নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি পিপিই নিয়ে দেশে এক হুলস্থুল কান্ড হয়ে যাচ্ছে।যে পোশাকের নাম আগে দেশের অধিকাংশ মানুষ জানতো না আজ তা সকল মানুষের মুখে মুখে।কি এমন আছে এই পোশাকে? কেনই বা দরকার? আপাত দৃষ্টিতে অন্য কোনো কারনে দরকার না হলেও ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার জন্য ভিষন প্রয়োজন। কি অদ্ভুদ সমাজে বসবাস করি আমরা?প্রশাসন অফিস ব্যাংকার যারা কিনা সমাজের তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত তারা ফেসবুকে পিপিই পড়া ছবি পোস্ট দিচ্ছে যেখানে ডাক্তার পিপিই বিহীন রোগী দেখে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।আসলে যারা ফ্রন্ট লাইনে কাজ করে তাদের জন্য সবচেয় বেশি দরকার এই পিপিই অথচ এহন হীন মূর্খের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি এই সকল বঞ্চিত মানুষ গুলোরে কর্মের স্পৃহা কমিয়ে দেয়। এ বৈষম্য তাদের মনোবল কে দুর্বল করে দেয়।অথচ জাতির এ ক্রান্তি লগ্নে সকলের তো একসাথে এগিয়ে আসা উচিত ছিলো সবাই মিলে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সকলকে সাহায্য করা।এই মানুষ গুলাই মহামারী দেখা দিলে আমাকে আপনাকে গোটা জাতিকে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করবে।অবশ্যম্ভাবী যুদ্ধের জন্য আপনি আপনার যোদ্ধাদের শক্তিশালী না করে কি ভাবে সম্ভব একটা যুদ্ধে জয় লাভ করা যেখানে সামান্য মনোবল ভাঙে গেলেই যুদ্ধে পরাজয় অনিবার্য। সেই পরাজয়ের মূল্য আমার আপনার আমার পরিবারের সদস্যের জীবন।এই ডাক্তার সমাজের অনেক দোষ থাকতে পারে কিন্তু এখন সেই বিভাজনের সময় নয়,প্রশ্ন যখন জাতির জীবনের তখন মুখোমুখি অবস্থানে দাড় করিয়ে আপনি সুফল পাবেন না।
আমাদের সমাজে একটা মিথ প্রচলিত আছে ডাক্তার মানেই বড়লোক। আসলেই কি সত্য?যাদের চেম্বারে অনকে রগী দেখে মানুষ এসব ধারণা করেন তারা আসলে কত পার্সেন্ট?? সত্য কথা বলতে ওই সকল ডাক্তার ব্যতীত বাকীদের অধিকাংশ চেনেই না।অনেকে তো অতি উৎসাহিত হয়ে বলে ডাক্তার নিজেরা পিপিই কিনে পড়তে পারে না?
আথচ কেউ খোজ নিয়ে জানার চেস্টা করেনি আসলেই ডাক্তাররা নিজ উদ্যগে পিপিই কেনার চেস্টা করেছিলো কিনা।বাঙালি জাতি বড়ই অদ্ভুদ যাদের কাছে কিছু সংখ্যক পিপিই আগে থেকে মজুদ ছিলো তারা এই বিপুল চাহিদার সময় দাম বাড়িয়ে অথবা আরও দামের আশায় মজুদ করছে যার ফলাফল ডাক্তার কিনতে গিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে।অথচ এই সকল কিছু আয়োজন করে দেয়ার দায়িত্ব ছিলো রাস্ট্রের।আর এর জন্য নাকি ডাক্তারদের নীচ অমানুষিকতা প্রকাশ পাচ্ছে।ডাক্তাররা নীচ বলেই এত কিছু শোনার পরেও এখনো নিরো বিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছে।যেখানে অন্যান্য দেশের মানুষ বিশেষ পরিস্থিতিতে মানবিক হয় সেখানে আমাদের দেশের মানুষ সবাই যার যার মত লাভ লুটতে ব্যস্ত।কেউ টিস্যু ব্যাগ দিয়ে নামমাত্র মাস্ক বানিয়ে রমরমা ব্যবসার ধান্ধা খুলে বসে আছে আর সব মানবতার ডিলারশীপ কসাই ডাক্তাররাই নিয়েছে।প্রত্যেক মানুষের নিজের অবস্থান থেকে দেশ কে দেয়ার আছে সেখানে সবাই লুটে খেতে ব্যস্ত।বিবেক বোধ এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে রাস্ট্রীয় ব্যর্থতার দায় এখন ডাক্তারকেই বহন করতে হচ্ছে।
সমগ্র জাতির বিবেক যখন পচনগ্রস্থ তখন এক বিশেষ সম্প্রদায়ের কাছে অনেক বেশি আশা করা বেমানান। দুইটি উক্তি দিয়ে শেষ করতে চাই,
যে দেশে গুনীর কদর হয় না সেখানে গুনী জন্মায় না।
নগর পুড়লে দেবালয় এড়ায় না।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৭
বিষাদ সময় বলেছেন: সাদা পোষাক যখন গায়ে দিবেন তখন প্রথমেই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে তাতে দাগ না পড়ে। এ দেশের ডাক্তাররা এ পোষাককে দাগ ধরাতে ধরাতে কালো করে ফেলেছেন আর পরিবহন সংগঠনের পর ডাক্তারদের বিএমএ হল সবচেয়ে ভয়ংকর সংগঠন।
তবে তিরিশ বছর ধরে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে কিছু ভাল ডাক্তার ও পেয়েছি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ মন্তব্য থেকে তাদেরকে বাইরে রাখছি।
২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৪
মার্ক টোয়েন বলেছেন: অকৃতজ্ঞদের নিয়ে কাজ করতে করতে তাদের মাঝেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
৩| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০৩
আর. হোসাইন বলেছেন: আমাদের এই দুর্যোগকালীন সময়ে পজেটিভলি চিন্তা করা উচিত
৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:২৭
নতুন বলেছেন: আমরা খুবই কিউট একটা জাতি।
ব্যাংকের ম্যানেজার পিপিই পরে বসে আছে কিন্তু সেটা কনফাম` করোনা কেসে বাইরের দেশে ব্যবহার করে।
, সবাই মাস্ক পড়ে বসে আসে. কিন্তু কয়টা মাস এন৯৫ রেটিং ওয়ালা?
সবাই আতংকের মাঝে আছে, খুবই কম মানুষ আসল তথ্য খোজে এবং জানে তাই তারা আতংকিত হয়ে কাজ করছে।
৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:১০
কলাবাগান১ বলেছেন: "আমরা কিছুই পারিনা, বিশ্বকে কোনভাবেই সাহায্য করতে পারছি না" ব্লগার চাদগাজীর আক্ষেপ....কিন্তু আমরা পারি ডা: মীরজাদী ফ্লোরা কয়টি শাড়ী পড়লেন সেটা নিয়ে অনলাইনে মাতম তুলতে....যে বেকুব রা উনাকে জ্ঞানপাপী/মিথ্যুক নানা বাক্যে ছোট করার প্রয়াস পাচ্ছেন, তার হয়ত ঠিকমত ভাইরাস বানান করতে ও পারবে না... আর উনি এই জীবনে জ্ঞান-বিজ্ঞান অর্জন করেছেন, তার ধারে কাছেও হয়ত বেকুবদের চোদ্দ গোষ্ঠি তে কেউই নাই ...
বিড়াল কালো না সাদা, আমাদের দেশে সেটা নিয়েই বেশী মাতম...ভাগ্য ভাল উনার নামের শেষে কোন ঘোষ/ব্যানার্জী নাই
২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৬
মার্ক টোয়েন বলেছেন: যে দেশে ড.বিজন কুমার শীল কে চেনেনা অথচ শিশু মৃত্যুর আগে কি বলে গেল সে তথ্য ভাইরাল হয় সেদেশের জনগনের থেকে কি বা আশা করা যায়।
৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩১
ইফতি সৌরভ বলেছেন: ঠিক এ বিষয় মনের ক্ষোভ - দুঃখ প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দুইজন শিক্ষক মহোদয়ের চাকরি গিয়েছে কিছু দিন আগে।তারা নাকি সরকারের বিরুদ্ধে গুজব রটনা করছিল!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের মাঝে সচেতনতা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা পরাজিত হোক এইটাই চাই।