![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা লিখবে।
বই ছাপবে।
কবিতা লিখবে।
অটোগ্রাফ দেবে।
কবিতা লিখবে।
যে বই বইমেলায় ভিড় বাড়াবে।
কবিতা লিখবে।
যে কবিতা প্রেমিক ফিসফিসিয়ে মাঝরাতে শুনাবে প্রেমিকাকে।
কবিতা লিখবে।
যে কবিতা অবসরপ্রাপ্ত উদাস ব্যাক্তির চোখে এক ফোটা জল আনবে।
কবিতা লিখবে।
যে কবিতা বেকারের হতাশা কাটাবে।
তুলে আনবে শৈশবের ব্যাথা।
কিশোরের রুপকথা।
এই ভেবে ভেবে বছর কয়েক কাটাল কবি।
জানলা ঘেষা টেবিলে কলম চলেনা কখনো।
শব্দ সে অধরা।
দেয়না দেখা।
কবি কিছু শব্দের আশায় জীবন কাটাতে লাগল।
সমগ্র জীবনের বিনিময়ে কিছু শব্দমালার আবেদন।
কবির ভাললাগেনা রোগ হল।
মাঝরাতে ভাল লাগেনা।
ভর দুপুরে ভাল লাগেনা।
স্ত্রী চুম্বনে ভাললাগেনা।
সবুজের দিক তাকাতে ভাল লাগেনা।
বৃষ্টির শব্দে ভাল লাগেনা।
মাটির শোদা গন্ধে ভাললাগেনা।
ভাললাগেনার পথ্য ও ভাললাগেনা।
মাঝরাতে ভাল্লাগেনা এই বলে বৌ কে পাশ কাটিয়ে ছেড়া মশারির ভেতর থেকে বেড়িয়ে নদীর ধারে হাওয়া গিলতে যায় কবি।
মাঝরাতে ঘাটে থাকা একখানি নৌকার বৃদ্ধ মাঝির সস্তা বিড়ির আগুন,
দুরে ওপারের লাল নীল আলো।
স্টিমারের শব্দ।
এই দেখে কবির আর ও একবার ভাল না লাগা রোগ হয়।
হাওয়া গিলে পেট না ভরায় অন্ধকার চাবাতে চাবাতে বাড়ি ফেরে চিরচেনা রাস্তার অচেনা অন্ধকার ভেদ করে।
এগারো বছরের কবিত্বে একটাও কবিতা লিখতে না পারার আক্ষেপে জোরে জোরে চাবায় অন্ধকার।
বাড়ি ফিরে, লিখে ফেলে সুইসাইড নোট।
ভাল না লাগাগুলো হয়ে যায় সেই নোট এর নায়ক।
কবি ঝুলে পড়ে!
কবির একমাত্র সুইসাইড নোটটি কবিতা হয়ে যায়।
কবি যে কেন আগেও কয়েক বার অভ্যন্তরে ঝুলে পড়ল না!
সহস্রবার তাহলে মৃত্যুকে চুম্বন করে কবি তুলে আনত কবিতা।
তুলে আনত প্রান।
মৃত্যুর পুকুরের একমাত্র ডুবুরী কবি তা সহজেই জানিয়ে দেয়া যেত!
ইশশ!
কেন যে কবি আগে চেষ্টা করেনি।
লাশকাটা ঘরে কবির শরীর থেকে সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর গন্ধ।
কবিতা শিশু।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০২
বিজন রয় বলেছেন: আপনার কবিতায় অজস্য কথা আছে।
অবিরাম।
+++++