![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে ভাবতে সময় দাও, আমি তোমাকে গল্প দেবো।
দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। এটা নতুন কোন ঘটনা না। মাঝে মাঝে কি যেন হয় ছেলেটার। উদ্ভট সব আচরণ করে বাড়ির সবার সাথে। প্রথম প্রথম অনেকে ভয় পেতো, বিরক্তও হতো। এখন আর কেউ আমলে নেয় না। আরও নিবেই বা কেন, নিয়েও কোন লাভ হয় না। কোন কথাই কেউ মুখ থেকে বের করতে পারে না।
প্রথম যেদিন ঘটনাটি ঘটে সেদিন ছিল শুক্রবার। দাদীজান রাতে বের হয়ে রসুর ঘরের পাস দিয়ে যেতে বুঝতে পারে রসু কার সাথে যেন কথা বলছে। দাদী রসুকে ডাকতে থাকে, ঐ রসু কার লগে কথা কস? রুস্তম কি আইজ তোর লগে ঘুমাইছে? কিরে রসু কথা কস না কেন? দাদী জবাব না পেয়ে বিরবির করে বকতে থাকে, পুলাপান আইজ কাল মুরুব্বি মানে না। হাজারবার ডাকলাম কুনু জবাব নাই!
এর পরের দুদিন আর দরজা খোলেনি রসু। শান্তিপুর গ্রামের লোকদের কৌতূহলী চোখ রসুর দরজায়। কেউ কেউ ডা-কোদাল নিয়ে দরজা ভাঙ্গতে প্রস্তুত। দাদীর ভয়ে কেউ দরজার কাছে ভিরতে পারেনি। দাদী বারবার লাঠি নিয়ে তাঁরা করছে কৌতূহলী গ্রামবাসীকে। আর হুংকার ছেড়ে বলছে, ঐ মিনসের দল তোগোরে কি আমি ডাইকা আনছি? আমার দরদ নাই, তোগো দরদ এতো চুয়াইয়া পরতাছে কেন? ভাগ সক্কলে কইতাছি। দাদীর তাঁরা খেয়ে ভেগে যায় একটা অংশ। রসুর মা দুদিন যাবৎ কিছুই মুখে দিচ্ছে না। সেদিন সকাল থেকে কান্না কাটি করছে আর বিলাপ বকছে। এখন আর চোখের পানি পড়ছে না। দাদী এতেও বঊ এর উপর বিরক্ত। দাদী প্রতিদিন তিন বেলায় রসুর ঘরের দরজার নিচ দিয়ে খাবার পাঠায়। তবে জানে না আদৌ খাবার গুলো
ও খেয়েছে কি না। ভিড় কমলেই দাদী দরজার কাছে এসে রসুকে ডাকে, ও রসু সোনা ভাই আমার দরজাডা খুল। চান মুখহান দেহা না একবার, কতোদিন তোর মুখহান দেহি না। দুই তিনবার ডাকার পড়েই গলাটা ধরে আসে ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধার, চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। (চলবে)
©somewhere in net ltd.