| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"হ্যালো, এক্সকিউজ মি!"
- জ্বি, বলুন।
কেমন আছেন?
- আল্লাহ পাক ভালোই রেখেছে। কিন্তু আপনাকে তো...।
এখনো চিনতে পারেন নাই। একটু ভালো করে দেখুনতো চিনতে পারেন কিনা।
আমি হিমুর পাশের সিটেই বসে আছি। আর ওদের কথোপকথন পরোক্ষ করছি। প্রথমে ভেবেছিলাম আমি আছি দেখে হিমু নিজেকে লুকিয়ে অপরিচিত কন্ঠস্বরের দোটানায় ক্লান্ত। কিন্তু না। হিমুর চোখেমুখে অন্যকিছুর আবরণের আবডাল ওঁৎ পেতে আছে। এ যেন বন্ধুর সাথে শয়তানি।
কি, এখনো চিনছেন না?
"না, একটু খুলে বলুনতো"
আমি মুচকি হাসলাম।
আপনার আম্মু হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। আর আমার আম্মুও।
- ও, আচ্ছা। চিনতে পারলাম। কেমন আছেন আপনি?
খোলস ছেড়ে নিজের রূপে পদার্পণ করলো হিমু। এ যেন নাটকীয়তার নাট্যমঞ্চ। আর আমি নিখাত দর্শক। যে দর্শকের হাসাহাসি নেই, আনন্দ নেই, তৃপ্তি নেই। শুধু আছে অসহ্য সহ্য করার সামর্থ্য। সত্যি! বুকের ভিতর হিংসার শোকদুঃখ দাউদাউ করে জ্বলে জলছাপ জলছবি। এ শোকের মাতম বহুত কষ্টের।
মেয়েটি বলছে - আপনি খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারেন। আপনার সাথে কথা বলতে খুব ভালো লাগে।
হিমু বললো - ও তাই, বেশ ভালো তো। কথা বলতে মানা করেছে কে?
মেয়েটি বলছে - জানেন? হাসপাতাল ডেস্ক থেকে আপনার মায়ের ভর্তির মোবাইল নাম্বার নিয়েছিলাম কিন্তু নাম্বার বন্ধ।
হিমু - আসলে মোবাইলটি সেদিনই হারিয়ে গেছে। সিমকার্ড মায়ের নামে রেজিষ্ট্রেশন বিধায় তুলতে পারছি না।
মেয়েটি - ও আচ্ছা। তাহলে তো...। জানেন? ওই নাম্বারটিতে কল দিতে দিতে গিয়ে মুখস্থ হয়ে গেছে।
হিমু - (মৃদু মৃদু হাসছে। এ হাসিটা শয়তানি হাসি। যখনই কোন মেয়ে ওর খোঁজে উথাল-পাতাল ঢেউ খেলে নাচে তখনই হিমু কালবোশেখী হাসি হাসে)।
মেয়েটি - আপনি সেদিন বলেছিলেন - আমাকে গাঢ় গোলাপি ঠোঁটে বেশ মানাবে। সেদিন থেকেই গোলাপি রঙটা আমার প্রিয় রং। কেন জানি এই গোলাপি কথাগুলিও আমাকে গোলাপের ম-ম স্বাদে গন্ধে নেতিয়ে তোলে।
হিমু মেয়েটির মুখপানে তাকিয়ে আছে। পলক পড়লেই যেন ভিটেমাটি নদীর স্রোতের ঠোঁটে ধসে ধসে বিলীন হয়ে যাবে। নতুবা কাক চিল এসে ফুড়ুৎ করে তুলে নিয়ে যাবে।
এমন প্রখর চাহনির ভিড়ে কখনো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখিনি হিমুকে। সত্যি! এ যেন প্রথম প্রেমের পাঠশালা। যেখানে শিক্ষক নেই, শিক্ষা নেই, ক্লাসরুম নেই। আছে শুধু ছাত্রছাত্রী।
মেয়েটি বোরকার মুখোশ খুলে ফেললো। আর নাদুসনুদুস গোলগাল মুখউজ্জ্বল চাহনির ঝলকানি ছোঁয়াচে রোগে ছুঁয়ে গেলো। সত্যি! এরকম বিমুগ্ধ বিমোহিত বিপ্রতীপ কোণে কোণঠাসা হয়ে থাকিনি। এই প্রথম গাঢ় গোলাপি ঠোঁটের শহরে বসবাস। এরকম স্নিগ্ধ, রসালো, নির্ভেজাল ঠোঁটের মাংসপেশি আগে কখনো চোখেও পড়েনি।
হিমু নিষ্ক্রিয় নিষ্পাপ নিষ্পলক চোখে তাকিয়ে রয়েছে।
ছবিঃ সংগৃহীত
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগে সু-স্বাগতম। মাসুদ ভাই লিখতে থাকুন, সাথেই আছি।