নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আরব্য উপন্যাসের সেই মরুচারী যে সত্যান্বেষণে জীবন উৎসর্গ করে। সেই উপন্যাসের চরিত্র নিজের ভিতরে লালন পালন ও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এই পথচলা।

মামুন রেজওয়ান

মামুন রেজওয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"Good or Bad-?"

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২২


চিত্র:- গুগলের মাধ্যমে ডাউনলোডকৃত

আমরা ভাল মানুষ বলতে কি বুঝি?
এটা বিশ্বাসীদের নিকট আমার প্রশ্ন। এই প্রশ্নটা অবিশ্বাসীদের করতে চাই না। কারন তাদের মতানুসারে ভাল বা খারাপ আপেক্ষিক। অর্থাৎ স্থান কাল পাত্রভেদে ভাল বা মন্দের সংগা পরিবর্তন হয়ে যায়। কিন্তু যারা বিশ্বাসী অর্থাৎ বিশ্বাস করেন আপনাকে কেউ একজন সৃষ্টি করেছেন। তাদের কাছে ভাল মানুষের সংগাটা কেমন?

আমি উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি। আমরা ভাল মানুষ বলতে বুঝাই লোকটা সৎ, মিথ্যা কথা বলে না, সবার সাথে ভাল ব্যবহার করে, ন্যায় অন্যায় মেনে চলে, গরীব অসহায়দের পাশে দাঁড়ায়, অভাবীদের অভাব দূর করার চেষ্টা করে ইত্যাদি,এইতো?

আমার কাছে এই সংগাটা ভিন্ন। আমি যেহেতু বিশ্বাসী আমিও বিশ্বাস করি আমাকে আল্লাহ সুবহানাহু ও'আ তা'আলা সৃষ্টি করেছেন। তিঁনি আমাকে বলে দিয়েছেন কোনটা ভাল কোনটা মন্দ। তিঁনিই আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন ন্যায়,অন্যায় আসলে কি? আল্লাহর নির্ধারিত বিধান আনুসারে ভাল মানুষ কেমন?

আগের উদাহরনটা আবার নিয়ে আসি। একজন লোক X খুব সৎ, সর্বদা সত্য কথা বলে, গরীব অসহায়দের সাহায্য সহযোগীতা করে ইত্যাদি। দুনিয়ার প্রত্যেকটা মানুষের সাথে সে ভাল আচরন করে। নামায মাঝে মাঝে পরে। জাস্ট এই গুনগুলোই কি যথেষ্ট? আচ্ছা আপনি অকৃতজ্ঞ লোককে ভাল মানুষ বলবেন নাকি খারাপ মানুষ বলবেন? এক্ষেত্রে আপনার উত্তর "খারাপ মানুষ" হবে সেটা লিখে দেওয়া যায়। তাহলে আপনি X কে কিভাবে ভাল মানুষ বলছেন যে তাঁর সৃষ্টিকর্তার প্রতি অকৃতজ্ঞ ?

যে ব্যাক্তি তাঁর সৃষ্টিকর্তার এত এত নিয়ামত ভোগ করছে কিন্তু কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছে না, দিনের কিছুটা সময়ও(নামায) সে তাঁর মনিবের জন্য রাখছে না সে অকৃতজ্ঞ নয় কি? ধরুন আপনি একটা ফ্যাক্টরিতে জব করেন মাসশেষে মোটা অংকের টাকা স্যালারি নেন। আপনাকে একটা ডিপার্টমেন্টের নির্দিষ্ট কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনি এই দায়িত্ব মাঝে মাঝে পালন করছেন মাঝে মাঝে পালন করছেন না। এমতাবস্থায় ফ্যাক্টরি কি আপনাকে চাকরীতে রাখবে? স্বাভাবিকভাবে অবশ্যই চাকরী থেকে অব্যাহতি দিয়ে দিবে। এবার আবার আপনার মালিক আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করুন। আপনাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিয়মিত কমপক্ষে পাঁঁচবার তাঁর সামনে মাথা নত (নামায) করতে। আপনি মাঝে মাঝে এই আদেশ পালন করছেন মাঝে মাঝে করছেন না। এক্ষেত্রে আপনার মালিকের (আল্লাহর) কি করা উচিৎ? যিঁনি আপনাকে প্রতি মুহূর্তে অক্সিজেন দিচ্ছেন, খাবারের ব্যবস্থা করছেন, সব সময় বিপদাপদ থেকে রক্ষা করছেন, ভালবাসায় ভরপুর একটা পরিবার দিয়েছেন, সমাজে সম্মান দিয়েছেন। এই অকৃতজ্ঞতার শাস্তি স্বরুপ আপনাকে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কি আপনি এটাকে জুলুম করা হয়েছে বলতে পারবেন? আর আপনি কিভাবে ভাবতে পারেন যে এতটা অকৃতজ্ঞ হওয়ার পরও আপনি একজন ভাল মানুষ?

এবার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুন আল্লাহ কতটা দয়াময় হলে আপনি এত বড় অকৃতজ্ঞ হওয়া স্বত্ত্বেও আপনাকে প্রতিনিয়ত অক্সিজেন সরবরাহ করে যাচ্ছেন, আপনাকে সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন যাতে আপনি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন। একদিন দুইদিন নয় বছরের পর বছর। "How can I deny the kindness of my Lord?" নিজেকে কখনও কি প্রশ্নটা করেছি?

আমি ঠিক এইভাবে ভাল মন্দ বাছাই করি। ইসলামের মাপকাঠিতে যে ভাল, আমি তাকেই ভাল বলি। যে তাঁর প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞ নয় সে কখনও ভাল মানুষ হতে পারে না। অনেকগুলো ভাল গুন থাকতে পারে তার ভিতরে কিন্তু আমার বিশ্বাস বা থিওরি হচ্ছে অবশ্যই তার ভিতরে একটা খারাপ কিছু আছে। অর্থাৎ ইসলামে নিষিদ্ধ এমন কিছুতে সে অভ্যস্থ। আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার জন্যও আল্লাহর দয়ার দরকার হয়। আমরা এমন হয়ে যাব নাতো যে মৃত্যুর সময় কালিমাটা পর্যন্ত উচ্চারন করতে পারব না? একবার ভেবে দেখুন এই আয়াতটি না আবার আমাদের জন্য সত্য হয়ে যায়।
"Allah has set a seal upon their hearts and upon their hearing, and over their vision is a veil. And for them is a great punishment."
--Al Quran (2:7)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪১

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: তার মানে কি দাঁড়ালো, যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে না সে খারাপ?

ভালো মানুষ সঙ্গা ধর্মের ভিত্তিতে করাকে সমর্থন করি না। আমার চোখে সৎ, নীতিবান, মানবিক লোক ভালো; তা সে বিশ্বাসী বা অবিস্বাসী যাই হোক।


হ্যাঁ এটা বলতে পারে, খাঁটি মুসলিম, হিন্দু(বা যে ধর্মেরই হোক) হতে হলে অবস্যই ভালো মানুষ হতে হবে।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: ব্রাদার পোস্টটা আমি কিন্তু অবিশ্বাসীদের জন্য করিনি। এটা প্রথমেই বলে নিয়েছি আর্টিকেলের শুরুতে আপনি হয়তো খেয়াল করেননি।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: যে মানুষ, মানূষের জন্য কাজ করে সে ভালো মানূষ।
মানুষ হয়ে জন্মেছেন, তাই মানূষের জন্য কাজ করতে হবে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৫

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: মানুসষের জন্য কাজ করার নির্দেশ আমাকে আমার জীবন ব্যবস্থা দিয়েছে ভাই।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

নতুন বলেছেন: আমি ঠিক এইভাবে ভাল মন্দ বাছাই করি। ইসলামের মাপকাঠিতে যে ভাল, আমি তাকেই ভাল বলি। যে তাঁর প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞ নয় সে কখনও ভাল মানুষ হতে পারে না। অনেকগুলো ভাল গুন থাকতে পারে তার ভিতরে কিন্তু আমার বিশ্বাস বা থিওরি হচ্ছে অবশ্যই তার ভিতরে একটা খারাপ কিছু আছে। অর্থাৎ ইসলামে নিষিদ্ধ এমন কিছুতে সে অভ্যস্থ।

এখানে একটা জিনিস গুলিয়ে ফেলেছেন তাই এমন ভাবনার উপরে আপনি সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

মানুষের সৃস্টিকতা আল্লাহ এটা প্রমানিত সত্য না। এটা বিশ্বাস এর ভিক্তি ৫০%-৫০%

কিন্তু অন্য ধমের মানুষটা কিন্তু আপনার আমার মতন মানুষ সেটা ১০০% প্রমানিত...

তাই ৫০% সত্যের উপরে ভিক্তি করে ১০০% প্রমানিত সত্যকে জাজ করা ঠিক না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৪

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা নেই এই ব্যাপারে আপনি ৫০% নিশ্চিত?

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০

একজন খাঁটি দেশি বলেছেন: কাঠমোল্লা।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা নেই এই ব্যাপারে আপনি ৫০% নিশ্চিত?


সৃস্টিকতা আছে সেটার প্রমান আপনার কাছে কি? ১টি প্রমান দেখাতে পারবেন যে সৃস্টিকতা` আছে?

ভাই বিশ্বাস এক জিনিস আর প্রমান আরেক জিনিস।

আপনি সৃস্টিকতা আছে সেটা ১% প্রমান দেখাতে পারবেন না। পৃথিবিতে বিলিওন মানুষ বিশ্বাস করে সৃস্টিকতা আছে কিন্তু সেটা প্রমানিত সত্য না।

তাদের কাছে মনে হচ্ছে যে এই যে সবকিছু চলছে তাই এটার পেছনে সৃস্টিকতা অবশ্যই আছে, সেটা বিশ্বাস, কিন্তু প্রমান না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৩

মামুন রেজওয়ান বলেছেন: জ্বি ভাই, আমি বিশ্বাস করিনা যে সৃষ্টিকর্তা নেই। যেভাবে আপনি বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তা নেই। আমি এটাও বিশ্বাস করিনা যে, কোন সৃষ্ট জিনিস আপনা আপনি সৃষ্টি হয়। এটাও বিস্বাস করিনা যে, মহাকর্ষ, অভিকর্ষ, সার্কুলেশন, বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান এবং টেম্পারেচার এতটা নিঁখুতভাবে আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে। আমি এটাও বিশ্বাস করিনা যে, মানব জাতির সৃষ্টিলগ্ন আলাক্ব(জোঁক) এর একটা অবস্থান থেকে এসেছে এই বিষয়টা বিজ্ঞানপূর্ব যুগে আপনা আপনি মানুষ জানতে পেরেছে কেউ(আল্লাহ) যদি তাঁকে ( মহানবী (সাঃ)) না জানায়। আমি আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি এই লেখাটা বিশ্বাসীদের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.