আর বলে সাহস পেলাম না। আমি বুঝতে পারছি আমি ধীরে ধীরে নার্ভাস হয়ে যাচ্ছি। তার পড়ও মনকে বুঝদিলাম যে আমি একটা ইঞ্জিনিয়ার। মেয়েটা সুন্দরী হয়েছেতো কি হয়েছে? এরকম সুন্দরী মেয়ে যেকানে সেখানে পাওয়া যায়। আমিও একজন যোগ্য ছেলে। দেশে ইঞ্জিনিয়ার কয়টা? এসব হাবি-জাবি ভেবে মনকে মক্ত করার চেষ্টা করতে লাগলাম। কিন্তু কিছুতেই আমার বুকের ভেতর ধকধকানি কমলো না। বরঞ্চ আরো বেড়ে গেল। আমি মনকে প্রবোধ দিতে লাগলাম আরে এরকম মেয়েতো বিশ্বাবিদ্যালয়ে কতো দেখেছি। আমি যে কম্পানিতে চাকরি করি সেটা যদি মেয়েটা শুনে তবে এখনি আমার সাথে আগ্রহ নিয়ে গল্প করা শুরু করবে।মোবাইল নাম্বার চাইবে। বাড়ী কোথায়, কয়ভাইবোন বলতে বলতে আমাকে পটানো শুরু করবে। কিন্তু না। একটু পরে আমার গা ঘামা শুরু হয়ে গেল। তখনি মনে হলো হায় আল্লাহ ঘামের আবার গন্ধ বের হবে নাতো? আমি জানালাটা আরো একটু টেনে খুলে দিলাম। বাতাসে মেয়েটার কিছু চুল আমার গালে এসে পড়তেই আমি শিহড়িত হয়ে উঠলাম। মেয়েটা চুল সরাতে যেয়ে এই প্রথম চোখাচোখি হলো। একটু স্মিত হেসে সরি বলল। আমি বোকার মতো বলে বসলাম, ঠিক আছে আমার কোন সমস্যা হচ্ছে না। মেয়েটা তার চুল বেঁধে ফেলল।

মিনিট বিশেক পড় আমার অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিক হলো।তখন আমি ভাবলাম এখন কিভাবে কথা শুরু করা যায়?

কিছু ভেবে না পেয়ে আমি বলে ফেললাম, আপা কি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন?

মেয়েটা কেমন অদ্ভুত ভাবে তাকালো আমার দিকে। তার পর একটু হেসে বলল না। আমি পড়ি না।

আমি মনে মনে আশা করছিলাম মেয়েটা আমাকে জিজ্ঞেস করবে আপনি কি করেন? আমি তখন ভাব নিয়ে বলব আমি ইঞ্জিনিয়ার। অমুক কম্পানিতে চাকুরী করি। কিন্তু না। মেয়েটা আগের মতো সামনের দিকে তাকিয়ে রইলো। কিছুক্ষণ পড়ে আমি আবার বোকার মতো বললাম,আপনাদের বিল্ডিংটা নিশ্চিয় বিম কলামের তৈরি করেছেন। এখন ভুমিকম্পের যে অবস্থা। দু-একদিন পর পরই ভুমিকম্প হচ্ছে। ফ্ল্যাট স্ল্যাব বিল্ডিং হালকাঝাকুনিতেই ভেঙ্গ পরে। একথা বলার পরই আমি আশা করলাম মেয়েটা হয়তো এবার বলবে আপনি কি ইঞ্জিনিয়ার?



মেয়েটা এবার একটু কৌতুহলী চোখে আমার দিকে তাকালো। বলল, সরি, আমি তো ঠিক জানি না। আব্বুকে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে।

এর পর আরো ঘন্টাখানেক অতিবাহিত হয়ে গেল। আমাদের মধ্যে কোন সারাশব্দ নেই। গানও বন্ধ। আমি মনে মনে ভেবে যাচ্ছি কি বলে আবার কথা শুরু করা যায়? কিন্তু যুতসই কিছু মনে আসছিল না।

গাড়ী একটা রেস্তোরাঁয় থামলো। আমি আমার দেহের প্রতিটি অনুপরমানু অর্ন্তনিহিত আবেগী শক্তি নিয়ে তাকে বললাম, চলুন একসাথে কিছু খাওয়া যাক। সকালে নাস্তাটা মিস করেছি। মেয়েটা একটু হেসে বলল, ধন্যবাদ। আমি শুধু একটু চা খাব। আমার বুকের ভেতর শান্তির একটা শীতল বাতাস বয়ে গেল। আমি আগে আগে রেস্তোরাঁর তিন ধাপ সিড়ি বেয়ে উঠে তাকে উদ্দেশ্য করে বললাম, চলে আসুন। প্রথম সিড়ির উপর পা রাখতেই আমি বোকার মতো বলে বসলাম, আপা সাবধান, আপনার শাড়ি হাইহিলে বেধে যাবে।

মেয়েটা আরেকটু হাসলো। শাড়িটা একটু উচু করে তিনধাপ সিড়ে বেয়ে উঠে আসলো। তার ফর্সা পা দুটা আমার চোখের সামনে স্বগীয় আভার মতো মনে হলো। রেস্তোরাঁয় ঢুকে আমি এক কোনায় বসার জন্য এগিয়ে যেতে লাগলাম। মেয়েটা আমার পিছে পিছে এসে এক কোনার টেবিলে বসলো। হঠাৎ মেয়েটা বলল, ভাইয়া চলেন ঐ কাঁচের ভেতরটায় নিড়িবিলি বসি। আমার বুকের ভেতর আরেকবার শান্তির শীতল বাতাস বয়ে গেল। আমি ভাবলাম মেয়েটা ফাদে পড়েছে মনে হয়। সে হয়তো তার মনের কথা একান্তে বলবে। তাই নিড়িবিলি জায়গার কথা বলছে। আমি রোমাঞ্চিত হয়ে অতিদ্রুত তার কথামতো কাঁচের দেয়ালে ঘেরা ঘরটার মধ্যে প্রবেশ করলাম। একটা টেবিলে মুখোমুখি বসে মেনু পছন্দ করতে বললাম তাকে। সে তার বৈশিষ্টপূর্ণ হাসি দিয়ে বলল, সরি ভাইয়া আমি কিছু খাব না, শুধু চা। আমি তাকে অনেক বুঝালাম কোন একটা খাবার খাওয়ানোর জন্য। কিন্তু সে শুধু চা ছাড়া আর কিছু তে রাজি হলো না। অগত্য আমাকেও তাকে অনুসরণ করতে হলো। একটু হতাশ হয়ে বিল পরিশোধ করলাম। ভাবলাম ভারি খাবার খেতে খেতে হয়তো সে তার মনের কথা ঠিক মতো বলতে পারবে না তাই শুধু চা খেল।এখন হয়তো সে তার মনের কথা বলবে। দশ সেকেন্ড না যেতেই মেয়েটি বলল, চলুন উঠাযাক।

আমার মুখ শুকিয়ে গেল। বাস ছাড়তে এখনো দশ মিনিট বাকি। ভাবলাম তাহলে সিটে বসে গল্প করা যাবে। এই আশায় তার কথায় রাজি হয়ে উঠে আসলাম। সিটে বসে অনক্ষেন কাটালাম। মেয়েটা কোন কথা বলেনা। আমিও বলার মতো কোন কথা খুঁজে পাচ্ছিনা। ভাবছি কি বলতে কি বলে ফেলব। তাই মনে মনে আশা করছিলাম যে মেয়েটি যেন নিজের থেকে কিছু বলে। চুপচাপ অনেক্ষণ কেটে গেল। গাড়ি চলছে। গান শুরু হয়েছে। আবার সেই একই গান। মনে প্রণয়রাগের সঞ্চার হওয়াতে সেই ছ্যাঁকা খাওয়া মার্কা গান শুনতে বিশ্রি লাগছিল। তার পরও শুনে যাচ্ছিলাম। হালকা ঘারঘুড়িয়ে দেখি মেয়েটি ঘুমিয়ে পড়েছে।

সা সা করে বাস চলছে। কোন ফাঁকে যেন আমিও ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।

নরম হস্তস্পর্শে আমার ঘুম ভাঙ্গল। আমি তাড়াহুড়া করে উঠি দাড়ালাম। মেয়েটি তারা স্বভাবসুলভ হাসি দিয়ে বলল, ভাইয়া আমারা পৌঁছিয়ে গেছি। আসুন নামি। আমি তাড়াতারি ব্লেজার টাই ঠিক করে তার পিছে পিছে বাস থেকে নেমে আসলাম। বিদায়ের সময় বোকার মতো তার হাতে আমার মোবাইল নাম্বারটা দিয়ে বললাম, কোন সমস্যা হলে ফোন করবেন। আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার।

মেয়েটা কাগজটা নিয়ে তাড়াতারি রিক্সায় উঠল। রিক্স্রা আমার চক্ষুগোচর থাকা পর্যন্ত তার দিকে তাকিয়ে থাকলাম। হঠাৎ মনে হলো হায় তার নামটাতো শোনা হলোনা।

মনে মনে ভাবলাম, মেয়েটা নিশ্চিয় রাত্রে ফোন করবে। প্রথম রাত গেল। দ্বিতীয়, তৃতীয়....এভারে.তিন বছর কেটে গেল।

একদিন রাত ঠিক শোয়া বারোটার দিকে একটা ফোন আসলো। অপরিচিত ফোন এতো রাত্রে। কোন অপরিচিত ফোন রাত্রে আসলেই ভাবি হয়তো কোন মেয়ে ফোন করেছে। সুন্দর করে সালাম দিই। কিন্তু দেখাযায় আমার সাইটের কোন এক মিস্ত্রি অথবা কোন বন্ধু তার নতুন নাম্বার জানাতে ফোন করেছে। ফোন রিসিভ করে সালাম দিলাম। একটি ছোট্ট মেয়ে বলল, আঙ্কল কেমন আছেন?

আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ভাবলাম রঙ নাম্বার, তাই বললাম কাকে চাচ্ছো তুমি সোনা?

আপনি মজিদ আঙ্কেল না?

হ্যাঁ। কিন্তু তুমি কে?

আমি, অর্ভি।

বাবারে নাম!! তোমাকে তো চিনতে পারছি না।

হ্যালো মজিদ ভাইয়া। আমি জেসি।

জেসি?

জেসি নামে এই রাত দুপুরে আমার কাছে ফোন করার মতো তেমন কারোর কথা আমার স্বরণে আসলো না।

চিনতে পারছেন না? ঐ যে তিন বছর আগে আমি আর আপনি একসাথে পাশা পাশি সিটে ঢাকাথেকে...

ও হ্যাঁ, আপনি এতোদিন পর। বিশ্বাসই হচ্ছেনা। কেমন আছেন?

আমি হড়বড় করে যাতা বলা শুরু করলাম।অনেক কথার পর তাকে ভীতুকন্ঠে সুধালাম,

মেয়েটা কে?

আমার মেয়ে।

আমার হর্ষোৎফুল মুখখানা তৎক্ষণাৎ শুকিয়ে গেল কথাটা শুনে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:২০

...অসমাপ্ত বলেছেন: অ আল্লাহ ...আপনি প্রকৌশলী (বাংলায় ইঞ্জিনিয়ার)। আমি কিন্তু অটোগ্রাফ নেব। :-B

...শুভ ব্লগিং।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৪২

নিঃসঙ্গ বলেছেন: গল্পটা পরে ভালো লাগলো :) এমন আরো অনেক ঘটনা আছে আপনার ঐ গুলো ও গল্প আকারে লিখে যান আপনার লিখার হাত ভালো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১০

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যাবাদ। আপনি কি সত্যিই নিঃসঙ্গ।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫০

নিঃসঙ্গ বলেছেন: ভাই না পড়ে মন্তব্য করি নাই পুরা গল্প পড়েই মন্তব্য করছি।

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১:৫৬

লংকার রাজা বলেছেন: লেখার সাথে নিজের ছবি জুড়ে দেবার একটা ইচ্ছে অনেকের মধ্যে দেখা যায়,এতে মনে হয় লেখা অনেকটা গুরুত্ব হারায়।ব্যাপারটা ভেবে দেখবেন আশা করি।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১১

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: আপনার পরামর্শ আপাতত সাদরে গৃহীত হলো।

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:০০

ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: ইঞ্জিনিয়ারদের খুব কমন একটা প্রব্লেম হলো কমিউনিকেট করা। আপনার গল্প পড়ে তাই মনে হলো। কমিউনিকেট ঠিক মতো করতে পারলে আংকেল শোনা লাগতো না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ২:১৩

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: ভাঙ্গা পেন্সিল দিয়ে লিখলেন কিভাবে? গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১২:৪২

হাল্ক বলেছেন: হুমাইলাম।

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৫৭

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

গল্পের চে' আপনার ছবিটা বেশী ভালো হইছে ।


ছবির পেছনের বিল্ডিংটা কি আপনে তুলছেন, ইঞ্জিনিয়ার সাহেব ?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৬

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: না ভাই।

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ২:১৩

জেরী বলেছেন: আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:

গল্পের চে' আপনার ছবিটা বেশী ভালো হইছে ।.......হা হা প গে:):):):)

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৫:০৩

পারভেজ বলেছেন: গল্প ও মন্তব্য দুই ই উপভোগ করলাম।
ব্লগে স্বাগতম। লেখালেখি চালু থাক।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৩

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২০

রুখসানা তাজীন বলেছেন: মেয়েটার সাথে কথা বলার শুরুতেই বিল্ডিং ডিজাইনের উটকো প্রশ্ন একজন ইঞ্জিনিয়ারের জন্য ছেলেমি হয়ে গেলোনা? এর চেয়ে সরাসরি বলে দিলে পারতো, আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: আরে গাধা না!!

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

আখসানুল বলেছেন: ফ্ল্যাট স্ল্যাব বিল্ডিং হালকাঝাকুনিতেই ভেঙ্গ পরে


এই কথা কই পাইছেন ? আমারে বলেন। ( আমি নিজেও ইঞ্জিনীয়ার) কলাম ঠিকমত ডিজাইন করা হলে আর shear এর জন্য reinforcement দেয়াতথাকলে সমস্যা হওয়ার কথা না।

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০১

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: গল্পটি এতো গভীরভাবে পর্যক্ষেণ করে পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। হালকা ঝাকুনী একটা কথার কথা। আর গল্পের ছেলেটাতো এমনিতেই মেয়েটাকে কাছে পেয়ে নার্ভাস ফিল করছে। সে তো আর ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড দ্বারা তাকে বুঝাতে যাবে না যে কত মাত্রার ভুমি কম্পে কোনন বিল্ডিং উপযুক্ত। তবে আপনি নিশ্চয় অবগত যে ভূমিকম্প প্রতিরোধের জন্য ফ্ল্যাট স্ল্যাবের থেবে বিম কলাম উত্তম।
কিছুদিন আগেই আইবি ত একটা সেমিনার হলো সেখানে প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরী , স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার্স এর এমডি সহ আর্থকোয়াক সোসাইটির অনেক জ্ঞানীগুনিরা আমাদের মতো জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের কে পরামর্শ দিলেন যেন আমরা বিম কলামের বাড়ী করি। যতদূর পারা যায় ফ্ল্যাট স্ল্যাব পরিহার করার জন্য আর্থকোয়ার প্রতিরোধ কমিটির এক ড. ( নাম মনে পরছে না) উপদেশ দিলেন। আর আপনার কমেন্ট পরার পর আমি আরো নিশ্চিত হবার জন্য আমাদের কম্পানির ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ারকে ফোন করেছিলাম। তিনি বললেন ভূমিকম্প প্রতিরোধের জন্য বিম কলাম ডিজাইনড বাড়ী অনেক অনেক গুন উত্তম।
আর আপনি যদি কোন ইঞ্জিনিয়ারিং টার্মের উপর আমাকে কিছু অবহিত করাতে
তবে মেইল মি প্লিজ [email protected]

১৪ ই জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:০৫

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: রুয়েটের লেকচারার জনাব নুরুল ইসলাম আমাদেরকে ফ্ল্যাট স্ল্যাব ডিজাইনের বাড়ি না করার জন্য তওবা করতে বলেছিলেন। আপনি তার সথে যোগাযোগ করলে হয়তো তিনি বিস্তারিত বলতে পারবেন। আমরা সবে মাত্র বের হয়েছি। জানার অনেক কিছু বাকি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:০০

হাল্ক বলেছেন: আখসানুল আমার আসল নিক।



weak beam strong column হচ্ছে ভুমিকম্পের বিরুদ্ধে এখনকার নতুন ধারনা।

আপনার কথার যুক্তি আছে। এলটা গল্পের চরিত্রের কথায় এই উক্তি করা আমার উচিত হয় নাই। আমি দুঃখিত।

( ফ্লাট-প্লেট ডিজাইন করা আসলেই রিস্ক। তবে ঠিকমত করা হলে কোন সমস্যা হয় না। )

১৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:১৪

জটিল বলেছেন: যাইহোক গল্পটা ভাল লেগেছে ;)

১৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ দুপুর ১:৩০

মজিদ বিশ্বাস বলেছেন: ধন্যাবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.