![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি খুব সকালে,
তুমি আর একটু রোদ ওঠা সকালে।
তুমি শান্ত দুপুরে।
রৌদ্রময় অশান্ত দুপুরে।
মন খারাপের বিকেলে।
ছুটোছুটির বিকেলে।
সন্ধ্যার নিস্তব্ধতায়।
সন্ধ্যার উৎসবে।
শিয়াল ডাকা মধ্যরাতে।
তুমুল বৃষ্টির মধ্যরাতে।
তুমি শুধুই বলতে এবং বলতে "আচ্ছা তুমি আমায় তোমার গোপন/প্রকাশ্য সব ইচ্ছে বলনা কেন কবি? "
এই সকল উত্তরে জনপ্রিয় মিথ্যে হাসিতে কি সুন্দর এড়িয়ে যেতাম তোমার প্রশ্নটিকে।
রিকশার হুড ফেলে।
হুড উচিয়ে।
ভর দুপুরে রাস্তায় হাটতে হাটতে।
পুড়তে পুড়তে।
রুপসায় নৌকা ভাসিয়ে।
এলোমেলো কেশগুচ্ছের মাতাল ঘ্রানে।
প্রানের সাথে প্রান মিলাতে গিয়ে।
তোমার কান্নার গন্ধে গন্ধে।
মুঠোফোনে তোমার কন্ঠের আমার প্রিয় গানে গানে।
যাত্রী ছাউনির তলে অভাবের গল্পে গল্পে।
বল তো কতবার আমাকে জনপ্রিয় ঋনাত্মক হাসি দিয়ে এড়াতে হয়েছে তোমার প্রশ্নটিকে?
কতবার খুন হয়েছি হয়েছি অভ্যন্তরে?
একজীবনে মাত্র সাড়ে একাশি বার মৃত্যুর সুযোগ থাকে।
আমার বড্ড বাচতে সাধ জাগে।
অভ্যন্তরে মৃত্যু নিষিদ্ধ হয়েছে।
বলতে হবে সেই সকল ইচ্ছে যা হয়নি বলা আগে।
জানো মানবী,
বলার ছিল,
তোমার চোখ নামক শান্ত নতজানু নদীতে আমি সারারাত ডুব মেরে রই।
ঘুমাতে পারিনা,একলা কথা কই।
ভোর হবার অদ্ভুত সুন্দর সেই সময় টায় বারান্দায় দাড়ালেই তোমায় সামনে বসিয়ে
কবিতা শোনানোর ইচ্ছা ছিল।
ইচ্ছে হয়,
প্রচন্ড,
মারাত্মক ইচ্ছে,
মাঝরাতে আমার সাথেও তুমিও কোন একদিন চা খেতে বের হও।
যান্ত্রিক শহর টা ঘুমিয়ে পড়লে কেমন এক অসহায় দুগ্ধজাত শিশুর মত লাগে তোমায় দেখানোর বড্ড সাধ।
ইচ্ছে করে সিমেন্ট্রি রোডে দাড়িয়ে এক কাপ চা খাই।
ঠোট পুড়ে যাবার মত চা!
ফুটপাতে হাত পা মেলে বসে।
ফু দিয়ে ফু দিয়ে খাই।
সিটি কর্পোরেশন এর নিয়ম রক্ষার অন্ধকার কতগুলো আলোর নিচে চুপচাপ হাটি।
গুনে ফেলি এ শহরের কতকোটি অপরাধী।
বাসায় ফেরার পথে আমার লেখা দুই লাইন গান গুনগুনিয়ে গাই ।
বেওয়ারিশ কুকুরের ডাকে মুখরিত তোমার বাসার গলিতে এসকল ইচ্ছে কবর দেয়া ছিল বহুকাল মানবী।
জানি বলে কিছু হবেনা
বলার ছিল,
একদিন তেতুলবনে পাটি পেতে বসে গ্লাস গ্লাস অন্ধকার আর তোমার চুমু দিয়ে নেশা করব।
নিয়ে যাব তোমায় আমার পুরনো ডায়েরীর 73 নম্বর পৃষ্ঠায়।
লেগে আছে একফোটা বিষাদের দাগ সে পাতায়!
ইচ্ছেকরে,
তোমার কফির কাপে কান্না হতে।
শ্রাবনের তুমুল বর্ষায় তোমায় নিয়ে শহরের ব্যাস্ততম রাস্তায় ভিজতে।
সিড়িঘরে দাড়িয়ে মাতাল ভাবে চুমু খেতে।
ইচ্ছে করে তোমায় একটা স্বপ্ন বলি,
আজকাল স্বপ্নে একটা পোকা দেখি।
অচেনা।
তবে মায়াময়।
একই সাথে ভয়ংকর।
পোকটা কি অসহ্য সুন্দর শৈল্পিক ভাবে আসন পেতে বসে,
সেরেব্রাম অংশ টা একটু একটু করে চাবিয়ে খাচ্ছে।
এই দৃশ্যের পর ইচ্ছে হয়,
শক্ত করে তোমায় জড়িয়ে ঘুমাই।
ইচ্ছে করে
একটু নিখোজ হলেই আমি
হন্যে হয়ে খোজ তুমি।
শহরের শেষকোনের অন্ধকার কুঠুরীতে কড়া নাড়।
খুজে আনো আমায়।
ইচ্ছে করে,
কোন একদিন তুমি শরীর মেলে দাও।
আর আমায় বল "লিখে দাও কবি তোমার সকল গোপন পাপ "।
ওষ্ঠাধর নিংড়ে আমি তোমায় শুষে নেই পুরোটা।
জেনে নেই তোমার শরীরের স্বাদ।
পবিত্র ওই শরীরে একে দেই একখানি ছবি।
বাকি রঙে করি মাখামাখি।
স্তনের মাতাল ঘ্রানে
স্নায়ুর প্রতিটি তন্ত্রে ধারন করি তোমায়।
যোনিকেশের উন্মাদীয় গন্ধে প্রেমিক হই বারবার।
নগ্ন কোমরের উষ্ণ চুম্বনে শরীরের প্রতিটি ভাজে ভাজে তোমাকে দেবী করে তুলি।
জানি কখনো কিছু হবার না,
শুধু আমার সস্তা দেয়ালে লেগে থাকে আকাশমুখী হওয়া অভিযোগের ফিরে আসা।
তবু আমি সযত্নে জমিয়েছি কয়েক টুকরো মেঘ।
বেশ আদরে উড়াব আমার সকল আবেগ।
তুমি আটকে গেছ প্রানহীন কিছু মোটা বইয়ের ভাজে।
জানি, ইচ্ছেগুলো তোমার কাছে সুরহীন আর বাজে।
তাই তো ছিল ওরা অব্যাক্ত বেদন হয়ে বুকের মাঝে।
আর ও শত না বলা ইচ্ছে রয়ে যায় আড়ালে।
কি হবে?
এসব ইচ্ছে তোমায় শুনিয়ে?
তারিখ দিয়ে লিখে রাখা ডায়েরীর পাতা ঘেটে?
এসকল ইচ্ছে একদিন তোমাদের আধুনিক আড্ডায় গল্প হয়ে ওঠে।
গল্প নামক ইচ্ছেগুলোতে বেশ মজা নিংড়ে নিয়ে তোমরা পা চাপা দিয়ে চলে যাবে।
বিরানী আর সফট ড্রিংকস এর ঢেকুরে ইচ্ছেরা বেচে রবে তোমাদের দামী জুতোর তলায়।
তোমাদের দাত ক্যালানো স্থিরচিত্রে ইচ্ছের কোন ছাপ থাকেনা।
যেভাবে কবি আর কবিতা বাচে সুধী নামক মুর্খ সমাজের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে।
২| ১৫ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১
মলয় দত্ত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০০
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখা।
ব্লগে স্বাগতম।
শুভকামনা। শুভব্লগিং।