নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

৯৯৯ (গল্প-২য় পর্ব)

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮


খালাতো বোনের সাথে কথা বলে জয়নব ফোন রেখে দিল। বোনটি তার আমেরিকার বিভিন্ন গল্প শোনাত। কিন্তু আজকে মনে হল-সে এক প্রকার উপহাস করছে দেশের নতুন সেবা-৯৯৯ নিয়ে।

কি জানি বাপু কার মনে কি আছে! প্রবাসে থাকে বলে হয়তো দেশকে অনুন্নত দেখতেই ভালবাসে।

দু’দিন পর তার স্বামী ঢাকা থেকে ফিরে এসে আশ্চার্যজনক ঘটনা বলল তাও আবার ৯৯৯ নিয়ে। স্বামীর মুখে বিশেষ সার্ভিসের কথা শুনে সে একটু ভীত হল। কারণ ৯৯৯ এর অভিজ্ঞতা এর মধ্যে তারও হয়েছে।

তার স্বামী বলল- ঢাকাতে তার এক বন্ধুর বাসায় সে উঠেছিল। অনেক দিন পর দেখা তাই বন্ধু ও বন্ধু পত্নী দারুণ খুশী। আয়োজনও করল সে রকম। শহুরে মানুষের মধ্যে আজ-কাজ এমন আন্তরিকতা দেখাই যায়না। কথায় কথায় আমার বন্ধু আতাউর জানাল-দোস্ত, রাত-বিরাতে বড় ধরনের কোন সমস্যায় পড়লে-৯৯৯ তে ফোন দিবি। তাহলে মুসকিল আহসান হবে।

তো গত সপ্তাহে আতাউর আর চৈতী ভাবী খেয়ে দেয়ে রাত ১১.৩০ দিকে ঘুমিয়ে গেছে। হঠাৎ মাঝ রাতের পরে চৈতী ভাবীর ঘুম ভেঙ্গে যায় কারো আর্তচিৎকারে। উনি খুব সাহসী মহিলা। ঘুম থেকে জেগে বারান্দায় গিয়ে রাস্তায় তাকালেন। কোথা থেকে চিৎকার আসছে। গলির শেষ মাথায় ওদের বাসা। ভাবী দেখলেন-বাসার অদূরে নষ্ট ল্যাম্প পোস্টের নীচে একজন যুবকে ঘিরে রয়েছে ৩/৪ জন লোক। একটু পর পর যুবকে আঘাত করা হচ্ছে ভয়ানক ভাবে। তাতেই যুবক ব্যাথায় ককিয়ে উঠে চিৎকার করছে।

ভাবী কি করবেন ভেবে পেলেননা। উনি ওনার স্বামেকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতে গিয়ে তা করলেননা। তার মাথায় তখন এল পত্রিকাতে পড়া-৯৯৯ নাম্বারটির কথা। আর দেরি না করে ফোন দিলেন উক্ত নাম্বারে।

জানালেন তার বাসার নীচে ক্রাইম হচ্ছে। দ্রুত পুলিশের সাহায্য পাওয়া গেলে একজন মানুষের জীবন বাঁচতে পারে ও অপরাধী ধরা পড়তে পারে। অপর প্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হল-বাসার ঠিকানা, রোড নং ও কোন থানার আওতাধীন এলাকা।

সবকিছু জানানোর পর তিনি এক গ্লাস পানি খেয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন পুলিশের গাড়ি আসার জন্য। এর মধ্যে স্বামীকে জাগিয়ে তুলে বিস্তারিত বললেন।

স্বামী-স্ত্রী যখন বারান্দা দিয়ে তাকাল। যা দেখল-তাতে ভয়ে তাদের গা শিউরে উঠল।

একজন লোক হাতে ছুরি ধরে সেই যুবককে শাসাচ্ছে। হয়তো যে কোন সময় খুনের ঘটনা ঘটবে। কি করবে কি করা যায ? ভাবতে ভাবেত
চৈতী ভাবী এক অদ্ভুত কান্ড করে বসলেন। এক টুকরো লোহা দিয়ে বারান্দার গ্রীলে জোড়ে জোড়ে আঘাত করে শব্দ করে অপরাধীদের মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করলেন।

ম্যাজিকের মত কাজ হল। সব ক'টি অপরাধী মুখ এদিকে তাকাল। তারা ভ্যাবা-চ্যাকা খেয়ে গেল। যুবককে লাথি মেরে ফেলে মূল রাস্তার দিকে দৌড়াতে লাগলো। নাটকীয়ভাবে ইতিমধ্যে পুলিশের গাড়ি গলির মুখে ঢুকে পড়ল আর তখন চৈতী ভাবীর মোবাইলে একটা কল এল। ভাবীর বুঝতে দেরি হলনা এটা পুলিশের ফোন। রিসিভ করে তিনি দ্রুত বলে চললেন-২/৩ জন লোক দৌড়ে আপনাদের গাড়ির দকে যাচ্ছে এদের এরেস্ট করুন।

একজন ছাড়া সবাই ধরা পড়ল। আহত যুবকে পুলিশি হেফাজতের পরিবর্তে তাদের বাসায় এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হল। পুলিশ তার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে চলে গেল। এবং একটু সুস্থ হলে থানায় যোগাযোগের জন্য বলে গেল।

সেই যুবকের কাছে থেকে জানা গেল- জরুরী প্রয়োজনে সে তার খালার বাসায় যাওয়ার জন্য রাস্তায় সি.এন.জির খোঁজ করতে ছিল। একটা প্রাইভেজ কার সে সময় তার সামনে এল এবং তাকে এক প্রকার জোর করেই গাড়ীতে তুলল। বলল-যেখানে যাবেন নামিয়ে দেব।

কিন্তু ওরা আমাকে এখানে এনে টাকা ও মোবাইল কেড়ে নিয়ে বার বার বলছে বাড়িতে ফোন করে বিকাশে ২ লক্ষ টাকা পাঠাতে। আমি রাজি না হওয়াতে আমাকে মারতেছিল আর হত্যা করার হুমকি দিচ্ছিল।

আল্লাহর অসীম দয়াতে আপনাদের উসিলায় বেঁচে গেলাম।

আচ্ছা বুঝেছি। আপনাকে আর কিছু বলতে হবেনা। আপনি বেশ ক্লান্ত। বাসায় একটা ফোন করে দিন আপনি নিরাপদে আছেন। কিছু খেয়ে রাতটা এখানে কাটিয়ে কাল সকালে চলে যাবেন।
এখন নিশ্চিন্ত থাকুন।

(২য় পর্ব সমাপ্ত)
১ম পর্ব

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
৯৯৯ সেবা দেশে নতুস সংযোজন,
আশা করি বিপদগ্রস্থ মানুষ উপকৃত হবে।
তবে শরিষায় আবার ভূত না ঢুকলেই হয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সহমত।

ধন্যবাদ নূরু ভাই।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: ৯৯৯, উপকৃত হবে ভিকটিম

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দেশ ও জাতি এগিয়ে যাক
খুব সহজে মানুষ সরকারি সেবা পাক।

ধন্যবাদ ফাহিম ভাই।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমার কলিগের ২ বছরের বাচ্চা হঠাৎ রাত বারোটার দিকে ভিষন অসুস্থ হয়ে, খাওয়ার স্যালাইন খাওয়ানোর পর বাচ্চার অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে পড়ে, উনি রাত একটার দিকে ৯৯৯ এ ফোন করে এম্বুলেন্স এর জন্য বলেন। ওরা এম্বুলেন্স এর নম্বর দেয়, সেই রাতেই বাচ্চা কে আই সি ডি ডি আর বি তে ভর্তি করা হয়। খাওয়ার স্যালাইন ওভারডোজ এর কারনে বাচ্চা মরণাপন্ন হয়েছিল।

আসলেই এই সেবার প্রয়োজন আছে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সময়ের সাথে সাথে এধরণের সেবা আরও বৃদ্ধি পাক এটাই কাম্য।

বাস্তব ও সুন্দর ঘটনা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ তারেক ভাই।

ভাল থাকুন।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: দরকারের সময় নেট ওয়ার্ক বিজি থাকবে না তো?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সেটা সময়ই বলে দেবে।

ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো, এই ধরণের নাম্বারে কল করলে কাজ করছে!
বাস্তব তো, নাকি গল্প?

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাস্তবটাকেই গল্প আকারে উপস্থাপন করেছি।

একসমেয় কল্পটা একটা সময় বাস্তব হয়ে দেখা দেয়।

ধন্যবাদ।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:২৬

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: সরকার চালু করেছে। আমরা আশা করি সর্বদা ভালো সার্ভিস পেয়ে যাব।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অবশ্যই আশা করতে পারি।

এ ধরনের সেবাসহ আরও সেবা চালু হোক, জনগনের উপকারে আসুক এটাইতো চাই।


ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

জাহিদ অনিক বলেছেন:


বাহ বেশ !
৯৯৯ তাহলে বেশ কাজের।
জেনে রাখলাম।
সচেতনতামূলক গল্প

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: হুম। বিপদে কাজে লাগাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.