নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন কেবলই ফুরিয়ে যায়।

মোঃ মাইদুল সরকার

একদিন জীবন শেষ হয়ে যাবে তবুও অনেক কিছু করার সাধ জাগে..............

মোঃ মাইদুল সরকার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে একটি সেলফি তোলার জন্য......

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১২



মাননীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মহোদয় আজকে আমাদের অফিসে আসবেন। গতকাল রাত সাড়ে ১১ টায় ফোন পেলাম ঘুম ভেঙে ফোন রিসিভ করে জানতে পারলাম মন্ত্রী মহোদয় সকাল বেলায় আমাদের অফিসে আসবেন । তাই অফিস থেকে জানানো হলো সকাল নয়টার মধ্যেই উপস্থিত থাকার জন্য ।

প্রস্তুতি শুরু কাটায় নয়টার মধ্যেই অফিসে উপস্থিত হলাম। বসসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরাও উপস্থিত। দ্রুত অফিসিয়াল কাজ শেষ করে আমরা অপেক্ষা করছি।

এর মধ্যে খবর এলো মন্ত্রী মহোদয় দুপুরে আসবেন। দুপুর গেল খবর এলো বিকালে আসবেন। আমরা বিকেলে অপেক্ষা করছি। কিন্তু অপেক্ষা আর শেষ হয় না । অপেক্ষায় অপেক্ষায় বিকাল শেষ। সন্ধ্যা নামার আগে সবাই নিচ তলায় নামলাম । মিডিয়াকর্মীরা পুরো চত্বর জুড়ে রয়েছে। খবর এলো মন্ত্রী মহোদয় চলে আসছেন। মন্ত্রী মহোদয় কে বরণ করার জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যে আজান পড়ে গেল মাগরিবের । আমরা অনেকেই মসজিদে চলে গেলাম নামাজ পড়তে।


মসজিদ থেকে ফিরে দেখি পুলিশ সহ আরো অনেক গাড়ি চারপাশে পার্ক করা বুঝে গেলাম মন্ত্রী মহোদয় চলে এসেছেন। সারকিট হাউজে কাজ শেষ করতেই দেরি হয়ে গেছে তাই আমাদের অফিসে আসতে দেরি হয়েছে। বরণ করার পর নিচতলায় সংবাদ সম্মেলন হলো। চারপাশে মানুষ গিজ গিজ করছে । মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে একটা সেলফি তোলার জন্য অনেকেই ব্যস্ত। কাছে দূরের অনেকগুলো মোবাইল একটু পরপর জ্বলে উঠছে সবারই একটা সেলফি চাই ।নিদেন পক্ষে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ছবি তোলা চাই কিংবা মিডিয়ায় নিজের মুখটা দেখতে চাই।

অনেকেই আছে যারা এর আগেও মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ছবি তুলেছেন তারাও হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ছবি তোলা চাই। কি করে এই ছবি দিয়ে নিশ্চয়ই ফেসবুকে আপলোড করে নিজেকে জানান দেয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে ছবি তুলেছি বিরাট বাহাদুরীর কাজ।

পাশেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম তারপর মোবাইলে শুধু একটাই ছবি তুলেছি ব্লগে দেওয়ার জন্য। মন্ত্রী মহোদয় খুবই ব্যস্ত তিনি উপরে ওঠেননি । খাবারের ব্যবস্থা ছিল তিনি চাটা পর্যন্ত খাননি । রাতের ফ্লাইটে ঢাকা ফিরবেন। উনি খুব দ্রুত কাজ শেষ করে চলে গেলেন।

আমরা সময়কে মূল্যায়ন করি না নিজের কাজকে মূল্যায়ন করি না শুধু সেলফি তুলতে ব্যস্ত। তারপর নাস্তা খেয়ে সবাই যার যার বাসায় ফিরলাম।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৬

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আমি যদি উনার সাথে সাথে ছবি তুলতে পারতাম।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: তাহলে কি হতো আপনার কোন কিছুই পরিবর্তন হতো না যেমন যারা সেলফি তুলেছে তাদেরও কোন পরিবর্তন হয়নি । ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



মন্ত্রীদের সাথে ছবি তুলতে চার্জ দিতে হবে,এমন বিল পাস করা দরকার পার্লামেন্টে। নাহয় পরে ছবি ভাঙিয়ে অকাজ সাধন করে অনেকে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তা হলে মন্দ হয়না। ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ভালো, ভালো।
আমার কখনো কারো সাথে সেলফি তোলার খায়েস হয় না।
তারপরেও আমার বেশ কিছু সেলফি তোলা আছে।
ফেসবুকে একটি এ্যালবামই খুলেছি সেলফি বিলাস নামে।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমার সেলফি তোলার বাতিক নেই। ধন্যবাদ।

আপনার সেলফি বিলাস দেখতে হবে।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: তালেবর মন্ত্রী!
ধারে ভারে দুটোতেই কাটেন-তো তাই ফিল্ডে তার গ্রহনযোগ্যতা বেশী। আমি আমার এক বন্ধুর সাথে প্রথম যখন সুধা সদনে গিয়েছিলাম। তখন তিনি সদ্য বিদেশ ফেরত চ্যাংরা যুবক। নিপাট ভদ্রমানুষ ছিলেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তিনি এখনও নিপাট ভদ্রলোক। ওনার কাছ থেকে সেলফি বাতিকগ্রস্থ মানুষগুলো শিখতে পারলনা সময়কে কিভাবে কাজে লাগাতে হয়।

ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ২:০০

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: মন্ত্রী, এমপি অনেকের সাথেই দেখা হয়েছে কারো সাথে ছবি তোলার ইচ্ছে হয়নি তবে একবার আসাদুজ্জামান নুরের সাথে ছবি তোলার ইচ্ছে হয়েছিল (মন্ত্রী হিসেবে না বাকের ভাই হিসেবে) যদিও ছবি তুলতে পারিনি।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
দুয়েকটা ছবি স্মৃতি হিসেবে থাকলে মন্দ নয়। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.